প্রিয় পাঠকগণ আজকেরে আর্টিকেলে কুটির শিল্প কাকে বলে এই বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই কুটির শিল্প কাকে বলে বিষয় জানার জন্য নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের আমরা সম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করতে পারব।
পৃথিবীর শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অনেক শিল্পের প্রচলন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে আমাদের অনেক বিষয় অজানা রয়ে গেছে। তবে কুটির শিল্প সম্পর্কে আমরা কমবেশি সকলেই জানি।
কিভাবে জানেন তাই ভাবছেন? প্রিয় পাঠক আমরা প্রতিদিনই কুটির শিল্পের কোনো না কোনো কাজ দেখি। সেটি কুটির শিল্প আমরা সে বিষয়ে অবগত নই তাই আমরা সেটি জানিনা। চলুন কুটির শিল্প কাকে বলে এবং কোন কাজগুলো কুটির শিল্প হিসেবে গণ্য করা হয় সেগুলো জেনে নেয়া যাক।
Content Summary
কুটির শিল্প কাকে বলে? What is cottage industry?
পারিবারিক শ্রমিক ধারা ঘরে বসে কোনো ধরনের বিদ্যুৎ ও ভারী যন্ত্রপাতি সাহায্য ছাড়াই শুধুমাত্র হাতের সাহায্যে যেসকল পণ্য সামগ্রী উৎপাদন করা হয় সেগুলো কে কুটির শিল্প বলা হয়।
অর্থাৎ, কোন ব্যক্তি যদি নিজ ঘরে বসে ছোট খাটো কোন যন্ত্রপাতি অথবা হাতের সাহায্যে কোন পণ্য সামগ্রী তৈরি করে ওই শিল্পকে কুটির শিল্প বলা হয়ে থাকে।
এখন আপনাদের প্রশ্ন হবে তাহলে কোনগুলো কুটির শিল্প?
- ঘরে বসে পুতুল বানানো।
- কাঠের মিস্ত্রীর আসবাবপত্র তৈরি।
- সেলাই মেশিনে জামা কাপড় তৈরি।
- সোনার দোকানে সোনার জিনিসপত্র বানানো।
- কুমোরের মাটির জিনিসপত্র তৈরি।
- কাগজ দিয়ে ঘরে বসে নানান জিনিস তৈরি।
- বাঁশ ও বেতের সাহায্যে প্রয়োজনীয় নানান জিনিস তৈরি।
- কামার কাঁচি, কাস্তে, হাতুড়ি বানায়।
ইত্যাদি এরকম আরো অনেক কাজ রয়েছে যেগুলোকে কুটির শিল্প বলা হয়ে থাকে।
এখন হয়ত বা আপনাদের বিষয়টি অনেকটাই পরিষ্কার হয়েছে যে কুটির শিল্প কাকে বলে।
প্রিয় পাঠকগণ চলুন এ বিষয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আপনাদের সাথে আলোচনা করা যাক।
আরও পড়ুনঃ
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কি?
