নবীদের নামের তালিকা অর্থসহ ও বয়স সম্পর্কে জানুন

নবীদের নামের তালিকা অর্থসহ জনাতে অনেকে গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই সব নবী রাসুলের নামের তালিকা ও বয়স সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। প্রথম নবীর নাম কি ও শেষ নবীর নাম সহ বিস্তারিত জানানো আপনাদের।

আসসালামু আলাইকুম, একটি মুসলিম দেশেরনাগরিকহিসেবে আমাদের ইসলামসম্পর্কে কিছুসাধারনধারনা রাখাখুবই প্রয়োজনীয়। এই কন্টেন্ট এর মুল আলোচনা আল্লাহর প্রেরিতবিভিন্ন নবীদের নাম, উনাদেরনামের অর্থ,অবস্থানকৃত দেশ/অঞ্চল ও বয়স সম্পর্কে আপনাদের জানানো।

এই পৃথিবীতে ইসলাম ধর্মই আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম। মহান আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টিশীল, তিনি মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করার জন্যই।

তবে তিনি মানব জাতিকে পরীক্ষা করার জন্যতাদের মধ্যে কে কর্মে উত্তম তা নির্বাচন করার জন্য মানব জাতিকে দিয়েছেন স্বাধীন ভাবে চলার সুযোগ। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার সেই দয়া থেকে মানুষ নিরাশ হয়ে বার বার পাপাচারে লিপ্ত হয়।

সব নবীদের নামের তালিকা অর্থসহ ও বয়স সম্পর্কে জানুন

সব নবীদের নামের তালিকা অর্থসহ ও বয়স
সব নবীদের নামের তালিকা অর্থসহ ও বয়স

তাই মহান আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে বহু মনোনীত বান্দাদের প্রেরন করেন এই মানব জাতির হিদায়াতের জন্য। তারাই হলেন নবী ও রাসুল।

প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী – মহান আল্লাহ তায়ালা এই পৃথিবীতে ১ লক্ষ ২৪ হাজার পয়গম্বর পাঠিয়েছেন, এবং তাদের মধ্যে ৩১৫ ছিলেন রাসূল অবশিষ্ট সবাই নবী ছিলেন।

রাসুলগন রাসুল হবার পাশাপাশি নবীও ছিলেন আর যারা নবী তারা শুধু নবীই ছিলেন। পৃথিবীতে প্রথম নবী ছিলেন হযরত আদম (আঃ) এবং সর্বশেষ নবী ও রাসূল ছিলেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।

তিনি হলেন সমগ্র বিশ্বের নবী। রাসূল (সাঃ)- এর উপর নাজিলকৃত কোরআনের হুকুমই অবশিষ্ট আছে।

নবীদের পরিচয়

আমরা সাধারনত জানি, নবীদের উপর আল্লাহ তায়ালা কোন শরিয়ত নাজিল করেন নি।

তবে শরিয়ত নাজিল না হলেও উনাদের মূল কাজ ছিলো মানব জাতিকে হেদায়াত এর পথে ডাকা, মানব জাতির কাছে ইসলামকে প্রচার করা ও ইসলামকে বাস্তবায়ন করা।

নবীদের কাছে কোন শরিয়ত নাজিল না হওয়ার কারনে সেই নবীদের পূর্বের বা পরের শরিয়ত মোতাবেক ইসলামকে বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট থাকতেন।

রাসূলদের পরিচয়ঃ-

রাসূল বলতে আমরা বুঝি যেই নবীদের উপর নতুন কোনো শরিয়ত নাজিল হয়েছিলো এবং সেই শরিয়ত অনুযায়ী তারা ইসলাম কে বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা করে যেতেন।

আল্লাহ তায়ালা সেই শরিয়তের মধ্যেই মানব জাতির হিদায়াতের পথ নির্দেশ করে দিতেন। এখান থেকে আমরা বুঝতে পারি যারা রাসূল ছিলেন তারা নবীও ছিলেন।

নবী ও রাসূলগন সম্পর্কে কোরআনের বর্ননাঃ-

মহাগ্রন্থ পবিত্র আল-কোরআন নাজিল হয়েছিলো আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর।

আল্লাহ তায়ালা উনাকে এই গ্রন্থের মাধ্যমে মানব জাতির হেদায়াতের পথ দেখান। এই গ্রন্থে তিনি মহানবী (সাঃ) কে বহুবার অন্যান্য নবীদের বর্ননা দিয়ে উদাহরণ দেন এবং অতীতের নবীদের কওম সম্পর্কে সতর্কতা দেন।

