ব্যবহারের দিক দিয়ে বাংলা ভাষার অবস্থান কত বিষয়টি জানতে অনেকেই গুগল সার্চ করে থাকেন। মাতৃভাষা বাংলা সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। তাই বিশ্বে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষার ব্যাবহার কেমন এবং বাংলা ভাষা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে আজকের এই পোস্ট।
বর্তমানে বিশ্বে বাংলা ভাষার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতে।
বাংলা ভাষার বিপ্লব ঘটেছিল ১৯৬১ সালে ভাষা ও সাহিত্যে দুটি ঘটনার মাধ্যমে।
১৯৬১ সালে মাইকেল মধুসূদন দত্ত লিখেছেন মেঘনাদবধ কাব্য এবং একই বছর জন্মদিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল প্রাপ্তির মাধ্যমেই সেই প্রথম বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করে।
পোস্ট সারসংক্ষেপ
ব্যবহারের দিক দিয়ে বাংলা ভাষার অবস্থান কত?

ব্যবহারের দিক দিয়ে বাংলা ভাষার অবস্থান পঞ্চম। এক সময় বাংলা ভাষার অবস্থান সপ্তম থাকলেও বর্তমানে মাতৃভাষা বাংলার ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
ভাষার অবস্থান নির্ণয় করা হয় মূলত বাসার ব্যবহারকারীর সংখ্যার উপর ভিত্তি করে।
ভাষা সম্পর্কে কী পরিমাণ লোক জানেন এবং কী পরিমান লোক ব্যবহার করেন তার সমন্বয় ঘটিয়ে ভাষার অবস্থান নির্ণয় করা বর্তমানে খুবই সহজ।
কেননা আদমশুমারি অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যা ও তাদের ভাষা কোনটি তা সহজেই বের করা যায়।
১৯১৩ থেকে আজ ২০২০ পর্যন্ত সর্বমোট পেরিয়েছে এক শ বছরের বেশি সময়। এই সময়–পরিধিতে বাংলা ভাষার অবস্থান বিশ্বে কোথায়?
পৃথিবীর প্রধানতম একটি ভাষা হয়ে অন্তর্জালের এই পৃথিবীজুড়ে কীভাবে ছড়িয়ে আছে বাংলা?
ভাষার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট এথনোলগের ২০২০ সালের ২২তম সংস্করণের পরিসংখ্যান আমাদের জানাচ্ছে, পৃথিবীজুড়ে মোট বাংলাভাষীদের সংখ্যা প্রায় ২৬ কোটি ৫০ লাখের (ভাষা–গবেষক হিসেবে আমাদের ধারণা ২৮ কোটি হবে) কিছু বেশি।
ক্রমিক বিচারে হিসাব করলে বাংলা ভাষার অবস্থান সারা বিশ্বের ভাষাগুলোর মধ্যে পঞ্চম।
আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩ শতাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে।
আরও পড়ুনঃ
বাংলা ভাষার বিশ্বজয়
আদমশুমারি 2017 অনুসারে শুধু বাংলাদেশেই বাংলা ভাষাভাষী লোকের সংখ্যা 16 কোটি।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ আসাম, ত্রিপুরা, ঝাড়খন্ড, ওডিশা, আন্দামান-নিকোবর, ধানবাদ, মানভূম, সাঁওতাল পরগনা প্রভৃতি এলাকায়ও বাংলা ভাষার প্রচলন রয়েছে।
এর বাইরে নেপাল, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইতালি ইত্যাদি দেশে বিপুল পরিমাণ বাংলাভাষী অভিবাসী ও প্রবাসী রয়েছেন।
মাতৃভাষা বাংলা করার লক্ষ্যে বা বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যে আন্দোলন হয়, তার স্মরণে ১৯৯৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন শুরু হয়।
এই আন্তর্জাতিক দিবসের পেছনের গল্পে আছে কানাডাপ্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালামসহ কানাডার বহুভাষিক ও বহুজাতিক সংগঠন ‘মাতৃভাষা প্রেমিকগোষ্ঠী’ উদ্যোগ।
এরই ধারাবাহিকতায় এসেছে ইউনেসকোর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলা ভাষা.
যা বাংলা ভাষার দ্বিতীয়বার বিশ্বজয় বলে মনে করেন ভাষাবিদরা।
আরও পড়ুনঃ
বর্তমানে বিশ্বে ব্যবহারের দিক দিয়ে বাংলা ভাষার অবস্থান হচ্ছে পঞ্চম।
বর্তমান বিশ্বে বাংলা ভাষার অবস্থান সপ্তম স্থানে।
ভাষা ভাষীর দিক থেকে বিশ্বে বাংলা ভাষার অবস্থান কত তম সপ্তম। তবে ব্যাবহারের দিক দিয়ে মাতৃভাষা বাংলার অবস্থান পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
ইতিহাস থেকে পাওয়া যায় বাংলা ভাষায় প্রথম অভিধান প্রকাশিত হয় ১৮১৭ সালে। বাংলা ভাষায় (বাংলা থেকে বাংলা) প্রথম অভিধান সংকলন করেন রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ।
সুনীতিকুমারের মতে বাংলা ভাষা এসেছে “মাগধী প্রাকৃত” থেকে দশম শতাব্দীতে। ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন “গৌড়ীয় প্রাকৃত” থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে সপ্তম শতাব্দীতে। তবে বাংলা ব্যাকরণে সুনীতিকুমারের কথাকে কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই বলা যায় বাংলা ভাষার উৎপত্তি “মাগধী প্রাকৃত” ভাষা থেকে।
বাংলা ভাষার আদি নিদর্শনের নাম হচ্ছে ‘চর্যাগীতিকোষ’ বা ‘চর্যাপদ।
উপসংহার,
আশা করি ব্যবহারের দিক দিয়ে বাংলা ভাষার অবস্থান কত এ সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে পালন করা হয়।
একজন বাঙালি এবং বাংলা ভাষা বলার লোক হিসেবে আমি খুবই গর্বিত।
ইন্টারনেটে জ্ঞান অর্জন করতে ও ইন্টারনেট থেকে টাকা আয়ের সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট।
জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।