২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয়? 

বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৬ শে মার্চের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিবছর শ্রদ্ধার সাথে ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালন করা হয় তা একজন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে জানা জরুরি। তাই Bangladesh Independence Day বা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে ও কেন এই দিনটিকে মহান স্বাধীনতা দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে তা জানাতে আজকের এই নিবন্ধনটি তৈরি করা হয়েছে।

১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে বাঙালি জাতীর উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়, তারপর দিন ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস আমরা সকলেই জানেন, কিন্তু আমাদের নতুন প্রজন্ম ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় তা আমরা সঠিক ভাবে জানেন না।

তাই আজ বাংলার নতুন প্রজন্মকে ২৬ শে মার্চ কেন Independence Day হিসেবে ঘোষণা হয়েছে জানাতে এসেছি।

তাছাড়াও ২৬শে মার্চ ঘটে যাওয়া অনেক অজানা কিছু তথ্য নিয়ে সাজানো হয়েছে Why is Independence Day declared on March 26? পোস্ট।

স্বাধীনতা দিবস পালনের দিনটি বাঙালি জাতীর জন্য একটি ঈদের দিনের সমান।

কারণ এই স্বাধীনতা দিবসের মহা গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে এবং বাংলাদেশে একটি সার্বভৌম দেশে পরিণত হয়, কেননা একটি পরাধীন জাতি কখনো মাথা তুলে দাড়াতে পারেনা।

স্বৈরাচারী পশ্চিম পাকিস্তানিদের শাসন আমলের বাঙ্গালির নিজস্ব স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না, যেখানে বাঙালিরা তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা বজায় রেখে চলাফেরা করতে পারে।

তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে?

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে জানেন কি
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে জানেন কি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে শেষ প্রহরে বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ বেছে নেয়ার জন্য স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

তবে এমন অনেকেই আছেন যারা 26 শে মার্চ Independence Day এবং বিজয় দিবস, এই দুই দিবসের মধ্যে ওলট পালট করে ফেলএন।

তাই আজ আমরা আপনাদেরকে এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকে অবসান দিতে এসেছি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে? এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস কবে? এই সম্পর্কে জানিয়ে।

যে দিনে স্বৈরাচারী পশ্চিম পাকিস্তানি বাহিনীর থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করা হয় ঐ দিনটিকেই স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হচ্ছে ২৬ শে মার্চ। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতের শেষ প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তির পাগল বাঙালি জাতিকে স্বাধীন করার জন্য বাঙ্গালীদের সর্বশেষ যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেটি হচ্ছে স্বাধীনতার ঘোষণা।

সুতরাং প্রতি বছর 26 শে মার্চ বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। স্বাধীনতা দিবস পালনের লক্ষ্য হচ্ছে যুদ্ধে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো, কেননা তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।

তাছাড়া বাঙালি জাতীর ইতিহাসের গৌরবময় দিন সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানানো রাস্টের দায়িত্ব।

কারণ এই দিনে স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে এবং বাঙালিরা নিজেদের বিশ্বের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়।

বাংলাদেশের বিজয় দিবস কবে?

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার দিন ২৬ শে মার্চকে স্বাধীনতা দিবস এবং যেদিন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল বা বিজয় অর্জন করেছিল ঐ দিনকে বিজয় দিবস হিসাবে উদযাপন করা হয়।

বাংলাদেশে বিজয় দিবস পালন করা হয় 16 ই ডিসেম্বর।

১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, ঘোষণার পর থেকে বাঙালিরা স্বাধীনতার জন্য পশ্চিম পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকে এবং ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তারিখে পশ্চিম পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আত্মসমর্পন করে এবং বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

আরো দেখুনঃ বিজয় দিবস পালনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে ঘোষণা করা হয়?

১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করার ৯ মাস পূর্বেই স্বাধীনতার ঘোষণা করা হয়।

আগেভাগে স্বাধীনতা মূল কারণ হচ্ছে ১৯৭১ সালের 25 শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীরা নিরীহ বাঙালিদের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় যার নাম দেয়া হয় অপারেশন সার্চলাইট এবং সেই রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করার ফন্দী করে, তাই গ্রেফতার হবার পূর্বে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে যান।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 25 শে মার্চ রাতে অর্থাৎ 26 শে মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করে যান এবং সেই সময়ে চট্টগ্রামে অবস্থিত তৎকালীন ইপিআর এর ট্রান্সমিটার এর মাধ্যমে প্রচার করার জন্য আদেশ দেয়া হয়।

তৎকালীন সময়ে বেলাল মোহাম্মদ, আবুল কাশেমসহ চট্টগ্রামে বেতারকেন্দ্রে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি মাইকিং করে প্রচার করেন।

বাংলাদেশ আর্মির পক্ষ থেকে প্রথম স্বাধীনতার প্রচারণা করেন তিনি হচ্ছেন এম.এ. হান্নান। তৎকালীন সময়ের পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান।

পরবর্তীতে তিনি ২৭শে মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। তিনি মূলত শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন, এই কথাটি তিনি তখন নিজ কণ্ঠে উচ্চারণ করেছেন।

আরও পড়ুনঃ

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস স্ট্যাটাস

আর এই স্বাধীনতা ঘোষণার মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে সার্বভৌমত্ব এবং আইনসম্মত সরকার হিসেবে বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার অধিকার।

২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস?

