Tin certificate BD Registration পদ্দতি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। টিন সার্টিফিকেট বের করার নিয়ম, যাচাই ও ডাউনলোড সম্পর্কে আপনাদের জানাতে আজকের এই পোস্ট। সকলের জন্য e tin certificate download bangladesh সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী।
Tin Certificate BD is an income tax certificate. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুসারে টিন সার্টিফিকেট তৈরি করার জন্য আপনার কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন এবং কিভাবে আপনি সহজে টিন সার্টিফিকেট তৈরি করতে পারেন সকল বিষয়ে সঠিকভাবে আপনাকে জানতে হবে ভোগান্তি এড়াতে।
In addition, এই পোস্টে আপনি টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারেবন। এবং হারানো টিন সার্টিফিকেট ফিরে পেতে আপনার করনীয় কি তা জেনে নিন।
What is Tin Certificate BD? টিন সার্টিফিকেট কি?

যে কোনো দেশের সরকারের আয়ের প্রধান উৎস (primary income source) কর (TAX)। তাই সরকার একটি ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (Tax Identification Number) প্রদান করে, এটি টিন নামেও পরিচিত যা সরকারকে দেয়া ট্যাক্স পেমেন্ট ট্র্যাক করার জন্য, যা একজন ব্যক্তি বা একটি কোম্পানিকে জারি করা একটি শনাক্তকরণ নম্বর ( identification Number )।
বাংলাদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) আবেদনকারীকে Tin Certificate প্রদান করার একমাত্র কর্তৃপক্ষ।
Tin certificate registration bd এনবিআর-এ আবেদন করার মাধ্যমে কেউ বাংলাদেশে ম্যানুয়ালি বা ইলেকট্রনিকভাবে টিন সার্টিফিকেট পেতে পারেন।
আপনি যখন বাংলাদেশে টিন সার্টিফিকেট ইলেকট্রনিকভাবে পান তখন একে e tin certificate bd বলা হয়।
প্রত্যেক নাগরিক, যার চাকরি আছে তাদের বার্ষিক আয় নির্বিশেষে একটি ই টিন সার্টিফিকেট পেয়ে থাকেন।
Moreover, সমস্ত ব্যবসায়িক সংস্থা যেমন – কোম্পানি, শাখা/যোগাযোগ অফিস, Tin Certificate পাওয়ার জন্য এনবিআর এ আবেদন করতে হবে, কারণ ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য Tin Certificate বাধ্যতামূলক।
বর্তমান সরকার দেশকে Digital Bangladesh করার লক্ষ্যে Tax আদায়ের পদ্ধতির গুণমান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য e Tin Certificate চালু করেছে।
অনলাইনে ট্যাক্স সার্টিফিকেট পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ এবং ঝামেলামুক্ত যদি সঠিক উপায়ে সহায়ক নথির সাথে যে কেউ E tin certificate registration BD জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বাংলালদেশ ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স, 1984 একটি ট্যাক্স সার্টিফিকেট সম্পর্কিত সমস্ত বিধান প্রদান করে থাকে।
Tin Certificate BD Registration – টিন সার্টিফিকেট তৈরী করার নিয়ম
বাংলাদেশে টিআইএন সার্টিফিকেট (tin certificate bd) পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে, যেহেতু প্রক্রিয়াটি ডিজিটালাইজড কোড়া হয়েছে, তাই টিন সার্টিফিকেট তৈরী করতে এখন ঝামেলা অনেক কম এবং সময় সাশ্রয় হয়েছে অনেক বেশি।
- প্রথমে, tin certificate registration bd শুরু করতে ওয়েবসাইটটি দেখুন https://secure.incometax.gov.bd/TINHome
- টিন নিবন্ধন ফর্মে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ ব্যাবহার করে একটি আপনার জন্য একটি ব্যবহারকারী আইডি তৈরি করুন।
- একটি অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য একজন ব্যবহারকারী আইডি এবং পাসওয়ার্ড পেতে, incometax পোর্টালে একটি ফোন নম্বর প্রদান করতে হবে।
- নম্বরটি ভেরিফাই করতে একটি কোড পাঠানো হয় এবং এই কোড টি দিয়ে নম্বরটি ভেরিফাই করে নিন।
- ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড হারিয়ে গেলে ব্যবহারকারীর আইডি/পাসওয়ার্ড পেতে নম্বরটি ভেরিফাই করা জরুরী।
