রকেটের জ্বালানি হিসেবে কি ব্যবহার করা হয় আপনি জানেন কি? আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
প্রায় প্রতিটি দেশেই তাদের ভূখণ্ড হতে আকাশ পথে রকেট পাঠাবার স্বপ্ন দেখে। অর্থাভাবে কোন কোন দেশের এ কাজটি করা সম্ভব হয় না।
কিন্তু আমাদের বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল এবং আধুনিক দেশ হিসেবে নিজেদেরকে পৃথিবীর বুকে ইতিমধ্যেই আবিষ্কৃত করেছে।
পোস্ট সারসংক্ষেপ
রকেটে জ্বালানি ব্যবহারের ধারণা । রকেটের জ্বালানি হিসেবে কি ব্যবহার করা হয়?

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশ থেকেও রকেট স্যাটেলাইট ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস আকাশপথে পাঠানো সম্ভব হয়েছে।
এখন আমরা অনেকেই জানিনা রকেট এর জ্বালানি হিসেবে কি ব্যবহার করা হয়। মূলত আজকের এই পোস্ট আমরা সেসম্পর্কে করতে যাচ্ছি।
মূলত একটি রকেট পরিচালনা করবার জন্য বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি রয়েছে।
রকেটে জ্বালানি হিসেবে কঠিন পদার্থ ব্যবহার হয়ে থাকে আবার তরল পদার্থ ব্যবহার হয়ে থাকে।
এসকল বিষয় গুলো হয়ে থাকে যখন যে ধরনের রকেট খেপন করা হয় সে পরিস্থিতির ওপর।
আমরা আমাদের সাইটের প্রায় সকল পোস্ট এর মাঝে এই আপনাদের খুব সহজভাবে বিষয়ে বোঝানোর চেষ্টা করি।
তাই কঠিন পদার্থের ব্যবহার এবং তরল পদার্থের ব্যবহার আপনাদের সঠিক ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করব।
আরও পড়ুনঃ
কঠিন পদার্থের জ্বালানি ব্যবহৃত রকেট

ইতিহাসের সর্বপ্রথম রকেটটি উড়েছিল কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করে। প্রাচীন চীনাদের দ্বারা প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল এবং এখন পর্যন্ত সেটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
যে সকল রাসায়নিক পদার্থ রকেটের কঠিন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ঠিক সেরকম কিছু পদার্থ রয়েছে যেগুলো বারুদ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তবে রকেটের ভারতের রাসায়নিক গঠন পুরোপুরি এক নয়।
রকেট তৈরিতে ব্যবহৃত হয় পুরোপুরি শুদ্ধ জ্বালানি। কিন্তু বারুদ তৈরিতে তার প্রয়োজন হয়না।
কেননা বারুদ বিস্ফোরিত হয় যা রকেট এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা একেবারে প্রযোজ্য নয় এটি রকেটের ক্ষেত্রে ব্যবহার করলে যে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তাই রকেটের জ্বালানি তৈরিতে কিছু পরিবর্তন আনতে হয়েছে এবং যার জন্য জ্বালানি তাড়াতাড়ি পুড়বে না কিন্তু বিস্ফোরিত হবে না।
কিন্তু এছাড়াও রকেটের ইঞ্জিন একটি বড় সমস্যা রয়েছে।
রকেট যদি একবার চালু করা হয় তা আর থামানো সম্ভব না। অর্থাৎ রকেট নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
তাই এরকম রকেটমিসাইল ছুড়তে ব্যবহার করা হয় অথবা অনেক সময় মহাকাশযানের সহায়ক হিসেবে পাঠানো হয়ে থাকে।
তরল পদার্থের জ্বালানি ব্যবহৃত রকেট

জ্বালানি হিসেবে তরল পদার্থ ব্যবহৃত রকেট সর্বপ্রথম রবার্ট গডার্ড ১৯২৬ সালে আবিষ্কার করেছিলেন। এধরনের রকেট মূলত নকশা উপলব্ধি করা খুব বেশি কঠিন নয়।
রবার্ট গডার্ড সর্বপ্রথম রকেট তৈরি সময় পেট্রোল এবং তরল অক্সিজেন ব্যবহার করেছিলেন যা Combustion Chamber এ পাম্প করা হয়।
এর ফলে যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল তার জন্য রকের সামনের দিকে চলতে শুরু করেছিল।
রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রসারিত গ্যাস এবং সরু নল দিয়ে প্রচন্ড বেগে বের হয় এবং রকেটের প্রচন্ড বেগে চলতে শুরু করে।
রকেটের জ্বালানি হিসেবে কি ব্যবহার করা হয় FAQS
মূলত এক এক রকেটের জন্য এক এক জ্বালানি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কঠিন পদার্থের রকেটের জন্য সে রকম জ্বালানি আবার তরল পদার্থের চলিত রকেটের জন্য সে জ্বালানি।
সর্বপ্রথম তরল পদার্থ ব্যবহৃত রকেট আবিষ্কার করেছিলেন রবার্ট গডার্ড।
১৯২৬ সালে রবার্ট গডার্ড তরল পদার্থ ব্যবহৃত রকেট আবিষ্কার করেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ
কাজী নজরুল ইসলাম জীবনী । বিদ্রোহী কবির উক্তি, প্রথম কবিতা, ছদ্মনাম কি
উপসংহার
আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে রকেটের জ্বালানি হিসেবে কি ব্যবহার করা হয়ে থাকে সে সম্পর্কে আপনাদের আমরা সম্পূর্ণ ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
আশা করি আজকের এই পোষ্ট টি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এবং সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন যে আসলে রকেট কিভাবে পরিচালিত হয়।
এরকমই আরো শিক্ষামূলক পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং চোখ রাখতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজে।