সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ 26 মার্চ কি দিবস সে সম্পর্কে জানতে আপনারা অনেকেই গুগল সার্চ করে থাকেন। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব 26 মার্চ কি দিবস সে সম্পর্কে। পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও বাংলাদেশ অর্জনে ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের শেষ নেই।
এই সকল ইতিহাস এবং ঐতিহাসিক গুলোর মাঝে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে অত্যন্ত ভিন্ন ধরনের একটি দেশ। এদেশের মানুষ কতটা সাহসী এবং নিজেদের দেশের জন্য এদেশের মানুষ কি কি করতে পারে সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই পুরো বিশ্ব জেনে গিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ হচ্ছে বাংলাদেশের সত্যি এ বিষয়টি বর্তমানে পৃথিবীর বুকে খুব সহজেই জানান দেয়।
বাংলাদেশকে পাওয়ার জন্য পূর্বের বাঙ্গালীদের লড়াই এবং নিজেদের জীবন উৎসর্গ করা অন্যান্য দেশের জন্য খুবই বিরল। এরপেক্ষিতে বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের একটি অংশ হচ্ছে ২৬শে মার্চ। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব ২৬ মার্চের সকল ইতিহাস সম্পর্কে এবং 26 মার্চ কি দিবস সেই সম্পর্কে।
তাই অবশ্যই ২৬ মার্চ কি দিবস সে সম্পর্কে জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত করার অনুরোধ রইল।
Content Summary
২৬ মার্চ কি দিবস – 26 March Ki Dibos
১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ থেকে প্রায় ২০০ বছর পরে ব্রিটিশদের শাসনের অবসান ঘটেছিল।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা অবশেষে ভারত বর্ষ হতে বিদায় নিয়েছিল।
ব্রিটিশরা ভারত বর্ষ থেকে চলে যাওয়ার পর ভারত বর্ষ থেকে ভাগ করে দেয়া হয়েছিল বর্তমান বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানকে।
তবে পাকিস্তানিরা বাঙ্গালীদের ওপর জুলুম অত্যাচার চালাতে থাকে এরপর থেকেই।
এই সকল অত্যাচার জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বাঙ্গালীদের প্রচেষ্টার কমতে ছিল না।
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ পশ্চিয়ান পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশের নামক নতুন এক ভূখণ্ড।
২৬ শে মার্চ হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস।
২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস এ বিষয়টি আমরা প্রায় সকলেই জানি। তবে কেন 26 শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস এর পেছনে ইতিহাস কি?
সে সম্পর্কে জানতে অবশ্যই আমাদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা অনেকেই আছি স্বাধীনতার পেছনের ঘটনাগুলো আমরা জানিনা।
তবে এই স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য বাঙালিরা পশ্চিম পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাস সংগ্রাম করেছিল।
৩০ লক্ষেরও বেশি বাঙালিকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা।
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সামনে এই সকল ইতিহাস গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব এবং ২৬ মার্চ কি দিবস সে সম্পর্কেও আপনাদের সকল বিষয়গুলো জানাবো।
২৬ মার্চ ১৯৭১ এর ইতিহাস – 26 March 1971 History Of Bangladesh
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হচ্ছে 26 শে মার্চ ইতিমধ্যেই এ বিষয়টি আমরা সকলেই জানতে পেরেছি।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের সেই রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার উদ্দেশ্যে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেছিলেন।
১৯৭১ সালের এই তাৎপর্যপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণ করার জন্য প্রতি বছর আমরা ২৬ শে মার্চের গভীর শ্রদ্ধা এবং ভাব গম্ভীর্যের সঙ্গে ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করে থাকি।
দেশের জন্য বাঙালির অসামান্য আত্মত্যাগ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙ্গালী জাতি আজকে স্বাধীন একটি দেশে পরিণত হয়েছে।
এদেশের মানুষকে অত্যাচার-নিপীড়ন এবং সকল নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ হাজার বছরের নেতা সব সময় কাজ করেছেন।
স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাস – 26 March Our Independence Day
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ বিদায়ের পর ধর্মভিত্তিক কারণে জন্ম নিয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি রাষ্ট্র।
তবে ভারতের পশ্চিমে অবস্থানরত ছিল পশ্চিম পাকিস্তান এবং ভারতের পূর্ব ভূখণ্ডে অবস্থানরত ছিল পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশ। বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী পশ্চিম পাকিস্তান ভাষাসহ চাকরি ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের সাথে বৈষম্যের আচরণ করতে থাকে- যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে একটা অনিবার্য সংঘাতের দিকে মোড় নেয় পরিস্থিতি।
১৯৭১ সালের সেই পঁচিশে মার্চ কাল রাতে পশ্চিম পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীরা গভীর রাতে পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা ঘুমন্ত মানুষের ওপর হামলা চালায় গ্রেফতার করে নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়েছিল।
এছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
তবে গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 26 শে মার্চের প্রথম পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণা ছিল-
“এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।
আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান।
বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ঘোষণাপত্রটি চট্টগ্রাম ব্রেতার কেন্দ্রে মাইকিং করে প্রচার করা হয়েছিল।
এর পরবর্তীতে 27 মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষ হয়ে পুনরায় এই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র টি পাঠ করেছিলেন।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস – 26 March Our Independence Day
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা এদেশের মানুষের ওপর অমানবিক নির্যাতন এবং হত্যাযজ্ঞ চালায় এরপর থেকেই বাঙালিরা দেশকে রক্ষার্থে নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করতে থাকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা পাওয়ার পর বাঙালিরা এ দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুতি নেয় এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়ে।
দীর্ঘ নয় মাস বাংলাদেশের এই মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ বর্তমানে পৃথিবীতে একটি স্বাধীন উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
তবে এই যুদ্ধে ৩০ লক্ষেরও বেশি শহীদ হয়েছে।
৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে আমরা যেই স্বাধীনতা পেয়েছি এই স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে অবশ্যই আমাদের জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
বিভিন্ন সময় আমরা নারায়ণ গণমাধ্যমে এ ধরনের প্রশ্নের শিকার হয়েছে 26 মার্চ কি দিবস?
তবে অনেক এমন মানুষ রয়েছে যারা 26 শে মার্চ সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য জানেনা।
অবশ্যই আমাদের স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে আমাদের জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং বাংলাদেশের ইতিহাস অবশ্যই আমাদের পড়া উচিত।
আরও পড়ুনঃ
26 মার্চ কি দিবস FAQS
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস।
বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানি কারাগারে দেওয়া হয়।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
উপসংহার
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ 26 মার্চ কি দিবস সে সম্পর্কে আপনাদেরকে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত সকল তথ্যগুলো জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা 26 মার্চ কি দিবস সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন।
আপনাদের যদি এ বিষয়ে আরো কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।
আপনারা অনেকেই কিভাবে ঘরে বসে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায় সেই সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন।
আপনারা আমাদের ওয়েব সাইট থেকে এ ধরনের আর্টিকেলগুলো খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।
তাই অবশ্যই চাইলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এ ধরনের আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন।
আমাদের ওয়েবসাইট সংক্রান্ত সকল আপডেটগুলো সবার আগে পেতে হলে জয়েন করুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে।
ধন্যবাদ।
আরও পড়ুনঃ
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা
বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে স্বীকৃতি পায়?
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।