আমাদের মুক্তিযুদ্ধ রচনা | বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ রচনা পড়ার জন্য আপনারা অনেকেই গুগল সার্চ করে থাকেন। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাবো আপনারা কিভাবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ রচনা টি লিখতে পারবেন।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ রচনা টি লেখা কিংবা পড়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদের বাংলাদেশের ইতিহাস এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে হবে। আমরা যারা বাংলাদেশে বসবাসকারী এবং বাংলাদেশে যারা জন্মগ্রহণ করেছে তারা অবশ্যই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানি।

তাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে রচনা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা সে সকল বিষয়গুলোকে সংযুক্ত করতে পারব। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ রচনাটি আপনাদের প্রদান করা হবে এবং এর পাশাপাশি আপনারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো জানতে পারবেন।

তাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ রচনাটি থেকে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল। 

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ 

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ

ভারতবর্ষ থেকে পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান নামে দুটি দেশ বিভক্ত হয়েছিল ১৯৪৭ সালে।

এর পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান দুটি দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল।

সেসময় আমাদের দেশকে কোনভাবেই তারা স্বাধীনতা প্রদান করত না এবং আমাদের দেশের মানুষের উপর নানান ধরনের জুলুম অত্যাচার নির্যাতন চালাত।

এছাড়াও আমাদের দেশের মাতৃভাষা উর্দু করার জন্য তারা আমাদের ওপর দায়ভার চাপিয়ে দিয়েছিল।

এর পরবর্তীতে ১৯৫২ সালের দিকে বাঙালি জাতি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য বিভিন্ন আন্দোলন চালাতে থাকে।

কিন্তু এই সকল আন্দোলনগুলোর বিপরীতে পাকিস্তান সরকার সারাদেশে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল।

এর পরবর্তীতে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ বাঙালি অনেক মানুষেরাই রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করতে নেমেছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পুলিশ সেদিন আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায়।

সেদিনের সেই গুলিতে নিহত হয়েছিল অনেক ভাষা শহীদ।

খালি হয়েছিল বাঙালির অনেক মায়ের বুক।

এর পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা বাঙ্গালীদের ওপর জুলুমভাবে অত্যাচার চালাতে থাকে।

এর পাশাপাশি নির্বাচন কিংবা অন্যান্য ক্ষেত্রেও বাঙালির ওপর দুর্নীতি করতে থাকে পাকিস্তানিরা।

ডিসকাউন্টে সকল সিমের মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।

তবে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপর অত্যাচার চালায় এবং হত্যাযজ্ঞ চালায়।

সে সময় নিহত হয় হাজার হাজার বাঙালি আবার অনেকেরই ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। 

স্বাধীনতা আন্দোলন | আমাদের মুক্তিযুদ্ধ রচনা

পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৮ সালে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই মূলত স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপন করা হয়।

রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে রোধ করার জন্য গঠিত হয় ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’।

১৯৫২ সালে পুনরায় উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা দিলে ছাত্র-জনতা পুনরায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

১৯৫২ সালে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে।

এ আন্দোলনকে স্তিমিত করার জন্য গুলি চালানো হয়।

এতে শহীদ হন সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতসহ অনেকে।

ডিসকাউন্টে সকল সিমের মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগের ভরাডুবি এবং যুক্তফ্রন্টের অভূতপূর্ব বিজয় লাভ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতার ভিতকে নড়বড়ে করে দেয়।

১৯৬৫ সালে মৌলিক গণতন্ত্রের নামে আইয়ুব খান এক প্রহসনের নির্বাচন দিয়ে এদেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করে নেয়।

এখান থেকেই স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে।

বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি উত্থাপিত হয়।

১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সাজিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানকে কারাগারে আটক করা হয়।

কিন্তু গণআন্দোলনের মুখে তাকে আটকে রাখা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরের নামে টালবাহানা শুরু করে।

এ প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে এক ঐতিহাসিক সমাবেশে ঘোষণা দেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।

এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সারা বাংলায় শুরু হয় তুমুল আন্দোলন। এতে পাকিস্তান সরকার আরও নির্মম হয়ে ওঠে।

২৫ মার্চ মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।

সে রাতেই তদানীন্তন সামরিক একনায়ক জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে লেলিয়ে দেয় নিরীহ বাঙালি জনগণের ওপর।

রাতের আঁধারে চলে নির্মম ও বর্বর গণহত্যা। সে রাতে গ্রেফতারের আগে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।

চট্টগ্রামের কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করা হয়।

গোটা বাংলাদেশ জুড়ে স্বাধীনতার জন্য স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থান ঘটে।  

চূড়ান্ত বিজয়

ভারতীয় সেনাবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সম্মিলিত সংগ্রামে ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান নিয়াজী ৯৩ হাজার সৈন্যসহ বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করে।

বাংলাদেশের পক্ষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং আরোরা এবং পাকিস্তানের পক্ষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পণেল দলিলে স্বাক্ষর করেন।

ফলে দীর্ঘ ৯ মাসের সংগ্রামের অবসান ঘটে এবং বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম নেয় লাল-সবুজ পতাকার স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

দীর্ঘ নয় মাসের এই মুক্তির যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি এই স্বাধীনতা।

বর্তমানে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে পরিচিত।

এছাড়াও ১৬ই ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের পূর্বে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা এদেশের বুদ্ধিজীবীদের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়।

প্রতিটি ঘরে ঘরে যে সকল বুদ্ধিজীবী মানুষ রয়েছেন তাদের গণহারে হত্যা করা হয়েছিল সেদিন।

তবে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকে নি বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে বেঁচে আছে।

আরও পড়ুনঃ

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ৫ টি বাক্য

২১ শে ফেব্রুয়ারি ক্যাপশন 

২১ শে ফেব্রুয়ারি কি দিবস?

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ রচনা FAQS

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ রচনা কিভাবে লিখবেন?

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কে ধারনা থাকলে আপানারা খুব সহজেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ রচনা টি লিখতে পারবেন। এছাড়াও আমাদের ওয়েবসাইটে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ রচনা টি আপনারা পেয়ে যাবেন।

কত তারিখে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়?

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।

১৯৫২ সালের কত তারিখে ভাষা শহিদ রা শহীদ হন?

১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহিদরা শহীদ হন।

উপসংহার 

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ রচনা টি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।

আশা করছি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে।

আপনাদের যদি এ বিষয়ে আরো কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।

আপনারা যারা অনলাইন ইনকাম করতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই আমাদের ওয়েব ভিজিট করতে পারেন।

কেননা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনারা কে সংক্রান্ত আর্টিকেলগুলো সব সময় পেয়ে যাবেন।

আমাদের ওয়েবসাইট সংক্রান্ত সকল আপডেটগুলো সবার আগে পেয়ে যেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে। 

আরও পড়ুনঃ

মুক্তিযুদ্ধের ৪ টি প্রয়োজনীয়তা

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?

মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য

কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ভিজিট করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।

Leave a Comment