পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম কি?

আজকে আমরা জানার চেষ্টা করবো পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে। আসলেই কি সম্ভব পুরনো জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার কোনো সহজ মাধ্যম? জানার চেষ্টা করবো কত সহজভাবে ঝামেলা ছারাই কিভাবে এবং কোথা থেকে jonmo nibondhon সংক্রান্ত এই সমস্যা সমাধান করা যায়।

আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে এই বিষয়ে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কত সহজে হয়রানি ছাড়া আপনি আপনার বা পরিবারের সদস্যদের পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে পারবেন।  

আপনি যেহেতু এই আর্টিকেলটি খুজে বের করছেন তাই বোঝা যাচ্ছে আপনি আপনার বা পরিবারের কারোর জন্ম নিবন্ধন পুরাতন থেকে অনলাইন করতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। 

সাধারন জনগণের হয়রানি কমাতে জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সরকার দ্বারা নির্ধারিত একটি ওয়েবসাইট থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে। যেখানে সব তথ্য আপলোড করা হচ্ছে এবং এর মাধ্যমে প্রত্যেক মানুষ তার জন্ম সনদ সম্পর্কে অনুসন্ধান করে জানতে পারছে সর্বশেষ আপডেট। 

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন করার নিয়ম 2023

সর্বপ্রথম আপনাকে এই পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন করার আগে দেখতে হবে আপনার জন্ম সনদটি সরকারের জন্ম সনদ তথ্য ওয়েবসাইট bdris এ আছে কি না।

এক্ষেত্রে প্রথমে আপনি bdris এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।

প্রবেশ করলে আপনি নিচের ছবির মতো একটি পেজ দেখতে পাবেন। 

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম
পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

উপরের পেজটি দেখতে পারছেন।

এবার ‘জন্ম নিবন্ধন নং’ লেখার ঘরে আপনার পুরনো জন্ম সনদের নাম্বারটি লিখতে হবে।

এরপরে দ্বিতীয় ঘরে জন্ম তারিখের জায়গায় আপনার জন্ম সনদে দেওয়া জন্ম তারিখটি বসাতে হবে।

এক্ষেত্রে জন্ম তারিখের যে ফরম্যাট উল্লেখ থাকে সেই ফরম্যাট উল্লেখ করতে হবে। 

এবার আপনার পুরনো জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে সাবমিট করা আছে কি না তা দেখার জন্য উপরের পেজের মতো যে পেজটি এতক্ষণ পূরণ করছেন তার নিচে ‘অনুসন্ধান’ বাটনে ক্লিক করুন। 

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন
পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন

এবার যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা থাকে তাহলে আপনি নিচের ছবিটির মতো একটি পেজে আপনার জন্ম সনদের তথ্য দেখতে পাবেন।

আর যদি না করা থাকে তাহলে আপনাকে বলা হবে ওই তথ্যের উপর ভিত্তি করে কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ আপনার পুরাতন জন্ম সনদটি অনলাইনে সাবমিট করা নাই। 

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করতে কি কি লাগে

উপরের ছবি থেকে দেখতে পাচ্ছেন। যে জন্ম তথ্য দেখা যাচ্ছে আমাদের দেওয়া একটি জন্ম সনদের।

এছাড়া এটি ইতিমধ্যে অনলাইনে সাবমিট করা হয়েছে যেখানে এমন তথ্য শো করছে। আপানাদের সার্চে এমন তথ্য শো করলে বুজবেন আপনাদের পুরাতন জন্ম নিবন্ধনের তথ্য অনলাইনে সাবমিট করা আছে। 

এবার হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক

ধরি, আপনার পুরনো যে জন্ম সনদটি অনলাইন করবেন সেটির তথ্য ইতিমধ্যে অনলাইনে সাবমিট করা আছে।

তাহলে এবার শুরু করা যাক পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম এর মূল কার্যক্রম।

আর যাদের টোটালি কোনো তথ্য অনলাইন করা নাই তাদের করণীয় এই আর্টিকেলের শেষে উল্লেখ করে দিবো।

এজন্য আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়তে হবে। তাহলে পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন করার নিয়ম বুঝতে পারবেন সবকিছু খুব সহজে। 

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার নিয়ম খুব সহজে আবেদন

এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো যে, পুরাতন জন্ম নিবন্ধন বলতে হাতে লেখা জন্ম সনদ যদি কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলেই শুধু মাত্র অনলাইন থেকে তা কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রিন্ট করে নেওয়া যাবে। 

