কোষ্ঠকাঠিন্য কি? কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানা খুবই জরুরী। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে অনেকেই আক্রান্ত হয় যার কারণে এটি সকলের কাছে একটি পরিচিত রোগ। যাদের টয়লেট নিয়মিত হয় না কিংবা শক্ত টয়লেট হয় তারাই এই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে আক্রান্ত। পায়খানা শক্ত হয়ে যাওয়া, টয়লেট ক্লিয়ার না হওয়া কোষ্ঠকাঠিন্য রোগেরই লক্ষণ। আর এই রোগ থেকে হতে পারে বড় কোন ধরনের ক্ষতি।
যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে যদি আপনি ভোগে থাকেন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনার অবগত থাকা উচিত।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ যদি ঘরোয়া উপায়ে সমাধান করা যায় তাহলে কোন ওষুধের প্রয়োজন হয় না, এজন্য আপনাকে কিছুটা সচেতন হতে হবে এবং যুগ যুগ ধরে লোকেরা যে পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করছে আমরাও এখানে সেই পদ্ধতিগুলোকে বিস্তারিত আলোচনা করবো এই নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে আপনাকে।
আর তাই আপনাদেরকে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানাতে আজকের আর্টিকেলটি নিয়ে চলে এসেছি আমি।
আজকের আর্টিকেলের আলোচনা থেকে আপনারা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
Content Summary
- 1 কোষ্ঠকাঠিন্য কি? What is constipation?
- 2 কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ গুলো কি কি
- 3 কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় – কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের কারণ গুলি কি কি
- 4 বেশি তেল মসলাযুক্ত খাবার
- 5 বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- 6 কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় – Home Remedies to Relieve Constipation
- 6.1 ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
- 6.2 কোষ্ঠকাঠিন্য ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম
- 6.3 বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে
- 6.4 নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীর চর্চা
- 6.5 পায়খানা চেপে রাখা যাবে না
- 6.6 মধু ব্যাবহারে দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়
- 6.7 পাকা কলা
- 6.8 দুধ খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়
- 6.9 টাটকা শাকসবজি
- 6.10 ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দূর করতে হবে
- 7 কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি খাওয়া উচিত নয়
- 8 কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঔষুধের নাম
- 9 Home Remedies to Relieve Constipation – কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে FAQS
- 10 কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে শেষ কথা
কোষ্ঠকাঠিন্য কি? What is constipation?
পায়খানা অনিয়মিত ও শক্ত হাওয়াকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়ে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগটিকে আমরা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা বলতে পারি। সাধারণত সপ্তাহে তিনবারের কম পায়খানা হলে সেটিকে বলা হয় কোষ্ঠকাঠিন্য। এই সমস্যার কারণে একজন ব্যক্তিকে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুবিধায় পড়তে হয়।
এই রোগে আক্রান্তদের পায়খানা শক্ত থাকে, মলত্যাগ করার সময় অনেকক্ষণ কসরত করতে হয়, পায়খানা ক্লিয়ার হয় না।
মোটকথা কষার সমস্যার আরেক নাম কোষ্ঠকাঠিন্য। কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে বর্তমানের বিভিন্ন রিচ ফুড ,জাঙ্ক ফুড কিংবা অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় খাবার গ্রহণের ফলে।
এছাড়াও সময় মতো খাবার না খেলে, পরিমাণ মতো পানি পান না করলে, পর্যাপ্ত খাবারের অভাবেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়?
