বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি? বিস্তারিত বর্ণনা

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি? আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগের নাম ও বিস্তারিত বর্ণনা সম্পর্কে জানতে পারবেন এই পোস্টে।

আজকের এই পোস্ট থেকে আমরা জানবো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি এবং সেই বিভাগের জেলা-উপজেলা, বিখ্যাত খাদ্য, বিখ্যাত শিল্প, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ও দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে।

বাংলাদেশ মোট ৮টি বিভাগ ও ৬৪টি জেলার একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ। এবং এই আটটি বিভাগ মিলে বাংলাদেশের মোট আয়তন প্রায় ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার।

Content Summary

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি?

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি

আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ হচ্ছের চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বৃহত্তম ও সবথেকে সমৃদ্ধময় একটি জেলা।

কত সালে চট্টগ্রাম জেলা গঠিত হয়?

বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের অনেক আগে ১৯৬৬ সালে সালে চট্টগ্রাম জেলা গঠিত হয়।

প্রথমে চট্টগ্রাম জেলায় তিন পার্বত্য জেলা এ জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬০ সালে পার্বত্য এলাকা নিয়ে একটি ভিন্ন পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গঠন করা হয়।

আপনারা জানেন কি? এই ছোট দেশটির প্রায় এক-চতুর্থাংশ জুড়ে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। (চট্টগ্রাম বিভাগের মোট আয়তন প্রায় ৩৩,৯০৪ বর্গ কিলোমিটার।

আজকের এই (বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি) পোস্টে আমরা জানবো এই বিশাল বিভাগ সম্পর্কে সামগ্রিক ধারনা।

চট্টগ্রাম বিভাগে কতটি জেল ও উপজেলা আছে

দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ১১টি জেলা নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ গঠিত। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলায় রয়েছে ১০৩টি উপজেলা ও ৬১ টি পৌরসভা, আছে ২ টি সিটি কর্পোরেশন।

চট্টগ্রাম বিভাগে আছে ৯৪৬ টি ইউনিয়ন। ৮০৮১টি মৌজা ও মোট ১৫,১৭২ টি গ্রাম। চট্টগ্রাম বিভাগে প্রশাসনিক ভাবে রয়েছে ১২০ টি থানা।

চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা সমূহের সাধারন পরিচিতি

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি

আপনারা ইতোমধ্যেই জেনেছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি।

দেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ টি জেলা হলো- চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, বাক্ষনবাড়িয়া, ফেনী, নোয়াখালী, রাঙ্গমাটি, লক্ষীপুর, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং কক্সবাজার।

কান্তজির মন্দির কোথায় অবস্থিত? | কান্তজির মন্দির কেন বিখ্যাত

চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিটি জেলার রয়েছে নিজস্ব পরিচয়, সংস্কৃতি দর্শনীয় স্থান ও বরেণ্য ব্যক্তিত্ব।

১। চট্টগ্রাম জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি? পোস্টে আপনাদের জানাচ্ছি চট্টগ্রাম বিভাগের নামেই চট্টগ্রাম জেলাও রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার রাজধানী হচ্ছে এই চট্টগ্রাম শহর।

১৬৬৬ সালে প্রথম এই জেলার প্রতিষ্ঠা হয়। এই জেলার মোট আয়তন প্রায় ৫২৮২ কিলোমিটার। ১৫ টি উপজেলা নিয়ে এই জেলা।

  • চট্টগ্রাম বিভাগের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৯১,৬৩,৭০০ জন।
  • চট্টগ্রাম বিভাগে বসবাসকারী মোট নারী সংখ্যা প্রায় ৪৫,৯৭০০০ জন।
  • চট্টগ্রাম বিভাগে বসবাসকারী মোট পুরুষের সংখ্যা প্রায় ৪৬,৬৬,৩০০ জন।

চট্টগ্রাম জেলায় মোট প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯৯৭। মাদ্রাসা আছে ২৯৯টি। মাধ্যমিক স্কুল আছে ৭৫১টি।

এই জেলায় সরকারি ও বেসরকারি কলেজ আছে ১৫০ টি। ৩ট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রায় ২০ টি কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্র ও একাডেমী রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলায় সাক্ষরতার হার ৮০.৮৫%।

