সুপ্রিয় পাঠক মন্ডলী আপনাদের কী জানা আছে বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ কে? আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কে বা কারা বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ সেই সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
এই আর্টিকেলটি আপনারা মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আশা করছি আপনারা পুরো বিষয়টি বুঝতে পারবেন।
মূলত আমরা বিভিন্ন ভাবে মানুষকে বিচার করে থাকি। তবে সবচেয়ে উত্তম হলো ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষকে বিচার করা। আজকে আমরা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর চোখে কে বা কারা সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ সে সম্পর্কে জানব। এর পাশাপাশি ইসলাম কে বা কারা বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ সে সম্পর্কেও জানবো।
Content Summary
ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ কে
এখন ইসলামের দৃষ্টিতে কাদেরকে সবচেয়ে বেশি নিকৃষ্ট মানুষ কারা সে সম্পর্কে আমরা এখন জানব।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, সৎসঙ্গ এবং অসৎ সঙ্গে রূপমায়া হল কুস্তির বহনকারী (আতর বিক্রেতা) এবং কামারের হাপরের মত।
কুস্তির বহনকারী অর্থাৎ আতর বিক্রেতা হয়তো তোমাকে কিছু দান করবে নয়তো তার কাছ থেকে তুমি কিছু করবে কিংবা তার কাছ থেকে তুমি কিছু সুবাস লাভ করবে।
অপরদিকে কামারের হয়তো তোমার কাপড় পরিয়ে দেবে কিংবা তার কাছ থেকে তুমি পাবে দুর্গন্ধ। (বুখারি, হাদিস : ৫১৩৬)
তাই সব সময় এই জীবনে বন্ধু চয়নের ক্ষেত্রে সতর্কতা অত্যন্ত জরুরী। নিকৃষ্ট মানুষ যারা রয়েছেন তাদের থেকে দূরে থাকা খুবই জরুরী।
হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর হাদিসে কিছু মানুষকে উল্লেখ করে নিকৃষ্ট মানুষ বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
আমরা যে সমাজে বসবাস করি আমাদের চারপাশে এমন অসংখ্য মানুষ আছে যাদের মধ্যে রাসুল (সা.) এর উল্লেখিত অভ্যাসগুলো পাওয়া যায়।
আমাদের উচিত তাদের থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখা। রাসুল (সা.) হাদিসে উল্লেখ করেছেন সে সকল বিষয়গুলো জেনে নেয়া যাক।
আরও পড়ুনঃ
পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে?
পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রধানমন্ত্রী কে?
দু মুখো মানুষ | বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ কে
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, মানুষের মধ্যে দুই রূপ যারা ধারণ করতে পারে সে লোক সবচেয়ে বেশি নিকৃষ্ট।
যে লোক এক দলে আসে একটি রূপ নিয়ে আবার অন্য দলে গেলে অন্য আরেক রূপ নিয়ে নেয়। (মুসলিম, হাদিস : ৬৫২৪)।
এ ধরনের লোক বর্তমানে আমাদের চারপাশে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
এরা আমাদের বন্ধু বেশে আমাদের আশেপাশে থাকে এবং আমাদের নিজেদের ক্ষতি করে বেড়ায়।
এদের থেকে এদের থেকে আমাদের যতটা সম্ভব দূরে থাকা উচিত।
যাদের অনিষ্টের ভয়ে মানুষ তাদের থেকে দূরে থাকে
আমাদের সমাজে যদি স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় তাহলে আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ পাওয়া যাবে যাদের অনিষ্টের ভয়ে তাদের আত্মীয়-স্বজন এবং সমাজের মানুষ তাদের থেকে দূরে সরে থাকে।
রাসূল (সা.) এদের থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আয়েশা (রা.) বর্ণিত, একজন ব্যক্তি রাসুল (সা.) এর কাছে প্রবেশ করার জন্য অনুমতি চাইল।
তিনি বললেন, তাকে অনুমতি দিয়ে দাও। সে তার বংশের নিকৃষ্ট সন্তান।
যখন সে প্রবেশ করল, তখন তিনি তার সঙ্গে সুন্দর নম্র ভদ্র ভাবে কথাবার্তা বললেন।
তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এর ব্যাপারে যা বলার আপনি তা বলেছেন আগেই।
তবুও আপনি তার সঙ্গে নম্র ভদ্র ভাবে কথা বললেন।
তিনি বলেন, হে আয়েশা! আল্লাহর কাছে মজাদায়ক রিস্টোর সেই ব্যক্তি যার অশালীন ব্যবহার থেকে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ তার সকল কিছু বর্জন করে চলে। (বুখারি, হাদিস : ৬১৩১)
সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা প্রভাব বিস্তার করার জন্য পরিবার কিংবা সমাজের মানুষের সঙ্গে প্রচন্ড খারাপ ব্যবহার করে।
মানুষের চাপে রাখার চেষ্টা করে। নিজেদেরকে সম্মানীয় এবং প্রভাবশালী দেখানোর জন্য মানুষকে ভয় দেখায়।
উপরোক্ত যে হাসি চিহ্ন রয়েছে তাদের মূল অবস্থান সে হাদিসে স্পষ্ট করা হয়েছে।
তাই প্রভাব বিস্তারের জন্য কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করা উচিত নয়।
আরও পড়ুনঃ
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশ কোনটি?
