সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ শবে মেরাজের কয়টি রোজা রাখতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আপনারা অনেকেই গুগলের মাধ্যমে সার্চ করে থাকেন। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলের মাধ্যমে শবে মেরাজের রোজা কয়টি এছাড়াও শবে মেরাজ এর কয়টি রোজা রাখতে হয় সেই সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করব।
ইসলামী পরিভাষায় যে রাতে নবী করীম (সা.) মহান আল্লাহ তায়ালার ডাকে সারা দিয়ে উর্ধ্ব আকাশে গমন করেছিলেন সেই রাতকে শবে মেরাজের রাত বলা হয়।
যার কারনে পবিত্র শবে মেরাজের অর্থ দাঁড়ায়বে অর্থাৎ রজনী, মেরাজ অর্থ ঊর্ধ্বগমন।
তাই আমাদের সকলেরই উচিত পবিত্র এই দিনটিতে রোজা রাখা এবং আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করা।
তবে শবে মেরাজের রোজা কতটি রাখতে হয় এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন মানুষের নানান মত পাওয়া যায়।
তবে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা শবে মেরাজের রোজা কয়টি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।
Content Summary
- 1 শবে মেরাজ কবে হয়েছিল?
- 1.1 শবে মেরাজের রোজা কয়টি? | কিভাবে শবে মেরাজের ইবাদত করবেন
- 1.2 শবে মেরাজের নফল নামাজ আদায় | শবে মেরাজের কয়টি রোজা রাখতে হয়
- 1.3 শবে মেরাজের রোজা রাখা কি বেদায়াত | শবে মেরাজের কয় টি রোজা রাখতে হয়
- 1.4 শবে আজ আর রোজা কয়টি তা নিয়ে বিভিন্ন মতামত
- 1.5 শবে মেরাজের কয়টি রোজা রাখতে হয় FAQS
- 1.6 উপসংহার
- 1.7 Share this:
শবে মেরাজ কবে হয়েছিল?
আমরা শবে মেরার সম্পর্কে ইতিমধ্যেই সকলেই কমবেশি জানি।
শবে মেরাজের মত পবিত্র দিন কিংবা ঐতিহাসিক ঘটনাটি কবে ঘটেছিল সেই সম্পর্কে নানান ধরনের মতামত পাওয়া যায়।
বিভিন্নভাবে বা তথ্যসূত্র অনুযায়ী নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুয়তের পঞ্চম বছরে এই রাত্রি সংঘটিত হয়েছিল।
তবে অনেকেই বলে থাকেন যে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুয়তের ষষ্ঠ বছরে এই ঐতিহাসিক রাতটি তার কাছে এসেছিল।
২৭ রজব শবে মেরাজ হয় বলে অনেক হাদিসে উল্লেখিত আছে।
কিন্তু শবে মেরাজের রোজা কয়টি এটা নিয়ে সঠিক কোন মতবাদ পাওয়া যায়নি।
শবে মেরাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
শবে মেরাজের রোজা কয়টি? | কিভাবে শবে মেরাজের ইবাদত করবেন
একটি হাদিসের মাধ্যমে আমাদের সকলের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উল্লেখ করেছেন যে,
রজব মাস হলো মহান আল্লাহ তাআলার একটি বিশেষ মাস।
শাবান মাস হলো নবীর মাস এবং রমজান মাস হল আল্লাহর উম্মতের মাস।
মূলত শবে মেরাজের রোজা কয়টি বা শবে মেরাজের রোজা কত তারিখে পালন করা উচিত এ ধরনের কোন নির্দিষ্ট হাদিস এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