- তারপর ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন(tin certificate login bd) করুন।
- আবেদনকারী/কোম্পানীর প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রদান করে টিন সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন ফর্মটি (টিন সার্টিফিকেট ফরম) পূরণ করুন।
- tin certificate form জমা দেওয়ার পূর্বে তথ্য গুলি পুনরায় দেখে নিন।
- এভাবেই আপনি E tin certificate registration করবেন।
Required Documents for TIN Certificates Manually in Bangladesh
টিন সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনার কাছে কিছু আবশ্যিক কাগজ পত্র থাকা জরুরি।
মূলত টিন সার্টিফিকেট কোন ব্যক্তির তখনই প্রয়োজন হয় যখন তার কোনো ভালো চাকরি বা ব্যবসা রয়েছে এবং তিনি ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছেন তখন।
একজন সাধারন কর্মজীবীর জন্য টিন সার্টিফিকেট তেমন কোনো প্রয়োজন নেই। চলুন দেখে নেয়া যাক টিন সার্টিফিকেট বের করার নিয়ম জানার পর টিন সার্টিফিকেট তৈরি করতে আপনার কি কি প্রয়োজন হতে পারে।
- আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্সের একটি কপি
- কোম্পানি ইনকর্পোরেশন সার্টিফিকেট
- অ্যাসোসিয়েশনের মেমোরেন্ডাম এবং অ্যাসোসিয়েশনের নিবন্ধের অনুলিপি (যদি কোম্পানি হয়)
- একটি ব্যাংক/আর্থিক সলভেন্সি সার্টিফিকেট (যদি কোম্পানি বা মালিকানা)
- মালিকের তিন কপি ছবি (যদি মালিকানা হয়)
- ব্যবস্থাপনা পরিচালকের তিন কপি ছবি (যদি কোম্পানি)
- পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি ছবি (ব্যক্তি হলে)
- উদ্যোক্তার জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট কপি
- ই টিন সার্টিফিকেট পাওয়ার সময়সীমা মাত্র ১ দিন।
তবে একটি ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জন্য যদি কোন ব্যক্তির টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয় তবে তাকে এতগুলো তথ্য প্রদান না করলেও চলবে।
শুধুমাত্র ভোটার আইডি কার্ডের কপি ব্যবহার করে অনলাইন থেকে টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম
এখন নিজে ঘরে বসেই খুব সহজেই bangladesh tin certificate বাতিল করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম গুলি হচ্ছে –
- মূলত আয়কর অধ্যাদেশ অনুসারে আপনার টিন সার্টিফিকেটটি বাতিল/বন্ধ করার জন্য সুমির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা নেই। তবে প্রচলিত ক্ষেত্রে আমরা tin certificate বাতিল করার জন্য এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে থাকি।
- আপনি যেই কর অঞ্চলের অধীনে আপনার টিন নাম্বারটি খুলেছেন সেই অঞ্চলের উপকর কমিশনার বরাবর আপনার টিন টি বাতিলের জন্য আবেদন বা দরখাস্ত করতে হবে।
- tin certificate registratio cencel দরখাস্থ করার পূর্বে সময়সাপেক্ষ কিছু নিয়ম জানা অত্যাবশক।
- একজন করদাতা হতে যে পরিমাণ আয় করার প্রয়োজন, আপনি যদি সেই পরিমাণ আয় এখন করতে পারছেন না। তাহলে আপনাকে কমপক্ষে ৩ বছর শূণ্য আয় কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
- তিন বছর শূণ্য কর রটার্ন দেয়ার পরেও যদি আপনার সামনে করযোগ্য আয়ের কোন সম্ভাবনা না থাকে তাহলে আপনি তৃতীয় বছরের রিটার্ন জমা দেয়ার সময় আপনার আয়কর ফাইলটি নথিস্থ করার জন্য একটি আবেদন করতে হবে উপকর কমিশনার বরাবর।
- উপকর কমিশনার যদি আপনার দরখাস্থে সন্তুষ্ট হয় তাহলে আপনার ফাইলটি নথিস্থ করে রাখবেন।
- পরবর্তীতে যদি আপনার কর দেয়ার মতো আয় হয় তখন সেই ফাইলটি পুনরায় সচল করতে হবে। উল্লেখ্য যে একটি আইডি কার্ড (voter id card) দিয়ে কেবল একটিই টিন (tin certificat) একাউন্ট খোলা যায়।
তাই উপরোক্ত ঋণ বাতিল করা পর্যালোচনা থেকে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন.
