সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ তারাবির নামাজের দোয়া কখন পড়তে হয় সম্পর্কে জানতে আপনারা অনেকেই গুগল সার্চ করে থাকেন। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাবো তারাবির নামাজের দোয়া কখন পড়তে হয় এবং কিভাবে আপনারা দোয়াটি পড়বেন সেই সম্পর্কে।
মূলত পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখার ক্ষেত্রে প্রতিটি মুসলিমকে তারাবির নামাজ আদায় করতে হয়। এই তারাবির নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিয়মকানুন রয়েছে সেই সকল নিয়মকানুন অবশ্যই আপনাদের সকলের জানা উচিত।
তারাবির নামাজের ক্ষেত্রে তারাবি নামাজের দোয়া পড়তে হয়। আপনারা তারাবির নামাজের দোয়া কখন পড়তে হয় এবং কোন দোয়াটি পড়বেন সেই সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন।
তাই অবশ্যই তারাবির নামাজের দোয়া কখন করতে হয় সেই সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
Content Summary
তারাবির নামাজের দোয়া কখন পড়তে হয়? – Tarabi Namajer Doya
অবশ্যই রোজা রাখার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিটি মুসলমানেরই তারাবির নামাজ আদায় করতে হবে।
এই তারাবির নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের দোয়া পাঠ করতে হয়।
আমরা তারাবির নামাজের চার রাকাত পর পর দোয়া পাঠ করে থাকি।
মূলত এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ এবং দুই রাকাত সুন্নত নামাজের পর ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আমরা আদায় করে থাকি সেই নামাজকে বলা হয় তারাবির নামাজ।
আমরা এই তারাবির নামাজের চার রাকাত পর পর একটি দোয়া পাঠ করে থাকি।
মূলত আপনারা যদি এই সময় দোয়া পাট নাও করেন সেক্ষেত্র আপনাদের তারাবির নামাজ হবে না এমনটি কিন্তু নয়।
তবে এই সময় দোয়া পাঠ কিংবা অন্যান্য সূরা পাঠ করা উত্তম।
অর্থাৎ আপনারা চার রাকাত পর পর ২০ রাকাত নামাজের মধ্যে সর্বপ্রথম চারবার দোয়া পড়বেন।
কোন দোয়া পড়তে হয় সেই সম্পর্কে অবশ্যই আপনাদের জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
চার রাকাত পর পর বিশেষ করে কোন দোয়াটি সবচেয়ে বেশি পাঠ করা হয় সেই সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া – Tarabi Namajer Dua in Bangla
আমরা সকলেই জানি পবিত্র মাহে রমজান মাসে তারাবির নামাজ আদায় করতে হয়।
তারাবি নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আমাদের ১০ সালামে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়।
এরই মাঝে আমরা প্রতি চার রাকাত পর পর একটি বিরতি গ্রহণ করি বা বিশ্রাম গ্রহণ করি।
এই বিশ্রামের সময় কিংবা বিরতির সময় অনেকেই দোয়া পাঠ করে থাকেন আবার অনেকেই দোয়া পাঠ করেন না।
এছাড়া ও সুস্পষ্টভাবে কোথাও উল্লেখ নেই যে এই সময়টিতে আপনাদের দোয়া করতেই হবে।
তবে আমাদের অবশ্যই উচিত এই সময়টিতে যেকোনো দোয়া পাঠ করা।
এছাড়াও তারাবিহ নামাজের ৪ রাকাতের পর দোয়া পড়ার জন্য একটি ব্যাপক প্রচলিত একটি দোয়া রয়েছে।
তারাবিহ নামাজের ৪ রাকাতের পর দোয়া হচ্ছেঃ ‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’
মূলত এই দোয়াটি ব্যাপক প্রচলিত এবং তারাবির নামাজের চার রাকাত শেষে যে সময়টুকু আমরা বিশ্রাম করি সেই সময় এই দোয়াটি বেশিরভাগ পড়া হয়ে থাকে।
আপনারা চাইলে এই দোয়াটি পড়তে পারেন কিংবা অন্যান্য যে কোন দোয়া পাঠ করতে পারেন।