২। কুমিল্লা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

১৯৬০ সালে প্রথম কুমিল্লা জেলার নাম আত্নপ্রকাশ করে। বর্তমানে ১৭টি উপজেলা রয়েছে এই জেলায়।

কুমিল্লা জেলার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৬২,১২,২১৬ জন। এর মধ্যে মোট নারী সংখ্যা প্রায় ৩২,২৪,৩৯০ জন এবং পুরুষ সংখ্যা প্রায় ৩০,৭৮,২৩৫ জন।

কুমিল্লা জেলার সহস্রাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে স্বাক্ষরতার হার ৭৬.৫১%। প্রায় ৩০৮৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই কুমিল্লা জেলা।

হবিগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত? | হবিগঞ্জ জেলার ১০টি দর্শনীয় স্থান

৩। চাঁদপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

তৎকালীন ত্রিপুরা জেলা তিনটি মহকুমা নিয়ে গঠিত ছিলো। তার মধ্যে একটি হলো চাঁদপুর।

এই জেলার নাম আত্নপ্রকাশ করে ১৯৮৪ সালে। চাঁদপুর জেলার আয়তন প্রায় ১৭৪০ বর্গ কিলোমিটার। এই জেলায় রয়েছে ৮টি উপজেলা।

চাঁদপুর জেলার মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৬,৩৫,৭৪৮ জন। এই জেলায় মোট পুরুষ প্রায় ১২,২৮,৭৭৪ জন এবং মোট নারীর সংখ্যা প্রায় ১৪,০৫,৬৮২ জন।

সকল জেলার ন্যায় এই জেলাতেও নারী / মহিলার তূলনায় পুরুষের সংখ্যা কম।

চাঁদপুর জেলায় প্রায় ১০২৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৭৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এবং প্রায় ১৪৪টি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রশিক্ষন কেন্দ্র রয়েছে। চাঁদপুর জেলায় শিক্ষার হার প্রায় ৬৮%।

৪। বাক্ষনবাড়িয়া জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি এই বিষয়ে বাক্ষনবাড়িয়া জেলাও ত্রিপুরা জেলার অংশ ছিলো।

১৯৮৪ সালে এই ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই জেলার আয়তন প্রায় ১৯২৭ বর্গ কিলোমিটার। মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৯,৫৩,০০০ জন। ৯টি উপজেলা নিয়ে গঠিত এই জেলা।

বাক্ষনবাড়িয়া জেলায় ৮৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৫৩টি। মাদ্রাসা ৬৬টি, কলেজ ৬৫টি, ৩টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে।

এবং ১টি করে ভোকেশনাল, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। বাক্ষনবাড়িয়া জেলার শিক্ষার হার ৪৫.৩%।

যা বর্তমান সময়ের জন্য এবং অন্যান্য জেলার তূলনায় খুবই কম।

৫। ফেনী জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

ইতোমধ্যেই আপনারা জেনেছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি এবং জেনে নিন ফেনী জেলাও চট্টগ্রাম বিভাগের ছোট একটি জেলা। ১৯৮৪ সালে ফেনী একটি জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

এর আয়তন মাত্র ৯৯০ বর্গ কিলোমিটার। মোট ৬টি উপজেলা নিয়ে এই জেলা। বর্তমানে এই জেলার মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৫,৬৯,০০০ জন।

ফেনী জেলা ছিলো নোয়াখালী এবং কুমিল্লার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। এটি বাংলাদেশের সর্বশেষ বা ৬৪তম জেলা। এর শিক্ষার হার ৫৪.২৭%।

চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত? | চাঁদপুর জেলার বিখ্যাত ১০টি স্থান

৬। নোয়াখালী জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

তৎকালীন ত্রিপুরা জেলাকে আলাদা করে ১৮২১ সালে ভুলুয়া নামে একটি জেলা গঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৮৬৮ সালে এই ভুলুয়া জেলার নাম পালটে নোয়াখালী নাম দেয়া হয়।

বর্তমানের নোয়াখালী প্রায় ৯টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। নোয়াখালী জেলার মোট আয়তন প্রায় ৪২০২ বর্গ কিলোমিটার।