আপনি আপনার টিন সার্টিফিকেট ফি স্থগিত করতে পারেন শুধুমাত্র পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবেন না।
কেননা পরবর্তীতে আপনি যেকোন সময় আয়কর দেওয়ার মতো উপযুক্ত হলে আপনার বর্তমান টিন সার্টিফিকেট পুনরায় ব্যবহার করতে হবে।
জেনে রাখা ভালো যে একজনের নামে একটি মাত্র টিন সার্টিফিকেট তৈরি করা সম্ভব।
টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড (E tin certificate download) – tin certificate check
আপনারা যারা E tin certificate download করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান, তাদের জন্য এখানে কতগুলো নিয়ম দেয়া হয়েছে।
যে পদ্দতি গুলি ব্যাবহার করে খুব সহজেই টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড (tin certificate download Bangladesh) করতে পারবেন।
- আয়কর বিভাগের লিংকে প্রবেশ করুন।
- tin certificate registered আইডি/পাসওয়ার্ড লগিন এ ক্লিক করুন এবং নিজের টিন একাউন্টে প্রবেশ করুন ।
- এখন আপনি টিন সার্টিফিকেট সম্পর্কিত যাবতীয় সব তথ্য চেক করতে পারবেন।
- এখন চাইলে প্রিন্ট বা tin certificate download করতে পারবেন একদম সহজেই।
টিন সার্টিফিকেট বের করার নিয়ম
উপরে উল্লেখিত E tin certificate download করার পদ্দতিটি টিন সার্টিফিকেট বের করার নিয়ম। এভাবেই আপনি অনলাইন থেকে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারেন সহজে।
হারানো টিন সার্টিফিকেট পেতে করনীয়
হারানো টিন সার্টিফিকেট খুঁজে পেতে আপনাকে আপনি যে নাম্বারটি দিয়ে বাংলাদেশ আর কয় বিভাগের ওয়েবসাইট এর রেজিস্ট্রেশন করেছেন এবং নাম্বারটি ভেরিফাই করেছেন ওই নাম্বারটির মাধ্যমে আপনাকে অনুসন্ধান করতে হবে।
মনে রাখবেন নাম্বারটি যদি আপনার কাছ থেকে মিস হয়ে যায় তবে আপনি কখনই হারানো টিন সার্টিফিকেট খুজে পেতে পারবেন না।
তাই যখনই আপনি টিন সার্টিফিকেট এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করবেন তখন এমন একটি নাম্বার ব্যবহার করুন যেটি আপনার নামে এবং নাম্বারটি আপনি সবসময় ব্যবহার করবেন।
অথবা টিন সার্টিফিকেট সময় ব্যবহৃত ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করুন তবেই আপনি ভবিষ্যতে আপনার হারানো টিন সার্টিফিকেট নাম্বার বা টিন আইডি খুজে পেতে পারেন।
How to get an E tin certificate?
To create an e-Tin certificate, you need to register on the official site provided by the Government of Bangladesh. After submitting the required information, you will receive an e-Tin certificate shortly.
In conclusion,
আশা করি আপনি e tin certificate bd registration, login and download পদ্দতি সম্পর্কে জানাতে পেরেছেন।
টিন সার্টিফিকেট তৈরি ও বের করার নিয়ম সম্পর্কে আপনার আরও কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট করুন।
ব্লগিং, ব্লগ লিখে টাকা আয়, টেলিকম অফার মোবাইল ব্যাংকিং অফার সম্পর্কে জানতে আমাদের সাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।