কিন্তু আরও একটি হাদিসে উল্লেখিত আছে যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“কোন ব্যক্তি রজব মাস আসলো কিন্তু ক্ষেত চাষ করলো না,
শাবান মাস আসলো কিন্তু ক্ষেত নিড়ানি দিল না, আগাছা পরিষ্কার করলো না, সে তার ফসল রমজান মাসে ঘরে তুলতে পারবে না।”
তাহলে ইতিমধ্যে আপনারা বুঝতে পারছেন যে রজব মাস হচ্ছে প্রতিটি মুসলিম উম্মতের জন্য রমজান মাসের প্রস্তুতির একটি বিশেষ মাস।
আর যেহেতু এই মাসটি হচ্ছে রমজান মাসের প্রস্তুতির মাস সেহেতু এই মাসে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর দেখানো পথে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যার কারনে এই মাসে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম রোজার প্রস্তুতি শুরু করে দিতেন।
তিনি খুব ঘন ঘন রোজা রাখতেন এজন্য আসলে শবে মেরাজের রোজা কয়টি সেই সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি।
এছাড়াও শবে মেরাজে রোজা কত তারিখে সেটিও নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি।
শবে মেরাজের রোজা কয়টি এই মতবাদ নিয়ে অনেক হাদিসে উঠে এসেছে যে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজব মাসে ১০ টি রোজা রাখতেন।
কিন্তু শবে মেরাজের রোজা কয়টি তা নিয়ে নির্দিষ্টতা নাই।
কিন্তু রজব মাসের সোমবার ,বৃহসপতিবার বা শুক্রবারে রোজা রাখা সুন্নত আর রজব মাসের চান্দ্র মাস হিসেবে যদি হিসাব করা হয় তাহলে ১ তারিখে,
১০ তারিখে,১৩ তারিখে, ১৪ তারিখে,১৫ তারিখে,২০ তারিখে,২৯ তারিখে,৩০ তারিখে রোজা রাখা সুন্নত।
শবে মেরাজের নফল নামাজ আদায় | শবে মেরাজের কয়টি রোজা রাখতে হয়
বর্তমানে প্রতিটি মুসলমান ভাই ও বোনেরা শবে মেরাজ উপলক্ষে ১০ কিংবা ১২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করে থাকেন।
কিন্তু শবে মেরাজের নফল নামাজ সম্পর্কে তেমন কোন বিশেষ হাদিস এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
কিন্তু নফল ইবাদত করার যেহেতু সোয়াবের কাজ সেহেতু আমরা নফল নামাজ পড়তে পারি কিন্তু সবাই মেরাজকে উদ্দেশ্য করে কোন নফল নামাজ পড়া গ্রহণযোগ্য হবে না।
যদি শবে মেরাজ উদ্দেশ্য করে আমরা কোন নামাজ আদায় করি সেক্ষেত্রে এটি ধর্মের সংযোজন হয়ে যাবে।
ঠিক একই ভাবে শবে মেরাজের রোজা কয়টি বা কত তারিখে শবে মেরাজের রোজা অনুষ্ঠিত হবে সেটি নিয়েও উদ্বিগ্ন হওয়া যাবে না।
কারন আমাদের প্রিয় নবী বলেছেন, যে আমাদের ধর্মে কোন কিছু সংযুক্ত বা উদ্ভাবন করবে যা তার(শরীয়তের) অংশ নয় তা প্রত্যাখ্যাত হবে” [বাখারী ১/৩৭১]।
হাদিস শরীফে উল্লেখিত রয়েছে যে রজব মাসের পুরোটা সময় আমরা নফল ইবাদত করতে পারব।
এছাড়াও শবে মেরাজ রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে পড়েছে সেহেতু আমাদের ইবাদত বন্দেগী চালিয়ে যাব।
আরও পড়ুনঃ
২০২৩ সালের রোজার ঈদ কত তারিখে?
