৭ই মার্চ কি দিবস? এই সম্পর্কে বর্তমানে অনেকেই জানতে চান। 7 March Ki Dibosh? জানা একজন বাংলাদেশি হিসাবে জানা জরুরী, কেননা বাংলাদেশকে জানতে হলে 7ই মার্চ কি দিবস ও কেন পালন করা হয় তা জানতে হবে।
পাঠক বৃন্দ বিশেষ করে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে ৭ ই মার্চের মহা গুরুত্বপূর্ণ দিবস সম্পর্কে জানা জরুরী।
আপনারা কি জানেন, আপনারা যদি এ বিষয়ে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাবো ৭ই মার্চ কি দিবস।
৭ই মার্চ একটি ঐতিহাসিক দিবসের বিষয়ে আমরা সকলেই জানি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির উদ্দেশ্যে এই দিনে ভাষণ দিয়েছিলেন।
তার সেই ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে বাঙালি জাতির ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল।
তবে এই ৭ই মার্চ কি দিবস কিংবা ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা।
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে ৭ই মার্চ কি দিবস এবং ৭ই মার্চের সম্পর্কে সকল বিস্তারিত তথ্য গুলো প্রদান করার চেষ্টা করব।
৭ই মার্চ কি দিবস? – 7 March Ki Dibosh
৭ই মার্চ হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। ২০২০ সালের ২৫ শে মার্চ হাইকোর্টে ৭ই মার্চ কে একটি জাতীয় দিবস হিসেবে রায় দেয়া হয়েছিল।
পাকিস্তানিদের হাতে যখন বাঙালি জাতি অত্যাচার এবং নিপীড়িত হচ্ছিল ঠিক সেই সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব প্রদান করেছিল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল।
৭ ই মার্চের দেওয়া সেই ভাষণে বাঙালি জাতি অনেকটাই উজ্জীবিত হয় এবং বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য ৩০ লক্ষ বাঙালি নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করে।
তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষণটি।
সেদিন তিনি তিন মিনিট ২০ সেকেন্ডে যে ভাষণ দিয়েছিলেন সে ভাষণ পৃথিবীর অন্যান্য বক্তব্য ভাষণ থেকে আলাদা।
আরও পড়ুনঃ
বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক কে?
ফুসফুসের সমস্যা ও সমাধান | সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকারের উপায়
জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে এই ভাষণের মর্যাদা অবশ্যই অনেক উপরে।
বাংলাদেশ বর্তমানে একটি স্বাধীন দেশ এই দেশটিকে স্বাধীন করার জন্য যিনি সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
নানান ধরনের পদক্ষে বাঙালি জাতিকে নিজের সর্বস্ব প্রদান করা সহ তিনি বাঙালি জাতির জন্য আশীর্বাদ হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
সেদিনের ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উল্লেখ করেছিলেন রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো তবুও এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।
অর্থাৎ তিনি বাঙালি জাতির জন্য মরতেও প্রস্তুত ছিলেন এবং নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দেয়া হলেও বাংলাদেশকে স্বাধীন করার প্রাণপণ গ্রহণ করেছিলেন।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ জাতীয় দিবস – Historic March 7 National Day
৭ ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ বর্তমানে বাংলাদেশের একটি জাতীয় দিবসে পালিত হয়।
ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ এবং নেতৃত্ব প্রদান করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বাংলাদেশের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ এবং সফল নেতা হিসেবে তার নামটি সবার আগেই রয়েছে। তিনি হচ্ছেন বাংলাদেশের জনক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের কারণে বাঙালি জাতি বুঝতে পেরেছিল যে এটি সময় পাকিস্তানিদের হাত থেকে নিজেদের দেশ রক্ষা করার।
আরও পড়ুনঃ
কিভাবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা যায়?