বর্তমানে এই জেলার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩৬,৯০,৩০০ জন। নোয়াখালী জেলার শিক্ষার হার ৫১.৩%।

তবে এই জেলার শহরাঞ্চলে শিক্ষার হার প্রায় ৬০.৭%। এই জেলার শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমান্বয়ে।

৭। রাঙ্গামাটি জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত  

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ চট্টগ্রামর জেলার একটি বড় জেলা হচ্ছে রাঙ্গামাটি জেলা।

এবার আমরা জানবো চট্টগ্রাম বিভাগের সবচেয়ে বড় জেলা কোনটি এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা কোনটি সে সম্পর্কে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা রাঙ্গামাটি।

১৯৮৩ সালে যখন পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পৃথক জেলা হয়ে যায়, তখন পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার স্বীকৃতি পায়।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা হিসেবে রাঙ্গামাটির মোট আয়তন প্রায় ৬১১৬.১৩ বর্গ কিলোমিটার। এর মোট জনসংখ্যা ৬,২০,২১৪ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ৩,২৫,৮২৩ এবং নারী ২,৯৪,৩৯১ জন।

রাঙ্গামাটি জেলায় রয়েছে মোট ১০ টি উপজেলা। ৪৮টি ইউনিয়ন আছে, আর আছে ১৩৪৭ টি গ্রাম। এবং ২ টি পৌরসভা নিয়ে এই পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলা।

পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলায় ৪১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫১ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ৭টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মোট ১৫টি রেজিস্টারেড মাদ্রাসা রয়েছে। তবে রাঙ্গামাটি জেলার শিক্ষার হার খুবই কম। যা মাত্র ৪৩.৬০%।

ঠাকুরগাঁও কিসের জন্য বিখ্যাত? | ঠাকুরগাঁও জেলার ১০টি দর্শনীয় স্থান

৮। লক্ষীপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

চট্টগ্রাম বিভাগের অন্যতম একটি জেলা লক্ষীপুর। ১৯৮৪ সালে লক্ষীপুর জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। লক্ষীপুর জেলার আয়তন প্রায় ১৪৪০ বর্গ কিলোমিটার।

লক্ষীপুর জেলার মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৭,২৯০০০ জন। এই জেলায় মোট পুরুষ প্রায় ৮,৬৬,৮৬৮ জন এবং মোট মহিলা প্রায় ৮,৬২,৩২০ জন।

৫ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত লক্ষিপুর জেলা। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি এবং তার জেলাসমূহের আকার কেমন তা আপনি জানতে পেরেছেন।

লক্ষীপুর জেলায় ৯৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৪টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। ১টি করে বিশ্ববিদ্যালয়, আইন কলেজ, হোমিও কলেজ ও ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট আছে।

এছারাও লক্ষীপুর ১৫৭টি মাধ্যমিক স্কুল, ৪টি স্কুল এন্ড কলেজ এবং ৪টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে।

এই জেলায় আছে ৮টি কামিল মাদ্রাসা, ১৯টি ফাজিল মাদ্রাসা, ২২টি আলিম মাদ্রাসা, ৮৫টি দাখিল মাদ্রাসা এবং ৬১টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা আছে। তবে লক্ষীপুর জেলার মোট শিক্ষার হার ৪২.৯০%, যা যথেষ্ট নয়।

৯। বান্দরবান জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি তা আমরা জেনেছি। এই চট্টগ্রাম জেলার একটি অংশ ছিলো বর্তমান বান্দরবান জেলা।

১৯৮১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পৃথক হয়ে এই বান্দরবান জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বর্তমানে ৭টি উপজেলা,৩৩টি ইউনিয়ন, ১৪৮২টি গ্রাম নিয়ে গঠিত এই বান্দরবান জেলা।

বান্দরবান জেলার মোট আয়তন প্রায় ৪,৪৭৯ বর্গ কিলোমিটার। তবে এই জেলার আয়তনের তূলনায় এর মোট জনসংখ্যা খুবই কম।

