যৌথ মূলধনী কোম্পানির অর্থায়নের কার্যাবলী সম্পর্কে জানতে অনেকেই গুগল সার্চ করে থাকেন। সাধারণত একমালিকানা ও অংশীদারি ব্যবসায়ের ক্ষেএে মালিক সরাসরি ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে জড়িত থাকেন।
কিন্তু যৌথ মূলধনী কোম্পানির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আলাদা। যৌথ মূলধনী কোম্পানির পরিচালনায় মালিক সরাসরি জড়িত থাকে না। যার কারনে এই অর্থায়নের স্বরূপ সম্পূর্ণ আলাদা থাকে।
Content Summary
যৌথ মূলধনী কোম্পানির অর্থায়নের কার্যাবলী কি
একটি কোম্পানি বা ব্যবসায়ের সাংগঠনিক কাঠামো গত দিক থেকে অনেক ভাগ রয়েছে।
যেমনঃ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ক্রয় বিভাগ, অর্থ বিভাগ, বিক্রয় বিভাগ ইত্যাদি।
এ সকল বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অথবা গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হলো অর্থ বিভাগ।
প্রতিটি বিভাগকে সমন্বয়ের মাধ্যমে অর্থ বিভাগ বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে থাকে।
অর্থ বিভাগের সকল কাজগুলো অর্থায়নের কার্যাবলি।
যৌথ মূলধনী কোম্পানির অর্থায়নের কার্যাবলী সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
অর্থায়নের কার্যাবলী সমূহ হচ্ছেঃ-
- তহবিল সংগ্রহ বা অর্থ যোগান।
- তরল সম্পদ বা স্বল্পমেয়াদী ব্যবস্হাপনা।
- মূলধন বাজেটিং।
- তহবিল ও লভ্যাংশ বন্টন।
তহবিল সংগ্রহ বা অর্থ যোগান
যে কোন ব্যবসায় সর্ব প্রথম কাজ হলো তহবিল সংগ্রহ অথবা অর্থ যোগান।
আর অর্থায়নের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম কাজ হলো কম খরচ হবে এমন অর্থের সম্ভব্য উৎসগুলো চিহ্নিত করা এবং সেখান থেকে প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ করা।
কোন প্রকল্প বা কোম্পানি বিনিয়োগ করবার জন্য কি পরিমাণে নিজস্ব মূলধন (Equity) বা কি পরিমানে ঋণ মূলধন (Debt Capital) এর মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে তা ঠিক করে তারপর মূলধন কাঠামো প্রস্তুত করা হয়।
বিভিন্ন ধরনের মূলধন কাঠামোর মধ্যে যে মূলধন কাঠামোতে খরচ কম সেই মূলধন কাঠামো থেকে মূলধন সংগ্রহ করাই অর্থায়নের প্রধান কাজ।
২# যৌথ মূলধনী কোম্পানির তরল সম্পদ বা স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থাপনা
তরল সম্পদ বা স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থাপনা বলতে বুঝায় নগদ অর্থ, প্রাপ্য বিল, মজুদ পণ্য, দেনাদার ইত্যাদির ব্যবস্হাপনাকে।
কি পরিমানে কাঁচামাল ক্রয় করা হবে,কাঁচামাল ক্রয়ের জন্য অর্থ কোন উৎস থেকে গ্রহণ করা হবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত কে চলতি মূলধন বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত বলা হয়ে থাকে।
কোন কোম্পানি যদি তার চলতি মূলধন অধিক বিনিয়োগ করে বা অব্যাহত রেখে দেয় তাহলে ঐ কোম্পানির মুনাফা বা লাভ করবার ক্ষমতা কমে যায়,এবং কোম্পানির ঝুঁকি বেড়ে যায়।
অপরদিকে যদি চলতি সম্পদের বিনিয়োগ কমে যায় তবে কোম্পানির চলতি দায়ের পরিশোধের ক্ষমতা কম হয়ে যাবে এবং ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
কারন চলতি দায় চলতি সম্পদ হতেই পরিশোধ করা হয়ে থাকে।
এই জন্য অর্থায়নের কাজ হচ্ছে চলতি সম্পদ ও মূলধন এমনভাবে ব্যবস্হাপনা করা যাতে কোম্পানির মুনাফা অর্জনের ক্ষমতা কম না হয়,এবং কোম্পানি যাতে কোনো রকম ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে।
চলতি মূলধনের প্রধাম উপকরণ সমূহ গুলো হলো কাঁচামাল,তহবিল,প্রাপ্য বিল,বিবিধ দেনাদার ইত্যাদি।
আড়ও পড়ুনঃ
বঙ্গবন্ধুর জীবনী সাধারণ জ্ঞান । Biography of Bangabandhu
ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভ করার নিয়ম । FB আইডি ডিএক্টিভ করলে কি হয়?
