প্রিয় পাঠকগণ আপনারা অনেকেই হঠাৎ দেখা কবিতা টি পড়ার জন্য গুগলের মাধ্যমে সার্চ দিয়ে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সামনে হঠাৎ দেখা কবিতাটি প্রদান করতে চলেছি।
আমরা সকলেই জানি বাঙ্গালীরা সবসময় কবিতা খুবই ভালোবাসে। তাই আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কবিতা গুলো আপনাদের জন্য প্রদর্শন করে থাকি।
আজকের কবিতাটি হচ্ছে “হঠাৎ দেখা”। আজকে আমরা এই কবিতাটি এবং এই কবিতার মূলভাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
Content Summary
হঠাৎ দেখা কবিতা – Hothat Dekha Kobita
রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা,
ভাবি নি সম্ভব হবে কোনোদিন।
আগে ওকে বারবার দেখেছি
লালরঙের শাড়িতে
দালিম ফুলের মতো রাঙা;
আজ পরেছে কালো রেশমের কাপড়,
আঁচল তুলেছে মাথায়
দোলনচাঁপার মতো চিকনগৌর মুখখানি ঘিরে।
মনে হল, কালো রঙে একটা গভীর দূরত্ব
ঘনিয়ে নিয়েছে নিজের চার দিকে,
যে দূরত্ব সর্ষেখেতের শেষ সীমানায়
শালবনের নীলাঞ্জনে।
থমকে গেল আমার সমস্ত মনটা;
চেনা লোককে দেখলেম অচেনার গাম্ভীর্যে।
হঠাৎ খবরের কাগজ ফেলে দিয়ে
আমাকে করলে নমস্কার।
সমাজবিধির পথ গেল খুলে,
আলাপ করলেম শুরু —
কেমন আছ, কেমন চলছে সংসার
ইত্যাদি।
সে রইল জানলার বাইরের দিকে চেয়ে
যেন কাছের দিনের ছোঁয়াচ-পার-হওয়া চাহনিতে।
দিলে অত্যন্ত ছোটো দুটো-একটা জবাব,
কোনোটা বা দিলেই না।
বুঝিয়ে দিলে হাতের অস্থিরতায় —
কেন এ-সব কথা,
এর চেয়ে অনেক ভালো চুপ করে থাকা।
আমি ছিলেম অন্য বেঞ্চিতে
ওর সাথিদের সঙ্গে।
এক সময়ে আঙুল নেড়ে জানালে কাছে আসতে।
মনে হল কম সাহস নয়;
বসলুম ওর এক-বেঞ্চিতে।
গাড়ির আওয়াজের আড়ালে
বললে মৃদুস্বরে,
“কিছু মনে কোরো না,
সময় কোথা সময় নষ্ট করবার।
আমাকে নামতে হবে পরের স্টেশনেই;
দূরে যাবে তুমি,
দেখা হবে না আর কোনোদিনই।
তাই যে প্রশ্নটার জবাব এতকাল থেমে আছে,
শুনব তোমার মুখে।
সত্য করে বলবে তো?
আমি বললেম, “বলব।”
বাইরের আকাশের দিকে তাকিয়েই শুধোল,
“আমাদের গেছে যে দিন
একেবারেই কি গেছে,
কিছুই কি নেই বাকি।”
একটুকু রইলেম চুপ করে;
তারপর বললেম,
“রাতের সব তারাই আছে
দিনের আলোর গভীরে।”
খটকা লাগল, কী জানি বানিয়ে বললেম না কি।
ও বললে, “থাক্, এখন যাও ও দিকে।”
সবাই নেমে গেল পরের স্টেশনে;
আমি চললেম একা।
বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা
হঠাৎ দেখা কবিতার মূলভাব ও বস্তারিত
এই কবিতার মাঝে একটি প্রেমিকের আত্ম কথা তুলে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ হঠাৎ দেখা কবিতার মূলভাব হলো প্রেমিকার আত্মকথা।
প্রেমিক কখনো ভাবেন নি তার প্রেমিকার সাথে হঠাৎ করেই রেলগাড়ির একটি কামরায় দেখা হয়ে যাবে।
আবার সেখানে তিনি তার প্রেমিকার প্রশাকের তারিফ করতে থাকেন।
ইতিমধ্যে কবিতার প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে ফেলেছেন এবং তার প্রিয় মানুষটিকে তিনি জিজ্ঞেস করেছেন কেমন চলছে তার সংসার।
এর আগে কবি উল্লেখ করেছেন তার সবচেয়ে কাছের এবং প্রিয় মানুষটিকে সেদিন তার কাছে অচেনা মনে হচ্ছিল।
তবে তার প্রেমিকার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলেন এবং নানান প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন।
এই সকল জিনিস গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল এখনো কি তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক বা কোন কিছু রয়েছে কিনা সেটিও জিজ্ঞাসা করা হয়।
নানান কথার শেষে কবে আবার একা পথে চলা শুরু করলেন।
আরও পড়ুনঃ
হঠাৎ দেখা কবিতা FAQS
আজকের এই আর্টিকেলে উল্লিখিত হঠাৎ দেখা কবিতাটি একজন প্রেমিক এর মনের কথার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে হঠাৎ দেখা কবিতাটি প্রদান করা হয়েছে এবং এর পাশাপাশি এই কবিতার মূলভাব সম্পর্কে আপনাদেরকে সামান্য ধারণা প্রদান করা হয়েছে।
আমরা আশা করবো যে আপনাদের আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগবে এবং আপনার আজকের এই আর্টিকেল থেকে হঠাৎ দেখা কবিতাটি পড়তে পারবেন।
আপনাদের যদি এই বিষয়ে আরো কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
টেলিটক অফার, ইন্টারনেট অফার, অনলাইন থেকে টাকা আয়, ফেসবুক মার্কেটিং ইত্যাদি নানান আর্টিকেলগুলো পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের ওয়েবসাইটের সকল আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেইজে।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।