ওয়ার্ডপ্রেস কি এবং ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শুরু করব এই বিষয়ে আজকে আপনাদের জানবো। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে কীভাবে সহজেই একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট তৈরি করা যায় তা প্রায় প্রত্যেকটা ব্লগার জানেন। বর্তমানে প্রত্যেকটা ব্লগারের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস CMS।
মূলত ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস ও ড্রাগ অ্যান্ড ড্রপ পদ্দতি থাকার কারণে প্রত্যেকটা ব্লগারের কাছে ওয়ার্ডপ্রেস অনেক জনপ্রিয়। আজকে আপনাদেরকে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে বেসিক টু অ্যাডভান্স সব কিছু শিখিয়ে দিবো।
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে মূলত বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট খুব সহজে তৈরি করা হয়। এই কারনে ওয়ার্ডপ্রেস বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার, যারা নিজেই নিজের জন্য একটি ব্লগ তৈরি করতে চান।
বর্তমানে বিশ্বের ছোট, মাঝারি এবং বড় ওয়েবসাইটগুলো মূলত ওয়ার্ডপ্রেস CMS ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এটির অন্যতম মূল কারণ অন্য সফটওয়্যার এর তুলনায় ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ। আপনি জানলে অবাক হবেন, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৬৫% এর বেশি ওয়েবসাইড তৈরি করা হয়েছে ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা।
যাইহোক, আপনারা যারা ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন বা করবেন তাদের অনেকেই ওয়ার্ডপ্রেস নামটির সাথে কম-বেশি পরিচিত। কিন্তু আপনারা ভালোভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করতে জানেন নাহ, অথবা নতুন অনেকে আছেন যারা ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে চাচ্ছেন।
ওয়ার্ডপ্রেস কি ও কেন ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করা হয়, কীভাবে ওয়ার্ডপ্রেস শিখবো, ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় করার উপায় ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাদের জানা দরকার। আজকের ব্লগটি পড়লে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্পূর্ন ধারনা পাবেন আশা করি।
Contents In Brief
ওয়ার্ডপ্রেস কি? (What is WordPress in Bangla)
ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে একটি CMS Software. যা একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করতে ব্যাবহার করা হয়। মূলত ওয়ার্ডপ্রেস হলো ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইট পাবলিশিং টুল যাবে কন্টেন্ট ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম (Content Management System) বলে, যাকে সংক্ষেপে CMS বলা হয়।
WordPress কি আরও সহজ করে বলতে বললে বলবো, WordPress হচ্ছে ব্লগ বা ওয়েবসাইট সহজে তৈরি করার একটি শক্তিশালী CMS সফটওয়্যার। WordPress CMS ব্যাবহার করে যে কেউ মাত্র কয়েকটি ক্লিকে একটি ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
WordPress Open Source Content Management System হলো যে সিস্টেমের মধ্যে ওয়েবসাইটের সকল কন্টেন্ট ম্যানেজ করার নিজস্ব সু-ব্যবস্থা রয়েছে এবং যে কেউ চাইলে সেটা ব্যবহার করতে পারবে।
বর্তমানে শুধু ওয়েবসাইট ডেভেলপাররা নয় বরং প্রত্যেক সাধারন মানুষ চাইলেই ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবে এবং সেটা নিজের মতো করে নিয়ন্ত্রন করতে পারবে।
ওয়ার্ডপ্রেস কি কেন শিখব?
বর্তমান যুগের সেরা CMS Software হলো ওয়ার্ডপ্রেস। এই ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে সহজেই মাত্র কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন এবং WordPress থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেসের সাহায্যে যেকোন ওয়েবসাইটকে খুব সহজেই ডায়নামিক রূপ দেওয়া যায়।
ওয়ার্ডপ্রেস ছাড়া অন্যান্য CMS Software ব্যবহার করলে ওয়েবসাইটকে সহজে ডাইনামিক রূপ দেওয়া যায় না।
যদিও অন্য CMS ব্যাবহার করা অনেক কঠিন ওয়ার্ডপ্রেস তুলনায়।
ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শিখব
অল্প সময় ব্যায় করে ওয়েবসাইট বানানোর জন্য ওয়ার্ডপ্রেস সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।
বর্তমানে শুধু ফ্রিল্যান্সার ক্যারিয়ারে নয় বরং সরকারি এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলোতেও ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।
ওয়ার্ডপ্রেস কেন শিখবেন নিচে তালিকা আকারে দেওয়া হলোঃ
- ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে বর্তমান সময়ের শক্তিশালী CMS Software.
