প্রিয় পাঠকগণ আপনারা অনেকেই ভিটামিন এ জাতীয় খাবার সম্পর্কে নানান ভাবে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আজকের এ আর্টিকেলে ভিটামিন এ জাতীয় খাবার কি কি সে সকল বিষয়ে আপনাদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা করব।
এবং ভিটামিন এ যুক্ত খাবার খেলে আপনাদের কি কি উপকার হবে সে সকল বিষয়ে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আলোচনা করব।
মানবদেহে খাবার এবং সুস্থ থাকার জন্য সঠিক ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। আমরা সকলে কোন কোন খাবার খেলে আমাদের কি কি উপকারিতা পাবো সে সব বিষয়ে সচেতন নই। আজ আমরা ভিটামিন এ জাতীয় খাবার নিয়ে এ সকল বিষয়গুলো আলোচনা করতে যাচ্ছি।
Content Summary
ভিটামিন এ জাতীয় খাবার
ছোট মাছ (মলা, মলান্দি, কাজলি), দুধ, মাখন, কড লিভার ওয়েল, ঘি, টার্কির কলিজা, গরুর কলিজা, মাংস, ডিম, গাজর, পালংশাক, বাধাকপি, ব্রকলি, সরিসা শাক, লাল মরিচ, টমেটো, কুমড়া, লেটুস, আম, জাম্বুরা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি।
একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের শরীরের জন্য দিনে কমপক্ষে ৯০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন থাকা প্রয়োজন।
একজন পূর্ণ বয়স্ক মহিলাদের জন্য শরীরে ভিটামিন এ দিনে কমপক্ষে ৭০০ মাইক্রো গ্রাম থাকা প্রয়োজন।
পুরুষ-মহিলাদের খাবারে ঊর্ধ্বসীমা দৈনিক সর্বাধিক ৩০০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ‘এ’ থাকা দরকার।
আরও পড়ুনঃ
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ব্যানার
ভিটামিন এ এর উপকারিতা
ভিটামিন এ এর উপকারিতা সর্বপ্রথম যে বিষয়টি আসে সেটি হল ভিটামিন এ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
চোখের জন্য ভিটামিন এ মানবদেহে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
মা একজন মানব দেহের শরীর বিকাশে ভিটামিন এ এর ভূমিকা রয়েছে।
বাহ্যিক আবরণের কোষ, ত্বক, দাঁত, ও অস্থির গঠনের জন্য ভিটামিন ‘এ’ জরুরী। ভিটামিন-এ একজন মানুষকে নানান রকম সংক্রামক রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
যদি আপনার শরীরে পরিমাণমতো ভিটামিন এ থাকে তাহলে শরীরের প্রাপ্ত লৌহের স্বাভাবিক ব্যবহারে ঘাটতি হয় না।
যার কারণে শরীরে রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয় না।
শরীর সুস্থ এবং স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে।
আপনার শরীরে সঠিক পরিমাণে ভিটামিন এ থাকলে বার্ধক্য রোধ করতে সহায়তা করবে।
শরীরে ত্বকের শুষ্কতা বা বলিরেখা ভিটামিন এ শরীরের থাকলে তা আর থাকবে না।
টিউমার এবং ক্যান্সারের মতো ভয়ঙ্কর রোগ থেকে ভিটামিন-এ আমাদেরকে রক্ষা করে।
এছাড়াও ভিটামিন এ ধারা আমাদের লিভার ভালো থাকে। ভিটামিন আমাদের নাকের শ্লেষাঝিল্লিকেও সুস্থ রাখে।
খাবার অনুযায়ী কার্যকারিতা
আমরা দৈনন্দিন যে সকল খাবার খেয়ে থাকি সেসকল খাবারের মধ্যে আলাদা আলাদা ভিটামিন রয়েছে।
এখন আমরা এমন কিছু খাবারের সম্পর্কে জানব যে সকল খাবারে ভিটামিন এ রয়েছে।
গাজর
একটি বড় গাজরে ১২ হাজার ২৮ আইইউ (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট) পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে।
যেখানে একটা মানুষের জন্যে দৈনিক ৫ হাজার আইইউ পরিমাণ ভিটামিন প্রয়োজন, সেখানে একটা গাজরেই রয়েছে তার দ্বিগুণ।
মূলত গাড়ি থেকে আমরা যে বেটা ক্যারোটিন গ্রহণ করি, সেগুলো আমাদের শরীরে ভিটামিন এ-তে কনভার্ট হলে উল্লেখ করেছেন ইন্টার্নেশনাল হেলথ অর্গানাইজেশন এর চেয়ারম্যান ক্যাডি ব্রাউন।
আমাদের দেশে বিশেষ করে গাজর শীতকালে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।
তাছাড়াও শীতের আগে এবং পরে আমাদের দেশের বাজারগুলোতে গাজর দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কে?