এর মোট জনসংখ্যা মাত্র ৪,০৪,০৯৩ জন। পার্বত্য এলাকা হওয়ায় এই অঞ্চলে লোকালয় এবং বসবাস খুবই কম। বান্দরবান জেলায় মোট ৩৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৬টি কলেজ রয়েছে।

বান্দরবান জেলায় মোট ৮টি মাদ্রাসা, ২টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ১টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ১টি ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে। তবে এই জেলার স্বাক্ষরতার হার মাত্র ৩৫.৯%।

ফরিদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত? | ফরিদপুর জেলার ১০টি দর্শনীয় স্থান

১০। খাগড়াছড়ি জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

আর্টিকেলে প্রধান আলোচ্য বিষয় হলো – বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি  তাহলো চট্টগ্রাম। এবং ১৯৮৩ সালে তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পৃথক হয়ে খাগড়াছড়ি জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

খাগড়াছড়ি মূলত একটি নদীর নাম। এবং সেই নদীর তীরে খাগড়া বন ছিলো যেখানে পরে বস্তি স্থাপন করা হয়। তখন থেকেই সেই এলাকা খাগড়াছড়ি নামে প্রকাশিত।

খাগড়াছড়ি জেলা মোট ৯টি উপজেলা, ৩৮টি ইউনিয়ন ও ১৩৮১ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত।

এই জেলার মোট আয়তন প্রায় ২৭৪৯ বর্গ কিলোমিটার। জেলার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৬,৩৮,০০০ জন। তন্মধ্যে প্রায়৩,২৮০০০ জন পুরুষ এবং প্রায় ৩,১০,০০০ জন মহিলা।

খাগড়াছড়ি জেলায় ৪২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭১টি মাধ্যমিক ও ২২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে।

এছাড়াও ১৩টি মাদ্রাসা, ২২টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা, ১৮টি কলেজ ও ২টি কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র রয়েছে খাগড়াছড়ি জেলায়। এই জেলার স্বাক্ষরতার হার ৪৪.০৭%।

লক্ষ্মীপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি কারা? | কেন তাদের বিখ্যাত ব্যক্তি বলা হয়

১১। কক্সবাজার জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি তা আপনি জানতে পেরেছেন। আর এই বড় বিভাগেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন কেন্দ্রও রয়েছে।

কক্সবাজারের নাম শুনলেই সকলেরই সেই সমুদ্র সৈকতের কথা মনে পরে যায়। ১৯৮৪ সালে কক্সবাজার মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হয়ে জেলার স্বীকৃতি পায়।

বর্তমান কক্সবাজার জেলার আয়তন প্রায় ২৪৯১ বর্গ কিলোমিটার। এবং এর মোট জনসংখ্যা প্রায় ২২,৮৯,৯০০। তন্মধ্যে ১১,৯৭,০০০ জন পুরুষ ও ১০,৯২,৯০০ জন মহিলা রয়েছে।

বর্তমানে কক্সবাজার জেলার মোট ৮টি উপজেলা রয়েছে। এর মধ্যে ৭১টি ইউনিয়ন ও ৯৯২টি গ্রাম রয়েছে।

কক্সবাজার জেলায় ৭০১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৪০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। ৩০টি কলেজ, ১টি করে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ, ২টি স্নাতকোত্তর কলেজ রয়েছে।

এখানে মোট ৪টি কামিল মাদ্রাসা, ১২টি ফাজিল মাদ্রাসা, ১৯টি আলিম মাদ্রাসা ও ১০৪টি দাখিল মাদ্রাসা আছে। কক্সবাজার জেলার শিক্ষার হার মাত্র ৩৯.৩০%।

আরও পড়ুনঃ

বিপিএল আজকের খেলা ২০২৩

আইপিএল ২০২৩ সময়সূচী

আইপিএলে সবচেয়ে দামি প্লেয়ার কে ২০২৩

চট্টগ্রাম বিভাগের বিখ্যাত খাদ্য তালিকা

চট্টগ্রাম বিভাগের বিখ্যাত খাদ্য তালিকা
চট্টগ্রাম বিভাগের বিখ্যাত খাদ্য তালিকা

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি  তা আপনারা শুরুতেই জেনেছেন। তবে এই বিখ্যাত বিভাগের প্রতিটি জেলার আরও কিছু বিখ্যাত শিল্প রয়েছে।

