সমাজ কাকে বলে বিষয়টি হয়তো আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকে জানিনা। আজকের এই পোস্টে আমরা সমাজ কাকে বলে, সমাজ কিভাবে গঠিত হলো, সমাজের প্রয়োজনীয়তা এবং আজকের এই সমাজ ব্যবস্থা কিভাবে গঠিত হলো সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।
বর্তমান সময়ে আমরা যে সুসংগঠিত একটি সমাজে বসবাস করি এ সমাজব্যবস্থা এত সহজে এখানে এসে দাঁড়ায় নি।
সময়ের সাথে সাথে সমাজ ব্যবস্থা হয়েছে পরিবর্তনশীল। এবং মানুষের আচার-আচরণ নীতিগত পরিচয় সকল কিছুই সমাজ থেকে নেয়া। সহজভাবে বলতে গেলে আমাদের চারপাশে যা কিছু রয়েছে সবকিছু সুসংগঠিতভাবে নিয়ম নীতি অনুসরণ করে চলাফেরা করাই হলো সমাজ ব্যবস্থা।
বিশ্বের বিখ্যাত একজন গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টোটল বলেছিলেন, “স্বভাবের দিক থেকে সব মানুষই হলো সামাজিক প্রাণী।”
অ্যারিস্টোটলের মতে, কোন মানুষ যদি সমাজব্যবস্থা না মানে অর্থাৎ তিনি যদি অসামাজিক হয়, তাহলে তিনি না হয় অপ্রীতিকর দুর্ঘটনার কারণে অসামাজিক হয়ে গেছে, আর নয় তো সে পশু বা অমানবিক পর্যায়ভুক্ত একটি প্রাণী।
যেকোনো মানুষের পরিস্থিতির ক্ষেত্রে সবার আগে যে বিষয়টি আছে সে বিষয়টি হলো সমাজকে গুরুত্ব দেয়া।
মূল বিষয়টি হলো এ পৃথিবীর কোন মানুষই সমাজের উর্ধে নয়।
মানুষকে যদি সঠিকভাবে বসবাস করতে হয় তাহলে কোন সমাজের আশ্রয়েই জীবন ধারণ করতে হয়।
বর্তমান মানবজাতি যেহেতু সংঘ বদ্ধ জীব এবং জীবন ধারন করতে গেলে একে অপরের নির্ভরশীল সেহেতু মানুষকে দলবদ্ধ হয়ে থাকতে হয় এবং সমাজব্যবস্থা সঠিকভাবে মেনে চলতে হয়।
Content Summary
- 1 সমাজ কি বা সমাজ কাকে বলে?
- 1.1 সমাজের বৈশিষ্ট্য কি কি? সমাজ কাকে বলে
- 1.2 Also Read,
- 1.3 সমাজের কি কি উপাদান রয়েছে?
- 1.4 ১. সাদৃশ্যতা বা অনুরূপতা (Likeness)
- 1.5 ২. বৈসাদৃশ্যতা বা পার্থক্য (Differences)
- 1.6 ৩. পারস্পরিক সচেতনতা (The Reciprocal Awareness)
- 1.7 ৪. বৈসাদৃশ্যতা, যা সাদৃশ্যতার অধীন (Differences, subordinate to the likeness)
- 1.8 ৫. পরস্পর নির্ভরতা (Interdependence)
- 1.9 ৬. সহযোগিতা (Cooperation)
- 1.10 ৭. দ্বন্দ্ব (Conflict)
- 1.11 সমাজ কাকে বলে- সমাজের প্রয়োজন কেন?
- 2 সমাজ কাকে বলে FAQS
সমাজ কি বা সমাজ কাকে বলে?
