ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে । E-Passport Application Form

আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে বা কি ধরণের কাজপত্র লাগবে। অনলাইনের এই যুগে ঘরে বসে কি না করা যায়? একটু চিন্তা করুন। ঠিক সেভাবেই এখন ঘরে বসে ই পাসপোর্ট এর আবেদন করতে পারবেন মুহূর্তের মধ্যেই। 

কিন্তু অনেকেই জানে না ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কিভাবে করতে হয়।

পাসপোর্ট মূলত তিন ধরনের। এর মধ্যে হাতে লেখা পাসপোর্ট প্রদান বন্ধ হয়েছে ২০১৫ সাল থেকে। এখন চলমান পাসপোর্ট কার্যক্রম হিসেবে দুইটি ( MRP পাসপোর্ট, ই পাসপোর্ট) উপায় চলমান আছে।

এর মধ্যে ই পাসপোর্ট বা ইলেক্ট্রনিক পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন ঘরে বসেই।

আজকের পোষ্টে আমরা জানবো, ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে, কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে করতে হবে ই পাসপোর্টের আবেদন করতে তা জানাবো।

এছাড়াও জানবো ই পাসপোর্ট আবেদন করতে আবেদন ফি কত এবং ই পাসপোর্ট ফি কিভাবে দিতে হয় এবং কিভাবে পেমেন্ট করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে শিরোনামে আজকের পোস্টটি।

ই পাসপোর্ট কি? 

ই পাসপোর্ট মূলত একটি মেশিন লেয়ারনিং পাসপোর্ট। ই পাসপোর্টে কোনও পাতা কিংবা ডকুমেন্ট লেখা থাকবে না সরাসরি। ই পাসপোর্টে থাকে পালিমানের তৈরি একটি কার্ড। এবং কার্ডের ভেতরে এন্টেনা থাকে। আর কার্ডের ভিতরে চিপ থাকে। এই চিপের মধ্যে মূলত পাসপোর্ট কারীর সকল তথ্য সংগ্রহীত থাকে। 

পালিমানের কার্ডের মধ্যে চিপ দেওয়া থাকে। যুক্ত থাকে পাসপোর্ট ধারীর তিন ধরনের ছবি। এবং পাসপোর্ট ধারীর হাতের ১০ টি আঙ্গুলের ছাপ, রাখা হয় চোখের আইরিশ। এর ফলে ভ্রমণকারী ব্যক্তির সকল তথ্য খুব সহজেই জানতে পারে কর্তৃপক্ষ।

ই পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট । E-Passport Application Form Bangladesh

ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে । E-Passport Application Form
ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে । E-Passport Application Form

একটি পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন করা থকে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া পর্যন্ত আমাদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

এই সমস্যার অনেকটা সমাধান হয়েছে ই পাসপোর্টে পদ্দতি চালু হবার পর। ই পাসপোর্টের একটি বড় সুবিধা হল, ই পাসপোর্ট করার জন্য কোনো কাগজ সত্যায়িত করতে হয় না। এবং ই পাসপোর্টের আবেদনের কাজ সম্পূর্ণ অনলাইনে করা যায়।

ই পাসপোর্ট করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগে তা লিস্ট আকারে নিচে উল্লেখ করা হল। এখন জেনে নেওয়া যাক, ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে :

ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২২

  • ১) এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়।
  • ২) অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের ব্যক্তির জন্য অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ।
  • ৩) বাবা এবং মায়ের ভোটার আইডি কার্ড। ( অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের পাসপোর্ট আবেদনকারীর জন্য)।
  • ৪) কারিগরি সনদ। ( কারিগরি পেশার সাথে জরিত থাকলে)।
  • ৫) স্টুডেন্ট আইডি কার্ড। ( ই পাসপোর্ট আবেদনকারী ছাত্র হলে আইডি কার্ড বা মূল কপি এবং ফটোকপি নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট আনতে যাওয়ার সময় সাথে নিতে হবে)।
  • ৬) স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা।

Also Read:

ইন্টারনেট কে আবিষ্কার করেন?

আজকের খেলার সময় সূচি প্রথম আলো

লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল?

যেভাবে করতে হবে ই পাসপোর্ট ২০২২

অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট করার জন্য বা ই পাসপোর্ট করার জন্য ই পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সরাসরি ই পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য ই পাসপোর্ট এর ওয়েব পেজে প্রবেশ করতে হবে।

ডিসকাউন্টে সকল সিমের মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।

ই পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ই পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য এই পোস্টের নীচের অংশে লিংক দেয়া হবে।

ই পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ধাপে ধাপে সকল তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ সম্পন্ন করতে হবে।

এবং সর্বশেষে আপনি ই পাসপোর্ট এর জন্য payment option পেয়ে যাবেন। 

ই-পাসপোর্ট এর পেমেন্ট কিভাবে করবেন?