স্বৈরাচারী পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার খুবই প্রয়োজন ছিল। স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতিকে ২৫ শে মার্চ রাতে নিজে কারাবন্দী হওয়ার পূর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা দেন।

তার সেই লিখিত ঘোষণা পত্রটি ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশ বেতার থেকে প্রচার করা হয়, তাই 26 শে মার্চকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসাবে ধরা হয়।

প্রতি বছর শহীদদের স্মরণে এবং স্বাধীনতার তাৎপর্য বর্ণনার মাধ্যমে 26 শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।

১৯৭১ সালের 25 শে মার্চ রাতে যখন পাকিস্তানিরা অপারেশন সার্চলাইটের নামে অনানুষ্ঠানিকভাবে বাঙালির উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় তখন থেকে বাংলাদেশের সংগ্রাম শুরু হয়ে যায় এবং 26 শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর প্রদান করেন।

এরপর মেজর জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণাপত্রটি সকলের কাছে পৌঁছে।

১৯৪৭ সালে ভারত বর্ষ এবং পাকিস্তান আলাদা হয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান দুটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়। বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথেই ছিল।

পাকিস্তানের দুটি অংশ একটি হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তান এবং অন্যটি হচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তান। পূর্ব পাকিস্তান হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশ।

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকলেও পশ্চিম পাকিস্তানের স্বৈরাচারীর শাসকগোষ্ঠীর লাঞ্চনা ও বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছিল বাঙ্গালীদের।

স্বাধীনতা দিবস কবে?

স্বাধীনতা দিবস হচ্ছে ২৬ শে মার্চ। পাকিস্তানি রাজনৈতিক শাসকদের জাতিগত, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অধিকার নিয়ে এদেশের জনগনের মতবিরোধ ছিল।

১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের এই মতবিরোধ বাড়তে থাকে এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পর্যায় ছোট ছোট সংঘর্ষ ও হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় এদেশের জনগণের উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে।

বাংলাদেশকে অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানকে এই অত্যাচার এবং হত্যাযজ্ঞ থেকে নিজেদের মুক্ত করার জন্য অনেক আগে থেকে সোচ্চার ছিল বাঙালি জাতি।

পূর্ব পাকিস্তানের নেতাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালীর দাবি আদায়ের জন্য সোচ্চার ছিলেন, তিনি বাংলালদেশ আওয়ামী মুসলিম লীগে নেতাদের নিয়ে বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ জানাতে থাকে।

স্বৈরাচারী পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার যখন অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে যায় এবং বাঙালি জাতীর পিঠ যখন দেয়ালে থেকে যায় ও যখন এ প্রতিবাদ একদম চরম পর্যায়ে এসে পৌঁছায় তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর অন্য কিছু সহ্য না করতে পেরে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে ( ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে)।

২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানী বাহিনী, তবে গ্রেপ্তারের পূর্বে মহান স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে যান বঙ্গবন্ধু, যদিও বঙ্গবন্ধু নিজ কণ্ঠে দিয়ে জেতে পারেন নি।

Also Read:

জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য

স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য বাংলা

তবে বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হবেন বিষয়টি বুজতে পেতে স্বাধীনতা ঘোষণা লিখে তাতে স্বাক্ষর করে বেতারে প্রচার করার অনুরোধ করে যান।

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিপাগল বাঙ্গালীরা দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে, ও 30 লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।

সুতরাং 26 শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে বাংলাদেশকে পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী থেকে রক্ষা করা এবং নিজেদের স্বাধীনতা অর্জন করা।

বাংলাদেশে কিভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়? 

২৬ শে মার্চ কেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয়?
২৬ শে মার্চ কেন
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয়?

প্রতিবছর বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ শহীদদের আত্মত্যাগ কে সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে জাতীয়ভাবে Independence Day পালন করা হয়। 

বাংলাদেশে Independence Day এর প্রথম কার্যক্রম শুরু হয় বাংলাদেশের কেন্দ্রিয় স্মৃতিসৌধে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে।

সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয়ভাবে Independence Day পালন শুরু হয়। ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রথম প্রহরের সময় সম্মান প্রদর্শনের জন্য ৩১ বার তোপধন্বী দেয়া হয়।

এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহ জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে Independence Day উদযাপন করে থাকে।

দেশের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ লাল সবুজ পতাকা ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়।

আরও পড়ুনঃ

১৫ অগাস্ট কি দিবস?

