মূলধন বাজেটিং কাকে বলে আপনি জানেন কি? হ্যাঁ আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা অথবা ব্যবসায়ী হোন তবে অবশ্যই আপনাকে মূলধন বাজেটিং সম্পর্কে জানতে হবে। একটি নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করার পূর্বে অবশ্যই মূলধন বাজেটিং কাকে বলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মূলধন বাজেটিং জানার সাথে সাথে আপনাকে এটিও জানতে হবে মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি কি কি, মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি কি কি এবং এর সাথে অন্তর্ভুক্ত কৌশল গুলি কি কি।
অনেক প্রথাগত পদ্ধতি মূলধন বাজেটিং এ ব্যবহৃত হয়ে থাকলেও বর্তমান আধুনিক সময়ে মূলধন বাজেটিংয়ের ব্যাপ্তি অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
কোন প্রকল্প বা নতুন কোন ব্যবসা বা কোন উদ্যোগ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে মূলধন বাজেটিং বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে হবে।
বর্তমান প্রজন্মই নয় অনেক আগে থেকেই এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েই একটি নতুন প্রকল্প চালুর বিষয়ে চিন্তা করে থাকে মানব সমাজ।
চলুন জেনে নেওয়া যাক মূলধন বাজেটিং কাকে বলে, মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি কি কি এবং এই সম্পর্কে বিস্তারিত।
Content Summary
মূলধন বাজেটিং কি? বা মূলধন বাজেটিং কাকে বলে?
মূলধন বাজেটিং হচ্ছে কোন একটি প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রক্রিয়ার একটি অংশ, যে প্রক্রিয়ায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ যেমন, নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয়, প্রতিস্থাপন যন্ত্রপাতি, নতুন গাছপালা, নতুন পণ্য, নতুন উদ্ভাবন এবং গবেষণা উন্নয়ন প্রকল্প হিসাবে নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়।
অনেক প্রতিষ্ঠান এর ক্ষেত্রে এটি প্রধান পুঁজি বা বিনিয়োগ বা ব্যয়ের জন্য বাজেট হিসাবেও গণনা করা হয়।
What is Capital Budgeting?
ইংরেজি শব্দ capital budgeting অর্থ হচ্ছে মূলধন বাজেটিং। মূলধন বাজেটিংকে আবার সহজ বাংলায় বললে বলা যায় বিনিয়োগ মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া।
এই পরিকল্পনা প্রক্রিয়া সঠিক থাকলে একটি প্রতিষ্ঠান দ্রুত উন্নতি করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ
মূলধন বাজেটিং অন্তর্ভুক্ত কৌশল গুলি কি কি?
প্রাচীনকাল থেকেই অনেক প্রথাগত পদ্ধতি মূলধন বাজেটিং-এ ব্যবহৃত হয়ে থাকে,
মূলধন বাজেটিংইয়ে অন্তর্ভুক্ত কৌশল গুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে –
- আয়ের হিসাবরক্ষণ হার
- ব্যয় পরিশোধ কাল
- নিট বর্তমান পণ্যের বাজার মূল্য
- লাভজনকতা সূচক
- পরিশোধের অভ্যন্তরীণ হার
- সংশোধিত পরিশোধের অভ্যন্তরীণ হার
- সমতুল্য বার্ষিক বৃত্তি
- আসল বিকল্প মূল্যনির্ধারণ
প্রারম্ভিক মূলধন সংগ্রহ ও মূলধন ব্যয়ের হিসাব রক্ষণ এর পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়াটিকেই মূলধন বাজেটিং প্রক্রিয়া বলা হয়ে থাকে।
একটি সম্ভাব্য নতুন প্রকল্পের জীবনকাল, নগদ অন্তর্প্রবাহ ( কিভাবে অর্থ আসবে এবং কিভাবে তা খরচ করা হবে তার একটি পূর্ণাঙ্গ বিবরণ) এবং নির্গমন যাতে কিনা উৎপন্ন আয় যথেষ্ট একটি কোম্পানির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণের মাত্রা নির্ধারণ মূল্যায়ন করা হয়।
আদর্শভাবে বললে বলা হয়, একটি ব্যবসায় সব প্রকল্পের সুযোগ এবং মান উন্নত অন্বেষণ করার সঠিক পদ্ধতি টি হল মূলধন বাজেটিং এবং সেই অনুপাতে ব্যয় এবং আয়ের হিসাব নির্ণয় করা।
কেননা মূলধন বাজেটিং প্রক্রিয়ায় পুঁজির পরিমাণ কোনো নতুন প্রকল্পের জন্য দেওয়া সময় সীমাবদ্ধ হয়, তাই পরিচালনার মূলধন বাজেট কৌশল যা একটি প্রকল্পের সময় প্রযোজ্য সময়কালে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন (প্রকল্প থেকে আয়ের পরিমান) সমর্পণ করা হবে তা নির্ধারণ করতে ব্যবহার করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ
মালয়েশিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্ট লিস্ট
মূলধন বাজেটিং এর গুরুত্ব কি?