সাধারণভাবে যদি আমরা বলি, একজন মানুষ যখন অস্তিত্ব রক্ষার উদ্দেশ্যে ও বেঁচে থাকার জন্য তারা একে অপরের উপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকে তখনই তা একটি সমাজের রূপ ধারণ করে।
অর্থাৎ, স্বাস্থ্যগত কারণে একে অপরের উপর নির্ভরশীল হয়ে গড়ে ওঠা জনগোষ্ঠীকে সমাজ বলা হয়।
সমাজবিদ্যা সমাজের সংজ্ঞা অনুযায়ী, সমাজ হলো একই ভৌগলিক অবস্থান, সংস্কৃতি ও কথাপোকথন এর মানুষের জনসমষ্টিকে বোঝায়।
একটি সমাজে দুই বা ততোধিক একই ভাষাভাষী ও চিন্তাধারার মানুষের থাকা একান্ত আবশ্যক এবং তারা একে অপরের উপর নির্ভরশীল এবং পরিচিত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
মূলত প্রতিটি জনসমাজের মানুষের দেশ ভৌগোলিকভাবে দূরত্ব এবং ভাষার ব্যবহার অনুযায়ী একটি অন্যটির থেকে আলাদা হয়ে থাকে।
কিছু কিছু সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, সমাজের কিংবা সমাজ ব্যবস্থার কোন ধরনের ধরাবাঁধা সংজ্ঞা হয় না।
সমাজবিজ্ঞানী মাকাইভার ও পেজ এর মতে, সমাজ হলো একটি বিমুর্ত সত্তা।
আবার আমরা জনগোষ্ঠীর সংখ্যাকে চোখে দেখতে পেলেও সমাজ বা সমাজের গঠনকে চোখে দেখতে পারিনা।
অন্য দিক থেকে যদি আমরা ভাবি তাহলে কেবলমাত্র সমাজের বাইরের দিক গুলোকে আমরা প্রত্যক্ষ করতে পারি।
এছাড়া সমাজবিজ্ঞানী ট্যালকট পার্সন্স বলেছেন, সমাজ এমন একটি শব্দ যা মানুষ ও তার সহকর্মীদের সম্পর্কের জটিলতা ব্যাখ্যা করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ
স্বপ্নে সাপ দেখলে কি হয় আপনি জানেন কি? স্বপ্নে সাপ দেখার অর্থ জানুন
নবীন বরণ উক্তি | নবীন বরণ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা
পরিবেশ কাকে বলে | পরিবেশ কত প্রকার ও কি কি?
সমাজের বৈশিষ্ট্য কি কি? সমাজ কাকে বলে
সমাজের অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একটি সমাজ ও সমাজ ব্যবস্থা সহজে গড়ে ওঠে নি এটি আমরা সকলেই জানি। তাই এখন আমরা জানার চেষ্টা করব। সমাজের বৈশিষ্ট্য গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো-
- সমাজের মূল উপাদান হলো মানুষ অর্থাৎ সমাজ তৈরি হয় মানুষের সমন্বয়ে।
- প্রতিটি মানুষের উপরে সমাজ একান্তভাবে নির্ভরশীল হয়ে থাকে।
- সমাজের প্রত্যেকটা স্থরই একে অপরের ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল হয়ে থাকে।
- একটি সমাজের মধ্যে একতা এবং সহযোগিতার অনুভূতি পাওয়া যায়। এটি হলো এক ধরনের সমিতির মত যারা সব সময় স্থায়ী থাকবে।
- মূলত একটি সামাজিক ঐক্য সাধনের মাধ্যমে এবং যৌথভাবে উদ্যোগের দ্বারাই একটি গোষ্ঠীর ইচ্ছা ও স্বার্থ পূরণ বাস্তবায়িত হয়ে থাকে।
- সমাজের শ্রম ও কাজের বিভাজন এবং দায়িত্ব বিভাজনের মাধ্যমে লক্ষ সম্পাদিত করা হয়ে থাকে।
- সমাজ হলো চির প্রগতিশীল এবং সমাজ একটি নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মমাফিক চলতে থাকা ব্যবস্থা।
- মূলত সমাজ বই সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিয়ে গঠিত হয়ে থাকবে। সাদৃশ্য গুলো হল যেমন, প্রয়োজন, আদর্শ মান ও কার্যক্রম। বৈসাদৃশ্য যেমন, চেহারা, মনোভাব, প্রতিভা ও ব্যক্তিত্ব সবকিছুই একটি সমাজের অঙ্গ। এবং মানুষদের মধ্যে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য রয়েছে বলেই সমাজব্যবস্থা অথবা সভ্যতা পরিবর্তনশীলতা রয়েছে। যদি সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য না থাকতো তাহলে সমাজ ও সংস্কৃতি সমস্ত টাই এক জায়গাতে থমকে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
Also Read,
- সমাজের যারা সদস্য রয়েছে তারা পারস্পরিক সহযোগিতার ভাব পোষণ করে এবং সাধারণ স্বার্থ ভাগ করে নেয়ার মানসিকতা রাখে।
- সমাজের ধারণ বিমুর্ত, কারণ সামাজিক সম্পর্কগুলো অস্তিত্ব কল্পনা থেকে অনুভব করা গেলেও তা চোখে কখনোই দেখা যায় না। এমনকি এটি ছোঁয়াও যায় না।
- সমাজ পরিচালনার জন্য পারস্পরিক সচেতনতা, ক্রমাগত পারস্পরিক সচেতনতা এবং সদস্যের সাথে আন্তঃসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে পরিচালিত করতে হয়।
- সহযোগিতা ও দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে থাকে। মানুষের মধ্যে সহযোগিতার আছে বলেই সমাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে সমাজ এখনো টিকে রয়েছে। অন্যদিকে যদি সমাজের উপস্থিত দ্বন্দ্ব না থাকে তাহলে মার্কসের আধুনিক তথ্য অনুসারে সমাজ অচল হয়ে পড়বে এবং মানুষ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে।
সমাজের কি কি উপাদান রয়েছে?