কাগজ দিয়ে বানানো সবচেয়ে দামি জিনিস কি
এরই প্রেক্ষিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়েছিল বাঙালি জাতি।
প্রায় ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছিলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতীয় সৈন্যেরাও বাংলাদেশকে সাহায্য করেছিল।
বাংলাদেশীদের কাছে ছিল না কোন অস্ত্র ছিল না কিছুই তারা বঙ্গবন্ধুর কথা অনুযায়ী সাহস নিয়ে যুদ্ধ করতে নেমেছিল।
তবে ঐতিহাসিক সেই যুদ্ধে বাংলাদেশকে দমিয়ে রাখতে পারেনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা।
বাঙালি জাতি মুখ তুলে তাকিয়ে ছিল এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।
৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য – Importance and Significance of 7th March Speech
প্রিয় পাঠক বৃন্দ ৭ই মার্চ কি দিবস সে সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আপনারা জানতে পেরেছেন।
৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য আপনি জানেন কি? ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি ৭ই মার্চের ভাষণ প্রদান না করতেন তাহলে হয়তো বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধের আহ্বানে সঠিক সারা পেত না।
এছাড়াও ৭ ই মার্চের ভাষণ হচ্ছে এমন একটি ভাষণ যে ভাষণে রক্ত ক্ষয়ে বিপ্লবে অংশগ্রহণ করেছিল বাঙালি জাতি।
রক্তক্ষয়ী বিপ্লবে অংশগ্রহণ করে বিজয়ের পতাকা ছিনিয়ে আনতে পারে বিশ্বের মানচিত্রে।
মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া এ ধরনের ভাষণ অনেকটাই ব্যতিক্রমী ভাষণ হিসেবে বিবেচিত।
এজন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া এই ভাষণটি বাঙালি জাতি এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অনন্য।
বঙ্গবন্ধুর অপরিশ্রম সেই নেতৃত্ব এবং অপরিশ্রম তার সকল চিন্তাভাবনার কারণেই বাঙালি জাতীয় ঐক্যবদ্ধ হতে সক্ষমতা পায় এবং এই ভাষণের মাধ্যমে একটি ব্যতিক্রমী বাংলাদেশকে দেখেছিল পুরো বিশ্ব।
৭ই মার্চের ভাষণের বৈশিষ্ট্য – Features of the March 7 speech
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ৭ ই মার্চের ভাষণের অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
এই সকল বৈশিষ্ট্য গুলোর মাঝে অন্যতম প্রধানত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন নির্যাতিত একটি জাতির করণীয় কি এবং নির্দেশনা সম্পর্কে।
তার এই ভাষণের মাধ্যমে একটি জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল এবং দেশকে স্বাধীন করতে সক্ষম হয়েছিল।
এর পরবর্তীতে যে বৈশিষ্ট্যটা আমরা পরিলক্ষিত করতে পারি সেটি হচ্ছে এই ভাষণে একটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে- এর কাব্যিকতা; শব্দশৈলী ও বাক্যবিন্যাসে তা হয়ে উঠেছে গীতিময়ী ও শ্রবণে চতুর্দিকে অনুরণিত।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটির আরো অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
Palli Bidyut Bill Payment Online
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে কিছু কথা
৭ ই মার্চ হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রবিবার ছিল।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের 7ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হিসাবে পালন করা হয়।
৭ই মার্চ হচ্ছে বাংলাদেশর ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দিন, ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দ্যেশ্যে ভাষণ দেন এবং পশ্চিম পাকিস্তানের স্বৈরাচারী শাসক গোষ্ঠী থেকে নিজেদের মুক্ত করার পথ দেখান বাঙ্গালী জাতিকে।
উপসংহার
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ ৭ ই মার্চ কি দিবস সে সম্পর্কে জানতে আপনারাও অনেকেই গুগল সার্চ করেছিলেন।
আমরা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি ৭ই মার্চ কি দিবস।
৭ ই মার্চ কি দিবস (7 March Ki Dibosh) সেই বিষয়টি হয়তোবা আপনারা ইতিমধ্যেই জানতে পেরে গিয়েছেন।
আপনাদের যদি আজকের এই আর্টিকেল সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন মতামত থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।
এছাড়াও আমাদের ওয়েবসাইট সংক্রান্ত সকল আর্টিকেলগুলো সবার আগে পেতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটে জয়েন করুন।
এর পাশাপাশি ফলো করে রাখতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইটের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ।
সব বিষয়ে নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট।
ইন্টারনেট থেকে তথ্য পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে।
আরও পড়ুনঃ
শবে বরাত কবে ২০২৩ | শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া
শবে বরাতের রোজা কয়টি? | শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায়
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।