অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক সম্পর্কে অনেকেই গুগল করে থাকেন। বর্তমানে ভোটার আইডি কার্ড কথাটির সাথে পরিচিত না এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। ১৮ বছর হয়ে গেছে অথচ ভোটার আইডি কার্ড করার চিন্তা করেননি এমন মানুষও খুজে পাওয়া দায়।
কিন্তু এই ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা ভোটার আইডি কার্ড চেক করে অনলাইন কপি ডাউনলোড করা যায় যা অনেকেই জানেন না।
আজকে আমরা জানবো, কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড চেক করা যায়। কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই দেখা যায়।
আজকের পোস্টটি তাদের জন্য যারা ভোটার হওয়ার জন্য ফর্ম পূরণ করে ছবি এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়েছেন অথচ ভোটার আইডি কার্ড পাননি অথবা ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য চেক করতে চান তাদের জন্য।
আবার এ পদ্ধতিতে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন যা থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা সম্ভব।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড চেক এবং অনলাইন কপি ডাউনলোড করা যায়।
ভোটার আইডি কার্ড চেক ২০২২ । Voter ID card check 2022
ভোটার আইডি কার্ড চেক করে নেওয়ার আগে জেনে নেওয়া যাক ভোটার আইডি কার্ড চেক বা অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে যা যা লাগে।
নতুনদের জন্য ভোটার হওয়ার সময় একটি স্লিপ দিয়ে থাকে। স্লিপের একটি নাম্বার থাকে। সেই স্লিপ নাম্বারটি এবং অরজিনাল জন্ম তারিখ।
আর যারা আগেই ভোটার হয়েছেন শুধু অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে চান অথবা ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে চান তাদের এক্ষেত্রে ভোটার আইডি নাম্বার এবং ভোটার আইডি কার্ডে উল্লেখিত জন্ম তারিখ এবং স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা যেমন, গ্রাম, পোস্ট অফিস, থানা, জেলা বিভাগ জানতে হবে।
আশা করছি উপরে উল্লেখিত আপনার কাছে সবই আছে। তো দেরি না করে শুরু করা যাক ভোটার আইডি কার্ড চেক ২০২২ সম্পর্কে।
যেভাবে আপনি অনলাইনে নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন এবং তথ্য যাচাই করতে পারবেন।
আরও দেখুনঃ
যেভাবে ভোটার আইডি কার্ড চেক করবেন । voter id card check in bangladesh
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দ্বারা পরিচালিত সরকারি ওয়েবসাইট nidw এ প্রবেশ করতে হবে।
আপনি গুগলে nidw লিখে সার্চ করলে প্রথমে শো করা লিঙ্কে ক্লিক করলে নিচের ছবির মতো একটি পেজ ভিউ দেখতে পাবেন।
অথবা আপনি সরাসরি এখান দেওয়া লিংক এ ক্লিক করে সরাসরি nidw এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।
প্রথম ধাপঃ এন আইডি কার্ড যাচাই Website এ প্রবেশ
NIDw এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে এখানে ক্লিক করুন।

উপরের লিঙ্কে ক্লিক করার পরে অথবা গুগল সার্চের মাধ্যমে nidw ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর আপনি উপরের ছবিটির মতো একটি পেজ ভিউ দেখতে পাচ্ছেন।
ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর আপনি রেজিস্ট্রেশন এবং নিচে লগইন অপশন দেখতে পাবেন।