আপনার সুবিধা মতো একটি ব্যাংক থেকে আপনার ই পাসপোর্টের পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারবেন।

নিচে উল্লেখিত যেকোনো একটি ব্যাংক থেকে ই পাসপোর্টের পেমেন্ট করতে পারবেন।

  1. Dhaka Bank
  2. Bank Asia
  3. One Bank
  4. Premiem Bank
  5. Sonali Bank
  6. Trust Bank

উপরের যেকোনো একটি ব্যাংক থেকে পেমেন্ট করার পরে অনলাইন আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করে নিবেন।

এর পরে আপনার সুবিধামত যেকোনো দিন ই পাসপোর্ট আবেদন এর কপি এবং সকল ডকুমেন্ট এর আসল কপি নিয়ে আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করবেন। সেখানে আপনার ১০ আঙ্গুলের ছাপ, চোখের আইরিশ ছাপ নেওয়া হবে।

দেখে নেওয়া যাক, ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে অনলাইন আবেদন সম্পন্ন করার পর।

ডিসকাউন্টে সকল সিমের মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।

Also Read:

বিজিবি সাধারণ জ্ঞান

মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

দৈনিক প্রথম আলো প্রতিষ্ঠাকাল কবে?

ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদনের পর করণীয়

অনলাইনের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট আবেদন করার সময় যে সকল তথ্য দিয়েছেন তার প্রত্যেকটির অরজিনাল কপি এবং ফটোকপি নিয়ে আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। সেখানে পাসপোর্ট কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে হবে।

পাসপোর্ট কর্মকর্তা আপনার সকল তথ্য যাচাই করবেন।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনার হাতের ছাপ এবং চোখের ছাপ নিবেন। এরপর আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কাজ শেষে অপেক্ষা করতে হবে।

কিছুদিন পরে আপনি অনলাইনে চেক করতে পারবেন আপনার ই পাসপোর্টটি আঞ্চলিক অফিসে আসছে কি না এই বিষয়ে।

ই পাসপোর্ট চেক করার জন্য প্রথমে ই পাসপোর্ট চেক এ প্রবেশ করতে হবে।

এরপর আপনার অনলাইন আবেদন ফর্ম এবং এপ্লিকেশন আইডি নাম্বার ব্যবহার করে চেক করতে পারবেন।

যদি ই পাসপোর্ট কম্পিলিট হয়ে যায় এবং আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এসে থাকে তাহলে এপ্রুভ লেখা আসবে।

আর যদি পেন্ডিং লেখা আসে তাহলে বুঝবেন এখনো কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি।

যদি আপনার ই পাসপোর্টটি সম্পন্ন হয়ে থাকে আপনি যাবতীয় প্রমানাদি নিয়ে আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে সতর্কতা

আপনি যখন ই পাসপোর্ট এর অনলাইন আবেদন করবেন তখন সকল সঠিক তথ্য দিবেন।

এবং আঞ্চলিক অফিসে যাচাই করার সময় ভোটার আইডি কার্ডের অরজিনাল কপি সাথে রাখবেন। প্রয়োজনে পাসপোর্ট কর্মকর্তাকে দেখানো লাগতে পারে।

এছাড়া আপনার অনলাইন আবেদন কপি আপনার কাছেই রাখবেন। এবং অফিসের কাজ করার সময় সকল প্রকার দালাল থেকে সতর্ক থাকবেন। মনে রাখবেন এখন ২০২২ সাল।

এখন দালালদের মাধ্যমে নয় বরং পাসপোর্ট এর যাবতীয় কাজ হয়ে থাকে অনলাইনের মাধ্যমেই।

টাই দালালদের টাকা দিয়ে কাজ করানোর চিন্তা মাথায় থাকলে তা এখনি ফেলে দিন। আপনার সতর্কতা আপনাকে বিপদ এবং ঝামেলা মুক্ত জীবন উপহার দিবে।

Also Read:

GP ইন্টারনেট offer

Robi bundle offer

Airtel internet offer

ই পাসপোর্ট হয়েছে কিনা কিভাবে জানবো

ঘরে বসে অনলাইনে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার পর আপনি অফিশিয়ালি একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি হাতে পাবেন।