ইলম অনুযায়ী আমল না করা
যে ব্যক্তি অনুযায়ী আমল করে না আর নিকৃষ্ট পাপাচারী হলেন সে ব্যক্তি, যে আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করে, কিন্তু পাপ কাজ করার সময় কোন রকম পরোয়া করে না। (নাসায়ি, হাদিস : ৩১০৬)।
মুসলমান জাতি হিসেবে আমরা সকলেই কমবেশি কোরআন তেলাওয়াত করি। হালাল-হারামের বেশি বিষয়ে আমরা স্পষ্ট ধারণা রাখি।
তবুও আমরা নিজেদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে অনেক সময় তার তোয়াক্কা করি না।
বিভিন্ন পাপ কাজে লিপ্ত হই মানুষের ক্ষতি করি। রাসুল (সা.) এমন লোকেদেরকে বলেছেন এরা ও নিকৃষ্ট।
তাই আমাদের মধ্যে যাদের এ ধরনের মনোভাব রয়েছে আমাদের এসকল মনোভাব গুলোকে পরিবর্তন করা উত্তম।
এবং যারা এমনটি করে তাদের থেকে দূরে থাকা ও উচিত।
যারা সব ক্ষেত্রে দুনিয়াকে প্রাধান্য দেয়
আবু উমামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি অপরের পার্থিব স্বার্থে আখিরাত বরবাদ করেছে, কিয়ামতের দিন সে হবে আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট ব্যক্তি। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৯৬৬)।
একজন মানুষ যদি তার দুনিয়ার সকল কাজকে প্রাধান্য না দিয়ে আখিরাতকে প্রাধান্য দিত, তাহলে পৃথিবীতে কোন খারাপ কাজ, সুদখোর, ঘুষখোর, ধর্ষক, সন্ত্রাসী কিছুই থাকত না।
তাই আমাদের পৃথিবীতে জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে আখিরাতকে প্রশ্ন দেওয়া অত্যন্ত জরুরী।
আখিরাতকে প্রাধান্য দিয়ে যদি আপনি চলতে পারেন তাহলে আপনার জন্য দুনিয়া এবং আখিরাত দুটি সুন্দর হয়ে যাবে।
এবং সে সকল ব্যক্তি থেকে দূরে থাকবেন যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে কিন্তু কাজে বিশ্বাস করে না।
বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ কে
আমরা যদি ইসলামের বাইরের পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ বিবেচনা করি তাহলে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হিটলারকে গণ্য করা হয়।
কিছু কিছু বিবৃতিতে দেখা যায় হিটলারকে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ বলেও গণ্য করা হয়েছে।
সে সূত্রে আমরা বলতে পারি হিটলারি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ।
আরও পড়ুনঃ
পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কে?
পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি কে?
বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ কে FAQS
পুরো বিশ্বে সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ বলা হয় যারা নিজেদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে অন্যদের ক্ষতি করে তাদেরকে। সমাজে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার জন্য অন্যদের ওপর জোর খাটিয়ে চলাচল করে। এরাই হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিকৃষ্ট এবং জঘন্যতম মানুষ।
ইসলামের বাইরে যদি বলা হয় তাহলে নানা ধরনের তথ্য সূত্রে জানা যায় বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি হচ্ছেন হিটলার।
উপসংহার
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলটি বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষকে এ বিষয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে।
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনারা সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার পর বুঝে গেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ কে বা কাদেরকে বলা হয়।
তবুও মেরি আপনাদের এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট বক্স এর মাধ্যমে জানাতে পারেন।
অনলাইন থেকে ঘরে বসে টাকা আয় এবং বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেলগুলো পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
আমাদের ওয়েবসাইট সংক্রান্ত সকল আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেইজে।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।