জুমার দিন ইসলামিক ক্যালেন্ডারে সপ্তম দিন হয়ে থাকে। জুমার দিনের ১১ টি আমল করা মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এটি একটি ধর্মীয় পর্ব এবং সামাজের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের একটি সুযোগ হতে পারে। তাই আজকে জুমার দিনের ১১ টি আমল ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করবো।
জুমার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো জুমার নামাজ আদায় করা। জুমার দিনের ফজিলত সকল মুসল্লীরা মসজিদে একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় করা। এই নামাজের মাধ্যমে মুসলিম জামাত একত্রিত হয় এবং আল্লাহর সামনে যোগাযোগ করে তার ইমান নির্মাণ ও সহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পায়।
ইসলামিক প্রথমিক আমলের মধ্যে জুমা দিনে সান্নাহ ও প্রশংসা প্রাপ্ত কিছু আমল রয়েছে, যা মুসলিমদের আমল করা উচিত। মুসলমানদের জন্য মহা পবিত্র সপ্তাহের একটি দিন, জুমার দিনের ১১ টি আমল নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ
Content Summary
- 1 জুমার দিনের ১১ টি আমল । জুমার দিনের ফজিলত
- 2 ১# আগে আগে ঘুম থেকে উঠা
- 3 ২# আমল মুখুবাত ( গোসল করা )
- 4 ৩# সুন্নিত পোশাক পরিধান করাঃ
- 5 ৪# সূরা আল কাহফ তিলাওয়াত:
- 6 ৫# জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল – সদকাহ দেওয়া
- 7 ৬# বেশি বেশি দোয়া পড়া
- 8 ৭# সুগন্ধি ব্যবহার করা:
- 9 ৮# জুমার নামাজের আগে ৪ রাকাত সুন্নত আদায় করাঃ
- 10 ১০# জুমার নামাজ জামাতে আদায় করা
- 11 ১১# তাহিয়াতুল মসজিদ আদায় করা
- 12 জুমার দিনের দোয়া কবুলের আমল
- 13 জুমার দিনের ১১ টি আমল – জুমার দিনের ১৫ টি সুন্নত সংক্ষেপে
- 14 কেয়ামত শুক্রবারেই অনুষ্ঠিত হবে?
জুমার দিনের ১১ টি আমল । জুমার দিনের ফজিলত

প্রিয় পাঠকবৃন্দ জুমার দিনের ১১ টি আমল সম্পর্কে বর্ণনা করার আগে আপনাদের বলেন এই আমি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান, আমি কোন বক্তা বা মুসলিম বিশেষজ্ঞ না, আমি বিভিন্ন ইসলামিক গ্রন্থ ও ওয়াজ মাহফিলে আলেম ওলামাদের পক্ষ থেকে প্রদান করা বক্তব্যের বিচার বিশ্লেষণ করে এই প্রবন্ধটি তৈরি করছি।
তাই জুমার দিনের ১১ টি আমল এবং জুমার দিনের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে যদি আমার কোন ভুল হয় তাহলে অবশ্যই তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে।
প্রয়োজনে যে কেউই জুমার দিনের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে আপনাদের কাছে থাকা তথ্যগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
এজন্য আপনি জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল যেখানে আমরা ১১ টি আমল সম্পর্কে আলোচনা করেছি সেখানে আপনার পরামর্শটিও যুক্ত করা হবে।
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন, তাই এই দিনকে গরিবের জন্য হজের দিন হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
