সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে? | সমাজবিজ্ঞানের জনক কে?

প্রিয় পাঠকগণ সমাজ বিজ্ঞান কাকে বলে? আপনারা কি জানেন। আমরা প্রতিটাই মানুষই একটি নির্দিষ্ট সমাজের মধ্যে বসবাস করছি। তাই সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে সেই সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আমি আপনি কিংবা আমাদের পাড়া-প্রতিবেশী সকলে একটি নির্দিষ্ট সমাজের মধ্যে বসবাস করে থাকে। একটি সমাজের মধ্যে থেকে সেই সমাজের বিকাশের মধ্য দিয়ে মানুষ নিয়ম-নীতি এবং আচার-আচরণ পালন করে থাকে।

আমরা যে সমাজে বসবাস করি সেই সমাজে নিয়ম নীতিগুলো সঠিকভাবে মেনে আমাদের বসবাস করতে হয়। আদম সভ্যতা থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মানুষ একটি সমাজের অধীনে বসবাস করে আসছে।

তবে বর্তমান সময়ের কারণে মানুষ এখনো সেই সমাজের অধীনে বসবাস করে থাকে। সমাজের মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হওয়া মানুষগুলো নিজেদের চাহিদা পূরণ, সকল ধর্মের রীতিনীতিতে অংশগ্রহণ করে থাকে।

এছাড়াও সামাজিক যে সকল নিয়মকানুন গুলো রয়েছে সকল নিয়মকানুনের আওতায় তাদের চলাফেরা করতে হয়। চলুন সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।

সমাজবিজ্ঞান কাকে বলা হয় – What is Sociology?

আমরা যখন একটি সমাজের মধ্যে বসবাস করছি ঠিক তখনই সমাজের অধীনে আমাদের আচার-আচরণ রীতিনীতি এবং ধর্মীয় বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে।

সমাজের মধ্যে যেমন কিছু ভাল দিক থাকবে ঠিক তেমনি কিছু খারাপ দিক থাকাটা আবশ্যক।

তবে এই সকল নিয়ম-কানুন নির্দিষ্টভাবে অমান্য কিংবা অস্বীকার করার মত উপায় আমাদের সমাজে নেই।

অবশ্যই আপনাকে সমাজের অধীনস্থ যেকোনো নিয়ম-কানুনের মধ্য দিয়ে চলাফেরা করতে হবে।

নিজের স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে সমাজের স্বার্থে যে কোন একটি নির্দিষ্ট মানুষকে ব্যক্তিগত জীবন সমাজের বিধি নিষেধ এবং রীতি-নীতিতে পালন করতে হয়।

সমাজ বিজ্ঞানের মূল আলোচনাগুলো হচ্ছে এগুলো। সমাজের সকল বিষয়গুলো নির্ভর করে সম্পূর্ণ আমাদের ওপর। 

আমরা কিভাবে সমাজটিকে পরিচালনা করতে চাচ্ছি এবং সমাজের কতটা উন্নতি আমরা চাইছি সেই বিষয়ে সবদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখা দায়িত্ব।

সমাজ বিজ্ঞান বিষয়টির মূল আলোচনা থাকে একটি নির্দিষ্ট সমাজকে কেন্দ্র করে।

সমাজে বসবাসরত মানুষ কিংবা বসবাসকারী নাগরিকদের ধারা সমাজবিজ্ঞান পরিচিত।

কেননা সমাজে যখন আমরা বসবাস করছি সেই ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য কিংবা পূর্বপুরুষের চলন ভঙ্গি অনুসারে চলাফেরা করতে হবে।

প্রতিটি সমাজে যে এক নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত হবে তা কিন্তু।

সমাজে নানান ধর্মের মানুষ বসবাস করে থাকে এবং তারা আলাদা নিয়ম নীতিতে চলাফেরা করতেই পারে।

মূলত একেক স্থানের সমাজ ব্যবস্থা একেক ধরনের হয়ে থাকে।

সমাজ সৃষ্টির শুরু থেকেই অর্থাৎ আদিম কাল থেকে মানুষ একটি গোত্র কিংবা একটি সংঘবদ্ধ ভাবে বসবাস করছে।

সমাজ এর মাধ্যমে আদিমকাল থেকেই মানুষ নানান ধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং চাহিদা পূরণ করে আসছে।

কিন্তু আপনারা কি জানেন সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি কোথা থেকে এসেছে?

এছাড়াও সমাজবিজ্ঞান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানুন।

সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে?

সমাজবিজ্ঞান একটি বাংলা শব্দ। এর ইংরেজি শব্দ হল Sociology।

Sociology শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ল্যাটিন শব্দ “Socious “এবং “logos” থেকে।

ফলে Socious এবং logos এর সমন্বয় হল Sociology। তাই sociology শব্দটির আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় সমাজবিজ্ঞান।

তাই অনেকের ভাষ্যমতে Sociology is the science of campainship.

সমাজবিজ্ঞানের শব্দার্থ কি সে সম্পর্কে এতক্ষন আমরা বিস্তারিত জেনেছি।

এবার আমরা সমাজ বিজ্ঞান কি বা সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।

ভারতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান “‘Indian Council Of Social Science & Reserach এর মতে, সমাজবিজ্ঞান মূলত কতগুলো সামাজিক উপাদান যেমন অর্থনীতি সমাজতত্ব,শিল্পের সমাজতত্ব,জ্ঞানের সমাজতত্ব ও শিল্পের সমাজতত্ব ইত্যাদির একটি সমন্বিত রূপ। 

• বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী N .l word এর মতে “Sociology is the study of social Relationship.

তাই উপরিউক্ত সংজ্ঞাসমূহ বিশ্লেষণ করা দেখা যায় যে, “sociology is the systematic study of the development structure and the function of human groups,

conceive as the process of interaction or as an organized pattern of collective behavior.

সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে?

মূলত আদি যুগ কিংবা মানবজাতির শুরু থেকেই সমাজ ব্যবস্থাটি আমাদের মাঝে প্রচলিত কিন্তু এই ধারণাটি সর্বপ্রথম আমাদের সামনে কে নিয়ে এসেছে সে সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের অনেক আগ্রহ কিংবা কৌতোহল রয়েছে। 

জনপ্রিয় ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী অগাস্ট কোৎ সর্বপ্রথম সমাজ বিজ্ঞানের ধারণাটি আমাদের সামনে নিয়ে আসে।

তাই সমাজবিজ্ঞানের জনক হিসেবে সেই থেকে অগাস্ট কোঁৎ সর্বস্তরে স্বীকৃত।

আজও সমাজ বিজ্ঞান আলোচনায় তার নাম সম্মানের সহিত বলা হয়।

আরও পড়ুনঃ

পৃথিবীর জনসংখ্যা কত?

পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী কোনটি?

সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে FAQS

উপসংহার 

সুপ্রিয় পাঠকগণ সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে সেই সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে।

আশা করছি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে সামাজিক বিজ্ঞান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন।

আপনাদের যদি সমাজবিজ্ঞান সংক্রান্ত আরো কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।

এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আরও আর্টিকেলগুলো করতে এবং খেলাধুলা বিষয়ক ও অনলাইন থেকে আয় সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।

আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গেই থাকুন এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে।

আরও পড়ুনঃ

মেট্রোরেল প্রকল্প বাংলাদেশ ২০২৩

মেট্রোরেল ভাড়ার তালিকা

লন্ডন কোন দেশের রাজধানী?