তথ্য প্রযুক্তি কি? তথ্য প্রযুক্তি কাকে বলে বাংলা ভাষায় জানতে এই পোস্টটি পড়ুন। বন্ধুরা তথ্য প্রযুক্তি ICT ( Information technology ) নামেও পরিচিত। প্রিয় বন্দুরা তথ্য প্রযুক্তি কি এই সম্পর্কে সহজ ভাষায় বললে তথ্য প্রযুক্তি হচ্ছে জ্ঞান এবং প্রযুক্তির একটি সংমিশ্রণ।
এক কোথায় বলে তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে আপনাদের সঠিক ধারণা দেয়া সম্ভব নয়। কেননা তথ্য প্রযুক্তির সংগে কিছু উপাদান যুক্ত রয়েছে।
তিনটি মূল উপাদান হার্ডওয়্যার, সফ্টওয়্যার এবং ইন্টারনেট এই নিয়ে গঠিত তথ্য প্রযুক্তি। এই তিনটি উপাদানের সমন্বয়ে পরিচালিত হয় তথ্য প্রযুক্তি।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
এক কথায় বলতে পারেন ইন্টারনেটের সাথে সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভরশীল এই খাতটি।
তথ্য প্রযুক্তি কি? তথ্য প্রযুক্তি কাকে বলে বাংলা
বন্ধুরা তথ্য এবং প্রযুক্তি এই দুটি শব্দের একসাথে উচ্চারণ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি। তথ্য মানে হচ্ছে কোন বিষয় বা বস্তু সম্পর্কে ধারণা বা জ্ঞান এবং প্রযুক্তি মানে হচ্ছে বিষয় বা বস্তু সম্পর্কে ইন্টারনেট অ অন্যান্য মাধ্যম ব্যাবহার করে তথ্যকে সংগঠিত করা এবং এটিকে সর্বজনীন বোধগম্য করে তোলা।
যাতে ভবিষ্যৎ প্রয়োজনে ব্যবহার এবং প্রয়োজন অনুসারে সংস্কার করা যেতে পারে। বর্তমান ডিজিটাল বিশ্ব, তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণেই বর্তমান পর্যায়ে আসতে পেরেছে।
তথ্য প্রযুক্তির প্রশারেই সম্বভ হয়েছে সল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী বার্তা, ছবি বা কোন খবর সহজে পৌঁছে দেয়া।
ইন্টারনেট এবং আধুনিক কম্পিউটার তথ্য প্রযুক্তির প্রসারে বিষের অবদান রেখেছে।
আরও পড়ুনঃ অনলাইন থেকে আয় করার উপায়
যার মাধ্যমে লোকজন তাদের তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, ইলেকট্রক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের প্রসার, যোগাযোগ বেবস্থার উন্নতি হয়েছে।
এই সুবিধা ব্যাবহার করে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরে বসে নিকট আত্মীয় ও মানুষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।
তথ্য প্রযুক্তির কারণেই বর্তমান পৃথিবীর সকল খবর পাওয়া যায় সহজেই হাতের মোঠোয়।
তথ্য প্রযুক্তির সংজ্ঞা | তথ্য প্রযুক্তি কাকে বলে বাংলা
ওয়েবস্টারের নতুন এনসাইক্লোপিডিয়া তথ্য অনুসারে–
মূলত বিভিন্ন প্রযুক্তির সম্মিলিত শব্দ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি, যেখানে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যাবহার করে তথ্য স্থানান্তর ও পরিচালনার কাজ করা হয় সহজেই। তথ্য প্রযুক্তি মাধ্যম হিসাবে কম্পিউটার, সফটওয়্যার, টেলিযোগাযোগ এবং মাইক্রো-ইলেক্ট্রনিক্স অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
রাউলি ( ১৯৯৩) ভাষ্য মতে তথ্য প্রযুক্তির সংজ্ঞা-
তথ্য প্রযুক্তির হচ্ছে তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিচালনা, সংরক্ষণ এবং ব্যবহারকে বোঝায়। এটি কোন হার্ডওয়ার, সফ্টওয়্যার কে বোঝায় না, তবে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের জরুরী প্রয়োজনীয়তা এবং বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত পরিপূর্ণ হয় থাকে।
তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যম
রেডিও –
তথ্য প্রযুক্তি কি এই সম্পর্কে জানতে চাইলে রেডিও যুগ থেকে আপনাকে জানতে হবে। কেননা রেডিও যুগ থেকেই তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন শুরু হয়।
বাংলাদেশে রেডিও চালু হয় কবে? এমন প্রশ্নে আপনাকে জানাচ্ছি বাংলাদেশের ঢাকাতে প্রথম রেডিও সম্প্রচার শুরু হয় ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৩৯ সালে। পুরনো ঢাকার অতি পরিচিত নাজিমুদ্দিন রোডের একটি ভাড়া নেয়া বাড়িতে প্রথম চালু করা হয়।
বাংলাদেশের প্রথম রেডিও চ্যানেল নাম রাখা হয় “ঢাকা ধ্বনি বিস্তার কেন্দ্র”।
বন্ধুরা একসময় বাংলাদেশে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে রেডিও ছিল। বর্তমানে রেডিও পূর্বের থেকে অনেক বেশি পরিপক্ক হয়েছে এবং নতুন বিশ্বের সাথে অগ্রগতি করছে।