সমাজে অনেক ধরনের উপাদান রয়েছে তার মধ্যে প্রধান এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো মানুষ।
মূলত মানুষ জাতিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে আমাদের সমাজ বেবস্থা। এবং একটি একটি মানুষের দল নিয়ে গঠিত হয় এক একটি পরিবার।
এবং একটি পরিবার ও সমাজের বিশেষ অঙ্গ। ভিন্ন ভিন্ন পরিবারের সম্মতিতেই তৈরি হয় একটি পুরো সমাজ।
সামাজিক সংস্থা পরিচালনা করার জন্য মানবজাতি নির্মাণ করেছে নানান ধরনের প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থা। যেগুলোর মাধ্যমে সমাজের সুস্থ পরিচালনা এবং সমাজের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায়।
যেমনঃ ঘরবাড়ি, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, গীর্জাসহ আরো নানান ধরনের প্রতিষ্ঠান।
এছাড়াও সমাজবিদ্যা অনুসারে তাত্ত্বিকভাবে সমাজে বেশ কয়েকটি উপাদান রয়েছে।
সেগুলো হলো-
১. সাদৃশ্যতা বা অনুরূপতা (Likeness)
যদি কোন সামাজিক গোষ্ঠীর একত্রিতভাবে সহবস্থানের ক্ষেত্রে বা অনুরূপ তার অবদান অন্যতম।
এক কথায় যদি আমরা বলতে যাই তাহলে কোন জনগোষ্ঠীর বা কোন গোষ্ঠীর সাধারন বংশ উপজাতীয় সব ক্ষ্যাত পরিবারের সুবিধা বা সমঝোতার কারণে তারা একই সমাজে বসবাস করে থাকে।
অনুরূপ ও তার অর্থ হলো পারস্পরিক ভাবে সাদৃশ্যতা। আর সে সাদৃশ্যতা থেকেই একটি সমাজের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
ম্যাকইভার বলেছেন যে, আত্মতা, ঘনিষ্ঠতা ও সম্পর্কের গভীরতা নির্ভর করে পরস্পর বোঝাপড়ার মাধ্যমে।
মূলত একটি পারস্পরিক বোঝাপড়ার তৈরি করতে গেলে অনুরুপা একান্তই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান সমাজে যে কোন জনগোষ্ঠীর কাছে এটি খুবই প্রয়োজন।
কোন গোষ্ঠীর অনুভূতিগুলোকে দৃঢ় ভাবে উপস্থাপিত করতে এবং সেই গুষ্টির স্ত্রী-পুরুষ ও শিশুদের একত্রিত করতে অনুরোধ টা বেশ একটা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে যা একটি সমাজের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য।
কোন সমাজে জনগোষ্ঠীর মাঝে পারস্পরিকতা তৈরি করবার জন্য অনুরূপ বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
২. বৈসাদৃশ্যতা বা পার্থক্য (Differences)
অনুরূপতার মতো উপাদান সমাজের মধ্যে সব ক্ষেত্রে সব সময় যথেষ্ট প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখে না। সামাজিক সংগঠনের জন্য অনুরূপতার পাশাপাশি বৈচিত্রতা একান্ত প্রয়োজনীয় একটি সামাজিক উপাদান। অনেকগুলো পরিবার নিয়ে গঠিত হয়ে থাকে সেহেতু প্রতিটা সমাজের মহিলা ও পুরুষের আলাদা জৈবিক বৈচিত্র বিদ্যমান রয়েছে যা আমরা সকলেই জানি।
অন্য দিক থেকে যদি বলা হয় তাহলে সমাজের অর্থনৈতিক কাঠামো বিভক্ত করা হয় শ্রমবিভাজন এর মাধ্যমে।
আর অর্থনৈতিক কাঠামো সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে থাকে মানুষের জীবিকা এবং মানুষের কর্মকান্ডের উপর।
প্রতিটি মানুষেরই স্বভাব, প্রকৃতি, ব্যবহার, প্রতিভা, সবকিছু একে অপরের থেকে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।
প্রত্যেকটি মানুষের চিন্তা-ভাবনা, ভাবাদর্শ, ও দৃষ্টিভঙ্গি অনেক সময় আলাদা হয়ে থাকে।