এছাড়াও পাশে আবেদন নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন এখান থেকে নতুনরা ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আপনি যদি এর আগে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক করে থাকেন অথবা অনলাইন কপি ডাউনলোড করে থাকেন তাহলে আপনার তখন রেজিস্ট্রেশন করে লাগছিলো।
এক্ষেত্রে আপনি লগইন করবেন।
আর যদি আপনি এর আগে রেজিস্ট্রেশন করে না থাকেন তাহলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন হবে ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার অথবা স্লিপে উল্লেখিত ফর্ম নাম্বার।
রেজিস্ট্রেশন করার জন্য রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করার পর আপনি নিচের ছবির মতো একটি পেজ ভিউ দেখতে পাবেন।
দ্বিতীয় ধাপঃ এন আইডি কার্ড চেক করে রেজিস্ট্রেশন করুন

রেজিস্ট্রেশন করার জন্য উপরে ছবিটির মতো একটি পেজ এ চাওয়া সকল তথ্য দিয়ে আপনাকে সাবমিট করতে হবে।
- এক্ষেত্রে প্রথমে ভোটার আইডি কার্ড অথবা ফর্ম নাম্বার নাম্বার বসাতে হবে।
- এরপর জন্ম তারিখের জায়গায় জন্ম তারিখ বসাতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে দিন তারপরে মাস এরপরে বছর বসাতে হবে।
এখানে বলে রাখা ভালো, ফর্ম নাম্বার অপশন তাদের জন্য যারা ভোটার আইডি কারদের জন্য নতুন আবেদন করে ছবি এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট জমা দিয়েছে তাদের জন্য।
যারা প্রথমবার ভোটার আইডি কার্ড চেক এবং অনলাইন কপি ডাউনলোড করার জন্য ফর্ম নাম্বার এবং অরজিনাল জন্ম তারিখ ব্যবহার করবে।
এরপর নিচে অস্পষ্ট ক্যাপসা নিচের খালি ঘরে দেখে লিখতে হবে। ক্যাপসা পুরনের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এরপর আপনার ফর্ম এর যাবতীয় তথ্য দেওয়া শেষে এবার চেক করে নিবেন আপনার বসানো তথ্য ঠিক আছে কিনা।
এবার আপনি নিচে সাবমিট অপশনে ক্লিক করবেন।
সাবমিট অপশনে ক্লিক করার পর আপনাকে পরবর্তী স্টেপে নিয়ে যাবে। পরবর্তী স্টেপে যাওয়ার পর আপনি নিচের ছবিটির মতো একটি পেজ ভিউ দেখতে পাবেন।
আরও দেখুনঃ
তৃতীয় ধাপঃ ভোটার এলাকা নির্বাচন করুন

উপরের ছবিটির মতো পেজটি আপনার সামনে আসার পর এবার আপনাকে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা রেনডমলি সিলেক্ট করতে হবে।
প্রথমে আপনি আপনার বিভাগ এরপরে জেলা এরপরে উপজেলা সিলেক্ট করতে হবে।
বেশ, আপনি আরও একধাপ সম্পন্ন করলেন।
এবার আপনি পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন।
চতুর্থ ধাপঃ অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে মোবাইল নম্বর ভেরিফাই
নম্বর ৩ স্টেপ সম্পন্ন হবার পরে পুনরায় আপনাকে আরও একটি নতুন পেজ ভিউতে নিয়ে যাবে।
যেখানে আপনি নিচের ছবিটির মতো একটি পেজ ভিউ দেখতে পাবেন।

উপরের ছবিটির মত একটি পেজ আপনার সামনে শো করবে। যেখানে আপনাকে আপনার মোবাইল নাম্বার দ্বারা শনাক্ত করার জন্য আপনাকে আপনার মোবাইলে ৬ সংখ্যার একটি অলটারনেটিভ কোড পাঠানো হবে।
এক্ষেত্রে আপনি চাইলে আপনার মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করতে পারবেন। এবার বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করুন।
পঞ্চম ধাপঃ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার আইডি কার্ড সাইট নম্বর ভেরিফাই কোড প্রদান
এবার আপনি নিচের ছবিটির মতো একটি পেজ ভিউ দেখতে পাবেন যেখানে মোবাইলে পাঠানো ৬ সংখ্যার কোডটি বসাতে বলা হবে।
