সুপ্রিয় পাঠকগণ জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য কিভাবে দিবেন এ সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা অনেকেই খুবই আগ্রহী। বাঙালি জাতির জন্য খুবই শোকাহত একটি মাস হল আগস্ট। বাংলাদেশের সকলের নেতা স্মরণে Short Speech on National Mourning Day আমাদের জন্য খুবি গুরুত্বপূর্ণ।
১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য একটি কালো দিন হিসেবে ইতিহাসে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই পোস্টে আপনি জানতে পারবেন national mourning day bangladesh essay কিভাবে লিখবেন এবং জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য কিভাবে দিবেন।
এই দিনেই আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ নেতা বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার নিজ বাড়িতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে আমরা নানান ধরনের অনুষ্ঠান এবং শোকাবহ মিছিলের আয়োজন করে থাকি।
জাতীয় শোক দিবসে আপনারা কিভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেন সে বিষয়টি নিয়ে আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে।
Content Summary
জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য – Short Speech on National Mourning Day
আজকে আমি আপনাদের সামনে কিভাবে আপনারা জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য দিবেন এবং বক্তব্য কিভাবে শুরু করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে চলেছি।
Start Short Speech on National Mourning Day with salam.
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ২০২২ গুরুত্ব ও তাৎপর্য
বক্তব্যঃ
আসসালামু আলাইকুম,
আমি সবার আগে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এ অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা যারা আমাকে এখানে প্রধান অতিথি হবার দুর্লভ সুযোগ করে দিয়েছেন।
আজকের এই অনুষ্ঠানটিতে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা সবাই সমবেত হয়েছি জাতীয় শোক দিবস পালন করার জন্য।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা সদস্য আমাদের প্রিয় নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন সহ নির্মমভাবে হত্যা করে। তারা সেদিন মানব ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধ ঘটিয়েছিল।
আজ সে নির্মম হত্যাকাণ্ডের দিনটিকে পালন করার জন্য আমরা দুঃখে ভরা এই শোকাবহ দিনটিতে একসাথে উপস্থিত হয়েছি।
এই দিবসটি বাঙালি জাতি তাদের প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা অভিভূত হয়।
গভীর দুঃখ এবং সমবেদনা নিয়ে তাদের হৃদয় শ্রদ্ধার অশ্রু নিবেদন করে।
সুপ্রিয় ভাই ও বোনেরা,
বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড বাঙালি জাতির জন্য চরম কলঙ্কময় অধ্যায়।
আপনারা জানেন, শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে পশ্চিমা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম করে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন।
তিনি বাঙালি জাতিকে সাথে নিয়ে গড়ে তুলেছেন আজকের এই বাংলা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষণ স্বাধীনতা সংগ্রামের আহ্বান জানানো হয়েছিল তাতে সাড়া প্রদান করেছিল লাখো বাঙালি।
বীর বাঙ্গালী হিসেবে বাঙালি জাতি পৃথিবীর ইতিহাসে নিজেদের পরিচিতি গড়ে তুলেছে।
দীর্ঘ নয় মাসের সে যুদ্ধে ৩০ লক্ষ বাঙালিকে আত্মহুতি দিতে হয়েছে।
এ সংগ্রাম স্বাধীনতার পিছনে বঙ্গবন্ধুর সীমাহীন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
অথচ ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! ক্ষমতা গ্রহণের কিছুদিন পরে বিপথগামী কয়েকজন সেনাসদস্যর উচ্চাকাঙ্খার জন্য তাদের সপরিবারে প্রাণ দিতে হলো।
শোকের সাগরে ভেসেছিল সারা দেশবাসী।
পুরা বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। কেউ বিশ্বাসই করতে পারেননি যে ব্যক্তি দেশের স্বাধীনতার জন্য এতকিছু করতে পারেন তাকে তার দেশে এমন মৃত্যু লাভ করতে হবে।
স্বাধীন দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তা এভাবে শেষ হয়ে যাবে।
সুধিবৃন্দ,
আজকের শোক দিবসের পালনের অর্থ বঙ্গবন্ধুর জন্য বেদনার অশ্রুপাত নয়।