পুরনো জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন করার জন্যে সর্বপ্রথম bdris এর ওয়েবসাইটের পুনর্মুদ্রণ করার পেজে প্রবেশ করতে হবে।

এই লিঙ্কে প্রবেশের পর এবার নিচের ছবির মতো একটি পেজ দেখা যাবে। 

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার নিয়ম খুব সহজে আবেদন
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার নিয়ম খুব সহজে আবেদন

উপরের ছবিটির মতো পেজে প্রবেশের পর ‘জন্ম নিবন্ধন’ এবং ‘জন্ম তারিখ’ এর ঘরে পুরাতন জন্ম নিবন্ধনের তথ্য বসিয়ে অনুসন্ধান করতে হবে। 

অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে যদি সেখানে গনিতের কোনো সমাধান ক্যাপচার মতো আসে তা সমাধান করুন এবং পরবর্তী বাটনে এগিয়ে যান। এবার যখন দেখবেন আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য অনুসারে সেসব তথ্য প্রদর্শন করা যাচ্ছে তখন বুঝতে হবে যে এই জন্ম নিবন্ধনটি পুনর্মুদ্রণ করা সম্ভব হবে।  

এবার, আপনার তথ্যের সাথে মিলে গেলে আপনাকে নিশ্চিতকরণ অপশনে ক্লিক করতে হবে এবং পরবর্তীতে কনফর্ম অপশন থেকে কনফর্ম করতে হবে।

এরপর আপনাকে পরবর্তী অন্য একটি পেজে নিয়ে যাবে।

যেখানে আপনাকে কিছু তথ্য এডিট করে ইনপুট করতে হবে।

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করতে কি কি লাগে

বন্ধুরা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করতে আপনাকে প্রয়োজনীয় সকল কাজপত্র প্রদান করতে হবে।

  • আপনার পুরাতন জন্ম নিবন্ধন থাকলেও জন্মনিবন্ধনের এক কপি ফটোকপি।
  • যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড তৈরি হয়ে থাকে তবে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড না হয়ে থাকে তবে আপনার স্কুল সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। 
  • সেই সাথে পরিবারের সদস্য বিশেষ করে বাবা অথবা মায়ের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রদান করতে হয়।
  • আপনার জন্ম ২০০০ সন বা তার পূর্বে হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন থাকা বাধ্যতামূলক নয়। এক্ষেত্রে আবেদনের সময় পিতা-মাতার নাম লিখে দিতে পারবেন।

এখানে আপনার বর্তমান ঠিকানা নতুন কিছু হলেও আপনার পুরনো জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্যে যে জন্ম সনদ অনলাইন আবেদন করবেন সেখানে উল্লেখিত বর্তমান ঠিকানাকেই এখানে বর্তমান ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করতে হবে।

পুনর্মুদ্রণের এই পেজে দেশের নাম থেকে শুরু করে এলাকার স্থায়ী ঠিকানা, বাসা নাম্বার এবং হোল্ডিং নাম্বার প্রদান করতে হবে।  

এক এক করে সকল তথ্য শতভাগ সঠিকভাবে প্রদান করার পর আবেদনকারীর তথ্য প্রদান করার ঘরে চলে যেতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার নিজের হলে ‘নিজ’ পরিবারের হলে ‘পরিবারের সদস্য’ এবং অন্য কেউ হয়ে যেমন কম্পিউটারের দোকান থেকে করলে ‘অন্যান্য’ সিলেক্ট করতে হবে।

এবার আবেদনকারীর তথ্যের সম্পর্ক প্রদানের পর মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস প্রোভাইড করতে হবে। 

আবেদনকারীর নিজের যে যে তথ্য লাগবে

এক্ষেত্রে, আবেদনকারীর ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। ঠিকানা উল্লেখ করার ক্ষেত্রে শুধু উপজেলা এবং জেলার নাম উল্লেখ করলেই যথেষ্ট।

এক্ষেত্রে পরিবারের সদস্য হলে আবেদনকারীর তথ্য পূরণ করতে হবে না।

অন্যদিকে পরিবারের বাহিরের লোক দ্বারা আবেদন করলে আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার প্রদান করতে হবে। 