উপরে ছবির মতো পেজ ভিউতে আপনি আপনার মোবাইলে আসা ৬ সংখ্যার কোডটি বসান।
এবার বহাল বাটনে ক্লিক করুন।
বহাল বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে নতুন পেজ ভিউতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া থাকবে। পেজটি নিচের ছবিটির মতো দেখতে পাবেন।
ষষ্ঠ ধাপঃ ন্যাশনাল আইডি কার্ড ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে NID Wallet অ্যাপস ডাউনলোড

উপরের ছবিটির মতো পেজ ভিউতে আপনাকে ৩ টি নির্দেশনা দেওয়া হবে। এই ৩ টি নির্দেশনা দেখে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই।
এই প্রক্রিয়াটি একদমই সহজ। আপনার মোবাইলের প্লে অপশন থেকে প্রথমে একটি সফটওয়ার ডাউনলোড করতে হবে।
উপরের ছবিতে দেখতে পাওয়া পেজের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথমেই আপনার মোবাইলে NID Wallet এপ্লিকেশনটি ইন্সটল করতে হবে। এটি আপনি আগেও করে রাখতে পারেন।
এরপর আপনার মোবাইল থেকে উপরের ছবির মতো দেখতে পাওয়া QR টি স্কান করতে হবে।
এর পড়ে এপ্লিকেশনটি থেকে অটোমেটিক ক্যামেরা ওপেন হবে যেখানে নির্দেশনা অনুযায়ী আপনাকে আপনার মুখমণ্ডল ঘুরিয়ে ছবি দিতে হবে। ছবি তোলার সময় স্ক্রিনে নির্দেশনা বাংলায় দেখা যাবে সেই অনুযায়ী করতে হবে।
আপনার রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে ভোটার নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করে নিম্মক্ত নিয়মানুযায়ী আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক করা যাবে। ডাউনলোড করা যাবে মুহূর্তের মধ্যে।
নতুনভাবে রেজিস্ট্রেশন করে ভোটার আইডি কার্ড চেক প্রক্রিয়া শেখা হয়ে গেলো।
এবার দেখা যাক আগেই যাদের রেজিস্ট্রেশন করা আছে বা উপরের স্টেপ অনুযায়ী যারা রেজিস্ট্রেশন করলেন তাদের আইডি কার্ড কিভাবে বের করে ডাউনলোড করা যায়।
যাদের আগেই রেজিস্ট্রেশন করা তারা যেভাবে ভোটার আইডি কার্ড চেক করে অনলাইন কপি ডাউনলোড করবেন
রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে গেলে বা আগে করা থাকলে এবার আপনি লগইন অপশনে চাওয়া সব তথ্য পূরণ করবেন। লগইন অপশনটিকে নিচের ছবিটির মতো একটি ছবির মতো দেখতে পাবেন।

লগইন করার জন্য উপরের ছবিটির মতো পেজটিতে আপনি প্রথমে ভোটার আইডি নাম্বার অথবা ইউজারনেম বসাবেন। এক্ষেত্রে ভোটার আইডি নাম্বার বসানোই ভালো।
এরপরে পাসওয়ার্ড বসাতে হবে। পাসওয়ার্ড মনে না থাকলেও সমস্যা নাই। এক্ষেত্রে আপনি লগইন বাটনের পাশে পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারবেন।
এবার ক্যাপসা পুরনের জন্য সাবধানতার সাথে ক্যাপসাতে লেখা কোডটি নিচের ঘরে লিখুন।
এবার লগইন অপশনে ক্লিক করার আগে আপনার দেওয়া তথ্য আরও একবার চেক করে নেন যাতে ভুল না হয়। ভুল তথ্য দিলে কখনোই ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন না।
ফর্ম পূরণ করার পর নিচের ছবিটির মতো একটি পেজ ভিউ আসবে।

হয়ে গেলো লগইন করার জন্য সকল তথ্য বসান।
এবার নিচে কালো কালির মধ্যে লেখা লগইন বাটনে ক্লিক করবেন।
লগইন বাটনে ক্লিক করার পর আপনি নিচের ছবির মতো একটি পেজ ভিউ দেখতে পাবেন।

উপরের ছবিটির মতো এখানে আপনিও আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য দেখতে পাবেন ছবি সহ।
