কম্পিউটার ইথিকস এর নির্দেশনা কয়টি আপনি জানেন কি? কেন আপনার কম্পিউটারের ইতিহাস বিষয়ে জানা প্রয়োজন। ইথিকসকে কম্পিউটারের নীতিমালা বা নীতিশাস্ত্র বলা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এখনো কম্পিউটার ইথিকস সম্পর্কে লোকেদের খুব বেশি ধারণা নেই। যতই দিন যাচ্ছে কম্পিউটার ইথিকস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে।
কম্পিউটার ইথিকস কি?

ইথিকস একটি ইংরেজি শব্দ যার বাংলা হচ্ছে নীতিমালা। কম্পিউটার ইথিকস হচ্ছে কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা সত্তার নৈতিক মূল্যবোধ এবং বিশ্বাসের ক্ষতি বা লঙ্ঘন না করে কম্পিউটিং প্রযুক্তি এবং এর সাথে সম্পর্কিত শৃঙ্খলা গ্রহণের প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে এমন পদ্ধতি, মূল্যবোধ এবং অনুশীলনের সাথে কাজ করে।
সহজ ভাষায় বললে বলা যায় কম্পিউটার ইথিকস হল নীতিশাস্ত্রের একটি ধারণা যা কম্পিউটারের ব্যবহার থেকে উদ্ভূত নৈতিক সমস্যা এবং সীমাবদ্ধতাগুলিকে সম্বোধন করে এবং কীভাবে সেগুলি প্রশমিত বা প্রতিরোধ করা যায়।
কম্পিউটার ইথিকস ব্যাখ্যা কর
কম্পিউটার ইথিকস বা নীতিশাস্ত্র প্রাথমিকভাবে কম্পিউটিং সংস্থানগুলির নৈতিক বাস্তবায়ন এবং ব্যবহার প্রয়োগ করে। এতে কপিরাইট, ট্রেডমার্ক এবং ডিজিটাল বিষয়বস্তুর অননুমোদিত বিতরণ এড়াতে পদ্ধতি ও পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কম্পিউটারের নীতিশাস্ত্র একজন মানব অপারেটরের আচরণ এবং পদ্ধতি, কর্মক্ষেত্রের নীতিশাস্ত্র এবং কম্পিউটার ব্যবহারকে ঘিরে থাকা নৈতিক মানগুলির সাথে সম্মতিও অন্তর্ভুক্ত করে থাকে।
কম্পিউটারের ইথিকস মুলত কাজ করে থাকে আশেপাশের মূল সমস্যাগুলি ইন্টারনেটের ব্যবহার থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে, যেমন ইন্টারনেট গোপনীয়তা, কপিরাইটযুক্ত সামগ্রীর প্রকাশনা এবং ওয়েবসাইট, সফ্টওয়্যার এবং সম্পর্কিত পরিষেবাগুলির সাথে ব্যবহারকারীর মিথস্ক্রিয়ার সমন্বয়ে।
কম্পিউটার ইথিকস এর নির্দেশনা কয়টি ও কি কি?
ব্যবহার ও আনুষঙ্গিক বিবেচনায় কম্পিউটারের ইতিহাস কে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে তবে বর্তমানে যে ইথিকস এর নির্দেশনা গুলো আমাদের সামনে আসে তার সংখ্যা 10 টি।
কম্পিউটার ইথিকস এর নির্দেশনা দশটি। যথা –
১। অন্যের ক্ষতি করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার না করা।
২। অন্য ব্যক্তির কম্পিউটারের কাজের উপর হস্তক্ষেপ না করা।
৩। অন্য ব্যক্তির ফাইলসমূহ হতে গোপনে তথ্য সংগ্রহ না করা।
৪। চুরির উদ্দেশ্যে কম্পিউটার ব্যবহার না করা।
৫। মিথ্যা সাক্ষ্য প্রমাণ বহনের জন্য কম্পিউটারকে ব্যবহার না করা।
৬। পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করা।
৭। অনুমতি ব্যতিরেকে অন্যের কম্পিউটার রিসোর্স ব্যবহার না করা ।
৮। অন্যের বুদ্ধিবৃত্তি সংক্রান্ত ফলাফলকে আত্নসাৎ না করা।
৯। প্রোগ্রাম লেখার পূর্বে সমাজের উপর তা কী ধরণের প্রভাব ফেলবে সেটি চিন্তা করা।
১০। কম্পিউটারকে ওই সব উপায়ে ব্যবহার করা যেন তা বিচার বিবেচনা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে।
আরও পড়ুনঃ
- Medical Report Check Online Bangladesh | মেডিকেল রিপোর্ট চেক
- জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই পদ্ধতি ২০২২
- চেক লেখার নিয়ম । না জানলে সব হারাতে পারেন Bank Cheque
উত্তরঃ কম্পিউটার ইথিকস এর নির্দেশনা হচ্ছে ১০ টি। আমারা এখানে কম্পিউটারের ১০ টি ইথিকস এর নির্দেশনা সম্পর্কে আপনাদের বলেছি।
উপসংহার,
আশা করি আপনি কম্পিউটার ইথিকস এর নির্দেশনা কয়টি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। কম্পিউটারের ব্যবহারের নীতিমালা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানলে আপনার কম্পিউটার ইথিকস নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হবার প্রয়োজন নেই।
কম্পিউটার টিপস ট্রিক্স ও কম্পিউটার সফটওয়্যার সম্পর্কে আপডেট জানতে আমাদের সাথে থাকুন এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।