কান্তজির মন্দির কোথায় অবস্থিত? | কান্তজির মন্দির কেন বিখ্যাত

সুপ্রিয় পাঠকগণ কান্তজির মন্দির কোথায় অবস্থিত এ বিষয়টি জানার জন্য আপনারা অনেকেই গুগলের মাধ্যমে সার্চ করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানবো কান্তজির মন্দির কোথায় এবং কান্তজীর মন্দির সম্পর্কিত বিস্তারিত নানান তথ্য।

সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের মাঝে মন্দির নিয়ে জানার আগ্রহ অনেক বেশি থাকে। কেননা তাদের প্রতিটি আলাদা আলাদা মন্দির এর পেছনে আলাদা আলাদা রহস্য লুকিয়ে থাকে যেগুলো অনেকটাই অদ্ভুত।

তবে এই মন্দির কিভাবে প্রতিষ্ঠা হল এবং স্থাপনা করল সে সকল বিষয়গুলো জানার জন্যই তারা সবচেয়ে বেশি মুখিয়ে থাকে।

এছাড়াও তাদের সংস্কৃতির একটি আবির্ভাব মন্দির এর সাথে জড়িত রয়েছে।

সকল বিষয়গুলো একসাথে করলে তাদের মন্দির সম্পর্কে তথ্য জানার আগ্রহ অনেক বেশি। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে চলেছি কান্তজীর মন্দির সম্পর্কে।

তাই আজকের এই আর্টিকেল থেকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

কান্তজির মন্দির কোন জেলায় অবস্থিত

কান্তজির মন্দির কোন জেলায় অবস্থিত
কান্তজির মন্দির কোন জেলায় অবস্থিত

বিখ্যাত কান্তজির মন্দির অথবা কান্তজিউ মন্দির বাংলাদেশের অন্যতম জেলা দিনাজপুরে অবস্থিত।

মূলত এই মন্দিরটি হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে হিন্দু ধর্মের কান্ত অথবা কৃষ্ণের মন্দির হিসেবে বেশ পরিচিত।

যা লৌকিক রাধাকৃষ্ণের ধর্মীয় প্রথা হিসেবে বাংলায় প্রচলিত রয়েছে।

ধারণা করা হয়ে থাকে যে, মহারাজা সুমিত হরকান্ত এখানেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

২০১৭ সালে কলকাতার মধ্যে বইমেলায় এই মন্দিরের আদলে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন করা হয়েছিল।

এর পরবর্তী সময়ে ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে ভূমিকম্পে এ মন্দিরটি ধ্বংস হওয়ার আগে রাবণেষু।

জন হেনরি এর ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে তোলা ছবিতে মন্দিরের নয়টি রত্ন বর্তমান।

মূলত এই মন্দিরটি দিনাজপুর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে এবং কাহালু উপজেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দক্ষিন-পূর্বে সুন্দরপুর ইউনিয়নে।

দিনাজপুর-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেঁপা নদীর তীরবর্তী গ্রাম কান্তনগরে অবস্থিত এই প্রাচীন মন্দির।

মন্দিরের উত্তর দিকের ভিত্তিবেদীর শিলালিপি থেকে জানা যায়, তৎকালীন দিনাজপুরের মহারাজা জমিদার প্রাণনাথ রায় তার শেষ বয়সে মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

১৭২২ খ্রিষ্টাব্দে তার মৃত্যুর পরে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার পোষ্যপুত্র মহারাজা রামনাথ রায় ১৭৫২ খ্রিষ্টাব্দে মন্দিরটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন।

শুরুতে মন্দিরের চূড়ার উচ্চতা ছিলো ৭০ ফুট।

১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে মন্দিরটি ভূমিকম্পের কবলে পড়লে এর চূড়াগুলো ভেঙে যায়।

মহারাজা গিরিজানাথ মন্দিরের ব্যাপক সংস্কার করলেও মন্দিরের চূড়াগুলো আর সংস্কার করা হয়নি।

আরও পড়ুনঃ

মুজিবনগর সরকার কবে গঠিত হয়?

zimax 500 কিসের ঔষধ? 

fexo 120 কিসের ঔষধ?

কান্তজির মন্দির কোথায় অবস্থিত FAQS

কান্তজির মন্দির কোথায় অবস্থিত?

বিখ্যাত কান্তজির মন্দির অথবা কান্তজিউ মন্দির বাংলাদেশের অন্যতম জেলা দিনাজপুরে অবস্থিত।

কত সালে কান্তজির মন্দিরটি ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়?

১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে ভূমিকম্পে কান্তজির মন্দিরটি ধ্বংস হয়।

উপসংহার 

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ কান্তজির মন্দির কোথায় অবস্থিত সে সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করা হয়েছে।

আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের খুবই ভালো লেগেছে এবং আপনারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে কান্তজির মন্দির সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাই ও বোনেদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আর্টিকেল ছিল।

আপনাদের যদি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।

আপনারা যারা অনলাইন থেকে আয় আর কথা ভাবছেন তাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে অনলাইন আয় সংক্রান্ত অনেকগুলো আর্টিকেল রয়েছে।

বর্তমানে অনেকেই রয়েছেন যারা অনলাইনে কাজ করে নিজেদের ক্যারিয়ার গঠন করেছে।

তাই নিজেদের সেই জায়গায় পৌঁছাতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং সেই আর্টিকেলগুলো পড়ুন।

এছাড়াও যদি কোন বিষয়ে জানার প্রয়োজন থাকবে সে সকল বিষয়গুলো জানতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে জয়েন করুন। 

কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ভিজিট করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।

আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাংলা ভাষায় অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম, টেলিকম অফার এবং মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে।

Leave a Comment