বিভিন্ন উপদেশ প্রদান করার ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআনের মোট ২৫ জন নবীর নাম স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেন এবং এছাড়াও আরও কিছু নবীদের ব্যাপারে মতোভেদ রয়েছে।

ডিসকাউন্টে সকল সিমের মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।

তবে অধিকাংশ নবীর নামই আল্লাহ তায়ালা কোরআনে উল্লেখ করেন নি। প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ তায়ালা এই পৃথিবীতে কতজন নবী প্রেরন করেছিলেন তা মহান আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।

নবীদের বংশ তালিকা সম্পর্কে আপনি এখান থেকে জেনে নিন।

সব নবীদের নামের তালিকা অর্থসহ ও বয়স – নবীদের বংশ তালিকা

সব নবীদের নামের তালিকা অর্থসহ ও বয়স দেখে নিন।

ক্রমিক নংনবীদের নামনামের অর্থঅবস্থানকৃত দেশবয়স
হযরত আদম (আঃ)মাটির মানুষ, প্রথম মানুষ, মাটির সৃষ্টি।শ্রীলংকা১০০০ বছর
হযরত শীষ (আঃ)আল্লাহর দানউপমহাদেশ৯১২ বছর
হযরত নূহ (আঃ)বিশ্রাম থেকে মুক্তিজর্ডান৯৫০ বছর
হযরত শোআইব  (আঃ)আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ প্রাপ্তসিরিয়া৮৮২ বছর
হযরত সালেহ  (আঃ)ধার্মিক, ন্যায়নিষ্ঠ, অটুট, ভালোলেবানন৫৮৬ বছর
হযরত ইব্রাহীম  (আঃ)অন্তরঙ্গ বন্ধুইরাক১৯৫ বছর
হযরত ইসমাঈল (আঃ)উদার, ভাগ্যবান, উৎসর্গীকৃতসৌদি আরব১৩৭ বছর
হযরত ইসহাক (আঃ)হাস্যময়ী একজনফিলিস্তিন১৫০ বছর
হযরত ইয়াকুব (আঃ)স্থলাভিষিক্ত, দোয়েল পাখি।ফিলিস্তিন১২৯ বছর
১০হযরত ইউসুফ (আঃ)আল্লাহ বৃদ্ধির দানফিলিস্তিন১১০ বছর
১১হযরত মূসা (আঃ)সংরক্ষিত, রক্ষা কর্তামিশর১২৫ বছর
১২হযরত হারুন (আঃ)পর্বতমিশর১১৯ বছর
১৩হযরত লূত (আঃ)সংজ্ঞা, ভাগ্যবানজর্ডান১২৪ বছর
১৪হযরত ইয়াহ-ইয়া  (আঃ)সক্রিয়, গুরুত্ব, আধুনিক, বন্ধুত্বপূর্ণফিলিস্তিন৯৫ বছর
১৫হযরত আইয়ুব  (আঃ)অন্তর্মূখী, প্রত্যাবর্তনকারী নবীসিরিয়া১৪০ বছর
১৬হযরত ইউনুস (আঃ)সান্ত্বনা, প্রভুর উপহারইসরাইল১২৩ বছর
১৭হযরত হুদ (আঃ)পথ- প্রদর্শন, নেতৃত্বইয়েমেন২৭০ বছর
১৮হযরত আল-ইয়াসা (আঃ)স্বাচ্ছন্দ্য, বিলাসিতাজর্ডান১১০ বছর
১৯হযরত দাউদ (আঃ)প্রিয় বন্ধু, আল্লাহর বন্ধুবনি ইসরাইল বংশে১২০ বছর
২০হযরত ইদ্রিস (আঃ)শিক্ষায় ব্যস্ত ব্যাক্তি, অধ্যয়ন্রতইরাক৩৬৫ বছর
২১হযরত ইউশা বিন নুন (আঃ)নবীদের একজনফিলিস্তিন১৪৭ বছর
২২হযরত যুলকিফল (আঃ)দ্বিগুনের অধিকারী,তুরস্ক৭৫ বছর
২৩হযরত সোলাইমান (আঃ)শান্তিপূর্ণ, শান্তিপ্রিয়ইসরায়েল১৩৭ বছর
২৪হযরত যাকারিয়া (আঃ)সৃষ্টি কর্তার স্মরনেফিলিস্তিন২০৭ বছর
২৫হযরত ঈসা (আঃ)পবিত্র, আন্তরিক,ফিলিস্তিনপৃথিবীতে ৩৩ বছর অবস্থান করেন
২৬হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)প্রশংসিতসৌদি আরব৬৩ বছর
নবীদের নামের তালিকা অর্থসহ

