প্রিয় পাঠকবৃন্দ লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল? আপনি জানেন কি। আপনি যদি এ বিষয়টি না জেনে থাকেন এবং এ বিষয়টি জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
আজকের এই আর্টিকেলের আমরা লাহোর প্রস্তাবের মূল বিষয়গুলো আপনাদের সামনে বিস্তারিত উপস্থাপন করব। এবং এ বিষয়ে সকল তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনাদের কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তরটি আপনারা পেয়ে যাবেন।
মূলত ভারতের মুসলিম জাতিকে নিয়ে এই লাহোর প্রস্তাবের মূল কার্যক্রমটি হয়েছিল। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে নেয়া যাক কি ছিল লাহোর প্রস্তাবের প্রতিপাদ্য বিষয়।
Content Summary
লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল
পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে কম বেশি মুসলিম জনগোষ্ঠীর রয়েছে। তেমনি ভারতে মুসলমান রয়েছে। ভারতীয় মুসলিমদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক পরিচিতি, এবং অধিকার রক্ষার জন্য মুসলিম লীগ গঠন করা হয়েছিল ১৯০৬ সালে।
লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ভারতবর্ষের জনগণের সামাজিক, সাংস্কৃতিক পরিচিতি, এবং অধিকার রক্ষা।
এরপর থেকেই নানা সংগঠন মুসলিমদের পক্ষে কথা বলতে শুরু করে যে বিষয়টি থেকে শুরু হয় বিভাজন।
এরপর মুসলমানদের অধিকার রক্ষার জন্য আলাদা একটি রাষ্ট্র গঠনের দাবি উঠেছিল।
এই দাবির মধ্যে দিয়ে ব্রিটিশ ভারতে মুসলিম জাতীয়তাবাদের উত্থান হয়েছিল।
আর উপরোক্ত যে দাবিটির কথা বলা হয়েছে এই দাবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়া হয় লাহোর প্রস্তাব নামে।
২৩ মার্চ ১৯৪৪ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত একটি মুসলিম লীগের সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন শেরে বাংলা একে ফজলুল হক।
সেসময় সেখানে তিনি ভাষণ দেন ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব নামে সে ভাষণটি পরিচিতি পায়। লাহোর প্রস্তাবের তিনটি প্রধান বিষয় ছিল।
লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল
১. ভারতবর্ষের প্রতিটি এলাকাকে ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে হবে।
২. উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোকে এমনভবে চিহ্নিত করতে হবে যাতে পরবর্তীতে আলাদা স্বাধীন এবং সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র গঠন করতে পারে।
৩. রাষ্ট্রগুলো সঙ্খালগু সম্প্রদায়ের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রশাসনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
লাহোর প্রস্তাবের ইতিহাস
লাহোর প্রস্তাব কে অন্যভাবে বললে পাকিস্তান প্রস্তাব বলা যায়।
আবার এটিকে পাকিস্তানের স্বাধীনতার ঘোষণা ও বলা হয়ে থাকে।
এটি বলার কারণ হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশে বসবাসকারী যে সকল মুসলিম জনগণ রয়েছে তাদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্রের দাবি জানিয়ে উপস্থাপিত প্রস্তাবনা।
২৩ মার্চ ১৯৪০ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগের অধিবেশনে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এর সভাপতিত্বে মুসলিম লীগের পক্ষ হতে ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের প্রারম্ভিক খসড়া তৈরি হয়।
সে প্রারম্ভিক খসড়াটি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী সিকান্দার হায়াত খান আলোচনা এবং সংশোধনের জন্য নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সাবজেক্ট কমিটির কাছে পেশ করেন।
সাবজেক্ট কমিটি এসকল প্রস্তাবে আমল সংশোধন আনার পর ২৩ মার্চ সাধারণ অধিবেশনে মুসলিম লীগের পক্ষ থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আবুল কাশেম ফজলুল হক সে বিষয়টি উপস্থাপন করেন।
এবং চৌধুরী খালেকুজ্জামান অন্যান্য মুসলিম নেতৃবৃন্দ তা সমর্থন করেছিলেন।
মূল প্রস্তাবনাটি হয়েছিল উর্দু ভাষায়।
আপনাদের অনেকেরই অজানা শেখ ফজলুল হককে এই সম্মেলনে শেরে বাংলা উপাধি প্রদান করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ
পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
৭ মার্চের ভাষণের মূল বিষয়বস্তু কি?
মানুষের জন্য কল্যাণকর দশটি কাজের তালিকা
লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল FAQS
১. ভারতবর্ষের প্রতিটি এলাকাকে ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে হবে।
২. উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোকে এমনভবে চিহ্নিত করতে হবে যাতে পরবর্তীতে আলাদা স্বাধীন এবং সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র গঠন করতে পারে।
৩. রাষ্ট্রগুলো সঙ্খালগু সম্প্রদায়ের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রশাসনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
২৩ মার্চ ফজলুল হককে শেরে বাংলা উপাদি দেয়া হয়।
লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ভারতবর্ষের মানুষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক পরিচিতি, এবং অধিকার রক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো।
উপসংহার
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলের লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল এ প্রস্তাবের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর বলা হলে আপনি নিশ্চয়ই নির্দ্বিধায় তা আলোচনা করতে ও লিখতে পারবেন বলে মনে করি।
১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় সম্পর্কে লিখ বলা হলে আপনি নিশ্চয়ই লিখতে পারবেন তবে, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনার কোন সমস্যা হলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান।
এবং লাহোর প্রস্তাবের ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভাল লেগেছে।
এবং এই আর্টিকেল থেকে আপনারা আপনাদের কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তরটি পেয়ে গেছেন।
আপনাদের যদি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের জানাতে পারেন।
অনলাইন থেকে ঘরে বসে টাকা আয়, ফেসবুক মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিংয়ের মতো অনলাইন প্লাটফর্মে কিভাবে কাজ করবেন সে বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যে আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে।
আপনারা চাইলে সে আর্টিকেলগুলো পড়ে নিজের ক্যারিয়ার কিভাবে অনলাইনে গঠন করা যায় সে বিষয়ে জানতে পারবেন।
আমাদের ওয়েবসাইট সংক্রান্ত সকল আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেইজে।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।