সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ পৃথিবীর আদর্শ ব্যক্তি কে সেই সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা অনেকেই গুগলের মাধ্যমে সার্চ করে থাকেন। আপনাদের কী জানা আছে পৃথিবীর মাঝে আদর্শ ব্যক্তি কাকে বলা হয়?
আপনারা যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। মূলত কোন আদর্শবান ব্যক্তি বা আদর্শ ব্যক্তি বলতে আমরা কি বুঝি। আমরা বুঝি এমন কোন ব্যক্তি যাকে অনুসরণ করে পুরো পৃথিবীর মানুষ চলতে পারবে এবং সঠিক রাস্তা পাবে।
এছাড়াও আদর্শ ব্যক্তি বলতে বোঝায় যে ব্যক্তির কাছ থেকে আমরা যে কোন ভাল কাজ শিখতে পারবো। যেমন উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে আমাদের শিক্ষক। অবশ্যই আমাদের শিক্ষকরা আদর্শবান ব্যক্তি কিন্তু পুরো পৃথিবীতে কে আদর্শবান ব্যক্তি হিসেবে সারাজীবন থাকবেন সে সম্পর্কে আর্টিকেলে জানবো।
Content Summary
পৃথিবীর আদর্শ ব্যক্তি কে? – Who is the ideal person in the world?
অতীত ভবিষ্যৎ কিংবা বর্তমান আপনি যেকোনো সময় কেই উল্লেখ করেন না কেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্মের পর থেকে পৃথিবীর জন্য একজন আদর্শবান ব্যক্তি।
পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি মুসলমান এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে আমাদের প্রিয় নবীর খুবই প্রিয় একজন মানুষ।
পুরো পৃথিবীতে তাকে সর্বকালের সেরা মানব হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।
আপনারা যদি গুগলের মাধ্যমে সার্চ করেন পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষকে কিংবা পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে সেখানে সর্বপ্রথম আমাদের প্রিয় নবীর অবস্থান পেয়ে যাবেন।
গুগলে best man, best human, best human in the world, ‘who is the best man in the world- ইত্যাদি লিখে সার্চ করলে প্রথমেই চলে আসে হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর নাম।
বিখ্যাত একজন লেখক মাইকেল হার্টস এর লেখা “বিশ্বসেরা ১০০ মনীষী” গ্রন্থের মধ্যে গ্রন্থের মধ্যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম সর্বপ্রথম উল্লেখ করা হয়েছে।
১৯৭৮ সালে এবং কে কেন্দ্র করে প্রকাশিত হলেই নানান মহলে এটি নিয়ে ব্যাপক হইচই পড়ে যায়।
গুগলের এই তথ্য বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘Best Man In The World ’Prophet Muhammad’.
অর্থাৎ ‘নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, বিশ্বের সেরা মহামানব’ ইত্যাদি হ্যাশট্যাগে ভাইরাল হয়েছে।
এক নজরে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী
আমাদের প্রিয় মুহাম্মদ সাঃ হচ্ছেন আখেরি জামানার নবী অর্থাৎ তিনি সর্বশেষ নবী।
তিনি হচ্ছেন ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা কারণ তিনি প্রতিটি মানুষকে সুপথে আনার চেষ্টা করতেন।
তার এই বিশেষত্বের মূল কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক জগতের চূড়ান্ত সফলতার অর্জন।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা’আলার আনুগত্য ছিলেন তেমনি মানুষকে সঠিক পথে আনার নেতৃত্ব প্রদান করতেন।
তখনকার সময়ে পুরো আরব বিশ্বে তিনি একজন সত্য এবং ন্যায় পরায়ণ মানুষ হিসেবে পুরো পৃথিবীতে নাম করে গিয়েছেন।
তিনি একমাত্র ব্যক্তি যে সমগ্র আরব জনতাকে একীভূত করেছিলেন।
মহান এই ব্যক্তি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রবিউল আউয়াল মাসের ১২ই রবিউল আউয়াল ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে আরবে মা আমিনার কোলে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ৬৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরলোকগমন করেন।
আরবে একটি খারাপ সময়ে যখন আরববাসী ছিল গৌড় অন্ধকারে নিমজ্জিত।
তারা ইসলামকে ভুলে মহান আল্লাহকে ভুলে নানান ধরনের খারাপ কাজে লিপ্ত ছিল।
সব জায়গায় আরবে দেখা দিয়েছিল জুলুম অরাজগতা এবং বিশৃঙ্খলা।
এছাড়াও আরবের মধ্যেই মারামারি হানাহানির মাঝে মানুষ লিপ্ত ছিল।
নিজ ধর্মকে ভুলে গিয়ে মূর্তি পূজা করা হতো।
সেসময় পাশেই যুগকে বলা হয় “আইয়ামে জাহেলিয়াত”।
এই সকল মারামারি এবং হানাহানি থেকে জুলুম-নির্যাতন থেকে মানুষকে মুক্তি প্রদান করার জন্য এবং তাদেরকে সুপথে নিয়ে আসার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেন।
পবিত্র কুরআন মাজীদ এর মধ্যে বর্ণিত রয়েছে যে, যদি আল্লাহতালা হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে সৃষ্টি না করতেন তাহলে তিনি এই পৃথিবী কে সৃষ্টি করতেন না।
আরও পড়ুনঃ
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মসজিদ কোনগুলো?
ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়া কোনটি?
নারীদের মর্যাদা আদায়ে বিশ্বনবী | পৃথিবীর আদর্শ ব্যক্তি কে
নারীদের মর্যাদা আদায়ে বিশ্বনবী
আরবে ইসলামে জাহেলী আরব সমাজের মধ্যে নারীদের কোন সম্মান কিংবা মর্যাদা ছিল না।
তাদেরকে শুধুমাত্র পুরুষের ভোগের বস্তু হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল।
তখনকার সময়ে নারীরা ছিল রাতের কবিতার আসর আর মদের আড্ডায় বিশেষ অনুষঙ্গ।
সমাজে এবং নিজের বাস্তবিক জীবনে তাদের বড়জোর তাদের স্বামী কিংবা তারা যেখানে কাজ করে সেখানকার মনিবের মনোরঞ্জনের উপকরণ হিসেবে গণ্য করা হতো।
এগুলো ছাড়া তাদের সমাজের মাঝে কোন সম্মান কিংবা মর্যাদা ছিল না।
এমনকি সেই সময়ে নারীদেরকে সমাজের পরিবারের এবং বংশের অসম্মান বা অভিশাপ মনে করা হতো।
সামাজিক এবং লোকলজ্জার ভয়ে মা-বাবা তাদের কন্যা সন্তান হলে জীবিত কবর দিয়ে দিত।
এছাড়াও সমাজে এতটাই নিপীড়ন এবং জুলুম বেড়ে গিয়েছিল যে কোন মায়ের যদি কন্যা সন্তান হতো তাহলে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে অসম্মান করা হতো।
মূলত এক কথায় বলতে গেলে নারীদেরকে এমনভাবে সম্বোধন করা হতো যেন তারা কোনো মানুষই নয়।
নারীর মর্যাদা আদায়
পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে পুরুষের সঙ্গে নারীদেরও সম্পত্তির উত্তরাধিকারী নির্ধারণ করা হয়েছে।
একইভাবে মায়েদের, স্ত্রীদের, কন্যাদের, স্বামীদের সম্পত্তির এবং বিশেষ অবস্থায় বোনদের-ভাইদের সম্পত্তির উত্তরাধিকার সাব্যস্ত করা হয়েছে।
একসময় ওয়াইস করনী (রা.) হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কাছে খবর পাঠালেন হে আল্লাহর রাসূল আপনার সঙ্গে আমার দেখা করার খুব ইচ্ছে রয়েছে, কিন্তু আমার মা খুব অসুস্থ, এখন আমি কি করতে পারি?
হযরত মুহাম্মদ (সা.) উত্তর পাঠালেন, আপনার আমার কাছে আসতে হবে না।
আমার সঙ্গে সাক্ষাতের চেয়ে নিজের মায়ের সেবা করা বেশি জরুরি।
তিনি মায়ের সেবা করার কারণে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা।) এর যুগে থেকেও তার সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেনি।
রাসূল (সা.) বলেন- যে ব্যক্তির তিনটি কন্যাসন্তান আছে যাদের সে লালন পালন করে এবং তাদের সঙ্গে সদয় আচরণ করে, তার জন্য অবশ্যই জান্নাত ওয়াজিব।
সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যদি দুটি মেয়ে থাকে? নবীজি বললেন, দুটি থাকলেও (বুখারি : ২৪৮১)।
আরও পড়ুনঃ
অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়া কোনটি?
পৃথিবীর আদর্শ ব্যক্তি কে FAQS
সকল সময়ের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে আদর্শ ব্যক্তি হচ্ছে হজরত মুহাম্মাদ (সা.)।
হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর জন্ম ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে আরবে।
তিনি ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ৬৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরলোকগমন করেন।
উপসংহার
সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ পৃথিবীর আদর্শ ব্যক্তি কে সে সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
হযরত মুহাম্মদ সাঃ আমাদের প্রিয় নবী এবং পুরো পৃথিবীতে তিনি সর্বশেষ নবী হিসেবে এসেছিলেন।
আজকের এই আর্টিকেলের আমাদের প্রিয় নবী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভাল লেগেছে এবং আপনারা আজকেরে আর্টিকেল থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে আদর্শ ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে পেরেছে।
আপনাদের যদি আজকের এই আর্টিকেল সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থাকে তাহলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আপনারা যারা অনলাইন থেকে আয় করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য ঘরে বসে আয় করার সুযোগ রয়েছে।
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনারা অনলাইন থেকে আয় সংক্রান্ত আর্টিকেলগুলো সম্পূর্ণ গাইডলাইন সরকারের পেয়ে যাবেন।
আমাদের ওয়েবসাইটে এসকল আর্টিকেলগুলো পেতে অবশ্যই ভিজিট করুন এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।