আরও পড়ুনঃ

মাকে নিয়ে ইসলামিক উক্তি

মা নিয়ে কিছু কথা 

Dua Qunoot In Bangla | দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ সহ 

নবীদের সম্পর্কে মহান আল্লহ তায়ালা বলেন-

অবশ্যই আমি তোমাদের নিকট রাসূলগনকে প্রেরন করেছি তাদের মধ্যে অনেকের সম্মন্ধে তোমাদের অবগত করেছি এবং অনেকের সম্মন্ধে অবগত করিনি।

ডিসকাউন্টে সকল সিমের মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।

এবং মহান আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন –

নিশ্চয়ই আমি প্রত্যেক জাতির কাছেই রাসূল প্রেরন করেছি। তাইতো নবীদের নামের তালিকা অর্থসহ জানতে লোকেরা অনেক আগ্রহী।

নবী- রাসূলগনের সংখ্যা মহান আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন। তবে প্রত্যেকেরই উচিত পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা যেসকল নবী রাসূলগনের কথা বর্ননা করেছেন তাদের সম্পর্কে জানা।

তাই চলুন নবীদের নাম, নামের অর্থ, অবস্থানকৃত দেশ ও বয়স সম্পর্কে জেনে নেই-

কোরআনে যেই সকল নবীদের নাম মহান আল্লাহ তায়ালা উল্লেখ করেছেন শুধু তাদের সম্পর্কেই আমরা বলতে পারি।

এছাড়াও আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে প্রায় ১ লক্ষ ২৪ হাজার নবী ও রাসুল প্রেরন করেছেন। এখন চলুন কোরআনে বর্নিত এই নবীদের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় জেনে নেওয়া যাক-

আরও পড়ুনঃ

ইসলাম শব্দের অর্থ কি?

ইমান শব্দের অর্থ কি? ইমান কাকে বলে?

বাবাকে নিয়ে স্ট্যাটাস পিক । মা বাবাকে নিয়ে স্ট্যাটাস

নবীদের নামের তালিকা অর্থসহ ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় – সংক্ষেপে নবীদের জীবন কাহিনী