জুমা নামে পবিত্র কোরআনে একটি স্বতন্ত্র সূরা নাজিল হয়েছে। মহান আল্লাহ তাআলা বলেছেন –
فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِن فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
অর্থ: অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান কর ও আল্লাহকে অধিকরূপে স্মরণ কর; যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সূরা জুমুআ, আয়াত : ১০)
তাই জুমার দিনের আমল ও ফজিলত গুলি ভালোভাবে জেনে সপ্তাহের প্রতিদিনই জুমার দিনের মতো মসজিদে যাওয়া প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমানের উচিত।
সালাতুল জুমা ইসলামের অন্যতম একটি নামাজ। তাই এই দিনে সঠিক নিয়ে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত নামাজ আদায় করা জীবনের বাকিটা সময়।
(জুমু’আহ) শব্দটি আরবী, যা বাংলা ভাষায় আমরা শুক্রবার বলে জানি (জুমার দিন)। এর অর্থ একত্রিত হওয়া, সম্মিলিত হওয়া, কাতারবদ্ধ হওয়া।
১১ টি জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল গুলি হচ্ছে –
- আগে আগে ঘুম থেকে উঠা।
- বেশি বেশি দুরুদ পাঠ করা।
- আগে আগে মসজিদে আসা।
- বেশি বেশি দোয়া করা, কারণ এদিনে দোয়া অধিক পরিমানে কবুল হয়।
- কাতার ভেঙে সামনে যাওয়া নিষেধ।
- সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা।
- গোসল করা।
- সুগন্ধি ব্যবহার করা।
- পায়ে হেটে মসজিদ যাওয়া।
- খুতবার সময় চুপ থায়।
- তাহিয়াতুল মসজিদ আদায় করা।
১# আগে আগে ঘুম থেকে উঠা
মুসলমানদের জন্য আগে আগে ঘুম থেকে উঠা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি দিনটি হয় গরিবের জন্য হজের দিন বা জুমার দিন তাহলে অবশ্যই জুমার দিনের ফজিলত পাওয়ার জন্য এই দিন আরো দ্রুত ঘুম থেকে উঠা উচিত।
তাই দিনের শুরুতেই জুমার দিনে দ্রুত ঘুম থেকে উঠুন, যাতে আপনি জুমার দিনের ১১ টি আমল ও প্রথম আমলটি সহ অন্যান্য সকল আমলগুলো যথা নিয়মে পালন করতে পারেন।
২# আমল মুখুবাত ( গোসল করা )
জুমার দিনের ১১ টি আমল এর মধ্যে সর্বপ্রথম হচ্ছে জুমার নামাজের আগে সান্নাহ গোসল করা সুন্নাহ। সান্নাহ গোসল করে শরীর পরিষ্কার করুন।
আমল মুখুবাত, যা আমাদের সম্প্রদায়ে গোসল বলা হয়, একটি পরিশুদ্ধতা প্রাপ্তির প্রক্রিয়া বা আমল হলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক অবস্থা।
গোসলের মাধ্যমে জুমার দিনে পবিত্রতা অর্জন মুসলিম শরীয়তের নজরে শারীরিক এবং আত্মিক পরিশুদ্ধতা প্রাপ্ত করে এবং তাদের ইবাদত প্রক্রিয়া প্রারম্ভ করেন।
সুন্নত গোসলে তিনটি ধাপ: সুন্নত গোসলের তিনটি ধাপ হচ্ছে – নাকে পানি দেওয়া, গড়গড়া করা, এবং সমস্ত শরীর ধৌত করা।
৩# সুন্নিত পোশাক পরিধান করাঃ
সুন্নি ইসলামে পোশাক পরিধানের নির্দেশনা ও সুপরিধান সম্পর্কে কিছু মৌলিক বিষয় আছে, যা মুসলিম লোকের পরিধানে মেনে চলতে হয়।
সুন্নি মুসলিমের পোশাকের উপর নির্দেশনা দেওয়া হয় যে, পোশাকগুলি পর্যাপ্ত সাফসফাই ও পরিষ্কার থাকতে হবে। জুমার দিনের ১১ টি আমল এর মধ্যে সন্নতি পোশাক পড়া অত্যন্ত গুরুত্তপূর্ণ আমল।
মহান আল্লাহ তায়ালা নবী করীম হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে মুসলমানদেরকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তোমরা তোমাদের সম্পদের মধ্য থেকে নিজেদের উপর খরচ করো এবং গরীবদের উপরও খরচ করো।
আরো একটি হাদিসে পাওয়া যায় আমাদের নবীজি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো কাপড়-চোপড় পরিধান করো। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন ভালো কাপড়-চোপড় পরিধান করা জুমার দিনের ফজিলত।
৪# সূরা আল কাহফ তিলাওয়াত:
সূরা আল কাহফ (Surah Al-Kahf) হলো কোরানের 18 নং সূরা। বিভিন্ন হাদিসের আলোকে জুমার দিনের ফজিলত হিসেবে সূরা আল কাহফ তেলাওয়াত করার নির্দেশনা পাওয়া যায়।
এই সূরাটির তিলাওয়াত সুন্নি মুসলিমরা সালাতের সময় অথবা আরাধনা সাংস্কৃতির মধ্যে পঠিত হতে পারে। এটি কোরানের মোট 114 সূরা মধ্যে একটি সূরা এবং এটি প্রশংসা প্রাপ্ত করা হয় তাদের জন্য যারা এটি পাঠ করে অনুসরণ করে।
৫# জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল – সদকাহ দেওয়া
সদকাহ দেওয়া ইসলামিক শরীয়া অনুসরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো। সদকাহ মুসলিমের প্রতি অনুভব করা সহানুভূতি এবং মহান কার্য হতে পারে, এবং আপনার যত্নশীল অবস্থান একটি ধরণের ইবাদত হতে পারে।
তাই জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল গুলির মধ্যে একটি হচ্ছে সদকাহ দেওয়া।
ইসলামে, সদকাহের মাধ্যমে দরিদ্র, স্থানীয় সমুদায়, অপসঙ্গত, অসহায়, প্রতিবন্ধিত, এবং দরিদ্র মানুষদের সাথে সহানুভূতি এবং সহায়কতা প্রদান করা হয়।
সদকাহ দেওয়া একটি ভাল কাজের সাথে এবং সামাজিক প্রতি দায়িত্ব এবং আল্লাহর প্রতি আদর্শ প্রকাশ করে।
৬# বেশি বেশি দোয়া পড়া
জুমার দিনের ১১ টি আমল এর মধ্যে দোয়া পড়া ইসলামিক সংস্কৃতি মধ্যে একটি প্রথমোপায়ী আমল। এই দোয়াটি জুমার দিনের সান্নিধ্যে পড়া মুসলিমদের মধ্যে একটি সুন্নাহ আমল।
দোয়াটি পড়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর দিকে আমাদের ব্যাপারিক প্রতীক্ষা এবং আল্লাহর রহমত এবং বরকতের জন্য প্রার্থনা করি।
নিম্নলিখিত হলো জুমার দিনের দোয়া
সূরা কাহফ দোয়া (বাংলা অনুবাদ): “আমি জানি, যে তু সব কিছু জান এবং আমি তোমার অনুসরণের মাধ্যমে সব প্রাণীর অবশ্যই নিয়ে যাব। এবং যে তু যে কোন কাজে সর্বদা যত্নশীল এবং আল্লাহ স্বীকৃতি পেয়, সে কোনও যত্নশীল নয়।” (সূরা কাহফ, আয়াত 26)
এই জুমার দিনের এই দোয়া পড়ার মাধ্যমে মুসলিম আমীরা আল্লাহর দিকে তাদের প্রতি শুভেচ্ছা এবং নেতার সহানুভূতি প্রকাশ করে, যাতে তারা জুমার দিনে পরম রহমত এবং বরকত পেতে সমর্থ হোক।
৭# সুগন্ধি ব্যবহার করা:
ইসলামিক শরীয়াতে সুগন্ধি ব্যবহার আপনি যে কোন দিনেই করতে পারেন, সাথে সাথে আপনি জুমার দিনে যে কোন বিশেষ কোনও সুগন্ধি বা ইত্তার ব্যবহার করতে পারেন।
জুমার দিনের ফজিলত আরো বৃদ্ধি করতে সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন, তবে সুগন্ধি ব্যবহার করার জন্য কোনও বিশেষ নির্দেশনা বা নিষিদ্ধি ইসলামিক শরীয়াতে নেই।
এটি একটি ব্যক্তিগত পছন্দ এবং শ্রদ্ধাশীলতার বিষয়। তবে, সম্প্রেষণের সময় সদয় সাবধানতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আপনি কারো কিছুতে বা কারো সাথে সমস্যায় পড়েন না।
এবং সুগন্ধি বা ইত্তর ব্যবহারের সময় আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে এবং উচিত দামের প্রোডাক্ট ব্যবহার করার চেষ্টা করুন, যাতে করে আপনি অন্যের বিরক্তির কারণ না হন এবং কাউকে ক্ষতি পৌঁছানো না যায়।
আরও পড়ুনঃ
ইসলামিক সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর জানুন
ইসলামিক ফাউন্ডেশন রোজার সময়সূচি
৮# জুমার নামাজের আগে ৪ রাকাত সুন্নত আদায় করাঃ
জুমার নামাজের আগে সুন্নত নামাজ আদায় করা একটি সুন্নত আমল হতে পারে, যা কিছু মুসলিম জামাতের মধ্যে অনুষ্ঠিত করে।
এই সুন্নত নামাজের নাম “সুন্নত মুঐব্বাহ” বা “সুন্নত ঘায়াযিলাহ” নামে পরিচিত। জুমার দিনের ১১ টি আমল আমাদের সকলের মানা উচিত।
সুন্নত নামাজের পরিমাণ চার রাকাত এবং এই নামাজের মধ্যে কোনও সুন্নত সূরা নির্ধারণ করা হয় না।
এটি একটি সুন্নত আমল হয় এবং এটি জুমার নামাজের পূর্বে চার রাকাত আদায় করার বিধান রয়েছে। আমরা সাধারণভাবে সুন্নত নামাজের পর জুমার নামাজ আদায় করি, কিন্তু এটি বাধ্যতামুক্ত নয়।
জুমার নামাজের আগে সুন্নত নামাজ আদায় করার মধ্যে কোনও কোনও সখ্য নির্দিষ্ট নয়, এবং এটি জুমার নামাজের জন্য অপরিহার্য নয়।
তবে, যে কেউ এই সুন্নত নামাজ আদায় করতে ইচ্ছুক তা করতে পারেন, যত্ন সহিত।
৯# জুমার খুতবা শোনা – খুতবার সময় চুপ থাকা
জুমার দিনে ফজিলত পূর্ণ আমল সমূহের মধ্যে একটি হচ্ছে জুমার খুতবা সোনা এবং সেই সাথে জুমার খুতবা চলাকালীন সময় চুপ থাকার নির্দেশনা রয়েছে।
তাই অবশ্যই জুমার দিনের আমল ও ফজিলত অবশ্যই খুতবা শুনতে হবে মনোযোগ সহকারে।
১০# জুমার নামাজ জামাতে আদায় করা
জুমার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো জুমার নামাজ আদায় করা। এই নামাজের মাধ্যমে মুসলিম জামাত একত্রিত হয় এবং আল্লাহর সামনে যোগাযোগ করে তার ইমান নির্মাণ ও সহিষ্ণুতা বৃদ্ধি করে।
জুমার দিনে মসজিদে জুমার নামাজ পড়া সুন্নত। এই নামাজে মুসলিম সম্প্রেষণ এবং জামাতের উপদেশ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক আদর্শ বৃদ্ধি পায়।
১১# তাহিয়াতুল মসজিদ আদায় করা
জুমার দিনে বাড়তি ফজিলত পাওয়ার জন্য আপনি তাহিয়াতুল মসজিদ নামাজ আদায় করা করতে পারেন।
অনেক আলেম ওলামারা এই দিনে যেহেতু বেশি বেশি আমল করার কথা বলেছেন, তাই তাহিয়াতুল মসজিদ আদায় করার কথা বলেছেন।
জুমার দিনের দোয়া কবুলের আমল
জুমার দিনে আপনি অবশ্যই উল্লেখিত ১১ টি আমল করবেন। তবে জুমার দিনের ফজিলত পূর্ণাঙ্গভাবে পেতে চাইলে আপনাকে পূর্ব থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
তাই জুমার দিনের দোয়া কবুলের আমল গুলি জুমার আগের দিন থেকে এবং যেদিন জুমা সেদিন সকাল থেকে শুরু করুন।
আরও পড়ুনঃ
ডান চোখ লাফালে কি হয় ইসলাম কি বলে?