- পৃথিবীর প্রায় ৬৫% ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
- ওয়ার্ডপ্রেসের সাহায্যে খুব অল্প সময়ে যেকোন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।
- বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়ার্ডপ্রেসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
- ই-কমার্স, সংবাদপত্র, খেলাধুলা, পার্সোনাল সাইট সহ সকল ওয়েবসাইটকে ডায়নামিকে রূপান্তর করা যাবে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাবহারে।
- বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপমেন্ট সম্পর্কিত অনেক কাজের চাহিদা আছে। আপনি চাইলে সেখানে নিজের কাজের সুযোগ করে নিতে পারবেন।
- সঠিক নিয়মে ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন শিখলে বিভিন্ন কোম্পানিতে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে উচ্চ বেতনের চাকরি করতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস কীভাবে শিখব
মাত্র ৩০ দিনের মধ্যে আপনি খুব ভালোভাবে ওয়ার্ডপ্রেস শিখে ফেলতে পারবেন। প্রতিদিন মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় ওয়ার্ডপ্রেসকে দিলেই চলবে।
ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে হলে আপনাকে প্রচুর সময় কিংবা টাকা অপচয় করতে হবে নাহ।
কিন্তু অনেকে ভুলবশত প্রতারকের হাতে পড়ে বহুত টাকা ধ্বংস করে ফেলে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে অধিক সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে করনীয় কিঃ-
- প্রথমত আপনি xampp সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন এবং পরে ইনস্টল করুন।
- তারপর wordpress সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন।
- xampp সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপনার পিসিতে লোকাল সার্ভার তৈরি করতে হবে।
- তাহলে আপনার কম্পিউটার দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি এবং ডিজাইন করতে পারবেন।
- ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করা হয়ে গেলে কাজ শিখা শুরু করতে পারবেন।
আমি মূলত ওয়ার্ডপ্রেস শিখার জন্য ইউটিউব ভিডিও দেখেছি প্রচুর। ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে আপনি ইউটিউব ভিডিও দেখতে পারেন বেশি বেশি।
ওয়ার্ডপ্রেসের অসংখ্য থিম এবং প্লাগিন আছে যেগুলো ব্যবহার করে সহজেই ওয়েবসাইট তৈরি এবং যেকোন কিছু মডিফাই করতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট কে কাস্টমাইজ করতে ব্যবহার করা হয় থিম এবং প্লাগিন। থিম হলো আপনার ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে তার ডিজাইন।
আর প্লাগিন হল বিভিন্ন ফাংশন দ্বারা তৈরি এক ধরনের এপস, যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটে খুব সুন্দর ফিচার এড করা যায়।
এছাড়া ওয়েবসাইটের কাজগুলোকে আরো সহজভাবে করার জন্য বিভিন্ন প্লাগিন সাহায্য করে থাকে।
কেন ওয়ার্ডপ্রেস শিখবেন? ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে
বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস এর ব্যাবহার বেশি জনপ্রিয় হওয়ার কারন হচ্ছে ইন্টারফেইস খুবই সহজ এবং আকর্ষনীয়।
এই CMS টিকে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটি আপনি দুই-একদিনের মধ্যেই শিখে ফেলতে পারবেন।
তারপর আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজ কিভাবে করতে হয় সেটা শিখতে হবে।
নিজের পছন্দমত ব্লগ ও মার্কেটপ্লেসে কাজ করলে ক্লায়েন্ট ওয়েবসাইট বানানোর জন্য ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন ভালেভাবে জানতে হবে।
এরপরে আপনকে বিভিন্ন প্লাগিনের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে। যেমন বিভিন্ন কন্টাক্ট ফর্মের ডিজাইন, সাইট ম্যাপ, অন পেইজ এসইও, ওয়েবসাইটের স্পিড বাড়ানো, ওয়েবসাইড পরিদর্শন, ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ইত্যাদি আরো অনেক কাজে প্লাগিন ব্যবহার করতে পারবেন।
যারা ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে জানেন এগুলো সম্পর্কে আপনাকে সু-স্পষ্ট জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
তবে বর্তমানে ওয়েব ডেভেলপার ওয়েবসাইট ডিজাইনের কাজ করেন এবং ক্লায়েন্ট SEO করার জন্য ভিন্ন লোক রাখেন।