আমাদের দুই রাকাত করে দশ সালামে সর্বমোট ২০ রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়।
২০ রাকাত নামাজের শেষ হওয়ার পূর্বে সর্বমোট চারবার আমাদেরকে বিশ্রাম গ্রহণ করতে হয়।
এই সকল বিশ্রামের সময় আপনারা উপরে উল্লেখিত দোয়াটি পাঠ করতে পারেন অথবা আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন দোয়া পাঠ করতে পারেন।
তারাবির নামাজ নফল নাকি সুন্নত – Tarabi Namaz Sunnat Naki Nofol
পবিত্র মাহে রমজানে সঠিকভাবে রোজা পালনের জন্য অবশ্যই তারাবির নামাজ পড়তে হবে।
আর এই তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল সে সম্পর্কে অনেকেই গুগল সার্চ করে থাকেন।
তারাবির নামাজ পুরুষ কিংবা মহিলা সকলের জন্যই সুন্নতে মুয়াক্কাদা।
পুরুষদের মসজিদে গিয়ে ইমাম সাহেবের পেছনে দাঁড়িয়ে জামাতের সাথে তারাবির নামাজ আদায় করতে হবে।
কেননা খোলাফায়ে রাশেদীন (বিশেষ করে উমর রাযি.-এর খেলাফতের শেষ জামানা থেকে) মুয়াযাবাত তথা নিয়মিত তারাবী নামায পড়তেন।
মুয়াযাবাত তথা নিয়মিতই নামাজ আদায় করতেন।
এ বিষয়ে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, عليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين من بعدي عضوا عليها بالنواجذ
অর্থঃ তোমরা আমার সুন্নাত কে আঁকড়ে ধর এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সূন্নাতকে আঁকড়ে ধর।
তার উপর তোমরা অটুট থাক।” (আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিজী ২৬৭৬)
এছাড়াও এ বিষয়ে ইমাম নববী বলেন, صلاة التراويح سنة بإجماع العلماء আলেমগণের ইজমা অনুযায়ী তারাবী নামাজ পড়া সুন্নত। (আলমাজমূ ৪/৩১)
পবিত্র তারাবির নামাজকে সুন্নত হিসেবে যে অস্বীকার করবে অথবা অবৈধ মনে করবে সে বিদায়াতের আবিষ্কার অথবা পথভ্রষ্ট।
আর তাহতাবী কিতাবে রয়েছে যে তারাবী নামায সুন্নত, এই নামায বর্জন ও ছেড়ে দেওয়া জায়েয নাই। (কামুসুল ফিকহ ২/৪৪৮)
এছাড়াও আপনারা অবশ্যই মনে রাখবেন যে সুন্নতে মুয়াক্কাদা ওয়াজিবের মতই।
অর্থাৎ আপনারা যদি ওয়াজিবের ব্যাপারে যেমন জবাবদিহি করতে হবে তেমনি সুন্নতে মুয়াক্কাদার ক্ষেত্রেও আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে।
তবে ওয়াজিব তরককারীর জন্য সুনিশ্চিত শাস্তি পেতে হবে, আর সুন্নতে মুআক্কাদা ছেড়ে দিলে কখনো মাফ পেয়েও যেতে পারে।
তবে শাস্তিও পেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ
তারাবিহ নামাজের ৪ রাকাতের পর দোয়া কি?
তারাবির নামাজের দোয়া কখন পড়তে হয় FAQS
আপনারা তারাবির নামাজের দোয়া প্রতি ৪ রাকাত পর পর পড়তে হয়।
মূলত তারাবির নামাজ ২০ রাকাত।
উপসংহার
তারাবির নামাজের দোয়া কখন পড়তে হয় সেই সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়েছে।
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে তারাবির নামাজের দোয়া কখন পড়তে হয় সেই সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত ধারণা হয়ে গিয়েছে।
তবু আপনাদের এ বিষয়ে যদি আরো কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।
এছাড়াও আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যদি আপনারা আরো গুরুত্বপূর্ণ কোন আর্টিকেল পড়তে চান কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটের সকল আপডেটগুলো পেতে চান তাহলে জয়েন করুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে।
আরও পড়ুনঃ
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।