আর তাদের ভিন্নমত পোষণের জন্য এই সমাজ সবসময় চির গতি শীল রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
সমাজে প্রায় প্রতিটি মানুষ তাদের স্বার্থ, সামর্থ্য, যোগ্যতা এবং প্রবনতার ভিত্তিতে সমাজের সংগঠন কে করেছে আরও মজবুত।
তবে প্রতিটা মানুষের পৃথক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কখনোই দ্বন্দ্বের উদ্ভব করতে পারে না।
একটি সময় সঠিকভাবে পরিচালনা করতে গেলে কিছু বৈসাদৃশ্য তা অবশ্য সেখানে থাকে।
সব মানুষই যদি একই রকম হয় তাহলে তাদের সামাজিক সম্পর্ক অত্যন্ত সীমিত হয়ে যাবে। এবং যে যার যার বৈশিষ্ট্য প্রদান করতে পারবেনা। সে ক্ষেত্রে সমাজব্যবস্থা স্থির হয়ে থাকবে।
এবং এছাড়াও তাদের মধ্যে পারস্পরিক অর্থ আদান-প্রদান অতিরিক্ত পরিমাণে যে বিষয়টি রয়েছে তা কমে যেতে পারে।
বইসা দৃশ্য অনুপস্থিতি মানুষের জীবনে একঘেয়েমি ও আগ্রহহীনতা তৈরি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে মানুষ হয়ে পড়তে পারে অলস এবং তাদের জীবন সুন্দর না হতে পারত।
আমরা এমন সমাজ কখনোই ভাবতে পারিনা যে রকম সমাজের মধ্যে সকলের প্রাপ্তবয়স্ক বা সকলে যুবক কিংবা সকলে বৃদ্ধ।
সমাজের মধ্যে যখন বিশৃঙ্খলা তার মুখোমুখি হব ঠিক তখনই সমাজের পার্থক্যের অবদান উপলব্ধি করা সম্ভব।
৩. পারস্পরিক সচেতনতা (The Reciprocal Awareness)
পর্বত আবার সাদৃশ্যতা পারস্পরিকতা সৃষ্টি করে। নিজেদেরকে পারস্পরিক সাদৃশ্যতা সম্পর্কে অবগত তারা খুব সহজেই অন্যদের সাথে নিজেদের বৈসাদৃশ্যতা খুঁজে বার করতে সক্ষম হয়ে থাকে।
সাদৃশ্যতা বৈসাদৃশ্যতা এই দুটি উপাদান সরাসরিভাবে সমাজের উন্নতির জন্য কাজ করে থাকে।
মূলত এ পারস্পরিক সচেতনতাই জনগোষ্ঠীর মধ্যে কার স্বাধীনতা খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। প্রায় সমস্ত সামাজিক কার্যকলাপে পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া উপর নির্ভরশীল।
আরে পারস্পরিক সচেতনতায় একটি সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে পারস্পারিক মানসিকতা এবং সম্পর্ককে গভীরভাবে করতে সক্ষম। যা তাদের মধ্যে ঐক্য সাধন করতে সাহায্য করে থাকে।
৪. বৈসাদৃশ্যতা, যা সাদৃশ্যতার অধীন (Differences, subordinate to the likeness)
সমাজের অর্থ সাদৃশ্যতা হলেও, এ বক্তব্য সম্পূর্ণ সত্য নয়। বইসা দৃশ্য তা কখনো একা সমাজকে গঠন করতে পারবেনা।
তাই সমাজের উপাদান হিসেবে বৈসাদৃশ্য সবসময়ই অধীনস্থ একটি উপাদান।
সমাজবিজ্ঞানী ম্যাকইভার বলেছেন, প্রাথমিক সাদৃশ্য এবং প্রধান বৈসাদৃশ্যগুলো যেকোনো ধরনের সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শ্রম বিভাজনের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৫. পরস্পর নির্ভরতা (Interdependence)
একটি সমাজ পরিচালনার জন্য পরস্পর নির্ভরশীল অবশ্যই হতে হবে। প্রত্যেকটি মানুষ এই কারণে কারো উপর নির্ভরশীল হয়ে জীবন যাপন করছে।
যদি কারো উপর নির্ভরশীল না হয়ে আমরা সমাজে বেঁচে থাকতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের পক্ষে তা সম্ভব নয়। কেননা জীবন-যাপন করবার জন্য একটি সমাজে ব্যবস্থার মধ্যে থাকার জন্য একে অপরের উপর নির্ভরশীল হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তাই অবশ্যই সমাজ ব্যবস্থার উপর থাকতে হলে পরস্পর নির্ভরশীল হতে হবে। এটি সমাজ ব্যবস্থার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
