ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করার নিয়ম কি? কিভাবে আপনি সল্প পুঁজিতে ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড ব্যবসা শুরু করেবেন আপনাদের এই বিষয়ে জনাতে চলে এলাম। যে সকল ভাই ও বোনেরা মোবাইল ব্যাবহার করেন তারা নিশ্চয়ই ফ্লেক্সিলোড সম্পর্কে জানেন।
ফ্লেক্সিলোড ( Flexiload ) সম্পর্কে জানেন না এমন লোক এখন অনেক কম রয়েছেন আমাদের দেশে।
কেননা বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে এখন মোবাইল ব্যাবহার হয় এবং প্রতিটি ঘরে একাধিক মোবাইল ফোন রয়েছে।
তাই সকলেরি তাদের মোবাইল ফোনর সিমটি সচল রাখতে ও প্রিয় জনের সাথে যোগাযোগ করতে সিমে টাকা লোড করতে হয়।
সেই সাথে পাল্লা দিয়ে দেশে বাড়ছে ফ্লেক্সিলোড দোকান ও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা। এখন আপনি চাইলেও শুরু করতে পারেন ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা। চলুন জেনে নেয়া যাক ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে।
Content Summary
ফ্লেক্সিলোড কি?
বন্ধুরা এতক্ষণে আপনারা নিশ্চয়ই বুজে গেছেন যে ফ্লেক্সিলোড কি।
তারপরও বলছি ফ্লেক্সিলোড হচ্ছে টেলিকম কোম্পানির সিমে টাকা রিচার্জ করার একটি জনপ্রিয় ও সহজ পদ্দতি। এই পদ্দতি ব্যাবহার করে সকলেই তাদের সিমে টাকা প্রবেশ করিয়ে থাকেন।
ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করার নিয়ম কি?
বন্ধুরা আমারা এতক্ষণ ফ্লেক্সিলোড সম্পর্কে জানলাম। এখন জানবো ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা সম্পর্কে। অনেকে আবার ফ্লেক্সিলোড কে ইজিলোড বলেও ডাকেন।
আপনি যে নামেই ডাকেন না কোন ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড কাজ কিন্তু একই।
চলুন কথা না বাড়িয়ে বাংলাদেশে ইজিলোড ব্যবসা শুরু করার সঠিক পদ্দতি সম্পর্কে জেনে নেই।
বন্ধুরা বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ব্যবসার সংখ্যা অনেক বেশি, ইজিলোড ব্যবসা তেমনি একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা।
তবে সঠিক যায়গায় এবং সঠিক ভাবে করে এখন অনেকে ভালো পরিমান টাকা আয় করছেন এই ক্ষুদ্র ব্যবসা থেকে।
কিভাবে ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড ব্যবসা শুরু করবেন
ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা চালু করতে হলে প্রথমেই আপনাকে এই ব্যবসা সম্পর্কে কিছু বেসিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী।
শুধু ফ্লেক্সিলোড ব্যবসাই নয়, যেকোনো ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরুর পূর্বে একটু সময় নিয়ে ব্যবসা সম্পর্কে ভাবতে হবে আপনাকে।
কেন আপনি ক্ষুদ্র ব্যবসা করার কারণ হচ্ছে আপনার স্বল্প পুজি বলে আপনি মনে করি ( প্রাথমিক পর্যায়ে)।
তবে বাংলাদেশে এখন অনেক বড় বড় দোকানদার ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করে থাকেন, তাই আপনি চিন্তিত হবেন না।
স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তাই ব্যবসার মূলধন যাতে নষ্ট না হয় সে বিষয়ে আপনাকে লক্ষ্য রেখে এবং সামনে এগোতে হবে।
1. ফ্লেক্সিলোড ব্যবসার স্থান নির্ধারণ
বন্ধুরা যে কোন ব্যবসা শুরু করার পূর্বে ঐ ব্যবসার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরী।
সফল ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে লভবান হতে, স্থান নির্ধারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
কেননা ব্যবসার জন্য স্থান নির্ধারণ সঠিক না হলে অনেক সময় আপনাকে ব্যবসা পরিচালনা করতে অনেকটা বেগ পেতে হবে।
ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা পরিচালনার জন্য আপনাকে জনসমাগম যেখানে বেশি এরকম স্থান নির্ধারণ করতে হবে।
আপনি মার্কেট পর্যায়ে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করতে চান, তবে মার্কেটের সামনের অংশে দুকান নেয়ার চেষ্টা করুন।
আর মহল্লা/এলাকা হলে জনসমাগমপূর্ণ স্থান, যে স্থানে লোকজন বিকেলের সময় বেশি সময় অতিবাহিত করে ঐরকম স্থান নির্ধারণ করুন।
২. ফ্লেক্সিলোড সিমে নিতে আপনার কাছে কি কি কাগজ থাকতে হবে
বন্ধু আমার এখন বাংলাদেশের যে কোন ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে আপনার ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। অন্যান্য ব্যবসা শুরুর পরেও ট্রেড লাইসেন্স করা যেতে পারে।
তবে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা শুরু করার পূর্বেই আপনার ট্রেড লাইসেন্স লাইসেন্সের প্রয়োজন।
তাই দোকান দেয়ার স্থান নির্ধারণ পরবর্তী দোকান ও দোকানের ঠিকানা সহকারে আপনার এলাকার নির্দিষ্ট অফিসে যোগাযোগের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স করে নিতে হবে।
প্রথমে আপনাকে একটি দোকান নিতে হবে এবং দোকান মালিকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কাগজপত্র আপনার ভোটার আইডি কার্ড ছবি ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স করে নিতে হবে।