যদিও কষ্টকাঠিন্য একটি পরিপাক তন্ত্রের সমস্যা, তথাপি অন্যান্য বাহ্যিক কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা হয়ে থাকে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন আমরা যা খাই তা আমাদের অন্ত্রে একটি মাইক্রোবায়োম তৈরি করে যা খাদ্য হজম এবং পুষ্টি উপাদান শোষণের জন্য দায়ী। পুষ্টিবিদরা আরও যোগ করেছেন যে অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণের অভ্যেস উদ্ভিজ্জ খাদ্য খাওয়া সীমিত করে। এর ফলে হয় কোষ্ঠকাঠিন্য।
কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ গুলো কি কি
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানার আগে কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণগুলো জেনে নেওয়া প্রয়োজন। দেখে নিন কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ গুলো কি কি;
- পেটে চিনচিনিয়ে ব্যথা অনুভব করা।
- পেট ফাঁপা হয়ে থাকা।
- পায়খানা অস্বাভাবিক রকমের শক্ত।
- পায়খানা করতে গেলে অনেক কসরত করতে হয়, অনেকক্ষণ বসে থাকার পরেও টয়লেট হয় না।
- পায়খানা করার পরেও পেট পরিষ্কার হয় না।
- অনেক সময় বমি বমি ভাব কিংবা বমি হয়।
- এক সপ্তাহে তিনবারের কম অথবা কয়েকদিন পর পর টয়লেট হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় – কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের কারণ গুলি কি কি
কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো বিরক্তিকর এই সমস্যাটি হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এজন্য আপনাকে কিছু পদ্ধতি মেনে চলতে হবে, যেখানে আপনার খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি আপনার নিত্যদিনের কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।
প্রথমে আপনাকে জানাবো কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনার যে অভ্যাসগুলো পরিহার করা উচিত।
তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় জানার আগে এই সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে জেনে নিন;
যে অভ্যাসগুলো পরিহার করতে হবে আপনাকে
পর্যাপ্ত পানির অভাব
শরীরের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় তরল হলো পানি। কোন ব্যক্তি যদি তার শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত পানি পান না করে তাহলে তিনি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগতে পারেন।
খাবারের মধ্যে থাকা ফাইবারের সাথে পানি মিলে টয়লেটকে নরম করতে সাহায্য করে।
তাই খাবারের পর পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না খাবার কারণে শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকলে পায়খানা শক্ত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের দেখা দেয়।
আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া
আঁশযুক্ত খাবার কম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। ডায়াটারি ফাইবারের অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। যার কারনে আশ যুক্ত শাকসবজি ফলমূল বেশি বেশি খেতে হয়।
বেশি তেল মসলাযুক্ত খাবার
মুখরোচক বাইরের বিভিন্ন তেল মসলাযুক্ত খাবারগুলো যেন বেশি টানে। কিন্তু এই খাবার থেকেই হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা।
তাই যতটা সম্ভব বাইরের তৈলাক্ত খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখা।
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন
সারাদিন শুয়ে বসে কাটানো কোন কাজ না করা, কোন শারীরিক পরিশ্রম না করলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। মানসিক চাপ কোষ্ঠকাঠিন্যের আরো একটি কারণ হতে পারে।
বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
বিশেষ কিছু ওষুধ সেবন থেকে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য।
আইবুপ্রোফেন, আয়রন ট্যাবলেট, ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট, কেমোথেরাপিতে ব্যবহৃত ওষুধ, ট্রামাডল ওপিয়েট জাতীয় ব্যাথা নাশক ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরো পড়ুনঃ
এইচএসসি রেজাল্ট ২০২৩ দেখার নিয়ম
৪ বিশ্বকাপে মেসির গোল সংখ্যা কত
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় – Home Remedies to Relieve Constipation
মানবদেহে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের উপস্থিতি খুবই অস্বস্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক। যত তাড়াতাড়ি এই রূপ থেকে মুক্ত হওয়া যায় ততই মঙ্গল।
কাজেই এখন আমরা আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয় অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিব।
প্রথমত বলে রাখা ভালো কোষ্ঠকাঠিন্য কি খেলে ভালো হয় ওই সকল খাবারগুলো আপনাকে নিজের খাবার তালিকায় যুক্ত করতে হবে।
যদিও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় হচ্ছে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা, খাবারের পর পর্যাপ্ত পানি খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীরচর্চা করা এবং টাটকা শাকসবজি খাওয়া।
এছাড়াও আরো বেশ কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো নিয়মিত সেবনে আপনি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারেন।
চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই কোষ্ঠকাঠিন্য ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম সহ অন্যান্য নিয়ম গুলো যে নিয়ম গুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য ঘরোয়া উপায়ে দূর করতে পারবেন।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কিংবা আঁশযুক্ত খাবারের অভাবে দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের আশ যুক্ত কিংবা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীর দৈনিক প্রায় ৩০ গ্রাম ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। যেমন লাল চালের ভাত কিংবা লাল আটার রুটি, ডাল, টমেটো, আলু, শসা, পেঁপে আশযুক্ত খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মিলবে।
আরও পড়ুনঃ
পৃথিবীতে কয়টি মুসলিম দেশ আছে?
পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি কে?
কোষ্ঠকাঠিন্য ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসুবগুলের ভুসি খেতে পারেন। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া একটি টোটকা।
ইসুবগুলের ভুষিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যার কারণে এটি আপনার পায়খানা নরম করতে সাহায্য করবে।
ইসবগুলের ভুষি পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম হলো সকালে খালি পেটে ও রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়া।
বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির অভাব কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম কারণ। তাই প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার পানি পান করতে হবে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে।
যেহেতু কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে তাই ফাইবারের সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা জরুরী।
নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীর চর্চা
সারাদিন শুয়ে বসে থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। তাই শারীরিক পরিশ্রম কিংবা নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম বা শরীর চর্চা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার একটি ঘরোয়া উপায়।
তবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কোন ভারী ব্যায় াম করার প্রয়োজন নেই। শরীরকে সচল রাখতে নিয়মিত হাঁটাচলা, হালকা স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম করলেই যথেষ্ট।
পায়খানা চেপে রাখা যাবে না
প্রায়ই অনেকেই এই ভুলটি করে থাকেন পায়খানার বেগ আসা সত্ত্বেও পায়খানার চেপে রাখেন। এটি করলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়সম্পর্কে জেনে কোন লাভ নেই। কেননা এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে তীব্রতর করতে পারে।
এই কাজটি যারা করেনতারা জেনে রাখুন পায়খানার বেগ আসলে তা যদি চেপে রাখা হয় তাহলে পাইলস ও এনাল ফিসার বা গ্যাজ রোগের মত বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
মধু ব্যাবহারে দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় হলো মধু খাওয়া। যারা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে আক্রান্ত তারা এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন খালি পেটে খেতে পারেন।
এটি নিয়মিত পান করলে কয়েক দিনের মধ্যেই আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
পাকা কলা
কলায় রয়েছে উচ্চমানের ফাইবার যা মানব দেহের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খুবই সাহায্যকারী। কলা শরীরের বজ্জকে বাইরে ঠেলে দিতে সাহায্য করে। যার কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য খুবই উপকারী।
দুধ খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়
হাঁ হয়, দুধ খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এজন্য আপনাকে নিয়ম করে নিয়মিত গরম দুধ ঠান্ডা করে রাতে ঘুমানোর আগে খেতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনি দিনের যেকোনো সময়ও খেতে পারেন।
টাটকা শাকসবজি
বিভিন্ন ধরনের টাটকা সবুজ শাক-সবজি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কাজ করে। পালং শাক, লাউ কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দূর করতে হবে
এমন কিছু ওষুধ রয়েছে যাদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যতায় ভুগতে হয়। যেমন আইবুপ্রফেন জাতীয় ব্যাথা নাশক ওষুধ, আইরন বা ক্যালসিয়ামের সাপ্লিমেন্ট খেলে অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
কাজেই এইসব ওষুধগুলোর বিকল্প খুঁজতে হবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে। এর জন্য আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি খাওয়া উচিত নয়
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় সম্পর্কে আমরা ইতোমধ্যেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছি।
তবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পেতে অবশ্যই জেনে রাখা ভালো কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি খাওয়া উচিত নয়।
চিনি যুক্ত বেকারি পণ্য
চিনি যুক্ত মুখরোচক বেকারির খাদ্যতে ফাইবারের অনুপস্থিতি রয়েছে। কেক, পেস্ট্রি, ডোনাট, বিস্কিট ইত্যাদি চিনি যুক্ত বেপারী পণ্যগুলো কষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের খাওয়া নিষিদ্ধ।
লাল মাংস
গরু বা খাসির লাল মাংসতে অতিরিক্ত চর্বি থাকে যার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের ক্ষেত্রে খারাপ ক্ষতিকর। তাই লাল গরু কিংবা খাসির মাংস কোষ্ঠকাঠিন্য কমানোর জন্য বাদ দিতে হবে।
