১৪ ফেব্রুয়ারি কি দিবস? কেন পালন করা হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি। গুগলে অনেকেই জানতে চান ১৪ ফেব্রুয়ারি পালনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে? অর্থাৎ প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি কি দিবস পালন করা হয়।
আজকে আমরা ১৪ ফেব্রুয়ারি কি, কিভাবে এই দিবস পালন করা হয় এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ইসলাম কি বলে ও এই দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে জানবো।
Content Summary
- 1 ১৪ ফেব্রুয়ারি কি দিবস?
- 2 ভ্যালেন্টাইন ডে কি?
- 3 ভালোবাসা দিবসে যেসব করা হয়?
- 4 ১৪ ফেব্রুয়ারি কেন ভালোবাসা দিবস পালন করা হয়?
- 5 ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস কোন দেশে কেমন পালন করা হয়
- 6 বাংলাদেশে 14 ফেব্রুয়ারি যেভাবে পালন করা হয়
- 7 14 ফেব্রুয়ারি কি করা উচিত
- 8 ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস কেন পালন করা হয়?
- 9 ১৪ ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
- 10 ১৪ ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সর্বশেষ
১৪ ফেব্রুয়ারি কি দিবস?
১৪ ফেব্রুয়ারি হচ্ছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের প্রায় সব দেশে ভালোবাসা দিবস পালন করা হয়।
আগে শুধু পশ্চিমা দেশ গুলোতে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস পালন করা হতো। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ১৪ ফেব্রুয়ারির দিনে এই দিবস পালন করা হয়।
ভ্যালেন্টাইন ডে কি?
ভালোবাসা দিবসের ইংরেজি হচ্ছে ভ্যালেন্টাইন ডে। আরও সহজ করে বললে ভ্যালেন্টাইন ডে এর বাংলা হচ্ছে ভালোবাসা দিবস। অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন ডে মানে হছে ভালোবাসা দিবস।
ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধবী এবং পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোবাসার মধ্য দিনটি সবাই পালন করে।
বর্তমানে দিনটি সবার কাছে একটি উৎসবমুখর দিন হিসেবেই পরিচিত।
পশ্চিমা অপসংস্কৃতি সারা বিশ্বে এমনভাবে প্রভাব ফেলেছে যে তাদের উৎসবগুলো এখন আমাদের নিজের উৎসব বলে মনে হয়।
নিজস্ব সংস্কৃতি ও উৎসবের দিনগুলোকে প্রাধান্য না দিয়ে এখন অপসংস্কৃতি নিয়ে মুসলমানরা বেজায় উৎসাহী।
ভালোবাসা দিবসে যেসব করা হয়?
ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস মুলত কাছের মানুষদের ভালোবাসার কথা আরও একবার মনে করিয়ে দেয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসের এই দিনে পরিবারের সবাইকে ভালোবাসার কথা মনে করিয়ে দেয়।
সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের ভালোবাসা থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যের ভালোবাসা মনে করিয়ে দেয় এই দিবসে।
ভালোবাসার এই দিনে দেশের সকল পার্ক থেকে শুরু করে সব ধরনের বিনোদন পার্কে ছোট থেকে বয়স্ক সব ধরনের মানুষকে দেখা যায় তার প্রিয় মানুষগুলোর সাথে। দেখা যায় দল বেধে তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি।
তবে আমাদের দেশে ভালোবাসা দিবস বলতে শুধু প্রেমিক প্রেমিকার ভালোবাসার-ই যেন বহিঃপ্রকাশ।
যা দেখা যায় ভালোবাসা দিবসের দিনে। পার্ক থেকে শুরু করে দেশের সকল বিনোদন কেন্দ্রে।
আরও পড়ুনঃ
ফ্রী ফায়ার কে আবিষ্কার করেছেন? | ফ্রী ফায়ার কে আবিষ্কার করেছে
ইহুদিরা কোন নবীর অনুসারী? ইহুদি সম্প্রদায় কোন নবীকে অনুসারন করেন
১ম রোজার ফজিলত কি? | রোজার ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
১৪ ফেব্রুয়ারি কেন ভালোবাসা দিবস পালন করা হয়?