3# যৌথ মূলধনী কোম্পানির মূলধন বাজেটিং
কোনো কোম্পানি বা প্রকল্প শুরু করার আগে ঐ কোম্পানি বা প্রকল্পের জন্য কি পরিমাণ মূলধন প্রয়োজন, কোম্পানি বা প্রকল্পের মেয়াদ কত বছর, ঐ কোম্পানি বা প্রকল্পের প্রত্যাশিত আয় ও আয়ের ঝুঁকি বা অনিশ্চয়তা এসকল বিষয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের এই ধরনের দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ ব্যবস্হাকে মূলধন বাজেটিং বলে।
কোম্পানির দীর্ঘ মেয়াদী অর্থায়নের পূর্বে প্রজেক্ট এর মূলধন বাজেটিং এর মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতা যাচাই করে নেয়া অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ।
4# যৌথ মূলধনী কোম্পানির তহবিল ও লভ্যাংশ বন্টন
নিদিষ্ট মেয়াদ শেষে কোম্পানি অথবা প্রকল্পের মুনাফা বা লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বন্টন করা হয়,এটিও অর্থায়নের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ।
লভ্যাংশ নীতি (Dividend Policy)এর উপর নির্ভর করে কোম্পানি প্রসার এবং শেয়ার মূল্যের।
এই অর্জিত মুনাফা বা লভ্যাংশ কি পরিমাণ শেয়ার মালিকরা নিবে এবং কি পরিমাণ ভবিষ্যতে বিনিয়োগের জন্য রাখা হবে এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হবে।
এক্ষেএে শেয়ার মালিকদের খুশি, শেয়ারের দাম বৃদ্ধি ও ভবিষ্যতে বিনিয়োগের জন্য সংস্হান করে লভ্যাংশ নীতি গ্রহন করতে হয়।
অথ্যাৎ আমরা বলতে পারি লভ্যাংশ সিদ্ধান্তের যে বিষয়টি অর্থায়নের কাজ।
তাই এমন ভাবে লভ্যাংশ সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হবে যাতে শেয়ার মালিকদের সন্তুষ্ট করে এবং কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদে লক্ষ অর্জন করতে পারে।
আড়ও পড়ুনঃ
ফিফা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন তালিকা | FIFA World cup winner list
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট দেখার নিয়ম
তাপ সঞ্চালন কাকে বলে | তাপ ও তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য
একাধিক মালীক একসাথে যে কোম্পানি পরিচালনা করেন এমন কোম্পানিকে যৌথ মূলধনী কোম্পানি বলা হয়ে থাকে। যৌথ মূলধনী কোম্পানির পরিচালনায় মালিক সরাসরি জড়িত থাকে না। যার কারনে এই অর্থায়নের স্বরূপ সম্পূর্ণ আলাদা থাকে।
উপসংহার
আশা করি আপনি যৌথ মূলধনী কোম্পানির অর্থায়নের কার্যাবলী সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
এই সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের কমেন্ট করুন।
এবং আমাদের ফেসবুক পেজ জয়েন করুন।
আমরা আপনাদেরকে আপনাদের সুবিধার্থে –
অনলাইন থেকে ঘরে বসে টাকা আয়, টেলিকম অফার, ইন্টারনেট অফার এবং ব্লগিং টিপস সহ নানান ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলগুলো প্রদান করে থাকি।
আরও পড়ুনঃ
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।