এখানে উপরের ছবিটির মতো হোম প্রোফাইল, এবং রিইস্য, পাসওয়ার্ড পরিবর্তন, এবং ডাউনলোড অপশন দেখতে পাবেন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার উপায়
এখান থেকে আপনি চাইলে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের কোনো তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন।
একে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন বলা হয়ে থাকে।
আবার আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে ফেললে এখান থেকে রিইস্যু করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়াও সম্পূর্ণ আসল কপির মতোই আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আপনি এখানে এডিট অপশনে গিয়ে সংশোধন করে পুনরায় আবেদন করতে হবে।
পরবর্তীতে আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন কপি দেওয়া হবে।
উপরের পেজটি আসার পরে এখান থেকে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক থেকে শুরু করে ডাউনলোড করতে পারবেন।
আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই ও ডাউনলোড করতে চাই
এতক্ষণে আমরা জানলাম কিভাবে অনলাইনে সফটওয়ারের মাধ্যমে নিজেকে শনাক্ত করে অরজিনাল ভোটার আইডি কার্ড চেক করা যায় এবং আমার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যায়।
ভোটার আইডি কার্ড চেক ট২২ সংশোধন, রিইস্যু এবং ডাউনলোড কার্যক্রম খুব সহজে করতে পারার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে সকল তথ্য নিয়ে এসেছে।
এখানে সাধারন জনগন খুব সহজে কোনো ঝামেলা ছাড়াই অনলাইনের মাধ্যমে সাধারণ কিছু স্টেপ কাজ করেই আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের পিডিএফ ডাউনলোড করতে পারবেন। এবং তা প্রিন্ট করে খুবসহজেই একদম অরজিনাল ভোটার আইডি কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
অনলাইনের মাধ্যমে বের করা ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে আপনি সিম রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে ব্যাংক একাউনট খোলা থেকে শুরু করে সবকিছুই করতে পাবেন দুই একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ব্যতীত।
তবে এই মুহূর্তে সব কাজই করা যায় বলে জানা যাচ্ছে।
এবার আমরা ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করবো যা মানুষ জানতে চেষ্টা করে বিভিন্ন মাধ্যমে।
ভোটার আইডি কার্ড পেতে কতদিন সময় লাগে?
ভোটার তথ্য হালনাগাদ হওয়ার কত দিন পর ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া যায়?
এমন প্রশ্ন অনেকেই জানতে চান। এর সাধারন উত্তর হলো, ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করার ২২- ৩০ দিনের মধ্যে উপরের নিয়ম অনুযায়ী আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করে সব ধরনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে ৩৫- ৪০ দিন সময় লাগতে পারে। এরপরে যখন হার্ড কপি আপনার থানা নির্বাচন অফিসে আসবে তারা আপনাকে মোবাইলে এসএমএস এর মাধদমে জানিয়ে দিবে এবং প্রতিনিধি মারফত আপনার হাতে পৌঁছে দিবেন।
এছাড়াও কোনো কারণে আপনার হাত পর্যন্ত না আসলে আপনাকে থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে খোঁজ করতে হবে।
এতে করে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার ভোটার আইডি কার্ডের হার্ড কপি।
ভোটার আইডি কার্ড চেক এবং ডাউনলোড করা একান্ত জরুরি কেন?
