ফাইজার কোন দেশের টিকা এ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই গুগল সার্চ করে থাকেন। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে কার্যকরী এবং জনপ্রিয় টিকা হল ফাইজার। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী টিকা হিসেবে ফাইজার সবচেয়ে বেশি খ্যাত।
আমাদের পুরো পৃথিবীতে করনা ভাইরাসের কারণে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং অনেক মানুষ মারা গিয়েছেন। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন।
কিন্তু হাজার টাকার বদৌলতে আমরা এখন অনেকটাই স্বাভাবিক এবং সুস্থ অবস্থায় সমাজে বসবাস করতে পারছি। এই ফাইজার টিকা কোন দেশে উৎপত্তি হয়েছে কিংবা ফাইজার কোন দেশের টিকা আজকে আমরা সেই সম্পর্কে জানব।
ফাইজার কোন দেশের টিকা

সর্বপ্রথম ফাইজার টিকা আবিষ্কার করা হয় জার্মানিতে। জার্মানের চিকিৎসাব্যবস্থা সবচেয়ে উন্নত এবং ভালো এটা আমরা সকলেই জানি।
পৃথিবীব্যাপী জার্মানি তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা দিয়ে রাজত্ব করে আসছে। সম্প্রীতি করোনাভাইরাস এ যখন অনেক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছিল এবং মানুষ মারা যাচ্ছিল।
তখন তারা ফাইজার টিকার উদ্ভাবন করেছিল। এখন এটি পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে এবং মানুষকে নতুন জীবন দানে সহায়তা করছে।
আরও পড়ুনঃ
ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড | surokkha gov bd টিকা কার্ড ডাউনলোড
ফাইজার এর উপকারিতা । ফাইজার কোন দেশের টিকা
ড. বুর্লা মনে করেন, মহামারীর সময় টিকা লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচিয়ে ছিল। এখনো সেই টিকা লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছে। এবং এই টিকা না হলে আমাদের সমাজের মূল কাঠামোর ঝুঁকির মুখে পড়ে যেত।
কোম্পানি ফাইজার এ বছর শেষ হবার আগেই তারা তাদের এম আর এন এ টিকার 300 কোটির সরবরাহ করতে পারবে এবং আগামী বছর তাদের পরিকল্পনা রয়েছে 400 কোটি টাকা সরবরাহ করার। যা পৃথিবীর জন্য সুফল বয়ে আনবে।
ফাইজার কোম্পানির প্রধান নিবার্হী জানান, মানুষকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবার জন্য বিশ্বজুড়ে একটি প্রতিযোগিতা চলছে।
তবে 2022 সালে দেশগুলো যত প্রয়োজন ততবার নিতে পারবে। আমরা তা সরবরাহ করতে সক্ষম হব।
ফাইজার এর কার্যকারিতা

করোনাভাইরাস এর শুরু থেকেই অনেক মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এটি আবার বৃদ্ধি পেতে পারে।
তাই মানুষের আগামী বছর ধরে প্রতিবছর কবিরের টিকা নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে বলে বিবিসিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ওষুধ কোম্পানি ফাইজারের প্রধান নির্বাহি।
ওই সাক্ষাৎকারে ড. আলবার্ট বুর্লা বলেছেন যে, খুবই উচ্চ মাত্রার সুরক্ষা নিশ্চিত করবার জন্যই প্রতিবছর টিকা নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
ফাইজার এর প্রধান নিবার্হী বিবিসির এক সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট অমিক্রন শনাক্ত হওয়ার আগেই।
তিনি এই সাক্ষাৎকার দেয়ার আগেই ব্রিটেন ২০২২ এবং ২০২৩ সালের জন্য ইতিমধ্যে অতিরিক্ত ১১ কোটি ৪০ লাখ কোভিড টিকা কেনার জন্য চুক্তি করেছেন।
যার মধ্যে ফাইজার থেকে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্রিটেন কিনবে।
আর বাদবাকি যে ৬ কোটি রয়েছে সেগুলো কিনবে মডার্না থেকে।
ড. বুর্লা বলেন, করোনাভাইরাস এর বেটা ভ্যারিয়েন্ট এটিও সর্বপ্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় সনাক্ত হয়েছিল। এবং ডেল্টা যা সর্বপ্রথম ধরা পড়েছিল ভারতে।
এই করোনাভাইরাস এর নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো মোকাবেলা করার জন্য ফাইজার টিকা ইতিমধ্যেই নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
যদিও তিনি বলেছেন, ওই দুই ধরনের ভাইরাস মোকাবেলা করবার জন্য তাদের টিকায় তেমন কোনো ধরনের বদল ঘটাতে হবে না।
তিনি আরো বলেন যে, অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে টিকা কার্যকর করার কাজ এখন তারা করছেন এবং আগামী ১০০ দিনের মধ্যে তাদের টিকা হালানাগাদ করার কাজ শেষ হবে।
আরও পড়ুনঃ
ফাইজার কোন দেশের টিকা FAQS
সর্বপ্রথম ফাইজার টিকা আবিষ্কার করা হয় জার্মানিতে।
২০২২ এবং ২০২৩ সালের মধ্যে ব্রিটেন কোভিড টিকা নেয়ার চুক্তি করেছে।
উপসংহার
পুরো পৃথিবী বর্তমানে করনা ভাইরাসের কারণে আতঙ্কিত। করোনাভাইরাস এর শুরুতে অনেক মৃত্যু হলেও বর্তমানে মৃত্যুর হার অনেক কমে এসেছে।
তবে এটি একবারে আমাদের এখান থেকে নির্মূল হয়নি।
তাই আমাদের সকলের উচিৎ সঠিকভাবে মাক্স পরিধান করা এবং করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য সকল নিয়ম কানুন মেনে চলা।
জার্মানি আমাদেরকে ফাইজার ডোজ রয়েছে ২০২৩ সালের মধ্যে আরও ৫ কোটি ডোজ বাংলাদেশে দেয়ার কথা রয়েছে।
আশা করছি আজকের পোস্ট এর মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন ফাইজার কোন দেশের টিকা।
এ-সংক্রান্ত যদি আপনাদের আরো কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।
সেইসাথে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিনই নতুন নতুন শিক্ষামূলক বিষয়ে এবং আপনার প্রয়োজনীয় আর্টিকেল দেয়া হয়।
আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারেন। এবং আমাদের ফেসবুক পেজটি থেকে ফলো করে রাখতে পারেন।