মূলধন বাজেটিং এর গুরুত্ব কি এই সম্পর্কে সব থেকে ভালো বলতে পারবেন যারা নতুন কোন প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছেন।
বর্তমান সময়ে মূলধন বাজেটিংয়ে মূলধন বাজেট জনপ্রিয় পদ্ধতি হল নিট বর্তমান মূল্য (এনপিভি), পরিশোধের অভ্যন্তরীণ হার (আইআরআর), ছাড়ও ক্যাশফ্লাউ (ডিসিএফ) এবং পরিশোধ কাল।
ইত্যাদি সকল বিষয়গুলো পরিষ্কার ভাবে জানতে পারলে আপনি মূলধন বাজেটিং বিষয়ের নিজেকে অনেকটাই অভিজ্ঞ মনে করবেন এবং মনে রাখবেন কোন ব্যবসায় আপনি অসফল হবেন না।
একটি নতুন প্রকল্পে মূলধন বাজেটিং এর গুরুত্ব অনেক। প্রকল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনাকে মূলধন বাজেটিং করতে হবে এবং তা সমন্বয় করতে হবে সঠিকভাবে।
আরও পড়ুনঃ
যৌথ মূলধনী কোম্পানির অর্থায়নের কার্যাবলী কি?
মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি কি কি?
মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি হচ্ছে যে সব প্রাপ্তি স্থায়ী ধরনের ও দীর্ঘ মেয়াদী সময়ের জন্য পাওয়া যায়।
এক্ষেত্রে বলা যায় যে সব প্রাপ্তিগুলো সাধারণত অনিয়মিত বা বারবার পাওয়া যায় না সে সকল প্রাপ্তি গুলোকে মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি বলে৷ মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি দ্বারা প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য মূলধন বাজেটিং যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি মূলধন প্রাপ্তিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাই বর্তমান বাজার প্রেক্ষাপটে অনেক নতুন উদ্যোগতা মূলধনপ্রাপ্তির জন্য হিমশিম খাচ্ছে।
কেননা তারা কোন প্রকল্প শুরুর পড়বে সঠিক মূলধন বাজেটিং ও তাদের মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি গুলো কিভাবে ব্যয় করা হবে তার পূর্ণাঙ্গ রোড ম্যাপ নিয়ে কাজ শুরু করে না এবং তা ইনভেস্টারদের কাছে বুঝাতে সামর্থ্য হয় না।
আপনি যদি কোন নতুন একজন উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই আপনাকে মূলধন বাজেটিং ধারণা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে অন্যথায় আপনার প্রকল্প পূর্ণাঙ্গভাবে শুরুর পূর্বেই মুখ থাকবে পড়বে।
তাই মূলধন বাজেটিং সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জেনে নিন কেননা মূলধন বাজেটিং কাকে বলে এই সম্পর্কে আপনার যদি পরিষ্কার ধারণা থাকে তবে আপনার ব্যবসাটি দ্রুতই সফলতার মুখ দেখবে।
আরও পড়ুনঃ
মূলধন বাজেটিং কাকে বলে FAQS
capital budgeting বা মূলধন বাজেটিং হচ্ছে কোন একটি প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রক্রিয়ার একটি অংশ। তবে তা যেকোন প্রকল্পের হতে পারে।
যে কোন নতুন প্রকল্প শুরুর জন্য মূলধন জরুরী। মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি হাচ্ছে ঐ ধরনের মূলধন প্রপ্তি যা স্থায়ী ধরনের ও দীর্ঘ মেয়াদী সময়ের জন্য পাওয়া যায়।
মূলধন বাজেটিং হচ্ছে কোন প্রকল্পের বিনিয়োগ মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া।
উপসংহার,
আশা করি আপনি মূলধন বাজেটিং কাকে বলে? (What is capital budgeting?) এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
কোন নতুন প্রকল্প শুরুর পূর্বে মূলধন বাজেটিং সমন্বয়ের পাশাপাশি মূলধন বাজেটিং এ অন্তর্ভুক্ত কৌশল গুলো সম্পর্কেও আপনাকে বিস্তারিত জানা প্রয়োজন.
তাই আমরা এই পোস্টে এই বিষয়টি কেও গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
যদি আপনার এই মূলধন বাজেটিং সম্পর্কিত পোস্টটি ভালো লাগে তবে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং সবাইকে জানতে সাহায্য করবেন কিভাবে মূলধনের সমন্বয় করতে পারে, এতে তারা উপকৃত হবে।
ইন্টারনেট থেকে সঠিক তথ্য আরোহণের জন্য আপনি আমাদের ব্লগটি নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।