সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ ঘুমের মধ্যে ঝাকুনি কিসের লক্ষণ সে সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা অনেকে গুগলের মাধ্যমে সার্চ করে থাকেন। আমরা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ঘুমের মধ্যে যে ঝাঁকুনি হয়ে থাকে সেই সকল ঝাঁকুনি গুলো কেন হয় বা এগুলো কিসের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
মূলত আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নানান ধরনের রোগ রয়েছে যে সকল রোগ গুলোর মাঝে অন্যতম একটি রোগ হচ্ছে ঘুমের মধ্যে ঝাকুনি। অনেক সময় এটির কারণে মানুষ খুবই ভয় পেয়ে যায় এবং তারা মানসিকভাবে অনেকটাই ভয় পেয়ে থাকে।
এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি আপনারা শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
Contents In Brief
কেন ঘুমের মধ্যে ঝাঁকুনি হয়

ঘুমের মধ্যে হঠাৎ করেই যে ঝাঁকুনি হয়ে থাকে তাকে বলা হয় ‘হিপনিক জার্কস’।
‘হিপনিক জার্কস’ খুব দ্রুতই হৃৎস্পন্দন, দ্রুত শ্বাস, ঘাম এবং কখনো কখনো “শক” বা শূন্যে পড়ে যাওয়ার মতো এক অদ্ভুত সংবেদনশীল অনুভূতির সাথে সম্পর্কিত।
এটি হচ্ছে এক ধরনের কোন স্বপ্নের অভিজ্ঞতা অথবা হ্যালুসিনেশনও হতে পারে।
বিশেষ করে অনিয়মিত শিডিউলে যদি কোন ব্যক্তি ঘুমায় সে ব্যক্তির ক্ষেত্রে এ ধরনের হিপনিক জার্ক বেশিরভাগ সময় ঘটতে পারে।
তদুপরি, বিশেষত যখন এটি ঘন ঘন এবং তীব্র হয়, তখন হিপনিক জার্ককে ঘুম-অনিদ্রার কারণ হিসাবে দেখা হয়।
একে হিপন্যাগোজিক জার্ক, স্লিপ স্টার্ট, স্লিপ টুইচ, মায়োক্লোনিক জার্ক, নাইট স্টার্ট নামেও ডাকা হয়।
পৃথিবীতে প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ তাদের জীবনে কমপক্ষে একবার হলেও অভিজ্ঞতা অর্জন করে এবং তাদের অন্তত ১০% প্রতিদিন এটি উপলব্ধি করতে হয়।
তাদের এই সমস্যাটি ইতিবাচক বা আনুকূল্য এবং কোন স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে এটি হয়না।
আরও পড়ুনঃ
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম কত কিলোমিটার?
ঘুমের মধ্যে ঝাঁকুনি হওয়ার কারণ | ঘুমের মধ্যে ঝাকুনি কিসের লক্ষণ
মূলত আপনি জেগে থাকা অবস্থায় থেকে সবেমাত্র ঘুমোতে যাওয়ার অবস্থার মধ্যে হিপনিক জার্কস ঘটে থাকে।
এই সময়টিতে মানুষ পুরোপুরি ঘুমের মধ্যে থাকে না। বরংচ বলা যায় যে মানুষ মাত্র ঘুম আসবে কিংবা তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকে।
মূলত এই অবস্থাতেই স্বপ্ন দেখা শুরু হয়।
এমন পরিস্থিতিতে জাগরণ ও স্বপ্নের সীমানাকে অনেক সময় মস্তিষ্ক ঠিকভাবে ঠাওর করতে পারে না।
যার ফলে মস্তিষ্কের মধ্যে একটি ধাক্কা এসে লাগে। এই জিনিসটি হচ্ছে ঘুমের মধ্যে ঝাঁকুনি কিংবা হিপনিক জার্কস।
শরীরে তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব নেমে এলে মাস্ল এবং পেশীগুলো আস্তে আস্তে অবশ হতে থাকে।
কিন্তু, মস্তিষ্ক শরীরে পেশীর এই অবস্থান ঠাহর করতে না পেরে সেই প্রক্রিয়া আটকানোর চেষ্টা করে, ফলে শারীরে ঝাঁকুনি হয়।
হিপনিক জার্কস বা ঘুমের মধ্যে ঝাঁকুনির প্রতিকার
আপনার খাদ্য তালিকা থেকে নিকোটিন বা ক্যাফেইন জাতীয় উদ্দীপক গ্রহণ কমিয়ে দেওয়া।
আপনি ঘুমানোর আগে শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলা এবং পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করে আপনার শরীর থেকে হিপনিক জার্ক কমিয়ে তোলা।
কিছু কিছু ঔষধ আপনার শরীর থেকে এটি দূর করতে সহায়তা করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ আপনাদেরকে বলা যেতে পারে শোবার সময় স্বল্প পরিমাণে ক্লোনাজেপাম গ্রহণ করা।
এছাড়াও, কিছু লোক এই হিপনিক জার্কে একটি স্থিরতা তৈরি করতে পারে যার ফলে পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হয়ে আরো উদ্বেগ বৃদ্ধি পায়।
এই বর্ধিত উদ্বেগ এবং ক্লান্তি হিপনিক জার্কের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। যদিও, কিছু মানুষ একে শারীরিক অসুবিধা ভেবে ভয় পান।
তবে, চিকিৎসকদের মতে এতে ভয় পাওয়ার মতো কিছু নেই। কারণ, অনেক সময়ে নাক ডাকা থেকেও ‘হিপনিক জার্কস’ ঘটে থাকে।
স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনাপ্রবাহ ঠিকমতো ঠাহর করতে না পারায় এক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে শরীরে ঝাঁকুনি হয়।
সতর্কতাঃ আপনারা যে ধরনের ঔষধ খান না কেন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ ব্যতীত কখনোই কোন ধরনের ঔষধ খাবেন না।
আরও পড়ুনঃ
কান্তজির মন্দির কোথায় অবস্থিত?
ঘুমের মধ্যে ঝাকুনি কিসের লক্ষণ FAQS
মূলত ঘুমের মধ্যে হঠাৎ করেই যে ঝাঁকুনি হয়ে থাকে তাকে বলা হয় ‘হিপনিক জার্কস’।
‘হিপনিক জার্কস’ খুব দ্রুতই হৃৎস্পন্দন, দ্রুত শ্বাস, ঘাম এবং কখনো কখনো “শক” বা শূন্যে পড়ে যাওয়ার মতো এক অদ্ভুত সংবেদনশীল অনুভূতির সাথে সম্পর্কিত।
উপসংহার
সুপ্রিয় পাঠকগণ ঘুমের মধ্যে ঝাকুনি কিসের লক্ষণ সে সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা অনেকেই গুগলের মাধ্যমে সার্চ করেছিলেন।
আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে ঘুমের মধ্যে ঝাঁকুনি কীসের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনারা এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গিয়েছেন।
তবুও যদি আপনাদের এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
অনলাইন থেকে ঘরে বসে টাকা আয়, ডিজিটাল মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ব্লগিং সহ অন্যান্য অনলাইন ভিত্তিক কাজের আর্টিকেলগুলো করতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের ওয়েবসাইট সংক্রান্ত সকল আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেইজে।