সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ৫ টি বাক্য সম্পর্কে জানতে আপনারা অনেকেই গুগল সার্চ করে থাকেন। আজকে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ৫ টি বাক্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই জানে বাংলাদেশ হচ্ছে একটি ইতিহাস বহুল দেশ। এ দেশের সৌন্দর্য এবং নানান দিক দেখে বিশ্বের বিভিন্ন মানুষ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলেও এ দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে সকলেরই আগ্রহ খুবই বেশি।
এদেশের ইতিহাসের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পাকিস্তানের হাত থেকে নিজেদের দেশকে রক্ষা করার জন্য বাঙালি জাতির যে সংগ্রাম সে সংগ্রামের ইতিহাস পড়তে সকলেই আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন।
এরই প্রেক্ষিতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ৫ টি বাক্য জানতে আজকের এই আর্টিকেলে আপনারা এসেছেন। তাই আপনারা যদি আমাদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য পড়তে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।
Contents In Brief
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পাঁচটি বাক্য
মূলত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম কারণ হচ্ছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের নিপীড়ন নির্যাতন।
১৯৫২ সালে পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষাকে উর্দু করতে চাইলে সে সময় বাঙালিরা আন্দোলন করে।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ১৪৪ ধারা যারে থাকলেও বাঙালিরা সেদিন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে রাজপথে নেমেছিল।
তবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা সেসময় নিরীহ বাঙালিদের ওপর গুলি চালায় এবং সেদিনের সেই ঘটনায় শহীদ হয়েছিলেন শফিক, বরকত, রফিউর সহ নাম না জানা আরো অনেকে।
বাঙালি হচ্ছে বীরের জাতি সে সময় সেটি প্রমাণিত হয়েছিল।
পৃথিবীর অন্য কোন দেশ ভাষার জন্য কিংবা নিজের ভাষাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রক্ত ক্ষয় করেনি।
তবে সেখানেই শেষ নয়।
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা ঘুমন্ত নিরীহ বাঙ্গালীদের ওপর নিম্ন নির্যাতন চালায় এবং হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় বাঙ্গালীদের ওপর।
সে সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুরো বাঙালি জাতি একজোট হয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
যে যেভাবে পেরেছে বাংলাদেশের যুদ্ধে নেমে পড়েছিল।
এর পরবর্তীতে দীর্ঘ ৯ মাস এই যুদ্ধ চলে এবং এই যুদ্ধে ৩০ লক্ষ বাঙালি প্রাণ হারায়।
এছাড়াও ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালিকে নিজেদের দেশ ফিরিয়ে দেওয়ার পূর্বে ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।
বাংলাদেশ যেন পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে না পারে এবং এই দেশটি যেন এগিয়ে যেতে না পারে তাই ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা করা হয়েছিল।
এদেশের শিক্ষক, ডাক্তার, পুলিশ, আইনজীবী সকল বুদ্ধিমান পেশার মানুষদের এদিনে হত্যা করা হয়।
এর পরবর্তীতে বাংলাদেশের হস্তক্ষেপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ৫ টি বাক্য
১/ ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ঘুমন্ত বাংলার উপর হত্যাযজ্ঞ চালায়।
২/ ২৬ শে মার্চ গভীর রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতির উদ্দেশ্যে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
৩/ সে রাতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে কারাগারে বন্দি করা হয়।
৪/ ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের সকল বুদ্ধিজীবীদের গণহারে হত্যা করা হয়।
৫/ ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানে হানাদার বাহিনীরা ৯৪ হাজার সৈন্যসহ আত্মসমর্পণ করেন।
আরও পড়ুনঃ
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ৫ টি বাক্য FAQS
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ৫ টি বাক্য?
১/ ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ঘুমন্ত বাংলার উপর হত্যাযজ্ঞ চালায়।
২/ ২৬ শে মার্চ গভীর রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতির উদ্দেশ্যে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
৩/ সে রাতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে কারাগারে বন্দি করা হয়।
৪/ ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের সকল বুদ্ধিজীবীদের গণহারে হত্যা করা হয়।
৫/ ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানে হানাদার বাহিনীরা ৯৪ হাজার সৈন্যসহ আত্মসমর্পণ করেন।
উপসংহার
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ৫ টি বাক্য আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি।
আশা করছি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্যগুলো আপনারা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।
এছাড়াও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটে আরো আর্টিকেল রয়েছে।
আপনারা চাইলে সে সকল আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জেনে নিতে পারেন।
তবুও যদি আপনাদের এ বিষয়ে আরো কোনো তথ্য জানার থাকে তবে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন।
আপনারা যারা অনলাইন থেকে ইনকাম কিংবা ঘরে বসে কিভাবে খুব সহজে আয় করা সম্ভব সে বিষয়ে জানতে চান তারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এই সংক্রান্ত আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন।
আমাদের ওয়েবসাইটের সকল আর্টিকেলগুলো সবার আগে পেয়ে যেতে জয়েন করতে পারেন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে।
ধন্যবাদ।
আরও পড়ুনঃ
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।