ভোটার আইডি কার্ড চেক 2022 কেন চেক করতে হয় এবং ডাউনলোড করতে হয় বা করা জরুরি এ প্রশ্ন অনেকেই করে থাকলেও যারা এর ভুক্তভুগি তারাই বুঝতে পারবেন কেন ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে হয় এবং ডাউনলোড করতে হয়।
ভোটারনিবন্ধন করার পরেও যখন নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে কেউ ভোটার আইডি কার্ড হাতে না পায় তখন ব্যক্তির প্রয়োজন মেটাতে অবশ্যই অনলাইনে শরনাপন্ন হয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করতে হয়।
আর ভোটার আইডি কার্ড বের করার আগে এর সকল তথ্য সঠিক আছে কি না তা দেখা অত্যন্ত জরুরি।
এছাড়া অন্যতম সুবিধা হলো, দেশে কিংবা বিদেশে যেকোনো জায়গায় বসেই আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে।
এমনকি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন আপনার মতো করেই।
ভোটার আইডি কার্ড চেক এবং ডাউনলোড সংক্রান্ত কিছু অধিক কমন প্রশ্ন এবং উত্তর
আজকের পোষ্টের শুরু থেকে এই পর্যন্ত আমরা ভোটার আইডি কার্ড চেক সংক্রান্ত সকল বিষয় জেনে আসছি।
জেনেছি কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে হয়, কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে অনলাইন কপি ব্যবহার করা যায়।
এখন আমরা সাধারন শ্রোতার অধিক জিজ্ঞেসিত কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর অতি সঙ্খেপে জানতে চেষ্টা করবো।
আরও পড়ুনঃ
ন্যাশনাল আইডি কার্ড FAQS
নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখতে NIDW ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন এবং লগইন করে আপনার আইডি কার্ড চেক ও ডাউনলোড করুন।
অনলাইনে নতুন আইডি কার্ড দেখতে NIDW অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করে একটি একাউন্ট তৈরি করুন।
ভোটার আইডি কার্ড বানানোর জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন এবং আবেদন বাটনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ জমা দিন। তারপর আপনার ভোটার এলাকা অফিসে যোগাযোগ মাধ্যমে কাগজপত্র জমা দিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি প্রদানের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড বানাবেন।
একটি ভোটার কার্ড বার বার অর্থাৎ যতবার ইচ্ছা সংশােধন করা
যাবেনা। একটি ভোটার আইডি কার্ড মাত্র এক বারই সংশােধন করতে পারবেন। তবে আপনার সংশোধনের কারণ যুক্তিযুক্ত না হলে একবারো সংশোধন করা যাবে না।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কে বেশি জিজ্ঞাসা করা প্রশ্ন
প্রশ্নঃ ভোটার আইডি কার্ডে জন্ম তারিখ ভুল হয়েছে কিন্তু ব্যক্তির কাছে জন্ম তারিখের আসল কোনো দলিল নেই, এমতাবস্থায় কিভাবে এই সমস্যা সংশোধন করা যায় ?
উত্তরঃ ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ ঠিক না থাকলে আর যদি তার কোনো দলিল না থাকে তাহলে এটা সংশােধন করার জন্য নিকটস্থ নিজস্ব থানা বা জেলা নির্বাচন কমিশনের অফিসে ব্যক্তির আবেদন করতে হবে। তাঁরা বিস্তারিত সবকিছু বুঝিয়ে দিবে।
যদি কারো ভোটার আইডি কার্ডের স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে হয় তাহলে তা অবশ্যই করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ব্যক্তির নতুন সাক্ষর এর নমুনা এবং গ্রহণযোগ্য কারণ সহ আবেদন করতে হবে। আর মাত্র একবারই পরিবর্তন করতে পারবেন আপনার ভোটার আইডি কার্ডে থাকা স্বাক্ষর। তাই পরিবর্তন করার আগে ভালো করে চিন্তা করে নিন।
আমাদের সকল মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ভোটার আইডি কার্ড। প্রথমেই এক্ষেত্রে উচিত ভোটার আইডি কার্ড টি খুব যত্ন সহকারে স্বযত্নে রেখে দেওয়া। এসবের পরেও যদি আপনার আইডি কার্ডটি হারিয়ে যায় তাহলে নিম্নের ধাপ গুলো ফলো করে আপনি আপনার আইডি কার্ডটি সংগ্রহ করতে পারবেন অনেক সহজেই।
ঘরে বসে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি পেতে NIDW ওয়েবসাইট একাউন্ট তৈরি করে নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড চেক ও ডাউনলোড করে নিন।
হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড এবং করনীয়
ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে তাৎক্ষনিক ভাবেই প্রথমে আপনার নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে হবে।
এরপর এই ডায়েরী (জিডি) স্ক্যান কপি আপলোড করে অনলাইনে আইডি কার্ডের রিইস্যুর আবেদন করতে হবে।
রিইস্যু বিষয়ে উপরে পোষ্টের মধ্যে অনেক সহজ করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবেদন অনুমোদন হওয়ার সাথে সাথেই অনলাইন থেকেই ভোটার আইডি কার্ড/জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন এবং পরবর্তীতে হার্ড কপিও পাবেন উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে।
আরও পড়ুনঃ
NESCO Bill Check Online | অনলাইনে নেসকো বিদ্যুৎ বিল চেক পদ্ধতি
বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম কি? How to check Bkash account balance?