২৬ মার্চ এর কবিতা

আমাদের তরুন সমাজকে দেশাত্মবোধের সাথে পরিচয় ও একাত্মবোধ করাতে কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা ও Independence Day নিয়ে সাংস্কৃতিক ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে।

Independence Day এর আরেকটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন হয়ে থাকে। স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী সকল সেনানায়কদের সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম নামের একটি সংগঠন  আছে।

এই সংগঠন প্রতিবছর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মধ্যরাতে সব আলো নিভিয়ে মশাল প্রজ্বালন করে তা পরবর্তী তরুন প্রজন্মের হাতে তুলে দেন।

স্বাধীনতা স্তম্ভে এই মশাল প্রজ্বলন আয়োজন করা হয়ে থাকে।

এটা অনেকটা এমন বোঝায় যে আমাদের জীবন আমরা দেশের জন্য বাজি রেখেছি, এবার তোমাদের পালা। তাই Independence Day is celebrated on March 26.

26 শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস কবিতা

26 শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কিত বহু কবিতা লেখা হয়েছে, বহু কবি এবং লেখকগণ লিখেছেন।

১৯৭১ থেকে ২০২১ স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করে বাংলাদেশ সরকার। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও তবুও এই স্বাধীনতা দিবসকে নিয়ে কবিতা রচনা বন্ধ হয়নি।

তাই আমরা আপনাদের জন্য 26 March Bangladesh Independence Day সম্পর্কিত কিছু কবিতা অন্য কোন পোস্টে আপনাদের জন্য নিয়ে আসব।

আরও পড়ুনঃ

পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে?

পৃথিবীতে কয়টি মুসলিম দেশ আছে?

Why Independence Day is celebrated on March 26?

২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়?

১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতের শেষ প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন, তাই প্রতি বছর ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত তারিখে?

প্রতি বছর যথাযথ মর্যাদায় ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।

২৬ মার্চ কে স্বাধীনতা দিবস ঘোষনা করা হয় কখন?

১৯৭১ সালের দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি সরকারিভাবে প্রকাশিত এক বিশেষ প্রজ্ঞাপনে ২৬ শে মার্চকে বাংলাদেশে জাতীয় স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। তারপর থেকে প্রতি বছর যথাযথ মর্যাদায় এই জাতীয় দিবস উদযাপন করা এবং সরকারিভাবে এ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়

স্বাধীনতা দিবস কি?

স্বাধীনতা দিবস হচ্ছে বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক দিন ২৬ শে মার্চ ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল।

২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস সর্বশেষ কিছুকথা

আশা করি আপনি জানতে পেরেছেন ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।

এছাড়াও আপনাদের কে জানানোর চেষ্টা করেছি স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের মধ্যে পার্থক্য কি। 

কোন তারিখে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় এবং কোন তারিখে বাংলাদেশের বিজয় দিবস পালন করা হয় এই বিষয়গুলি সম্পর্কে আপনার ধারণা পরিষ্কার হয়েছে বলে মনে করি।

তাছাড়া স্বাধীনতার মূল পটভূমি কি ছিল এবং বাংলাদেশকে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য কি পরিমান রক্ত দিতে হয়েছিল তার স্পষ্ট ধারণা আপনাদের দেয়ার চেষ্টা করেছি।

তবে আপনারা যদি স্বাধীনতা দিবস কবে এবং স্বাধীনতা দিবস কেন পালন করা হয় এই সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।

আমরা অবশ্যই আপনাদের Independence Day সম্পর্কে তথ্য জানাবো। কারণ এই Independence Day প্রত্যেক বাঙালির কাছে এক গৌরবময় এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দিবস।

ধন্যবাদ।

আরও পড়ুনঃ

বঙ্গবন্ধুর প্রথম জীবনীকার কে?

কত শতাংশে এক কাঠা?

মুজিবনগর সরকার কবে গঠিত হয়?

২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস পোস্ট ট্যাগ,

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস,

স্বাধীনতা দিবস রচনা,

দেশের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা,

আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে,
মহান স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতা দিবসের ছবি,

২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস,
স্বাধীনতা দিবসের কবিতা,

অনুচ্ছেদ স্বাধীনতা দিবস,

স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য,

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস,

স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০ শব্দ এই ট্যাগ গুলির উত্তর এই পোস্টে রয়েছে। 

কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ভিজিট করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।

আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাংলা ভাষায় অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম, টেলিকম অফার এবং মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে।

Leave a Comment