ই টিন সার্টিফিকেট কি? এই সম্পর্কে জানতে অনেকেই গুগল সার্চ করছেন। E Tin কি? বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জনগণের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন।
কেননা বাজেট ২০২৩-২৪ এ উত্থাপিত প্রস্তাব অনুসারে টিন সার্টিফিকেট যাদের রয়েছে তাদের সরকারি সেবা গ্রহণ করতে ন্যূনতম ২০০০ টাকা ফি প্রদান করিতে হবে।
পূর্বে আমরা টিন সার্টিফিকেট কিভাবে যাচাই করবেন এবং কিভাবে ডাউনলোড করবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত পোস্ট লিখেছি। তবে আজ আমরা আপনাদের ই টিন সার্টিফিকেট কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চলেছি।
Content Summary
টিন সার্টিফিকেট কি? – What is TIN Certificate?
ইংরেজি শব্দ TIN কে বাংলায় টিন বলা হয়। TIN Full Form “Taxpayer Identification Number”.
টিন বা টিআইএন-এর পূর্ণরূপ হলো, ট্যাক্সপেয়ার আইডেনটিফিকেশন নাম্বার।
বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় রাজস্ব বিভাগ দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে বাৎসরিক আয়কর সংগ্রহের জন্য একটি ইউনিক ট্যাক্সপেয়ার আইডেনটিফিকেশন নাম্বার যুক্ত সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে। আইডেন্টিফিকেশন নম্বর যুক্ত এই সার্টিফিকেটকেই টিন সার্টিফিকেট বলা হয়ে থাকে।
এই আইডেনটিফিকেশন বিশেষ নাম্বার, যার সাহায্যে বাংলাদেশে জাতীয় করদাতাদের শনাক্ত করে থাকে। টিন সার্টিফিকেট মূলত করদাতাদের নাম্বারটিই বহন করে থাকে। অর্থাৎ, টিআইএন (TIN) বা টিন সার্টিফিকেট একজন করদাতার পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করে তৈরি করা হয়ে থাকে এবং এটি জাতীয় পরিচয়পত্রের মতোই কাজ করে।
আরও পড়ুনঃ
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
ই টিন সার্টিফিকেট কি? – E Tin কি?
বাংলাদেশ সরকার জাতীয় আয়কর নিবন্ধন টিন সার্টিফিকেট তৈরি কারীদের সঠিকভাবে সেবা প্রদানের জন্য একটি অনলাইন ডাটাবেজ তৈরি করেছে।
এতে করে টিন সার্টিফিকেটধারীদের দ্রুতই শনাক্ত করা যাবে এবং তাদের আরো বেশি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যাবে ও রাজস্ব সংগ্রহ করা যাবে।
হাতে লেখার দিন শেষ ডিজিটাল বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশ সরকার অনলাইন ডেটাবেজ এর মাধ্যমে ইউনিক ট্যাক্সপেয়ার আইডেনটিফিকেশন নাম্বার প্রদান করা সার্টিফিকেটকে ই টিন সার্টিফিকেট বলা হয়ে।
আরও পড়ুনঃ
ই টিন সার্টিফিকেট এর সুবিধা
সার্টিফিকেট বা সনদপত্রের সুবিধা অনেক।
- টিন সার্টিফিকেট থাকার প্রধান সুবিধা হচ্ছে, আপনি একজন ট্যাক্স প্রদানকারী হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর নিবন্ধিত সদস্য।
- দেশের নাগরিক হিসেবে আপনার বাৎসরিক আয়ের সীমা হিসাব করে সরকারি। কোষাগারে আয়কর জমা করবেন এবং দেশের উন্নয়নে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। টিআইএন নম্বর বা আয়কর নম্বর ব্যবহার করে কর দেওয়ার মাধ্যমে মাধ্যমে আপনি গর্বিত করদাতা হবেন।
- দেশের একজন গর্বিত নাগরিক হিসেবে বলতে পারবেন আপনার প্রদানকৃত ট্যাক্স এর টাকা সরকার দেশের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করছে।
- টিআইএন রেজিস্ট্রেশন নাম্বার থাকলে ব্যাংক আপনার গচ্ছিত অর্থ থেকে ১০ শতাংশ কর কেটে নেয়া হবে, যদি না থাকে তবে কাটা যাবে ১৫ শতাংশ।
- ব্যাংক ঋণ নিতে অবশ্যই আপনার কাছে টিআইএন নম্বর থাকতে হবে।
- সরকার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পেশাজীবী বা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সুবিধা ও প্রণোদনা দিয়ে থাকে, যার কোনোটাই টিআইএন ছাড়া পাওয়া সম্ভব না।
এছাড়াও আরো অনেক নাগরিক সেবা রয়েছে যেগুলোকে পেতে হলে আপনার কাছে অবশ্যই তিন সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
টিন সার্টিফিকেট এর অসুবিধা
সুবিধা এবং অসুবিধা প্রায় প্রতিটি বিষয়ে লক্ষ্য করা হয়ে থাকে।
তাই সার্টিফিকেটের সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধা রয়েছে।
চলুন দেখে নেয়া যাক টি সার্টিফিকেট থাকলে আপনি কি কি অসুবিধার রয়েছে-
- টিন সার্টিফিকেট থাকলে আপনি প্রতিবছর সরকারকে ট্যাক্স দিতে বাধ্য।
- আপনি যদি পরপর তিন বছর কোন ট্যাক্স প্রদান না করে থাকেন তাহলে আপনি অসুবিধায় পড়তে পারেন।
- বাজেট ২০২৩-২৪ অনুসারে যদি আপনার আইসিমা নির্ধারিত পরিমান এর চেয়ে কম থাকে তবে আপনাকে আয়কর দিতে হবে না কিন্তু আপনি যদি কোন সরকারি সেবা গ্রহণ করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই আয়কর প্রদান করিতে হইবে।
- নিয়মিত আয়কর প্রদান না করিলে আপনার আয়কৃত অর্থকে বা টাকাকে কালো টাকা হিসেবে গণ্য করা হবে এবং আপনি মামলা মোকদ্দমায় জরিয়ে যেতে পারেন।
- এছাড়াও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আপনার ওপর অনুসন্ধান চালাতে পারে এবং আপনার সম্পদের উৎস জানতে চাইতে পারে।
আরও পড়ুনঃ
উপসংহার,
আশা করি আপনি ই টিন সার্টিফিকেট কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। ই টিন সার্টিফিকেট তৈরি করার নিয়ম এবং ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কিত পোস্টগুলো পড়ুন।
তাই আপনি যদি বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক হন তবে আপনি একজন নিবন্ধনকৃত ই টিন সার্টিফিকেট ধারী হয়ে থাকেন তাহলে নিয়মিত আপনার আয়কর পরিশোধ করুন।
কেননা রাষ্ট্রের জনগণের কাছ থেকে প্রদত্ত আয়কর দিয়ে সরকার দেশের কল্যাণে কাজ করে থাকে।
তাই আপনি গর্বের সাথে বলতে পারবেন আপনার আকর প্রদান করা অর্থে শেষ উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে।
আরও পড়ুনঃ
দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করার নিয়ম কি?
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।