শবে মেরাজের রোজা রাখা কি বেদায়াত | শবে মেরাজের কয় টি রোজা রাখতে হয়
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের তার ইবাদত এবং বন্ধগী করার জন্য সৃষ্টি করেছেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনোই সবে মেরাজকে উদ্দেশ্য করে রোজা রাখা কিংবা নফল ইবাদত করেন নাই।
অনেক হাদিসের মধ্যে রজব মাস উল্লেখ করে ইবাদত বন্দেগীর কথা বলা হয়েছে কিন্তু শবে মেরাজকে উল্লেখ করে কোন নির্দিষ্ট ইবাদাত বন্দেগীর কথা বলা হয়নি।
কারণ ইসলামিক মতাদর্শে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন রাতে মেরাজে গিয়েছিলেন এবং এটি নিয়ে কোন ধরনের নির্দিষ্ট হাদিস নেই।
তাই বলা যায় যে যদি আমরা শবে মেরাজকে উল্লেখ্য করে রোজা রাখে কিংবা ইবাদত করি সে ক্ষেত্রে আমাদের এই ইবাদত বেদায়াত হবে।
এছাড়াও অনেক বড় বড় আলেম শবে মেরাজের রোজা রাখা নিয়ে বিভিন্ন মত দিয়ে থাকেন।
অর্থাৎ, তারা শবে মেরাজের রোজা কয়টি বা শবে মেরাজের রোজা কত তারিখে এ নিয়ে নির্দিষ্ট বার্তা প্রধান করেন নাই।
কেননা আলেমগণ অনেক বড় বড় হাদিস শরীফ পাঠ করে দেখেছেন যে শবে মেরাজের রোজা কয় টি বা শবে মেরাজের রোজা কত তারিখে এ নিয়ে কোন নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা নেই।
রজব মাস এ রোজা রাখা যে বিশেষ ফজিলত পূর্ণ এই ধারণা বেদাআত।
ফজিলত পূর্ণ মনে করে রোজা রাখা যাবে না কিন্তু নফল ইবাদত করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হয় সেহেতু আমরা আল্লাহ তায়ালাকে খুশি রাখার জন্য এই মাস জুড়ে রোজা রাখতে পারি।
শবে আজ আর রোজা কয়টি তা নিয়ে বিভিন্ন মতামত
সাধারণত সব চন্দ্র মাসের ১৪ কিংবা ১৫ তারিখে রোজা রাখা বিশেষ ফজিলত পূর্ণ বা সোমবার, বৃহস্পতিবার রোজা রাখা সুন্নত।
সে হিসেবে আমরা রজব মাসের ১৪ বা ১৫ তারিখে রোজা রাখতে পারি।
কিন্তু অবশ্যই মনে রাখবেন শবে মেরাজ উপলক্ষে কোন রোজা রাখা যাবে না।
সুতরাং শবে মেরাজের রোজা কয় টি বা শবে মেরাজের রোজা কত তারিখে এটি নিয়ে তেমন বেশি আলোচনা কিংবা সমালোচনা করার প্রয়োজন নেই।
শবে মেরাজের রোজা কয় টি পালন করবেন এটি নিয়ে যদি পাঠকের মূল প্রশ্ন হয়ে থাকে।
তাহলে প্রশ্নের উত্তর এমন হবে রজব মাস জোরে দশটা রোজা রাখার কথা অনেক হাদিস শরীফে রয়েছে।
সুতরাং আপনারা অবশ্যই চন্দ্র মাসের ৩, ১৪, ১৫, ২০ এই তারিখগুলোতে রোজা রাখতে পারবেন।
আল্লাহতালা কয়েকটি তাৎপর্যপূর্ণ মাসের মধ্যে উল্লেখ করেছেন রজব ,শাবান, রমজান ,জিলকদ,জিলহাজ।
রমজান মাসের রোজা যেমন ফরজ করেছেন।
কিন্তু অন্যান্য ফজিলত পূর্ণ মাসগুলোতে রোজা করা নিয়ে তেমন কোনো সঠিক হাদিস পাওয়া যায় নি।
আমরা নফল ইবাদত অবশ্যই করতেই পারি কিন্তু কোন মাসে কয়টা রোজা বা কোন কোন তারিখে রোজা এগুলো নিয়ে আমরা চিন্তিত হব না।
আরও পড়ুনঃ
শবে মেরাজের কয়টি রোজা রাখতে হয় FAQS
মূলত আপনারা শবে মেরাজের কয়টি রোজা রাখতে হবে সেই সম্পর্কে জানতে চান। আসলে শবে মেরাজ এর জন্য কোন রোজা কিংবা ইবাদত করার হাদিস নেই। তবে আপনারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পুরো রজব মাস জুড়ে ইবাদত করতে পারেন।
মহানবি রজব মাসের সোমবার ,বৃহসপতিবার বা শুক্রবারে রোজা রাখতেন।
উপসংহার
সুপ্রিয় পাঠকগণ শবে মেরাজের কয়টি রোজা রাখতে হয় সেই সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
আশা করছি সবাই মেরাজের কয়টি রোজা রাখতে হয় সে সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন।
আপনাদের আজকের এই আর্টিকেল সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।
এছাড়াও আমাদের ওয়েবসাইটে আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু আর্টিকেল রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা অনলাইন থেকে আয়, খেলাধুলা বিষয়ক সকল বিষয়গুলো জানতে পারবেন।
তাই ভিজিট করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট এবং আপনাদের যদি আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই ভিজিট করুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে।
আরও পড়ুনঃ
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মসজিদ কোনগুলো?
ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়া কোনটি?
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।