পালং শাক
আমাদের দেশের অনেক মানুষই আছেন যারা পালং শাক দিয়ে তরকারি খেতে খুবই ভালোবাসেন।
যারা পালং শাকের তরকারি খেতে ভালোবাসেন তারা খুবই ভাগ্যবান।
কারণ আপনার শরীরের মাঝে আপনার অজান্তেই প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ যাচ্ছে এবং নানান রকম রোগ থেকে আপনি মুক্ত হচ্ছেন।
পালং শাক এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ছাড়াও ভিটামিন সি, ভিটামিন-সি আয়রন ও বিটা ক্যারোটিন রয়েছে।
এবং আরো রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা হাই ব্লাড প্রেসার রোগীদের জন্য খুবই কার্যকর।
এছাড়াও পালং শাকের রয়েছে ভিটামিন এ রক্তের শ্বেতকণিকা বা লিম্পোসাইটকে সর্বদা সুস্থ্য থাকতে সাহায্য করে। এতে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটা ক্যারোটিন আমাদেরকে নানা রকম চোখের রোগ থেকে রক্ষা করে, বিশেষ করে চোখের ছানি পড়া প্রতিরোধ করে।
এক কাপ পরিমাণ পালং শাকে ভিটামিন এ এর পরিমাণ ২৮১৩ আইইউ।
মিষ্টি আলু
আমরা যদি বলতে যাই তাহলে বলতে পারি একটি মাঝারি সাইজের মিষ্টি আলুতে ভিটামিন এ এর পরিমাণ ২১৪% ডিভি।
মিষ্টি আলুতে শুধুমাত্র ভিটামিন এ ই নয়, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ই এবং বিটা ক্যারোটিন যা শরীরে বলিরেখা দূর করে এবং শরীরের রক্ত পরিশোধন করে সাহায্য করে।
এছাড়াও মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এটি হার্টের রোগীদের জন্য খুবই কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত।
মিষ্টি আলুতে যে পরিমান পটাশিয়াম থাকে এটি শরীরের ইমিউন সিস্টেমের জন্য উপকারী, যে ধরনের প্রদাহ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
এরকম আরো অনেক শাকসবজি রয়েছে যেগুলো আপনি খেলে আপনার শরীরের ভিটামিন এ প্রচুর পরিমাণে পাবে।
এবং আপনার শরীর সুস্থ রাখতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুনঃ
বাংলাদেশের জাতীয় গাছের নাম কি?
ভিটামিন এ জাতীয় খাবার FAQS
ছোট মাছ (মলা, মলান্দি, কাজলি), দুধ, মাখন, কড লিভার ওয়েল, ঘি, টার্কির কলিজা, গরুর কলিজা, মাংস, ডিম, গাজর, পালংশাক, বাধাকপি, ব্রকলি, সরিসা শাক, লাল মরিচ, টমেটো, কুমড়া, লেটুস, আম, জাম্বুরা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি।
একজন মানুষের শরীরে যতটা ভিটামিন এ প্রয়োজন তার থেকে দ্বিগুণ।
চোখের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা ইত্যাদি আরও অনেক রোগের কার্যকরী।
উপসংহার
সুপ্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলটিতে ভিটামিন ই জাতীয় খাবার সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
আশা করছি ভিটামিন এ জাতীয় খাবার কোনগুলো আপনারা তা জানতে পেরেছেন।
শরীর আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ। শরীর সুস্থ রাখার জন্য অনেক ভিটামিন এর প্রয়োজন হয়। তাই আপনারা নিজেদের শরীরের সুস্থতা রক্ষার জন্য সঠিক খাবার প্রতিদিন গ্রহণ করুন।
আপনাদের যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।
অনলাইন থেকে ঘরে বসে টাকা আয় এবং নানান ধরনের আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের ওয়েবসাইট সম্পর্কিত সকল আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেইজে।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।