কাঁচকলা
কাঁচকলা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কি আরো বাড়িয়ে দেয়। কাঁচকলা খেলে পায়খানা শক্ত হয়। যার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের না খাওয়াই ভালো।
ফাস্টফুড
বর্তমানে মানুষের ফাস্টফুড না খেলে যেন চলে না। তবে কোষ্ঠকাঠিন্য যাদের রয়েছে তাদেরকে এই রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে অবশ্যই ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড, রিচ ফুড, স্ন্যাকস ,চিপস, বাদ দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ব্যায়াম
মনে রাখবেন মানব শরীরে ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সমূহের একটি হচ্ছে নিয়মিত ব্যায়াম করা।
নিয়মিত পায়খানা না হলে মানবদেহে তা খুবই যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। নিয়মিত পায়খানা পরিষ্কার রাখতে ব্যায়াম একটি ভালো সমাধান।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য যোগব্যায়াম সাহায্য করে।
বজ্রাসন- পা মুড়ে পায়ের উপর নিতম্ব রেখে বসুন এবং আপনার হাত হাঁটুর উপর রাখুন। খাবার পরে মোটামুটি পাঁচ থেকে দশ মিনিট এই ব্যায়াম করতে পারেন।
বালাসন- বজ্রাসনে বসে হাত সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। শরীরেও সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। নিয়মিত যোগ করার সময় মাত্র ২ মিনিটের জন্য এই ব্যায়াম করলেই যথেষ্ট। এটি পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
পবনমুক্তাসন- দম বন্ধ করে হাঁটু থেকে পা মুড়ে এনে পেটের কাছে দুই হাত দিয়ে চেপে ধরতে হবে। দিনে মাত্র দুই মিনিট এই ব্যায়াম করলে পেটের সমস্যা দূর হবে।
মলাসন- পিঠ ও মাথা সোজা রেখে স্কাউট এর ভঙ্গিতে থাকতে হবে। এটি পেট পরিষ্কার করার জন্য উপযোগী একটি ব্যায়াম।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঔষুধের নাম
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে তো জানলেন। এবার জেনে নিন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ওষুধ সম্পর্কে।
সাধারণত ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া কোন ওষুধ সেবন করার পরামর্শ আমরা দিচ্ছি না।
আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করার পর কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি না পান তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে ওষুধ সেবন করুন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কয়েকটি ওষুধের নাম আমরা বলতে পারি।
তবে একেকজনের শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য পরিমানের উপর নির্ভর করবে ডাক্তার তাকে কোন ওষুধ দিবেন।
তাই কখনোই নিজ থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো জটিল রোগের ঔষধ খেয়ে বিড়ম্বনা বৃদ্ধি করবেন না।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ট্যাবলেট এর নাম হলো
- Bisacodyl(Correction,Ducodyl)
- Sennocides(Senexon,senkot)
- Dulax syrup
আরও পড়ুনঃ
প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় 2023
কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়?
Home Remedies to Relieve Constipation – কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে FAQS
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে মটরশুঁটি, সবুজ শাকসবজি, ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য খেতে হবে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে মানসিক চাপমুক্ত থাকাও জরুরী।
মানুষের কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রধান কারণ হলো নিয়মিত মলত্যাগ না হওয়া, মলত্যাগ করার সময় অনেক কসরত করতে হচ্ছে এমন অবস্থাকেই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ বলা হয়। এটি যে কোন বয়সের মানুষেরই হতে পারে।
যদি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা অনেক দিন জিয়িয়ে রাখা হয়। কোন চিকিৎসা কিংবা ঘরোয়া টোটকা না করা হলে এই রোগটি তীব্র আকার ধারণ করে পাইলস, গ্যাজ সৃষ্টি করতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে শেষ কথা
প্রিয় ভিজিটের বন্ধুরা ইতিমধ্যেই আপনারা আমাদের আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ পড়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত খুঁটিনাটি তথ্য আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে চাইলে আমাদের কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আরও পড়ুনঃ
ফ্রি টাকা ইনকাম apps বিকাশে পেমেন্ট
আমরা নিয়মিত সঠিক তথ্য গুলো আপনাদের প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে থাকি, ইন্টারনেট থেকে সঠিক তথ্য খুঁজে পেতে ডিজিটাল টাচ ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।