হযরত আদম (আঃ)তিনি এই দুনিয়ার প্রথম মানব ও প্রথম নবী। মোট ৯টি সূরার ২৫ জায়গায় উনার নাম উল্লেখ রয়েছে।
হযরত শীষ (আঃ)তিনি  ছিলেন  হযরত  আদম  (আঃ)  এর  সন্তান এবং  একজন  নবী। আল্লাহ  তায়ালার  বিশেষ  দান  সম্পর্কে  উনাকে  আখ্যা  দেওয়া  হয়।
হযরত নূহ (আঃ)কোরআনে বর্নিত মহাপ্লাবন এই নবীর সম্যেই হয়।তিনি নিজ জাতিকে সাড়ে ৯ শত বছর দাওয়াত দিয়েছেন কিন্তু তারা কাফেরই থেকে যায় এবং উনাকে তিরস্কার জানাতে থাকে ফলে আল্লাহ মহাপ্লাবন দ্বারা তাদের কে ভাসিয়ে দেন। কোরআনের ২৮ টি সূরাতে ৪৩ বার এই নবীর নাম উল্লেখিত হয়েছে।
হযরত শোআইব (আঃ)কোরআনের ৪টি সূরায় মোট ১১ বার উনার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।উনার সম্প্রদায়ের মানুষজন ওজনে কম দিত, তাই তারা আল্লাহ তায়ালার আজাবপ্রাপ্ত হয়।
হযরত সালেহ (আঃ)তিনি ছামুদ জাতির কাছে প্রেরিত হয়েছিলেন। ৪টি সূরার ৯ টি স্থানে উনার নাম উল্লেখিত আছে।
হযরত ইব্রাহীম (আঃ)তিনি মুসলিম জাতির পিতা।কোরআনের ২৫ টি সূরার ৬৯ টি স্থানে উনার নাম উল্লেখিত রয়েছে। তিনি ইসমাঈল আঃ কে নিয়ে কাবা ঘর নির্মান করেন।
হযরত ইসমাঈল (আঃ)ইসমাঈল আঃ ছিলেন এমন নবী জিনি জন্মগ্রহণ করার পূর্বেই জ্ঞানী বলে সুসংবাদ পান। ৮ টি সূরার মোট ১২ জায়গায় উনার নাম উল্লেখিত আছে।
হযরত ইসহাক (আঃ)তিনি ছিলেন সম্পর্কে ইসমাঈল আঃ এর ভাই। কোরআনের ১২ টি সূরার মোট ১৭ টি স্থানে উনার নাম উল্লেখিত রয়েছে।
হযরত ইয়াকুব (আঃ)ইয়াকুব (আঃ) এর আরেক নাম ছিলো ইসরাইল। উনার নামানুসারেই বনী ইসরাইল গোত্রের নামকরণ করা হয়।কোরআনের ১০ টি সূরায় মোট ১৬ বার এই নবীর নাম উল্লেখিত রয়েছে।
হযরত ইউসুফ (আঃ)উনার নামে পবিত্র কোরআনে একটি সূরা রয়েছে- সূরা ইউসুফ। তিনি এবং তার কয়েক প্রজন্মের পূর্বপুরুষ নবী ছিলেন। ৩ টি সূরায় মোট ২৭ বার উনার নাম উল্লেখিত আছে।
হযরত মুসা (আঃ)আল কোরআনে সবচেয়ে বেশি বার যেই নবীর নাম উল্লেখিত হয়েছে উনার নাম হলো মূসা (আঃ)। তিনি ইসলামের জালেম বাদশা ফিরআউন এর বাড়িতে লালিত পালিত হয়। তিনিই ছিলেন বনী ইসরাইল এর প্রথম নবী।পবিত্র কোরআনের ৩৪ টি সূরায় সর্বাধিক ১৩৭ বার উনার নাম উল্লেখিত রয়েছে।
হযরত হারুন (আঃ)তিনি ছিলেন মূসা (আঃ) এর ভাই। কোরআনের ১৩ টি সূরায় মোট ২০ বার আলোচিত হয়েছেন তিনি।
হযরত লূত (আঃ)লূত (আঃ) সম্পর্কে কোরআনের ১৪ টি সূরায় মোট ২৭ বার আলোচিত হয়েছে। সমকামিতার মতো কঠিন পাপের কারনে তার সম্প্রদায়ের উপর আল্লাহর আজাব নাজিল হয়।
হযরত ইয়াহ-ইয়া (আঃ)আল্লাহ তায়ালা উনাকে তাওরাতের শিক্ষা দিয়েছিলন এবং খুব কম বয়সেই উনাকে জ্ঞানী করেছিলেন।কোরআনের ৪টি সূরায় মোট ৫ বার তিনি উল্লেখিত হয়েছেন।
হযরত আইয়ুব (আঃ)আইয়ুব (আঃ) কে আল্লাহ তায়ালা কঠিন আসুখের পরীক্ষায় ফেলেছিপেন এবং দীর্ঘকাল তিনি সেই অসুখে জর্জরিত ছিলেন।অবশেষে তিনি সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।কোরআনের ৪টি সূরায় মোট ৪ বার উনার নাম উল্লেখ করা হয়।
হযরত ইউনুস (আঃ)ইউনুস (আঃ) কে আল্লাহ মাছের পেটে রেখে পরীক্ষায় ফেলেছিলেন।এবং ৪০ দিন পর তিনি সেখান থেকে বেড়িয়ে আসেন আল্লাহর রহমতে। আল্লাহর কাছে উনার দোয়া কবুল হয়। ইউনুস (আঃ) এর সম্প্রদায়ের সবাই উনার এবং মহান আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি ইমান এনেছিলেন।
হযরত হুদ (আঃ)হুদ (আঃ) কে আল্লাহ তায়ালা আদ জাতির নিকট পাঠিয়েছিলেন। নূহ (আঃ) এর সম্প্রদায় কে প্লাবন দ্বারা ধ্বংস করার পর হুদ (আঃ) এর সম্প্রদায়ের লোকেরা মুর্তিপূজায় লিপ্ত হয়।আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে প্রচন্ড ঝড় দ্বারা বিনাশ করেন। কোরআনের মোট ৩টি সূরায় ৭ বার উনার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
হযরত আল-ইয়াসা (আঃ)কোরআন মাজীদে ২টি সূরায় ২ বার উনার নাম উল্লেখ করা হয়।
হযরত দাউদ (আঃ)হযরত দাউদ (আঃ) কে যাবুর কিতাব দান করা হয়েছিলো।তিনি একদিন রোজা রাখতেন আরেকদিন রাখতেন না।এভাবে পালা করে তিনি আল্লাহর ইবাদত করতেন।কোরআনের ৯টি সূরায় ১৬ বার উনার নাম উল্লেখিত রয়েছে।
হযরত ইদ্রিস (আঃ)কোরআনে আল্লাহ তায়ালা উনাকে সিদ্দিক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।তিনিই প্রথম কাপড় সেলাই করে পরিধান করা শুরু করেন এবং সর্বপ্রথম কলম দ্বারা লিখেন। দুটি সূরায় দুই বা উনার নাম উল্লেখ হয়েছে।
হযরত ইউশা বিন নুন (আঃ)তিনি মুসা আঃ এর ভৃত্য ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বনী ইসরাইল সম্প্রদায়ের রাজা হন।মহান আল্লাহ তায়াল তাকে ইসলামে নবীর সম্মান লাভ করেন।
হযরত যুলকিফল (আঃ)পবিত্র কোরআনের দুটি সূরায় মোট দুই বার উনার নাম উল্লখিত হয়েছে।
হযরত সোলাইমান (আঃ)তিনি ছিলেন সমস্ত পৃথিবীর বাদশা। তিনি জীনদের ও বাদশা ছিলেন।তিনি পশুপাখিদের ভাষা বুঝতেন।বাতাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন।পবিত্র কোরআনে ৭ টি সূরায় মোট ১৭ বার উনার নাম উল্লেখিত হয়েছে।
হযরত যাকারিয়া (আঃ)তিনি পেশায় একজন কাঠুরে ছিলেন।কোরআনের ৪টি সূরায় মোট ৭ বার উনার নাম উল্লেখিত হয়েছে।
হযরত ঈসা (আঃ)তিনি বনী ইসরাইল সম্প্রদায়ের শেষ নবী।তিনি আল্লাহর তরফ থেকে অনেক মোজেজার অধিকারী হয়েছিলেন।তিনি শেষ জামানায় পূনরায় বিশ্বনবীর উম্মত হয়ে এই পৃথিবীতে আগমন করবেন।পবিত্র কোরআনে ১১ টি সূরায় মোট ২৫ বার উনার ব্যাপারে উল্লেখ করা হয়।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বিশ্বনবীর সম্মানার্থে উনার নাম খুবই কম ব্যবহার করেছেন। ৪ টি সূরায় মাত্র ৪ বার উনার নাম উল্লেখ করা হয়।তবে অন্য সব স্থানে আল্লাহ তায়ালা উনাকে ইয়া আইয়ুহান নাবী বা ইয়া আইয়ুহার রাসূল বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।এটাই বিশ্বনবীর মর্যাদার প্রতীক বহন করে।
নবীদের নামের তালিকা অর্থসহ ও সংখিপ্ত জীবনী