ইতালির রোম শহরে ২৬৯ সালে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন “নামে একজন খ্রিস্টান চিকিৎসক এবং পাদ্রি ছিলেন। তখন ইতালিতে খ্রিস্ট ধর্ম প্রচার নিষেধ ছিলও। কিন্তু সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ইতালির রোমান সম্রাটের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খ্রিস্ট ধর্ম প্রচার করতে থাকে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার কারণে তৎকালীন রোমান দ্বিতীয় ক্রাডিয়াসেট দ্বারা বন্ধি হন।
সেন্ট ভ্যালেন্টাইন বন্দি অবস্থায় জনৈক কারার ক্ষীর দৃষ্টি হীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে দেন। এর ফলে সেন্ট ভ্যালেইটাইনের জনপ্রিয়তার প্রতি খুব বেশি ঈর্ষান্বিত হয় রাজা। তখন রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি।
এর অনেক দিন পর ৪৯৬ সালে “পোপ সেন্ট জেলাসিউও” নামে রোম রাজা প্রথম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন’স স্মরণে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন’ ডে বা ভালোবাসা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।
এর পরবর্তীতে আসতে আস্তে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। খ্রিষ্টান জগতে পাদ্রি-সাধু সন্তানদের স্মরণ এবং কর্মের জন্য এ ধরনের আরও অনেক দিবস রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
রোজা ভাঙার কারণ সমূহ | রোজা রেখে কোন কাজ গুলো করবেন না
রোজা কত তারিখে ২০২৩? | রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া
১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস কোন দেশে কেমন পালন করা হয়
পশ্চিম ইউরোপের একটি রাষ্ট্র ইতালির রোম নগরি থেকে ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবসের উৎপত্তি।
এরপর এক এক করে বিশ্বের প্রায় সব দেশে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস পালন করা হয়। তবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করা দেশের সবগুলো দেশে এইদিন সরকারি ছুটি থাকে না।
এছাড়া পশ্চিমা দেশগুলোতে এইসব উৎসবে মহা সমারোহ হয়। একটি পরিসংখ্যান থেকে উঠে আসে যে, যুক্তরাজ্যের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ ১০০ কোটি পাউন্ডের বেশি ব্যয় করে ভালবাস দিবস উপলক্ষে ফুল, কার্ড, চকলেট সহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী ক্রয় করে।
আরেকটি পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে যে, ২.৫ কোটির বেশি শুভেচ্ছা কার্ড আদান-প্রদান করেন যুক্তরাজ্যের মানুষেরা। এবং ভালোবাসা দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্যে কয়েক শো কোটি টাকার শুধু মদ ক্রয় করে থাকে।
অন্যদিকে ভালোবাসা দিবস পালনের সময় খ্রিস্টীয়দের মধ্যে অতিরিক্ত মদ পান করার প্রচলন আছে।
যার ফলে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া সহ অনেক দেশে এই দিবস পালন করা আইনতভাবে নিষিদ্ধ।
সর্বশেষ ২০১৭সালে পাকিস্তান আদালত থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে দেশটিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস আইনত ভাবে নিষিদ্ধ। অন্যদিকে বাংলাদেশে ১৪ ফেব্রুয়ারি পালনের প্রবণতা প্রতি বছর বেড়েই চলেছে।
বিশেষ করে তরুণ তরুণীদের কাছে ১৪ ফেব্রুয়ারি কি দিবস তা তরুণ তরুণীদের পালন করতে দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যায়।
অন্যদিকে দেশের একটি দল মনে করছে যে, ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে বসন্ত উৎসব অর্থাৎ পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।
যার ফলে বাঙ্গালী তরুণ তরুণীদের মধ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারি পালনের প্রবণতা অনেক বেশি।
বাংলাদেশে 14 ফেব্রুয়ারি যেভাবে পালন করা হয়
দেশে মানুষের মতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় পশ্চিমা সকল কালচার আমাদের দেশে এসে গেছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন এরই একটি বহিঃপ্রকাশ। ভালোবাসা দিবস পালন হয়া উচিত পরিবার এবং বৈধ সম্পর্কের মধ্যে থাকা প্রিয় মানুষদের সাথে।
ভালোবাসা প্রকাশ পাওয়া উচিত পরিবার, বন্ধু, ভাই, বোনের প্রতি। কিন্তু আমাদের দেশে ভালোবাসা দিবস মানেই বোঝা হয় প্রেমিক প্রেমিকার একটি দিবস। বোঝা হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি কি দিবস বলেতেই মনে হয় প্রেমিক প্রেমিকা শুধু ঘুরবে অবৈধ মেলামেশা করবে।
আমাদের বাংলাদেশে যেভাবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করা হয় তাতে এটি সমাজ এবং ইসলাম পরিপন্থী একটি দিবস। এর ফলে নষ্টের পথে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আমাদের আগামীর প্রজন্ম।
আরও পড়ুনঃ
ইমান শব্দের অর্থ কি? ইমান কাকে বলে?
