প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা পৃথিবীর সবচেয়ে মহান ব্যক্তি কে? আপনারা কি এ বিষয়ে জানেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব এমন একজন মানুষ সম্পর্কে যার অবদান পুরো পৃথিবী কখনোই ভুলতে পারবে না। এবং তিনি পৃথিবীতে এখনো পর্যন্ত যে সকল মানুষ এসেছেন এবং মারা গিয়েছেন সকলের মধ্যে সবচেয়ে মহান ব্যক্তি।
কোন মানুষের সাথে তার তুলনা করা সম্ভব নয় তিনি এমন একজন মানুষ যে তার পুরো জীবন কাটিয়েছেন শুধুমাত্র অন্যের ভালো চেয়ে।
আমরা যারা মুসলমান ধর্মাবলম্বী তাদের জন্য তার নামটি অতি পরিচিত এবং আমরা তাকে অনুসরণ করে চলার জন্য নির্দেশনা পেয়েছি। আজকে আমাদের সেই প্রিয় মানুষটির সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
Content Summary
পৃথিবীর সবচেয়ে মহান ব্যক্তি
বর্তমান পৃথিবীর অতীত কিংবা ভবিষ্যৎ সর্বকালের শ্রেষ্ঠ এবং মহান মানুষ হচ্ছেন আমাদের সকলের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)।
তিনি ছিলেন ইসলামএর সর্বশেষ নবী এবং ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ পবিত্র কুরআন মাজীদ আমাদের প্রিয় নবীর উপর নাযিল করা হয়েছিল।
আমাদের এই প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দে ১২ রবিউল আউয়াল মাসে আরবের মক্কায় মা আমিনার কোল আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি সর্বকালের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক, সামাজিক এবং ধর্মীয় নেতা।
তিনি পৃথিবীতে মাত্র ৬৩ বছর বেঁচে ছিলেন এর মধ্যে আমাদের এই মহান মানুষটি সামান্য একটিও মিথ্যে কথার আশ্রয় নেননি।
সৎ এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে প্রতিটি আরো বাসীকে একত্রিতকরণ এবং ইসলামে আসার দাওয়াত তিনি পুরো জীবন জুড়ে চালিয়ে গিয়েছেন।
নানান সময়ে বিভিন্ন ধরণের খারাপ মানুষ আমাদের প্রিয় নবীর উপর অবিচার এবং নানান ধরনের খারাপ ইঞ্জাম লাগানোর চেষ্টা করেছেন।
কিন্তু কোন কিছুই মহান ব্যক্তিকে তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য পিছু হটাতে পারেনি।
যখন আরব জাতি ঘোর অন্ধকারের মধ্যে নিমজ্জিত ছিল সে সময় মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের এই প্রিয় নবীকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছিলেন।
আরবের মানুষরা আল্লাহ তায়ালাকে ভুলে গিয়ে নানান ধরনের খারাপ কাজে লিপ্ত ছিলেন এবং মূর্তিপূজায় বিশ্বাসী হয়ে পড়েছিলেন।
সব সময় আরবের মধ্যে বিশৃংখলা অরাজগতা দুর্নীতি লেগেই থাকত।
আরও পড়ুনঃ
পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে?
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)
পবিত্র কুরআন মজীদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে যে, যদি মহানবী (সা.) কে সৃষ্টি না করা হতো তাহলে মহান আল্লাহ তাআলা রব্বুল আলামীন আমাদের এই পৃথিবী সৃষ্টি করতেন না।
নারীদের মর্যাদা আদায়ে মহানবী (সা.) অনেক কষ্ট করেছেন।
সে সময়ে নারীদেরকে কোন ধরনের মর্যাদা দেয়া হতো না।
সমাজের মধ্যে তাদেরকে গণ্য করা হতো ভোগের বস্তু হিসেবে।
নারীরা ছিলেন রাতের কবিতার আসর এবং মদের আড্ডায় বিশেষ অনুষঙ্গ।
জীবন ও সমাজে তাদের বড়জোর স্বামী অথবা মনিবের মনোরঞ্জনের উপকরণ এর বেশি কিছু মনে করা হতো না।
পারিবারিক সামাজিক অথবা বংশের অসম্মান ও অভিশাপ মনে করা হতো নারীদেরকে।
এমনকি এ বিষয়টিও ছিল যে সামাজিক লজ্জার ভয়ে নারীদেরকে জীবন্ত কবর দেয়া হতো।
পবিত্র কুরআনের মধ্যে মহান আল্লাহতালা পুরুষের সাথে নারীদেরকেও সম্পত্তির উত্তরাধিকারী নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
এভাবে ধীরে ধীরে নারীদের সকল বিষয়ে সঠিক মর্যাদা এবং অধিকার দেয়া শুরু হয়েছিল।
একবার ওয়াইস করনি (রা.) নবীজির কাছে খবর পাঠালেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)।
আপনার সঙ্গে আমার দেখা করার খুব ইচ্ছা, কিন্তু আমার মা খুব অসুস্থ, এখন আমি কী করতে পারি?
নবীজি (সা.) উত্তর পাঠালেন, আমার কাছে আসতে হবে না। আমার সঙ্গে সাক্ষাতের চেয়ে তোমার মায়ের সেবা করা বেশি জরুরি।
মায়ের সেবা করার কারণে তিনি প্রিয় নবীর যুগে থেকেও তার সাক্ষাৎ লাভ করতে পারেননি।
রাসূল (সা.) বলেন- যে ব্যক্তির তিনটি কন্যাসন্তান আছে যাদের সে লালন পালন করে এবং তাদের সঙ্গে সদয় আচরণ করে, তার জন্য অবশ্যই জান্নাত ওয়াজিব।
সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যদি দুটি মেয়ে থাকে?
নবীজি বললেন, দুটি থাকলেও (বুখারি : ২৪৮১)। আমাদের এই প্রিয় নবী ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ৬৩ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।
আরও পড়ুনঃ
কোন কোন দোয়া পড়লে মনের আসা কবুল হয়?
আল্লাহর কাছে সুস্থতার জন্য দোয়া
পৃথিবীর সবচেয়ে মহান ব্যক্তি কে FAQS
আমাদের সকলের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ হযরত মুহাম্মদ (সা.) হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে মহান ব্যক্তি।
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দে ১২ রবিউল আউয়াল মাসে আরবের মক্কায় মা আমিনার কোল আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন।
উপসংহার
প্রিয় পাঠকগণ পৃথিবীর সবচেয়ে মহান ব্যক্তি কে সে সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা পুরো পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ এবং মহান ব্যক্তি সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে পেরেছেন।
আপনাদের যদি আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগে অথবা আজকের এই আর্টিকেল সংক্রান্ত কোন ধরনের প্রশ্ন অথবা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আপনাদের কমেন্ট গুলো আমাদের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
আপনারা কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করতে পারেন সে সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
আমাদের ওয়েবসাইটে অনেকগুলো আর্টিকেল রয়েছে যেখানে আমরা উল্লেখ করেছি কিভাবে আপনারা খুব সহজে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন।
আপনাদের যদি আমাদের কোন আপডেট এর প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের ফেসবুক পেইজে ফলো করতে পারেন।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।