সুস্থ মস্তিস্কে সময় নিয়ে কাজগুলো করলে এই কাজের মতো সহজ কাজ আর একটি নাই। 

পুরনো জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য সকল পদক্ষেপ শেষ।

এবার পরবর্তী পেজে যেতে হবে।

এবার নতুন এই পেজটিতে যে সব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে সেখানে প্রকাশিত এপ্লিকেশন আইডি নোট করে রাখতে হবে।

তারপরে পরবর্তীতে অ্যাপ্লিকেশন আইডি দিয়ে পুনর্মুদ্রণের কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

এমনকি প্রিন্ট দিয়ে নেওয়ার অপশন খুজে পাবেন। 

এবার আপনি আবেদনপত্রের একটি প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করুন। আবেদনপত্রের প্রিন্ট দিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ/ ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হবে। 

স্থানীয় পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে আপনার আবেদন পত্রটির একটি কপি জমা দিন।

তাহলে পুনর্মুদ্রণ এর কপি এবং অন্যান্য প্রমান সরূপ কাগজ সংগ্রহ করে আপনার নব্য অনলাইন করা জন্ম নিবন্ধন সনদ কয়েক দিনের মধ্যে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর সহ যাবতীয় কাজ সম্পাদন করে আপনাকে প্রদান করবে।

আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ দীর্ঘদিন ব্যবহারে নস্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে জন্ম সনদ ফটোকপি বা প্রিন্ট করে রাখতে পারেন।

এছাড়াও, স্থানীয় সরকার বিভাগ/ পরিষদ থেকে ডিজিটাল কপি সংগ্রহ করতে পারেন। 

বলে রাখা ভালো, নতুন জন্ম নিবন্ধন তৈরির ক্ষেত্রে অবশ্যই ডিজিটাল পদ্ধতিতে তৈরি করুন।

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন সনদ ডিজিটাল করার জন্য এই সকল নিয়ম অনুসরণ করুন। 

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন করার নিয়ম

এবার জেনে নেওয়া যাক যেসব জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা নাই তা কিভাবে অনলাইন করা যায়? 

তবে পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে হলে পুরাতন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করতে কি কি লাগে? আপনাদেরকে অবশ্যই আবেদন করতে হবে এবং এই আবেদন করতে হবে জন্ম নিবন্ধন পুনর্মুদ্রণ এর জন্য আবেদন এর নিমিত্তে।

এটি করার জন্য আপনাকে আপনার হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন কার্ড অথবা হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন কার্ড এবং যাবতীয় প্রমাণপত্র নিয়ে আপনার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশনে যাবেন।

আপনার প্রয়জনের কথা সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করলে তারা অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করে দিবেন। 

আরও পড়ুনঃ জন্ম সনদ যাচাই করণ পদ্ধতি | জন্ম সনদ তথ্য যাচাই ও ডাউনলোড

আজকে আমরা জানতে চেষ্টা করেছি জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম।

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম এবং হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম সম্পর্কে।

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম কি?

যদি আপনার জন্ম সনদ অনলাইনে থাকে তবে পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম হচ্ছে আপনি bdris লগিন করুন। সেখানে আপনার পুরাতন জন্ম নিবন্ধন খুজে পেলে, এই ওয়েব পেজে সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আপনি সহজেই অনলাইন করতে পারবেন।

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করতে কি কি লাগে?

নতুন ও পুরাতন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করতে আপনার কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা চাই। কাগজপত্র গুলির মধ্যে রয়েছে আপনার সার্টিফিকেটের ফটোকপি, বাবা অথবা মায়ের আইডি কার্ডের ফটোকপি, যদি আপনার পরিচয় পত্র থাকে তবে পরিচয় পত্রের ফটোকপি।

উপসংহার

আশা করছি এরপরে পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম ও হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে আর কোনো ভুল ধারণা এবং অজ্ঞতা থাকবে নাহ। 

আরও পড়ুনঃ জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই পদ্ধতি

নিত্যনতুন লেখা পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।

অনলাইনে ঘরে বসে টাকা ইনকাম, টেলিকম অফার, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা অফার ও ইন্টারনেট থেকে সঠিক তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকুন।

জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। 

আরও পড়ুনঃ

রকেট একাউন্ট দেখার নিয়ম

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ভিজিট করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।

আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাংলা ভাষায় অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম, টেলিকম অফার এবং মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে।

Leave a Comment