দুর্নীতি দমন কমিশন কনস্টেবল এর কাজ কি?

দুর্নীতি দমন কমিশন কনস্টেবল এর কাজ কি? এই সম্পর্কে জানতে অনেকেই গুগল করে থাকেন। বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ কনস্টেবল নামক একটি পদ রয়েছে।

এই পোস্টে আমরা জানবো দুদক কনস্টেবল এর কাজ কি? দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক কনস্টেবল এর বেতন কত? দুদক কনস্টেবল চাকরি পেতে যোগ্যতা কি রকম থাকা দরকার।

দুদক কনস্টেবল লিখিত পরীক্ষা কি কি প্রশ্ন করা হয়ে থাকে? কনস্টেবল পদের প্রমোশন হয় কিনা? দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কনস্টেবল আবেদনযোগ্য বয়স কত?

এছাড়াও এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাকে জানানো হবে দুদক পদে কনস্টেবল পদে চকারি প্রত্যাশীদের কি কি শারীরিক যোগ্যতা লাগবে? দুদক কনস্টেবল পদে ট্রেনিং কতদিনের হয় ইত্যাদি বিষয়ে জানানো হবে।

দুর্নীতি দমন কমিশন কনস্টেবল এর কাজ কি?

দুর্নীতি দমন কমিশন কনস্টেবল এর কাজ কি
দুর্নীতি দমন কমিশন কনস্টেবল এর কাজ কি?

মাঠ পযার্য়ে দুদকের যেসকল কাজ গুলো রয়েছে সেগুলো দুদক কনস্টেবল পদে থাকা কর্মকর্তারা করে থাকেন।

বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে বলা জায়, নিদির্ষ্ট কোন তদন্ত, নিদির্ষ্ট কোন ব্যক্তির উপরে তদন্ত কিংবা নিদির্ষ্ট অভিযোগের উপর তদন্ত এইসব তদন্তের একটি প্রাথমিক সেল থাকে।

প্রাথমিকভাবে যে অভিযোগটি তৈরি করা হয়, সেইটি হচ্ছে একটি প্রাথমিক সেল। সেই সেলে প্রথম দিকে অভিযোগগুলো জমা হয়ে থাকে।

তাই এই অভিযোগগুলো তৈরি করতে অথবা সংগ্রহ করতে মাঠ পযার্য়ে কাজ করাই হলো দুদক কনস্টেবল এর কাজ।

এছাড়াও দুদক কনস্টেবল পদে থাকা কর্মকর্তারা কোর্ট পরিদশর্কের সাথে কাজ করে এবং সহকারি পরিচালক বা উপপরিচালক সাথে কাজ করে থাকে।

দুর্নীতি দমন কমিশন কনস্টেবল এর বেতন কত?

দুদক কনস্টেবল পদের বেতন ৯০০০ থেকে ২১৮০০ টাকা পযর্ন্ত। গ্রেড ডি- ১৭ অনুযায়ী দুদক কনস্টেবল পদের কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা দিয়ে থাকে।

গ্রেড ডি- ১৭ সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী দুদক কনস্টেবল মূল বেতন এই মূল বেতনের পাশাপাশি আপনারা অন্যান্য ভাতা পেয়ে যাবেন।

আপনি যদি দুদক কনস্টেবলে নতুন যোগদান করে থাকেন তাহলে আপনার বেতন এবং ভাতা সব মিলে আনুমানিক ধারণা অনুযায়ী ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা পেতে পারেন।

এছাড়াও মূল বেতনের পাশাপাশি আপনার যদি আলাদা কোন স্পেসাল দক্ষতা থাকে সেই দক্ষতা অনুযায়ী আপনাকে পারিশ্রমিক প্রদান করা হবে।

দুদক কনস্টেবল পদে চাকরি পেতে যোগ্যতা কি কি?

দুদক কনস্টেবল পদে আবেদন করতে হলে আপনাকে এইচএসসি পরিক্ষায় উওীর্ণ হতে হবে।

আপনার নূনতম যোগ্যতা হিসেবে এইচএসসি পরিক্ষায় উওীর্ণ সাটিফিকেট প্রয়োজন হবে।

এছাড়াও আপনি যদি এইচএসি পাশ অনার্স পাশ করেন কিংবা অনার্সে পড়াশুনা করে থাকেন তাহলেও আপনি এই পদে আবেদন করতে পারবেন।

ডিসকাউন্টে সকল সিমের মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।

একটি কথা মনে রাখবেন, দুদক কনস্টেবল যোগ্যতা হিসেবে নূনতম এইচএসসি পরিক্ষায় উওীর্ণ এর কথা বলা হয়েছে।

আপনার যদি এইচএসির চেয়ে বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে থাকে তাহলেও কোন সমস্যা হবে না, বরং আপনার জন্য এটি প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজে দিবে।

দুদক কনস্টেবল আবেদনযোগ্য বয়স কত?

