আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাই ও বোনেরা ১ম রোজার ফজিলত সম্পর্কে জানতে আপনারা অনেকেই গুগল সার্চ করে থাকেন। মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আরো একটি রমজান মাস আমাদের মধ্যে হাজির হতে চলেছে।
ইতিমধ্যেই আমরা বিভিন্ন আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানিয়েছি ২০২৩ সালের প্রথম রোজা কত তারিখে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ১ম রোজার ফজিলত সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে বিস্তারিত তথ্য জানানোর চেষ্টা করব। পবিত্র মাহে রমজান মাস আমাদের সকলের জন্যই পবিত্র একটি মাস।
এ মাসে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো পথ অনুসরণ করা আমাদের দায়িত্ব। প্রতিটি মুসলমানের জন্য আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত মাহে রমজানের রোজাগুলো রাখা ফরজ।
রোজা হচ্ছে ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ এবং মহান আল্লাহ তায়ালা সকলের জন্য রোজা কে ফরজ করে দিয়েছেন। চলুন আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা ১ম রোজার ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
Contents In Brief
প্রথম রোজার ফজিলত
রোজা হচ্ছে মুসলিমদের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি।
আপনারা জানেন যে রোজা হচ্ছে ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ।
রোজা হচ্ছে একটি ফারসি শব্দ এবং এ রোজার আরবি অর্থ হচ্ছে সওম।
বহুবচনে যদি বলা হয় তাহলে সিয়াম।
সওম বা সিয়ামের বাংলা অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা।
ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় সওম হল আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে নিয়ত সহকারে সুবহে সাদিকের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাওয়া, পানাহার এবং স্ত্রী সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা।
পবিত্র রমজান মাসে ৩০ দিনে ৩০ টি ফজিলত রয়েছে।
যেখানে প্রথম রমজানের ফজিলত সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, কেউ যদি প্রথম রোজা রাখে তার ফজিলত হিসেবে “রোজাদারকে নবজাতকের মত নিষ্পাপ করে দেয়া হয়”।
এছাড়া ও রোজা ও রমজান মাস নিয়ে পবিত্র আল কুরআনের বিভিন্ন সময়ে সওমের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিভিন্ন আয়াত নাযিল করা হয়েছে।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মক্কা থেকে মদিনা হিজরতের দ্বিতীয় হিজরের শাবান মাস থেকে রোজা শুরু হয়ে থাকে।
সেসময় রোজার ফরজ সংক্রান্ত আয়াত নাজিল হয়েছিল।
সেখানে বলা হয়েছে হে ঈমানদারগণ, “তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হলো যেভাবে তা ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর।
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।
যাতে তোমরা সংযমী হও।” (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)
মহান আল্লাহ তায়ালা আরো বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সেই মানুষকে পায় সে যেন রোজা রাখে।” (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৫)
ইসলামিক চিন্তাবিদ এবং বড় বড় আলেমরা কোরআনের আলোকে রোজা তারপর যা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, রমজান হচ্ছে ধৈর্যের মাস এবং ধৈর্যের সাওয়াব হচ্ছে বেহেশত।
এটি হচ্ছে সহানুভূতির মাস এবং এটি হয়েছে সেই মাস যে মাসে মমিন ব্যক্তিদের রিজিক বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ
রমজান মাসের রোজার ফজিলত
৩০ রোজার ৩০টি ফজিলত রয়েছে।
তবে এই সকল ফজিলত গুলোর সম্পর্কে বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং ওয়েবসাইটে তথ্য থাকলেও সেগুলোর কোন ভিত্তি নেই।
কোন হাদিস থেকে নেয়া হয়েছে কিংবা কিভাবে এই তথ্যসূত্র গুলো পাওয়া গেছে সেই সম্পর্কে কেউ এই সঠিকভাবে জানাতে পারেনি।
আমরা চাইলেই আপনাদের ৩০ টি রোজার ফজিলত সম্পর্কে বলতে পারতাম তবে সেগুলোর সঠিক আয়াত কোথায় উল্লেখ আছে।
সেই সম্পর্কে জানা নেই বিধায় আপনাদের এই আর্টিকেলে সেই সকল ফজিলত গুলো সম্পর্কে বলা হয়নি।
আপনারা রমজান মাসের প্রতিটি রোজা কে সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করবেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট হলে অবশ্যই আপনাদের ক্ষমা করে দেবেন।
রমজান মাসে বেশি বেশি ক্ষমাপ্রার্থনা করা প্রত্যেকটি মুমিন বান্দার কর্তব্য।
১ম রোজার ফজিলত সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
রোজার নিয়ত – প্রথম রোজার নিয়ত
অনেকেই রমজান মাসের প্রথম রোজার নিয়ত গুগল সার্চ করে থাকে।
মূলত প্রথম রোজার ক্ষেত্রে আপনারা যে নিয়তে রোজা রাখবেন শেষ পর্যন্ত একই নিয়তের মাধ্যমে আপনাদের রোজা রাখতে হবে।
রোজার নিয়ত সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে বিস্তারিত তথ্য জানানোর চেষ্টা করব।
মূলত সময় সঠিক নিয়মে পর্যাপ্ত পরিমাণ সেহরি খাওয়ার পর এই নিয়ত ঠিক করতে হবে।
রোজার নিয়ত আরবি: – نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
রোজার নিয়ত আরবি উচ্চারণ: ‘নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আংতাস সামিউল আলিম।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র রমজানের নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত) করলাম।
অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
আরও পড়ুনঃ
১ম রোজার ফজিলত FAQS
প্রথম রোজার ফজিলত হচ্ছে “রোজাদারকে নবজাতকের মত নিষ্পাপ করে দেয়া হয়”।
৩০ টি রোজার জন্য ৩০ টি ফজিলত রয়েছে। তবে সঠিক তথ্য গুলো না পাওয়ায় সেগুলো আপনাদের সামনে উল্লেখ করা হয় নি।
উপসংহার
সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ ১ম রোজার ফজিলত সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়েছে।
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনারা সবাই প্রতিটি রোজা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে রাখবেন।
আপনাদের যদি আজকের এই আর্টিকেল সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন পাবো মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন।
এছাড়াও আপনারা অনেকেই অনলাইন থেকে আয় কিভাবে করা যায় এবং অন্যান্য জ্ঞানমূলক আর্টিকেলগুলো খুজে থাকেন।
এই সকল বিষয়গুলো আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন তাই অবশ্যই জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।