এছাড়াও আপনি যখন পাসপোর্ট অফিস ভিজিট করে আপনার আইরিশ ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আপনার তথ্যগুলো জমা দিবেন তখন আপনাকে একটি স্লিপ দেওয়া হবে।

এই স্লিপেও আপনাকে একটি ইউনিক আইডি প্রদান করা হবে।

আপনি অ্যাপ্লিকেশন আইডি অথবা পাসপোর্ট অফিসের অফিশিয়ালি প্রদত্ত ইউনিক আইডি নাম্বার টি ব্যবহার করে সহজেই বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিস অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ই-পাসপোর্টের স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট হয়েছে কিনা জানতে প্রথমেই অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন এবং স্ট্যাটাস বাটনে ক্লিক করুন। 

  • তারপর আপনার এপলিকেশন আইডি নম্বর টি লিখুন।
  • তারপর আপনার জন্ম তারিখ লিখে চেক বাটনে ক্লিক করুন।

আপনার পাসপোর্ট প্রিন্টিং এ থাকলে আপনি প্রিন্টিং ইউনিটেক ইউনিকিউ নামে লেখা দেখতে পাবেন।

যদি আপনার পাসপোর্টটি রেডি হয়ে যায় তবে তা আপনার রিজনাল অফিসে পাঠাবে তখন আপনার স্ট্যাটাস লেখা আসবে অন দা ওয়ে।

যখন পাসপোর্টটি আপনার রিজনাল পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছে যাবে তখন আপনার স্ট্যাটাসে লেখা আসবে রেডি টু ডেলিভারি।

যখন আপনি ডেলিভারি দেখতে পাবেন তখন আপনি আপনার রিজনাল ই-পাসপোর্ট অফিসে সশরীরে উপস্থিত হয় ই পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে FAQS

Bangladesh E-Passport OnlineClick Here
E-passport FAQ PageClick Here
E-Passport BD status check link

Also Read:

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

SEO MEANING BANGLA

বাংলাদেশে পাসপোর্ট মোট কয় ধরনের হয়ে থাক?

বাংলাদেশে পাসপোর্ট মোট হচ্ছে তিন ধরনের হয়ে থাকে। তবে ২০১৫ সাল থেকে দুই ধরনের পাসপোর্ট ব্যবস্থা চালু আছে।

ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে হয়?

হ্যাঁ। ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে হয়। তবে এই প্রক্রিয়া খুবই সহজ। আপনি আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে এই বিষয়ে সু স্পষ্ট ভাবে জেনে নিতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট এর ফি কিসের উপর নির্ভর করে?

ই পাসপোর্টের ফি সাধারণত পাসপোর্টের মেয়াদ এবং কতদিনের মধ্যে করতে চান এর উপর নির্ভর করে নির্ধারণ হয়ে থাকে। ৫ বছর মেয়াদে ৪৮ পাতার একটি ই পাসপোর্ট এবং ৫ অছর মেয়াদের ৬৪ পাতার একটি ই পাসপোর্টের ফি কখনোই এক হবে না।

ই-পাসপোর্ট কি? 

ই পাসপোর্ট হচ্ছে মেশিন লেয়ারনিং পাসপোর্ট।

ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?

বর্তমানে ই পাসপোর্ট করতে নিজ ভোটার আইডি কার্ড, বাবা মায়ের আইডি কার্ড ও অন্যান্য আরও কিছু তথ্য লাগে। এখন ঘরে অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করা যায়।

In which country e-passport started first?

The 1st country e-passport started that’s Pakistan.

সর্বশেষ

আজকের পোষ্টে আমরা জানতে পেরেছি ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এই বিষয়ে বিস্তারিত। জেনেছি ই পাসপোর্ট করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে। কিভাবে করতে হয়। কিভাবে ই পাসপোর্ট এর পেমেন্ট করতে হয়।

আমারা এটাও জানতে চেষ্টা করেছি অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের ব্যক্তির জন্য পাসপোর্ট করার জন্য যা যা লাগে।

আশা করছি এই বিষয়ে আর কোনো অজানা কিছু থাকবে না।

এরপরে আরও কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনার কমেন্টের উত্তর দিব।

নিয়মিত বিভিন্ন ব্লগ পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এবং চোখ রাখুন আমাদের ব্লগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে।

Also Read:

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? 

Blog meaning in Bengali

কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ভিজিট করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।

আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাংলা ভাষায় অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম, টেলিকম অফার এবং মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে।

Leave a Comment