দুদক কনস্টেবল পদে আবেদনের জন্য নূন্যতম ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩০ বছর বয়স হতে হবে।

দুর্নীতি দমন কমিশন কনস্টেবল হতে শারীরিক কি কি যোগ্যতা লাগবে

দুদক কনস্টেবল পুরুষ প্রাথী উচ্চতা ১৬৮ সে. মি. অথবা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি
দুদক কনস্টেবল মহিলা প্রাথীউচ্চতা ১৬১ সে মি. অথবা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি
ওজনউচ্চতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ
দৃষ্ঠিশক্তি৬/৬

দুর্নীতি দমন কমিশন পদে চাকরির জন্য লিখিত পরীক্ষা

দুদক কনস্টেবল লিখিত পরিক্ষাগুলো এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এমসিকিউ এর জন্য আপনারা যে বিষয় গুলো পড়বেন, সেগুলো হচ্ছে :

  • বাংলা,
  • ইংরেজি,
  • সাধারণ জ্ঞান
  • এবং গণিত। 

এই বিষয়গুলো পড়লে আপনাদের এমসিকিউ কমন পড়বে। সর্বমোট ১০০ নাম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

যেখানে লিখিত পরীক্ষার এমসিকিউ পরীক্ষায় থাকবে ৭০ নাম্বর এবং মৌখিক পরীক্ষায় থাকবে ৩০ নাম্বর, সর্ব মোট ১০০ নাম্বরের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

লিখিত পরীক্ষার ৭০ নাম্বারের জন্য আপনারা পাবেন ৩০ মিনিট এবং যারা লিখিত পরীক্ষা থেকে উত্তীর্ণ হবেন, শুধু মাত্র তাদেরকেই মৌখিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা হবে।

ডিসকাউন্টে সকল সিমের মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।

দুদক কনস্টেবল পদে ট্রেনিং কতদিনের হয়

দুদকের কনস্টেবল পদের জন্য কাজ করার জন্য আপনাদের অবশ্যই ট্রেনিং অংশগ্রহণ করতে হবে।

কনস্টেবল পদের জন্য কাজ ৪-৬ মাস মেয়াদী ট্রেনিং করতে হতে পারে। ট্রেনিংয়ের সঠিক ভাবে অংশগ্রহণ করে, ট্রেনিং সফলভাবে সম্পন্ন করার পরে আপনাদেরকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হবে।

কনস্টেবল পদে আলাদাভাবে কোন মাঠ হয়না। শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষার এবং মৌখিক পরীক্ষার পাশাপাশি শারীরিক মাপে যদি টিকে যান তাহলে আপনাদের কনস্টেবল পদে চাকরিটি হয়ে যাবে।

দুদক কনস্টেবল প্রমোশন হয় কিনা

জি হ্যা, দুদক কনস্টেবল পদেও প্রমোশন হয়। দুদক কনস্টেবল হিসেবে যোগদানের ৪ থেকে ৫ বছর কাজ করার পরে আপনার প্রমোশন হতে পারে।

সেই প্রমোশনে কোর্ট পরিদশক হিসেবে কাজ করার সুযোগ থাকে। তার মানে, একজন চাকুরিকর্তা দুদক কনস্টেবলে কয়েক বছর চাকরি করলে সে কোর্ট পরিদশক হতে পারে।

উপসংহার

আশা করি আপনি দুর্নীতি দমন কমিশন কনস্টেবল এর কাজ কি এই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

What is the job of Anti Corruption Commission Constable? এই আর্টিকেল আমি দুদক কনস্টেবল নিয়ে বিস্তারিত ভাবে বলার চেস্টা করেছি।

দুর্নীতি দমন কমিশন কনস্টেবল পদে দুদক কর্মকর্তা যে কাজ গুলি করে থাকেন তার বর্ণনা দেয়া হল।

যদি আপনারা দুদক কমিশনে কনস্টেবল এর কাজ কি? এই সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থেকে তবে আমাদের কমেন্ট করে জানান।

 ব্লগিং, সিমের অফার, টাকা ইঙ্কাম সম্পর্কিত তথ্য জানতে এবং সঠিক ও নির্ভুল তথ্য নিয়মিত পেতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট।

এবং ফেজবুকে আমাদের ওয়েবসাইট এর আপডেট পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ভিজিট করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।

Leave a Comment