তথ্য প্রযুক্তির উন্নতি প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্বে রেডিও সম্প্রচারের সম্প্রসারণকে আরও বেশি তরান্বিত এবং প্রাণবন্ত করেছে।
রেডিও এখন একটি জনপ্রিয় পারিবারিক মিডিয়ায় পরিণত হয়েছে, যেখানে দেশের সাধারণ জনগন বিনোদন, শিক্ষা, জ্ঞান বিষয়ে জানতে জানাতে পারে।
তথ্য প্রযুক্তি কি ধরণের উন্নতি করেছে আপনি নিশ্চয়ই বুতে পেরেছেন।
টেলিভিশন (দূরদর্শন) –
বাংলাদেশের একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে ১৯৬৪ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর প্রথম টেলিভিশন চালু হয়েছিল।
১৯৬৪ সালের ২৫শে ডিসেম্বর একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। মাত্র ৩ ঘন্টা চলতো এর সম্প্রচার কার্যক্রম, তৎকালীন DIT ভবনের (বর্তমানে রাজউক কার্যালয়) দুটি কক্ষে।
যা ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে দেশের প্রথম এবং এখনো চলমান বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) নামে রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে পরিণত হয়।
তারপর ১৯৭৫ শালে রামপুরার নিজস্ব টিভি ভবনে শুরু হয় বাংলাদেশ টেলিভিশন সম্প্রচার কার্যক্রম।
বর্তমানে বাংলাদেশে অনুমোদিত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সংখ্যা ৪৪টির মত।
টেলিভিশন তথ্য প্রযুক্তি একটি শক্তিশালী উন্নয়ন বলতে পারেন। যোগাযোগে এই শক্তিশালী মাধ্যমটি বর্তমান জীবন ব্যবস্থাকে অনেক প্রভাবিত করেছে।
বিদেশী টেলিভিশন বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং পারিবারিক মূল্যবোধকে ক্রমাগত প্রভাবিত করে যাচ্ছে।
টেলিভিশন থেকে প্রছারিত অনুস্থান থেকে সামাজিক পরিবর্তন তথ্য প্রযুক্তির একটি নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছে।
তথ্য প্রযুক্তি কি অবদান তা এখন সকলেরি জানা।
টেলিকম পরিষেবা ( ফোন এবং মোবাইল ) –
বন্ধুরা ৪ জানুয়ারী ১৯৯০ শালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ডিজিটাল টেলিফোন ব্যবস্থা চালু হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে শুধু টেলিফোন নয় মোবাইল ব্যাবহার কারী গ্রাহক সংখ্যা ১০ কোটির থেকে বেশি।
মোবাইল ব্যবহার তথ্য প্রযুক্তিকে কোন পর্যায়ে নিয়ে এসেছে তা আমরা সকলেই বুজতে পারি।
কম্পিউটার ও আধুনিক কম্পিউটার
এক কথায় বললে বর্তমান তথ্য প্রযুক্তি যুগে কম্পিউটারকে বলা যায় আধুনিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার প্রাণ।আর আধুনিক কম্পিউটার শিক্ষার ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নতুন বিপ্লব নিয়ে এসেছে আমাদের জন্য।
ইন্টারনেট –
বিশ্বে ইন্টারনেট যাত্রা ১৯৮০ সালে শুরু হয়েছিল।
১৯৯৩ সালে দেশে প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার চালূ হয়। তবে সকলের ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ ইন্টারনেট উন্মুক্ত করা হয় ১৯৯৬ সালে।
ইন্টারনেট চালু হওয়ার পর থেকে তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগের দ্রুত ব্যাপক বিকাশ ঘটে। বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেটের কোন বিকল্প চিন্তা করা যায়না।
তথ্য প্রযুক্তি কি যে বিষয়ে জানেন তিনি নিশ্চয়ই ইন্টারনেট সম্পর্কে জানেন।
আশা করি আপনি তথ্য প্রজুক্তির ব্যাবহার ও তথ্য প্রযুক্তি কাকে বলে বাংলা জানতে পেরেছেন।
তথ্য প্রযুক্তি ও বাংলাদেশ রচনা
আপনি যদি তথ্য প্রযুক্তি ও বাংলাদেশ রচনা লিখতে চান তবে এই পোস্ট টি কে নিজের ভাষায় লিখতে পারলেই চলবে।
আশা করি পোস্ট টি পরারর পর তথ্য প্রযুক্তি কাকে বলে বাংলা এই বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকবেনা।
আরও পড়ুনঃ
Freelancing meaning in Bengali
উপসংহার
বন্ধুরা আমি আশা করি, আপনারা তথ্য প্রযুক্তি কি এই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। কিছু উদাহরন সহ তথ্য প্রযুক্তি কাকে বলে বাংলা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি পোস্ট টি আপনাদের ভালো লেগেছে। পোস্ট টি ভালো লাগলে পোস্টটি শেয়ার করুন।
আমাদের ফেসবুক পেজ জয়েন করুন।