মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কারা? বিষয়টি সম্পর্কে এখনো অনেকে গুগল সার্চ করে থাকেন। নতুন প্রজন্মকে মহান স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করতে স্বাধীনতার ইতিহাস জানার বিকল্প নেই।
দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা কখন কোথায় কী কারণে শুরু হয়েছিল এই বিষয়ে নতুন প্রজন্মকে পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে।
তবেই আমাদের নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতার মহত্বকে বুঝে স্বাধীনতাকামীদের মত মনেপ্রানে দেশকে ভালবাসবে এবং দেশের প্রতি তাদের একাত্মতাবোধ আরো বাড়বে।
একথা বলাই বাহুল্য যে বিশ্বে এমন কোনও দেশ নেই যারা স্বাধীনতার জন্য এই পরিমাণ রক্ত দিয়েছে, যা বাঙালি জাতি দিয়েছে।
শুধু দেশের স্বাধীনতা অর্জনে নয়, মায়ের ভাষা বাংলাকে নিজেদের প্রধান ভাষা হিসেবে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকদের হাতে নিজেদের জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিয়েছে এই জাতি।
আমরা সেই গর্বিত জাতি এবং গর্বিত জাতির গর্বিত সন্তান, আসুন সকলে মিলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে চেষ্টা করি।
Content Summary
মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কারা?
মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বিশেষ ভুমিকা রেখেছে এই ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের।
মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কারা কবে ও কোথায়
১৯ মার্চ, ১৯৭১ দিনটি ছিল বুধবার। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন জয়দেবপুর তথা গাজীপুরের বীর জনতা। যুদ্ধে শহীদ হন চারজন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুলিতে পঙ্গুত্ব বরণ করেন আরও অনেকে।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর আন্দোলন দমানোর জন্য অন্যান্য সেনানিবাসের মতো জয়দেবপুরের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যদের কৌশলে নিরস্ত্র করার পরিকল্পনা করা হয়। তাদের অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ঢাকা ব্রিগেড সদর দপ্তর।
কিন্তু মুক্তিকামী বাঙালি সৈন্য ও স্থানীয় জনতা তাদের কলাকৌশল বুঝতে পেরে অস্ত্র জমা না দিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বাধা দেওয়ার জন্য সড়কে অবরোধ তৈরি করে।
সেইদিন পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধ হয় জয়দেবপুরে বর্তমান (গাজীপুর)। সেখানে ৫০ জন শহিদ হন এবং প্রায় দুই শতাধিক আহত হন।
১৯ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহানজেব ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যদের সতর্ক করেন ও রাস্তায় আন্দোলনকারীদের দেখে অস্ত্র জমা নেওয়ার আশা ত্যাগ করে ঢাকায় ফিরে আসেন।
এ সময় ছাত্র-জনতা জয়দেবপুরের রেলক্রসিং এলাকায় তাদের বাধা দেন।
এ সময় পাকিস্তনি বাহিনী গুলি ছুড়লে ছাত্র-জনতা সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন হুরমত, নিয়ামত, কানু মিয়া ও মনু খলিফা সহ আরও অনেকে।
এরই ধারাবাহিকতায় শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রাম যা পরবর্তীতে স্বাধীনতায় রূপ নেয়।
তখন থেকে স্লোগান ওঠে ‘জয়দেবপুরের পথ ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’। পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে ওটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র সংগ্রাম।
আরও পড়ুনঃ
স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায় । বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা
Robi Minute Check Code BD 2022 | রবি মিনিট চেক কোড
ঘরে বসে ডাক্তারের পরামর্শ । অনলাইনে ডাক্তারের পরামর্শ
স্বাধীনতাকামী বাঙ্গালীর কালো পতাকা উত্তোলন
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ভবন, অফিস-আদালত সবখানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সরকারি-আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মবিরতি চলে।
সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। ছাত্রছাত্রী ও তরুণ-তরুণীদের কুচকাওয়াজ ও অস্ত্রচালনা প্রশিক্ষণ চলে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন, আগামী বছর থেকেই ১৯ মার্চকে জাতীয়ভাবে পালনের চিন্তা করছে সরকার।
অগ্নিঝরা মার্চের ১৯তম দিন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি বিশেষ স্মরণীয় দিন।
মোটকথা মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ, বুধবার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন জয়দেবপুর তথা গাজীপুরের বীর জনতা।
আরও পড়ুনঃ
সয়াবিন তেল কিভাবে তৈরি হয় । How soybean oil is made?
বঙ্গবন্ধুর প্রথম জীবনীকার কে? Who is the first biographer of Bangabandhu?
মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন পূর্ব বাংলার বির ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সদস্যরা।
শেষ কথা,
আশা করছি, আজকের পোস্ট সম্পূর্ণ পড়লে মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কারা?
এ বিষয়ে আর কিছু জানতে কমেন্ট করুন, আশা করি মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ সম্পর্কে আপনার জানার বাকি থাকবে না।
নিত্য নতুন এরকম আরও অনেক লেখা পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট এবং কানেক্ট থাকুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে।
অনলাইনে ঘরে বসে টাকা ইনকাম, টেলিকম অফার, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা অফার ও ইন্টারনেট থেকে সঠিক তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
আরও পড়ুনঃ
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।