জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম কিসে সম্পর্কে অনেকেই গুগল সার্চ করে থাকেন। কিভাবে জমি বন্ধক নামা লিখতে হয় সে বিষয়ে অনেকের জানা প্রয়োজন হয় বলে আপনারা এ বিষয়টি জানতে চান। জমির চুক্তিনামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানা জরুরী কেননা বর্তমান সময়ে কাউকে ভরসা করা জায় না।
আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কিভাবে আপনারা জমির বন্ধকনামা লিখবেন সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনারা কিভাবে জমি বন্ধক নামা লিখতে হয় তা খুব সহজেই জানতে পারবেন।
আমাদের বর্তমানের সবারই কমবেশি জমি রয়েছে সে জমি সংক্রান্ত নানান বিষয়ে আমরা আটকে পরি। সে সকল বিষয়গুলো সমাধান করার জন্য আমরা গুগোল এগুলো সার্চ করে থাকি।
Contents In Brief
জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম – জমির চুক্তিনামা লেখার নিয়ম
আমাদের যাদের জমি রয়েছে তারা বিভিন্ন প্রয়োজনে জমি বন্ধক রেখে থাকি।
কখনো টাকার প্রয়োজনে অথবা কখনো অন্য কোন প্রয়োজনে জমি বন্ধক রাখা হয়।
আমরা আজো আমি যখন বন্ধ রাখতে যাই তখন কিভাবে জমি বন্ধক চুক্তিপত্র তৈরি করতে হয় বা জমি বন্ধক লেখার নিয়ম কি সে সম্পর্কে আমরা জানি না।
আপনাদের জন্য নিয়ে একটি জমি বন্ধক নামা লেখার নমুনা দেওয়া হলো।
উল্লেখিত জমির চুক্তিনামা লেখার নিয়ম ফরমেটে অনুসরণ করে আপনারা খুব সহজেই জমি বন্ধক নামা লিখতে পারবেন।
আপনারা চাইলে সেখানে আপনাদের নিজেদের ইচ্ছামত পরিবর্তন করে নিতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ
জমির দাগ নম্বর থেকে খতিয়ানটি বের করুন
জমি বন্ধক নামা লিখার নমুনা পত্র –
জমি বন্ধকনামা চুক্তিপত্র
নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম,
পেশা- ডাক্তার,
—-প্রথম পক্ষ / জমির মালিক/ বন্ধক দাতা॥
নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম,
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।
পেশা- ব্যবসা।
—-২য় পক্ষ/ বন্ধক গ্রহীতা।
পরম করুণাময় মহান আল্লাহতায়ালার নাম স্মরণ করিয়া অত্র বন্ধকনামা চুক্তিপত্রের আইনানুগ বয়ান আরম্ভ করিতেছি।
যেহেতু প্রথম পক্ষ নিম্নে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি।
প্রথম পক্ষের নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজন হইলে দ্বিতীয় পক্ষকে নিম্নে তফসিল বর্ণিত ৩ দাগে ১৮.৫ (সারে আঠারো) কাঠা জমি বন্ধক দেওয়ার প্রস্তাব করিলে আপনি দ্বিতীয় পক্ষ উক্ত প্রস্তাব গ্রহণ করিয়া নিম্নে তফসিল বর্ণিত ১৮.৫ (সারে আঠারো) কাঠা জমি বন্ধক নিতে রাজী ও সম্মত হইয়াছেন।
যেহেতু উভয় পক্ষ কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে অত্র জমি বন্ধকনামা চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হইলাম।
শর্তাবলী
০১। প্রথম পক্ষ/ বন্ধক দাতা দ্বিতীয় পক্ষ /বন্ধক গ্রহিতার নিকট হইতে নিম্নে তফসিল বর্ণিত ফসলি খালি জমিখানা বন্ধক রাখিয়া এককালীন নগদ ১,০০,০০০.০০ (এক লক্ষ) টাকা উপস্থিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় বুঝিয়া নিয়াছেন।
০২।যেহেতু, অত্র বন্ধকী জমিখানা ফসলী জমী, দ্বিতীয় পক্ষ/বন্ধক গ্রহিতা নিজেই ফসলাদী রোপন করিয়া তাহা ভোগ করিবেন অথবা অন্য কাহারো মাধ্যমে ফসলাদি লাগাইয়া ভোগ করিতে পারিবেন।