নবীদের নামের তালিকা অর্থসহ FAQS

প্রথম নবীর নাম কি?

প্রথম নবীর নাম হযরত আদম (আঃ)।

কোন নবীর পর কোন নবী আসবেনা?

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পর কোন নবী আসবেনা।

শেষ নবীর নাম কি?

শেষ নবীর নাম হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।

আরও পড়ুনঃ

উপসংহার,

আশা করি আপনি নবীদের নামের তালিকা অর্থসহ জানতে পেরেছেন। এছারাও এই পোস্টে নবীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়েছে।

নবীদের নামের তালিকা ও বয়স সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি নবীদের নামের তালিকা অর্থসহ পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন।

নবীদের বংশ তালিকা সম্পর্কেও এই পোস্টে আপনাদের জানানো হয়েছে।

Note: এখানে  আমার  মতো  নগন্য মানুষের কোরআনের ব্যাখ্যা সম্পর্কে  কোন  ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আমার  জন্য আল্লাহর কাছে  দোয়া  করবেন মহান আল্লাহ যেনো আমাদের পরিপূর্ণ হেদায়াত দান করেন। 

নবীদের সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য একটি দায়িত্ব স্বরূপ। তাই আপনি জেনে  থাকলে আপনার বন্ধুদের কাছেও এই পোস্ট টি শেয়ার করতে পারেন। আর  পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন।

অনলাইনে ঘরে বসে টাকা ইনকাম ও ইন্টারনেট থেকে সঠিক তথ্য পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়ের সাইট।

জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ

কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ভিজিট করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।

Leave a Comment