প্রশ্নঃ কোনো ব্যক্তি বিদেশে চলে গেলে দেশে বসে তার ভোটার আইডি কার্ড অন্য কেউ তুলতে পারবে কি না?
উত্তরঃ আইন অনুযায়ী পারবে না।
তবে বাংলাদেশে গ্রাম অঞ্চলে দেখা যায় সন্তানের ভোটার আইডি কার্ড তার বাবা বা মা অথবা বড় ভাইয়ের কাছেও স্লিপ দেখালে বা অনেক ক্ষেত্রে মৌখিক ভাবে বলে দয়া হয়।
তবে সরাসরি না পারলেও অনলাইনে ব্যক্তি নিজের আইডি কার্ড নিজেই অনলাইন কপি বের করতে পারবে।
যা আজকের পোষ্টের শুরু থেকে দেখাতে দেখাতে আসছি।
উপরের নিয়ম অনুযায়ী যেকেউ তার ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি বের করে নিতে পারবে।
প্রশ্নঃ ভোটার কার্ড তথ্য হালনাগাদের সময় ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য দিলে কি হবে?
উত্তরঃ জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হতে হতে পারে। হতে পারে আজীবন কারাদণ্ড।
প্রশ্ন: কিছু আইডি কার্ড নাম্বার ১৩ আবার অনেক আইডি কার্ডে ১৭ টি নাম্বার। কিন্তু এমন আলাদা কেন?
উত্তরঃ ২০০৮ সালের পরে যত আইডি কার্ড প্রিন্ট করা হয়েছে বা পুনরায় তৈরি হচ্ছে সে সকল কার্ডের নম্বর ১৭ ডিজিট হয়ে থাকে।
এর আগের সকল আইডি কার্ড নাম্বার ১৩ সংখ্যার।
প্রশ্নঃ fingerprint অথবা আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে কি ডুপ্লিকেট এন্ট্রি সনাক্ত করা সম্ভব হয়?
উত্তরঃ হ্যাঁ, অবশ্যই ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে সনাক্ত করা সম্ভব।
উপসংহার
আজকে আমরা সম্পূর্ণ পোষ্টের মাধ্যমে জানতে চেষ্টা করেছি ভোটার আইডি কার্ড চেক কিভাবে করে এবং কেন করা দরকার।
এছাড়া জেনেছি কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে হয়।
কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড সংসধনের জন্য আবেদন করতে হয় তাও আপনি জানতে পেরেছেন।
এছাড়া জেনেছি কিভাবে আমাদের সকলের ভোটার আইডি কার্ড এর সকল তথ্য অনলাইনে যেকোনো সময়ে দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ
Brta.gov.bd ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক পদ্ধতি । Driving license check in BD
আশা করছি, আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার পর ভোটার আইডি কার্ড চেক এবং ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড নিয়ে কোনো প্রকার ভ্রান্ত ধারণা বা অজ্ঞতা থাকবেনা।
বিভিন্ন বিষয়ে নিত্য নতুন লেখা পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট।
চোখ রাখুন আমাদের অফিসিল ফেসবুক পেজে।