চলমান পাতা- ২
(পাতা-২)
০৩।যতদিন পর্যন্ত ১ম পক্ষ ২য় পক্ষকে টাকা ফেরত না দিতে পারিবে ততদিন পর্যন্ত দ্বিতীয় পক্ষ ভোগ দখল করিবে।
ইহাতে ১ম পক্ষ কোন ওজর আপত্তি করিতে পারিবেন না।
০৪। ১ম পক্ষ যখন জমি বন্ধক বাবদ ১,০০,০০০.০০ (এক লক্ষ) টাকা দ্বিতীয় পক্ষের নিকট ফেরত দিবে, ২য় পক্ষ বন্ধকী জমির দখল প্রথম পক্ষের নিকট ফেরত বুঝাইয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন।
০৫। প্রথম পক্ষ জমি বন্ধক থাকাবস্থায় কোনও কাহারও কাছে বন্ধকী জমি হস্তান্তর করিতে পরিবেন না। যদি হস্তান্ত করে দ্বিতীয় পক্ষ আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে পারিবে।
০৪। আল্লাহ না করুন অত্র চুক্তিপত্র সম্পাদনের পর প্রথম পক্ষ/ বন্ধক দাতা মৃত্যু বরণ করিলে তাহার স্থলবর্তী ও পরবর্তী বৈধ ওয়ারিশান প্রথম পক্ষ/ বন্ধক দাতা বলিয়া গণ্য হইয়া উক্ত বন্ধকের সম্পূর্ণ টাকা ওয়ারিশগণই দ্বিতীয় পক্ষ বন্ধক গ্রহিতাকে ফেরত প্রদান করিতে বাধ্য দিবেন।
০৫। তদরূপ ২য় পক্ষ/ বন্ধক গ্রহিতার মৃত্যু হইলে তাহার ওয়ারিশ উক্ত টাকা বুঝিয়া পাইয়া উক্ত জমিটি প্রথম পক্ষ/বন্ধক দাতাকে ফেরত বুঝাইয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন।
০৬।এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, অত্র জমিটি বন্ধকীর বিষয়ে প্রথম পক্ষ /বন্ধক দাতার পরিবার বা তাহার ওয়ারিশগণ কোন প্রকার ওজর আপত্তি করিতে পারিবে না।
করিলে তাহা সর্বাদালতে অগ্রাহ্য বা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
চলমান পাতা- ৩
(পাতা-৩)
এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, সুস্থ শরীরে সরল মনে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র ফসলী জমির বন্ধকীনামা দলিল পাঠ করিয়া উপস্থিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় নিজ নাম সহি সম্পাদকন করিয়া দিলাম।
ইতি, তাং-
বন্ধকী নামা দলিলের তফসিল পরিচয়ঃ
জেলা- নারায়ণগঞ্জ, থানা- রুপগঞ্জ, জমির দাগ নংঃ
জমির দাগ নং জমির পরিমাণ
১।
২।
অত্র বন্ধকী দলিল ৩ (তিন) পাতায় কম্পিউটার কম্পোজকৃত বটে।
স্বাক্ষীগণের নাম ও স্বাক্ষর –
১।
২।
৩।
প্রথম পক্ষ/ দলিল দাতার স্বাক্ষর
দ্বিতীয় পক্ষ দলিল গ্রহিতার স্বাক্ষর
আরও পড়ুনঃ
বাংলাদেশের পতাকা প্রথম কোথায় উত্তোলন হয়?
জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম FAQS
আপনার জমি আপনি যদি বন্ধক রাখতে চান তাহলে আপনার বন্ধকনামাটি খুবই সুন্দর ভাবে লিখতে হবে। একটি চুক্তিনামায় সকল কিছু উল্লেখ থাকে এবং দু’পক্ষের মত থাকে।
জমির চুক্তিনামা লেখার নিয়ম অনুসরন করে আপনি পুকুর লিজ চুক্তিনামা লেখার নিয়ম, তবে কিছুতা ভিন্নতা রয়েছে।
উপসংহার
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদেরকে জানানো হয়েছে।
আশা করছি এখন আপনারা সঠিকভাবে জমি বন্ধক নামা লিখতে পারবেন।
তবুও আপনাদের যদি এই বিষয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।
অনলাইন থেকে টাকা এবং বিভিন্ন শিক্ষামূলক বিষয় জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
সেই সাথে আমাদের ওয়েবসাইট সম্পর্কিত সকল আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ টি ফলো করুন।
আরও পড়ুনঃ
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।