ওয়ার্ডপ্রেস শিখার মূল উদ্দেশ্য হলো থিম কাস্টমাইজেশন। থিম কাস্টমাইজেশন না জানলে আপনি নিজের মনের মতো ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন না।
পরবর্তীতে আমাদের ওয়েবসাইটে WordPress থিম কাস্টমাইজেশনের উপর একটি সম্পূর্ন ব্লগ করা হবে।
এই ব্লগ পড়ে আপনি খুব সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন শিখে ফেলত পারবেন।
প্রথমে আপনাকে লোকাল সার্ভারে কীভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে তা শিখতে হবে। তারপরে আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে লাইভ সার্ভারে কাজ করতে হবে। লাইভ সার্ভারে কাজ করার জন্য আপনাকে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে।
ভালো কোয়ালিটির ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকার মতো খরচ লাগতে পারে। তবে কাজ শিখার জন্য কম দামে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনাই ভালো।
উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে এবং সঠিক নিয়মে ধাপে ধাপে কাজগুলো সম্পন্ন করতে আপনার মোটামুটি এক মাস লাগতে পারে।
আপনি যদি বেশি বেশি প্র্যাকটিস করেন তবে এর থেকেও কম সময়ে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে শিখা ও জানা যায়।
বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস এর সাথে ফেজ বিল্ডার ও এক্সট্রা কোড ব্যবহার করে লোকেরা ওয়েবসাইটকে ডায়নামিক করার কাজটি করে থাকেন।
ওয়ার্ডপ্রেস শিখে বেশি বেশি টাকা আয় করতে আপনাকে ধীরে ধীরে অ্যাডভান্স ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন সম্পর্কেও জানতে হবে।
তবেই আপনি একজন সফল ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস শিখার টিউটোরিয়াল
এই ব্লগটিতে আপনারা ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য এবং এটি কেনো মানুষর মাঝে জনপ্রিয় সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারলেন। পরবর্তীতে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে টিউটোরিয়াল ব্লগ নিয়ে আসবো। যেখান থেকে আপনাদের ওয়ার্ডপ্রেসের শিখার যাত্রা শুরু হবে। আপনাকে বেসিক টু অ্যাডভান্স সব কিছু শিখিয়ে দেপয়ার দায়িত্ব আমাদের।
আপনাকে শুধু কষ্ট করে আমাদের ব্লগের পাশে থাকতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেসের প্লাগিনের ব্যবহার, থিম কাস্টমাইজেশন, অন পেইজ এসইও, পোস্ট লেখার নিয়ম ইত্যাদি ওয়ার্ডপ্রেসের বিষয়াদি সম্পর্কে সম্পূর্ন ধারনা দিবো ইনশাআল্লাহ
ওয়ার্ডপ্রেস ভালোভাবে শিখার জন্য আপনাকে শুধু পার্ট বাই পার্ট টিউটোরিয়ালগুলো দেখে যেতে হবে।
আশা করি আমরা আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারবো।
ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় করার উপায়
ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় করার সবচেয়ে উত্তম পন্থা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। ভালোভাবে ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে আপনাকে টাকা ইনকাম করা থেকে কেউ বিচ্যুত করতে পারবে না।
সম্পূর্নভাবে ওয়ার্ডপ্রেস শিখা হয়ে গেলে আপনার প্রথম কাজ হবে নিজের জন্য পোর্টফলিও ওয়েবসাইট তৈরি করা।
আপনার কাস্টমাইজ করা ওয়েবসাইটগুলোকে নিজের পোর্টফোলিওতে সুন্দরভাবে সাজান।
প্রয়োজনে আপনার পোর্টফোলিও ওয়েবসাইটটি অনেক সময় ধরে তৈরি করুন। যাতে করে আপনার পোর্টফোলিও ক্লায়েন্টকে খুব ভালোভাবে আকর্ষন করতে পারে।
কেননা মার্কেটপ্লেসের ক্লায়েন্টগুলো আপনার পোর্টফোলিও দেখেই কাজ দিবে। তাই আপনার পোর্টফোলিও ওয়েবসাইটটি খুব সুন্দরভাবে তৈরি করুন।
তারপর বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিলান্সার ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে আপনার নিজের জন্য প্রোফাইল তৈরি করুন এবং কাজের জন্য বিভিন্ন ক্লায়েন্টের পোস্টে আবেদন করুন।
আপনাকে আগেই বলেছি ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন এর প্রচুর কাজ পাওয়া যায়।
আশা করি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস কি এই সম্পর্কে জেনে নিয়েছেন, থিম কাস্টমাইজেশন পারেন তাহলে আপনাকে কাজ পাওয়ার জন্য তেমন কোন ঝামেলা পোহাতে হইবে না।
আপনি ভালোভাবে কাজ শিখতে পারলে মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার কাজের অভাব হবে না।
শুধুমাত্র ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন এর কাজ করে আপনি প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।
এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেসের প্লাগিন সেটআপ নিয়েও প্রচুর কাজের চাহিদা রয়েছে।
ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন – ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট কি
এখন ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন কে অনেকে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট বলে বলে থাকেন।
তবে আমার মতে ওয়ার্ডপ্রেস থিম তৈরি করাকে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট বলা দরকার।
এবং ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন হচ্ছে যেকোন ওয়ার্ডপ্রেস থিম কে কাস্টমাইজেশন করা বা নিজ পছন্দ মত ডিজাইন করার নাম।
যেহেতু একটি ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন করে একটি ওয়েবসাইটকে কয়েক প্রকার ইন্টারফেস দেয়া যায়।
আশা করি ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন সম্পর্কে বুজতে পেতেছেন।
মূলত আপনি ওয়ার্ডপ্রেস কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য যে কাজগুলো করবেন সেটাই ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট।
আরও পড়ুনঃ
নগদ মোবাইল ব্যাংকিং হেল্পলাইন নাম্বার কত?
টেলিটক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কোড
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
আপনি যদি এই ব্লগ ওয়ার্ডপ্রেস কি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন, তবে ইতিমধ্যে জেনেছেন যে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে লোকজন ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন।
মূলত ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইটের ডিজাইন খুব বেশি গ্রাহকবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে 65 শতাংশ বেশি ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা তৈরি।
ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ওয়েব সাইট তৈরি করার জন্য আপনাকে আপনার ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করতে হবে।
বাংলাদেশি বিভিন্ন কোম্পানিগুলো সস্তা দামে ডোমেইন এবং হোস্টিং সেল করছে আপনি চাইলে বাংলাদেশে লোকাল মার্কেট থেকে নগদ বিকাশ সেবা ব্যবহার করে সহজেই ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করতে পারেন।
তবে আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করতে চান এবং আপনার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা থাকে তবে আমি বলব আপনি আন্তর্জাতিক মানসম্মত ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং গুলো ব্যবহার করুন।
The Top 5 Domain Hosting Company In Bangladesh
তবে ওয়ার্ডপ্রেস শিখার জন্য হোস্টিং কিনে ব্লগ সাইট তৈরি করা আবশ্যক নয়
আপনাকে প্রথমেই বলেছি লোকাল সার্ভার xampp সফটওয়্যারটি পিসিতে ইন্সটল করে আপনি সহজেই ওয়াডপ্রেস প্যাকটিস করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা ওয়েবসাইট তৈরীর সফটওয়্যার হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস। জনপ্রিয় ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস ব্যবহার করে মাত্র কয়েক ক্লিকের মাধ্যমে আপনি একটি ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
(WordPress Theme) ওয়ার্ডপ্রেস থিম তৈরি করার জন্য পিএসপি, এইচটিএমএল, সিএসএস এবং জাভাস্ক্রিপ্ট জানতে হবে। এগুলি হচ্ছে প্রোগ্রামিং ভাষা। এই পোস্টে আমি আপনাদের মূলত ওয়াডপ্রেস কি এই সম্পর্কে বলেছি।
আপনি ওয়ার্ডপ্রেস শিখে টাকা আয় করতে হলে অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন শেখার পরে ফাইবার মার্কেটপ্লেস গুলোতে প্রোফাইল তৈরি করে কাজের জন্য বিড করতে হবে।
উপসংহার,
আশা করি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন এবং ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে আমাদের আরও ব্লগ পোস্ট আসবে।
তাই ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথে থাকুন এবং কমেন্ট করে জানান।
অনলাইনে ঘরে বসে টাকা ইনকাম, টেলিকম অফার, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা অফার ও ইন্টারনেট থেকে সঠিক তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
আরও পড়ুনঃ
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।