প্রিয় পাঠকবৃন্দ কদরের নামাজের নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা অনেকে গুগলের মাধ্যমে সার্চ করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা কদরের নামাজ নীয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আপনাদের মধ্যে অনেকেই কদরের নামাজের সঠিক নিয়ম সঠিকভাবে জানেন না।তাই আজকের এই আর্টিকেল আপনাদেরকে কদরের নামাজ সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা দেয়ার জন্য এই আর্টিকেলটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আমাদের সকলের জন্য ফরজ করেছেন মহান আল্লাহ তায়ালা। তবে এ সকল নামাজের বাইরে ও কিছু নামাজ রয়েছে যেগুলো আমাদের পড়তে হয়। সেসকল নামাজ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নামাজ হচ্ছে কদরের নামাজ।
Content Summary
কদরের নামাজের নিয়ম – The rules of Qadr prayer
শবে কদরের পবিত্র এই রজনীতে মুসলমানরা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য সারারাত নফল নামাজ, কোরআন ও হাদিসের আলোকে জিকির, কবর জিয়ারত এবং নিজের কৃতকর্মের জন্য মহান আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন।
শবে কদরের নামাজের নিয়ত
‘নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়া’লা রাকআ’তাই ছালাতি লাইলাতিল কদর-নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।’
অর্থ: আমি কাবামুখী হয়ে আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য শবে কদরের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবর।
শবে কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম
মূলত লায়লাতুল কদরের রাতে নামাজ এর বিশেষ কোন নিয়ম কিংবা পদ্ধতি নেই।
আপনি এই লায়লাতুল কদরের রাতে দুই রাকাত করে নফল নামাজ যত সুন্দর এবং মনোযোগ সহকারে পড়তে পারবেন আপনার জন্য সেটি ততোই ভালো।
দুই রাকাত, দুই রাকাত আপনি যত খুশি ততবার নামাজ পড়তে পারেন।
এড়াতে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আপনি বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করবেন, দোয়া পাঠ করবেন, ইস্তেগফার পড়বেন অথবা করবেন।
মহান আল্লাহতালার কাছে নিজের জীবনের সকল ভুল এবং পাপকাজের ক্ষমা চাইবেন।
এছাড়াও বিশেষ কিছু সূরা আপনারা এ রাতে নামাযের পর পড়তে পারেন। এটা শুধুমাত্র লোকমুখে প্রচলিত আছে তবে এর কোনো ভিত্তি নেই।
তবে আপনি চাইলে বেশি বেশি সূরা কদর সূরা ইখলাস পড়তে পারেন ।
নামাজ শেষে নিচের দোয়াটি কমপক্ষে ১০০ বার পড়া উত্তম
‘সুব্হানাল্লাহি ওয়াল হাম্দু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, লা হা’ওলা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহিল্ আলীয়্যিল আযীম।’
এই রাতে যে দোয়া বেশি পড়বেন
হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ, শবে কদরের রাতে আমার কোন দোয়াটি পড়া উচিত?’
তিনি তাকে পড়ার জন্য নির্দেশ দিলেন: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি।’
অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল এবং ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। তাই আমাকে ক্ষমা করুন।’ (সুনানে ইবনে মাজা)
আরও পড়ুনঃ
কদরের নামাজের নিয়ম কানুন FAQS
শবে কদরের পবিত্র এই রজনীতে মুসলমানরা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য সারারাত নফল নামাজ, কোরআন ও হাদিসের আলোকে জিকির, কবর জিয়ারত এবং নিজের কৃতকর্মের জন্য মহান আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন।
উপসংহার
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলের কদরের নামাজের নিয়ম কানুন সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করা হয়েছে।
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভাল লেগেছে এবং আপনারা আজকের আর্টিকেল থেকে কদরের নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
আপনাদের যদি আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানান।
অথবা আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে সেটি আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।
আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা কিভাবে অনলাইন থেকে আয় করবেন, কোন উপায় ব্লগিং শুরু করবেন সে সংক্রান্ত আর্টিকেলগুলো রয়েছে।
তাই ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট এবং জয়েন করুন ফেসবুক পেইজে।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।