বাবাকে নিয়ে স্ট্যাটাস পিক । মা বাবাকে নিয়ে স্ট্যাটাস
14 ফেব্রুয়ারি কি করা উচিত
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ১৪ ফেব্রুয়ারি অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক একটি দিন। এছাড়া আমাদের পহেলা ফাল্গুন এই দিনেই।
ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে স্পষ্ট শালীনতা বজায় রেখে বৈধ সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রাখতে পারলে এটিকে আইনগত ভাবেই দেশে নিশেধাজ্ঞাকরে দেওয়া উচিত।
১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করা মানেই চারিপাশে অসামাজিক পরিস্থিতি তৈরি করা না। ভালোবাসা শব্দটি অনেক পবিত্র একটি শব্দ।
তাই আমাদের উচিত শালীনতা বজায় রেখে জীবন যাপন করা। একই সাথে কোন দেশের কোন বিষয়টি ফলো করলে আগামীর দিনগুলো কেমন হবে সেটা বিবেচনা করা।
১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস কেন পালন করা হয়?
এছাড়া ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনে সুন্দরবন দিবস পালন করা হয় বাংলাদেশে। দিবসটি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবসের দিনে পশিমা ভালোবাসা দিবসের পালনের পরিবর্তে সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে আপনি বৃক্ষ রোপণ করতে পারেন।
এটিও ভালোবাসার-ই একটি বহিঃপ্রকাশ। অবশ্য আমাদের দেশে এটিকে ভালোবাসা বলে নাহ। তবে সবার কাছে ভালোবাসার মানে এক না।
১৪ ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
একজন মুসলিম হিসাবে আমাদের অবশ্যই ইসলামে বিধান অনুসারে ধর্মীয় রীতি-নীতি মেনে চলতে হবে।
১৪ ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? ইসলাম ধর্ম মতে মুসলমানদের জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করা একদমই হারাম।
পশ্চিমা বিধর্মী গোষ্ঠী মুসলমানদেরকে পথভ্রষ্ট করার লক্ষ্যেই এই ধরনের উৎসবের আয়োজন করে তাকে যেখানে উটতি বয়সী ছেলেমেয়েরা বেহায়াপনায় লিপ্ত হয় নির্দ্বিধায়, তাই কোনভাবেই ইসলাম এমন উৎসবকে প্রশ্রয় দেয় না।
অবশ্যই আপনিও এ থেকে দূরে থাকবেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? এই সম্পর্কে আরও বিস্তারির জানুন।
আরও পড়ুনঃ
- সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে? | সমাজবিজ্ঞানের জনক কে?
- পদ্মা সেতুর খরচ কত টাকা? পদ্মা সেতুতে মোট ব্যয় ও অর্থায়ন
- বিপিএল পয়েন্ট টেবিল ২০২৩ | সেরা চারে আছে কোন কোন দল
- বিপিএল ২০২৩ পয়েন্ট টেবিল | কোন কোন দল যেতে পারে ২য় রাউন্ডে
ভালোবাসা দিবসের ইংরেজি হচ্ছে ভ্যালেন্টাইন ডে। ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবস হচ্ছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস?
পশ্চিমা সংস্কৃতিতে ভালোবাসা দিবস পালন করা ইসলামের সম্পূর্ণ হারাম।
বাংলাদেশ সরকার ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস হিসাবে ঘোষণা করছে। আপনি এই দিনে আপনি গাছ লগাতে পারেন।
14 ফেব্রুয়ারি হচ্ছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।
১৪ ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সর্বশেষ
আজকের পোষ্টে আমরা জেনেছি ১৪ ফেব্রুয়ারি কি দিবস, আশা করছি ১৪ ফেব্রুয়ারি কি দিবস এতক্ষণে তা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছেন।
এছাড়া জেনেছি ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করার ইতিহাস। বাংলাদেশ ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস পালন সম্পর্কে।
আশা করছি ১৪ ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে এই পোস্টের মাধ্যমে যথেষ্ট ধারনা দিতে পেরেছি। এরপরেও আরও কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানান।
এবং এই বিষয়ে আমাদের অন্যান্য পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
এছাড়া সব ধরনের পোস্ট পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। চোখ রাখুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ এ।
অনলাইনে ঘরে বসে টাকা ইনকাম ও ইন্টারনেট থেকে সঠিক তথ্য পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়ের সাইট।
জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।