জুমার দিনের ১১ টি আমল – জুমার দিনের ১৫ টি সুন্নত সংক্ষেপে
আপনাদের আবারো মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য সংক্ষেপে শুক্রবারের মূল ইবাদত গুলি সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে:
বৃহস্পতি বার রাতে দরুদ শরিফ পাঠ করা: আপনি যে কোন দরুদ শরিফ পড়তে পারেন, যেটি নবী মুহাম্মদ (সা.) এর মহান প্রশংসা এবং আশীর্বাদ সহ।
ফজরের নামাজে সুরা সাজদা ও সুরা ইনসান তেলাওয়াত করা: শুক্রবারের ফজর নামাজে সূরা সাজদা (সূরা ৩২) এবং সূরা ইনসান (সূরা ৭৬) তেলাওয়াত করা সুন্নত।
গোসল করা: শুক্রবারে গোসল করা আমলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হতে হবে: নাকে পানি দেওয়া, গড়গড়া করা, এবং সমস্ত শরীর ধৌত করা।
উত্তম পোশাক পরা: শুক্রবারে সলাতের সময় উত্তম পোশাক পরা সুন্নত।
সুগন্ধি ব্যবহার করা: মুসলিম সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন যেন তাদের শরীর সুগন্ধিত থাকে।
মসজিদে যাওয়া: শুক্রবারে মসজিদে গিয়ে ইবাদত করা সুন্নত।
ইমামের কাছাকাছি বসা: মসজিদে গিয়ে ইমামের কাছে বসে আদায় করা সুন্নত।
জুমার নামাজের আগে ৪ রাকাত সুন্নত আদায় করা: জুমার নামাজের আগে মসজিদে গিয়ে ৪ রাকাত সুন্নত আদায় করা সুন্নত।
খুতবা শোনা: মসজিদে খুতবা শোনার সময় মনোযোগ দেওয়া সুন্নত।
সূরা কাহফ তেলাওয়াত করা: শুক্রবারে সূরা কাহফ (সূরা ১৮) তেলাওয়াত করা সুন্নত।
এই জুমার দিনের ১১টি আমল শুক্রবারের ইবাদতের একটি সুন্নত উপায় হতে পারে। এগুলি মুসলিম জীবনে ধারণ করা এবং নিজের আমলে লাগানো সবার জন্য উপকারী হতে পারে।
কেয়ামত শুক্রবারেই অনুষ্ঠিত হবে?
কেয়ামত এ দিনেই সংঘটিত হবে। আল্লাহ তায়ালা প্রতি সপ্তাহে মানবজাতির সমাবেশ ও ঈদের জন্য এ দিন নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু পূর্ববর্তী উম্মতরা তা পালন করতে ব্যর্থ হয়। ইসলামে জুম্মার গুরুত্ব অপরিসীম।
আল্লাহপাক কোরআন পাকে ইরশাদ করেন,
‘হে মুমিনগণ জুম্মার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের উদ্দেশেও দ্রুত ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর’। সূরা জুমা, আয়াত নং-৯।
আরও পড়ুনঃ
সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন বেতন কত টাকা | সিঙ্গাপুর দেশটি কেমন?
ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান কত? | Highest Score in ODI cricket
ক্রিকেট বিশ্বকাপ কে কতবার নিয়েছে?। বিশ্বকাপ জয়ী দলের তালিকা
কোন দেশের টাকার মান বেশি | কুয়েতের টাকার মান কত?
১ ভরি সোনার দাম কত ২০২৩ বাংলাদেশে | ২১, ২২ ক্যারেট সোনার রেট
জুমার দিনের ১১ টি আমল সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর পর্ব
পবিত্র জুমার নামাজে দুই রাকাত ফরজ রয়েছে। এছাড়া ফরজ নামাজের পূর্বে চার রাকাত কাবলাল জুমা এবং পরে চার রাকাত বাদাল জুমা (সুন্নত নামাজ) আদায় করতে হয়। জোহরের নামাজের মতো ব্যক্তি চাইলে এসময় অতিরিক্ত নফল নামাজ আদায় করতে পারে।
জুমার নামাজের ১১ টি আমল হলো- ১। আগে আগে ঘুম থেকে উঠা। ২। বেশি বেশি দুরুদ পাঠ করা।৩। আগে আগে মসজিদে আসা। ৪। দোয়া করা কারণ এদিনে দোয়া অধিক পরিমানে কবুল হয়। ৫। কাতার ভেঙে সামনে যাওয়া নিষেধ। ৬। সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা। ৭। গোসল করা। ৮। সুগন্ধি ব্যবহার করা। ৯। পায়ে হেটে মসজিদ যাওয়া। ১০। খুতবার সময় চুপ থায়, ১১। তাহিয়াতুল মসজিদ আদায় করা।
শেষ কথা
আশা করছি জুমার দিনের ১১ টি আমল আরটিকেলটি শেষ পর্যন্ত পরেছেন। যদি পরে থাকেন তাহলে আপনার এই বিষয়ে আর কোনো প্রশ্ন থাকার কথা না।
কেননা এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জুমার দিনের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি।
জুমার নামাজের ফজিলত ও জুমার দিনের ফজিলত অর্জন করতে সকল নিয়ম কানুন গুলো সঠিকভাবে পালন করুন।
আরও পড়ুনঃ
তারপরও যদি আপনার কোনো মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন।
সব বিষয়ে নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট। চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।