৬. সহযোগিতা (Cooperation)
সমাজ কাকে বলে, সমাজ হলো এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে সব ধরনের কিছুই থাকবে তার উপাদান হলো সহযোগিতা।
সহযোগিতা ছাড়া মানুষ কখনোই বেঁচে থাকতে পারবে না।
একটি সমাজে বেঁচে থাকতে গেলে অবশ্যই প্রত্যেকটি মানুষ সূর্য সহযোগিতার মাধ্যমে বেঁচে থাকতে হবে।
এটি সমাজব্যবস্থার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈশিষ্ট্য।
৭. দ্বন্দ্ব (Conflict)
আমরা আগেই উল্লেখ করেছিলাম যে দ্বন্দ্ব হলো সমাজ ব্যবস্থার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। কেননা দ্বন্দ্ব ছাড়া কখনই কোন কিছুর করবার ইচ্ছা মানুষের মনে আসে না।
সমাজের মধ্যে যেমন মিল থাকা প্রয়োজন তেমনি দ্বন্দ্ব থাকাও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। সমাজবিদ্যা এবং উন্নতি সাধনের জন্য দ্বন্দ্ব থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সমাজ কাকে বলে- সমাজের প্রয়োজন কেন?
সমাজ মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ।
প্রত্যেকটি মানুষই প্রতি সমাজের ভিতর বসবাস করে। সমাজ ব্যতীত কোনো ব্যক্তি বা মানুষ কখনো উন্নতি সাধন করতে পারেনা।
একটি সমাজ ব্যবস্থা মানুষের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি জিনিস।
সহযোগিতা দ্বন্দ্ব পারস্পরিক নির্ভরতা সকল কিছু মিলিয়ে একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে।
যা মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সমাজের মূল প্রয়োজনীয়তা গুলি হল-
- সামাজিক সমর্থন
- সামাজিক গোষ্ঠী গঠন
- সাংস্কৃতিক সংগঠন
- ব্যবস্থাপনা
- সাধারণ লক্ষ্য
আরও পড়ুনঃ
বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় | কিভাবে নিজের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করবেন
সমাজ কাকে বলে FAQS
মানুষ একত্রিত ভাবে বসবাসের মাধ্যমে যে ব্যবস্থা গড়ে তাই হল সমাজ। অন্যভাবে বললে, স্বাস্থ্যগত কারণে একে অপরের উপর নির্ভরশীল হয়ে গড়ে ওঠা জনগোষ্ঠীকে সমাজ বলা হয়।
সমাজের প্রয়োজন কেন?
মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সমাজ। সমাজের বাহিরে গিয়ে কোন বেক্তির পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। সমাজের মূল প্রয়োজনীয়তা গুলি হল- ১. সামাজিক সমর্থন, ২. সামাজিক গোষ্ঠী গঠন, ৩. ব্যবস্থাপনা, ৫. সাধারণ লক্ষ্য।
উপসংহার
সমাজ কাকে বলে, সমাজ কি? এসকল বিষয় গুলো আপনাদের সামনে আজকে আমরা তুলে ধরেছি। আশা করছি আপনারা সমাস কাকে বলে এবং সমাজে ব্যবস্থাটি রয়েছে সে সম্পর্কে খুবই ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন।
তবুও যদি এ বিষয়ে আপনাদের আরো কোন প্রশ্ন অথবা মতামত থাকে। তাহলে আপনারা আমাদের কমেন্ট এর মাধ্যমে বিষয়টি জানাতে পারেন।
এধরনের আরো নিত্যনতুন বিষয়ে জানতে এবং নতুন কিছু শিখতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসতে পারেন।
সবসময় আপডেট পেতে চোখ রাখতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজে।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।