৩. ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম কত
বন্ধুরা ফ্লেক্সিলোড সিম নিতে কোন ধরনের টাকার প্রয়োজন হয় না। আপনার দোকানে কাগজপত্র ঠিক থাকলে আপনি সহজেই পেয়ে যেতে পারেন।
তবে কোম্পানি ধরনের টাকা চার্জ না করে থাকলেও, ক্ষেত্রবিশেষে কোম্পানির এসআর সামান্য কিছু টাকা নেয়া সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।
আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
৪. ইজিলোড সিম কয়টি
বন্ধুরা বাংলাদেশে মোট মোবাইল অপারেট সংখ্যা ৫ টি এবং সকল অপারেটরের ফ্লেক্সিলোড সিম রয়েছে।
বন্ধুরা মূল ধারার ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করতে হলে, আপনার প্রতিটি মোবাইল অপারেটর থেকে আলাদা আলাদা ফ্লেক্সিলোড সিম নিতে হবে।
তবে বর্তমান বাজারে কিছু all-in-one সিম পাওয়া যাচ্ছে। এগুলি থার্ডপাটি সিম। একটি সিমে নিয়ে, এই পদ্দতিতে সকল সিমে টাকা লোড করতে পারবেন।
তবে all-in-one ফ্লেক্সিলোড সিমে কমিশন কম হওয়ায়, বেশি লাভবান হবেন না।
সিম কোম্পানি থেকে ফ্লেক্সিলোড সিম নিলে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশনের পাশাপাশি বিভিন্ন অফারের কোম্পানি বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকে ব্যবসায়ীদের জন্য।
আপনাকে প্রতিটি সিমে সকল অফার সম্পর্কে জানানো হবে। তাই আপনি ৫ টি মোবাইল অপারেটর থেকে ৫ টি ভিন্ন ভিন্ন সিম নিন।
অথাবা, আপনার এলাকায় যে সিম গুলি বেশি চলে ঐ কম্পানির একটি ফ্লেক্সিলোড সিম নিয়ে শুরু করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ
বাংলালিংক নাম্বার চেক করার কোড
৫. ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা লাভ
অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায় লাভের পরিমাণ বেশি।
কেননা এখন প্রতিটি মোবাইল অপারেটর তাদের সিম অফার বেশি বেশি সেল করার জন্য ফ্লেক্সিলোড রিটেলারদের কিছু কমিশন দেয়ার চেষ্টা করে থাকে।
এছাড়াও প্রতি মাসে নির্দিষ্ট দিনে অফার বিক্রিতে রিটেলারদের জন্য রয়েছে বিশেষ কমিশন।
৬. ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায় কমিশন
বন্ধুরা ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসায় মূলত কমিশন পাওয়া যায়। আপনি যত বেশি টাকা সেল করবেন আপনার কমিশন ও বেশি হবে।
বর্তমানে ফ্লেক্সিলোড সিমে ১০০০ টাকা লোড নিলে আপনি ২৮ টাকা কমিশন পাবেন।
অর্থাৎ আপমি ১ হাজার টাকা ফ্লেক্সিলোড সেল করে নেট ২৮ টাকা নেট কমিশন পাবেন।
আবার ১০০০০ টাকা লোড দিলে আপনাকে ১০*২৮=২৮০ টাকা কমিশন দিবে।
এছাড়াও অফার সেল করার কমিশন রয়েছে বিভিন্ন সময়ে।
ইজিলোড ব্যবসা শুরু করার সঠিক পদ্দতি | ফ্লেক্সিলোড করার নিয়ম জানুন
বন্ধুরা আপনারা যদি আপনাদের চারপাশে লক্ষ্য করেন তবে দেখতে পাবেন আপনার আশেপাশে সকল ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা অন্যান্য ব্যবসার সাথে সমন্বয় করে চলছে।
যদি আপনি একক ভাবে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করেও লাভ হয়, তবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা আসার পর ফ্লেক্সিলোড ব্যবসার স্কোপ আরও বেশি বেড়ে গেছে।
আপনি চাইলে মুদি, ফার্মেছি ও অন্যান্য ব্যবসার সাথে পরিচালনা করতে পারেন এই ব্যবসাটি।
ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করার মূল উপাদান
বন্ধুরা ফ্লেক্সিলোড ব্যবসার মূল উপাদান হচ্ছে আপনার ফ্লেক্সিলোড সিম।
তবে ফ্লেক্সিলোড সিম পেতে প্রথমে আপনি ট্রেড লাইচেন্স পেতে প্রয়োজনীয় কাগজ সংগ্রহ করুন।
তবে আপনি যদি অন্য ব্যবসার সাথে করতে চান তবে আপনি প্রথমে নির্দিষ্ট ব্যবসা শুরু করুন।
কেননা আপনি ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করার নিয়ম জেনে গেছেন।
আরও পড়ুনঃ-
ডোমেইন নেম কি? ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে?
ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করার নিয়ম হচ্ছে প্রথমেই উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ তারপর ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করে নির্দিষ্ট কম্পানির বরাবর আপনার ট্রেড লাইসেন্স পৌঁছানো এবং সিমের জন্য আবেদন করা।
ফ্লেক্সিলোড বা ইজিলোড একই ব্যবসার ভিন্ন ভিন্ন নাম। ইজিলোড ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে টেলিকম অপারেটর কোম্পানিগুলো থেকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ইজিলোড সিম নিতে হবে এবং সেগুলোতে টাকা লোড করে গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুসারে রিচার্জ করে টাকা আয় করতে হবে।
ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে শেষ কথাঃ –
আশা করি, আপনি ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে জেনেছেন।
বন্ধুরা ইজিলোড ব্যবসা শুরু করার সঠিক পদ্দতি বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন।
জয়েন করুন আমাদের করুন ফেসবুক পেজ।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।