কুটির শিল্প | কুটির শিল্প কাকে বলে
যেসকল দ্রব্য সামগ্রী গুলো ছোটখাটো কোনো দোকান কিংবা ঘরে বসে উৎপন্ন করা হয় মূলত সেসকল জিনিসগুলো হচ্ছে কুটির শিল্প।
কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে বড় বড় মেশিন এর ব্যবহার হয়না।
আর যে সকল জিনিসপত্র তৈরিতে বড় বড় মেশিন ব্যবহার করা হয় সেগুলো কখনো কুটিরশিল্প নয়।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের গুরুত্ব
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ভূমিকা অপরিসীম।
বাংলাদেশের প্রায় সকল জায়গা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প নানান ভাবে জড়িত রয়েছে।
আমাদের দেশে বেশ অনেক ধরনের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের দেখা মেলে।
আমরা যদি উল্লেখযোগ্যভাবে বলতে যাই তাহলে চামড়া শিল্প, তাঁত শিল্প, সাবান শিল্প, তামাক শিল্প, রেশম শিল্প, মৃৎশিল্প, কাঁসা শিল্প, কাঠ শিল্প ইত্যাদি এমন আরও অনেক শিল্প রয়েছে।
বাংলাদেশের এইসকল শিল্পগুলো অনেক সময় বিদেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে।
কুটির শিল্পের গুরুত্ব পূর্ণ দিকগুলো
- ছোট ছোট ঘরে কুটির শিল্পের মাধ্যমে বেকারের সমস্যা অনেকটা সমাধান হয়।
- কুটির শিল্পের ফলে সহজে পছন্দমতো দ্রব্যসামগ্রী বানানো সম্ভব হয়।
- কুটির শিল্পের ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হয়।
- কুটির শিল্প শুধু কর্ম সংস্থান দেয়না সেই সঙ্গে আমাদের ঐতিহ্যকে ও তুলে ধরে।
- কুটির শিল্প অঞ্চিলিক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি কে তুলে ধরতে অনন্য অবদান রাখে।
- দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে : সারাদেশে শতশত বছর ধরে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মিটিয়ে আসছে।
- কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে : ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। দারিদ্র্য ও বেকারত্ব কমাতে এ শিল্প ভূমিকা রাখছে।
- বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে : কোনো কোনো পণ্য বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের অবস্থান
বড় বড় যে সকল শিল্পগুলো রয়েছে সেগুলোর কারণে বর্তমানে কুটিরশিল্পের দিনে দিনে অবনতি হচ্ছে।
বর্তমান সময়ে কুটির শিল্পের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক খারাপ হয়ে গেছে শুধুমাত্র বৃহৎ শিল্প গুলোর কারণে।
এর মূল কারণ হচ্ছে বৃহৎ শিল্প গুলোতে বড় বড় মেশিন ব্যবহার করে খুব তাড়াতাড়ি এবং প্রচুর পরিমাণে দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদন করা হয় এবং উৎপাদিত জিনিসপত্রের দাম কুটির শিল্পের উৎপাদিত দ্রব্যের তুলনায় কম হয়ে থাকে।
তার বৃহৎ শিল্প সামগ্রী বাজারে সস্তায় পাওয়া যায় এবং বেশি বিক্রি হচ্ছে তাই কুটির শিল্পের চাহিদা মানুষের মধ্যে কমে গেছে।
আরও পড়ুনঃ
সরকারি কলেজে ভর্তির জন্য কত পয়েন্ট লাগবে?
টি ২০ বিশ্বকাপ কে কতবার নিয়েছে?
কুটির শিল্প কাকে বলে FAQS
মূলত পারিবারিক শ্রমিক ধারা ঘরে বসে কোনো ধরনের বিদ্যুৎ কিংবা ভারী যন্ত্রপাতি সাহায্য ছাড়াই শুধুমাত্র হাতের সাহায্যে যেসকল পণ্য সামগ্রী উৎপাদন করা হয় সেগুলো কে কুটির শিল্প বলা হয়।
উপসংহার
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলটি কুটির শিল্প কাকে বলে এবং কুটির শিল্প গুলো কি কি সে সকল বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভাল লেগেছে।
এবং আপনারা আজকেরে আর্টিকেল এর মাধ্যমে কুটির শিল্পের বর্ণনা প্রদান করতে পারবেন।
আপনাদের যদি এ বিষয়ে আরো কোনো প্রশ্নও মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।
অনলাইন থেকে ঘরে বসে টাকা আয়, ডিজিটাল মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, ব্লগের মতো অনলাইন প্লাটফর্ম এ কাজ করতে চাইলে এসংক্রান্ত আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
সেগুলো পাঠ করে আপনারা অনলাইন সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যাবেন।
সেই সাথে আমাদের ওয়েবসাইট সংক্রান্ত সকল আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেইজে।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।