আমাদের প্রিয় নেতা বাংলাকে একটি সোনার বাংলা গড়ার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন আমরা যদি সে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারি তার স্বপ্নকে পূরণ করতে পারি তাহলে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সার্থক হবে।
এটা ভেবে অনেক খুশি যে দীর্ঘদিন পরে হলেও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। দেশে সঠিক আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
এবার জাতিস্মর কে শক্তিতে রূপান্তরিত করে জাতিকে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেয়ার সাধারণত নিয়োগ করতে হবে।
প্রতিটি বাঙালি জাতির স্বাধীনতা যেমন পরম সৌভাগ্যের’ তেমনি স্বাধীনতার মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আত্মত্যাগের সাধনা ও পরম আকাঙ্ক্ষিত।
শিক্ষার অভাব আর দরিদ্রতা জনজীবন বিপর্যস্ত করেছিল। স্বাধীন দেশে সম্প্রতিকালে শিক্ষায় যেমন অগ্রগতি হয়েছে তেমনি খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে।
স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আজ আমরা পৃথিবীর বুকে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি।
যে ব্যক্তি মহৎতার সাথে আমাদের দেশকে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন যুগের পর যুগ বছরের পর বছর। আমরা কখনোই তার অবদানকে ভুলতে পারবোনা।
সুধিবৃন্দ,
জাতীয় শোক দিবসে শোক প্রকাশের দিন বলে বিবেচনা না করে বাঙালি জাতির অঙ্গীকারের দিন বলে বিবেচনা করতে হবে।
সে অঙ্গীকার হবে একটি উন্নত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার। আসুন আমরা সেই মহৎ উদ্দেশ্যে নিজেদেরকে দেশের জন্য নিবেদিত করি।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক, খোদা হাফেজ।
আরও পড়ুনঃ
পূর্ব বাংলার প্রথম গভর্নর কে ছিলেন?
পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি কে?
জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য FAQS
আপনাকে জাতীয় শোক দিবসের মধ্যে সুন্দর এবং সুশীল ভাষা ব্যবহার করে বক্তব্য প্রদান করতে হবে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ঘটে একটি কালো অধ্যায়। সে দিন আমাদের সবার প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে নির্মম ভাবে হত্যা করে বিপথগামী কিছু সেনা সদস্য। তাই সে দিন কে কেন্দ্র করে প্রতি বসর আমরা জাতীয় শোক দিবস পালন করি।
উপসংহার
প্রিয় পাঠকগণ আজকেরে আর্টিকেলে বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য (Short Speech on National Mourning Day) সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
আপনারা কিভাবে বক্তব্য প্রদান করতে পারেন অথবা প্রিয় শিক্ষার্থী ভাই-বোনেরা তাদের পরীক্ষায় জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য (national mourning day Short Speech and essay) সম্পর্কে লিখতে বললে উপরে উল্লেখিত ভাবে আপনারা তা লিখতে পারবেন।
এছাড়াও আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা নানান ধরণের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তারা এই বক্তব্যটি খুব সহজেই প্রদান করতে পারবেন।
প্রিয় পাঠকগণ আশাকরছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভাল লেগেছে।
সত্যিই বাঙালি জাতির জন্য ওই দিনটি খুবই শোকাহত একটি দিন।
জাতীয় এই হাজার বছরের বাঙালি অবদান আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না।
তিনি যদি নেতৃত্ব প্রদান না করতেন তাহলে হয়ত আমরা স্বাধীন দেশে বাস করতে পারতাম না।
তাই তার প্রতি আমাদের পক্ষ থেকে রইল অসংখ্য দোয়া এবং শ্রদ্ধা।
আপনাদের যদি জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
ঘরে বসে অনলাইন থেকে টাকা আয় এবং নানান ধরনের শিক্ষামূলক আর্টিকেলগুলো পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
আমাদের ওয়েব সাইট সম্পর্কিত সকল আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজটিতে।
ধন্যবাদ।
Also Read:
বাংলাদেশের জাতীয় গাছের নাম কি? The National Tree of Bangladesh
এস ডি জি ১৭ টি লক্ষ্য কি কি? SDG Goals In Bangla Bangladesh
সনাতন শব্দের অর্থ কি? What does the word traditional mean?
২৬ মার্চ এর বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম ( নমুনা বক্তব্য সহ )
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।