এখন চলুন জেনে নেই সেই বিখ্যাত শিল্পগুলো সম্পর্কে –

চট্টগ্রামের কোন জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

১। চট্টগ্রাম জেলা শুটকির জন্য বিখ্যাত। সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল হওয়ায় এখানে শুটকি উৎপাদন হয় অনেক। এখানে প্রায় ৪০ টি শুটকির আরদ আছে। চট্টগ্রামের শুটকির স্বাদ ও মান দেশ-বিদেশে বিখ্যাত।

২। কুমিল্লা জেলা রসমালাই ও খদ্দর কাপড়ের জন্য বিখ্যাত। ১৯৩০ সাল থেকে কুমিল্লার মাতৃভান্ডার রসমালাই বানিয়ে খ্যাতি অর্জন শুরু করে। এবং বর্তমানে দেশ-বিদেশে এর খ্যাতি রয়েছে।

৩। চাঁদপুর জেলা ইলিশ মাছের জন্য বিখ্যাত। দেশের অন্যান্য সকল নদীর ইলিশের তূলনায় চাঁদপুরের ইলিশ বেশি সুস্বাদু।

৪। আজকের মূল বিষয় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি তবে এই বিভাগ সম্পর্কে বলতে গেলে বাক্ষনবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি ছানামূখী এর কথা ভুলা যায়না , যা দুধের ছানা দিয়ে তৈরি । এছাড়াও তালের বড়ার জন্য বাক্ষনবাড়িয়া বিখ্যাত।

৫। ফেনী জেলা মহিষের দুধের ঘী ও খন্ডলের মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। আশেপাশের এলাকা জুড়ে এর অনেক চাহিদা।

৬। নোয়াখালীর বিখ্যাত খাবার নারকেল নাড়ু ও ম্যাড়া পিঠা। নাড়ু পছন্দ করে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া কঠিন। আর গ্রামীন এলাকায় অতিথি আপ্যায়নে ম্যাড়া পিঠার অনেক প্রচলন আছে।  

৭। রাঙ্গামাটির জুম চাষ ও রেস্তোরাঁয় বাশের তৈরি খাবার অনেক বিখ্যাত। পর্যটক্রা এই খাবার অনেক পছন্দ করেন। এছাড়াও আনারস, কাঠাল, কলার জন্যও রাঙ্গামাটি বিখ্যাত।

৮। লক্ষীপুর জেলা সুপারির জন্য বিখ্যাত। এখানে অনেক বেশি সুপারি উৎপাদিত হয় এবং এর গুনগত মানও অনেক ভালো।

৯। বান্দরবান হিল জুস ও তামাক পাতার জন্য বিখ্যাত। আজকের পোস্টের মূল বিষয় ছিলো – বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি এর মধ্যে পাহাড়ি কন্যা নামক এই জেলায় হিল জুসের ঐতিহ্য ও তামাক পাতার অনেক উৎপাদন হয়।

১০। খাগড়াছড়ি জেলা হলুদ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। এখানের হলুদের সারাদেশ ব্যাপী চাহিদা রয়েছে এবং পাহাড়ি এলাকায় জুম চাষের হলুদ উৎপাদনও হয় অনেক বেশি।

১১। কক্সবাজারকে আমরা সমুদ্র সৈকতের জন্য বিখ্যাত মনে করলেও এর আরও একটি বিখ্যাত জিনিস রয়েছে। এটি মূলত মিষ্টিপান এর জন্য বিখ্যাত। যারা পান খায় তারা জানে এই কক্সবাজারের মিষ্টি পানের স্বাদ। সারাদেশে এই পানের ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের বিখ্যাত শিল্প ও স্থাপনা

আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি এখন আমরা জানবো এই বিভাগের শিল্প ও অর্থনীতি সম্পর্কে।

দক্ষিন এশিয়ার ৫ম বৃহৎ অর্থনীতির শহর এই চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম জেলায় কৃষিক্ষেত্রে – ধান, বেগুন,লাউ,মিষ্টি কুমড়া, ঢেড়স, শশা, শীম, বরবটি, মটরশুঁটি, গাজর, শালগম, ফুলকপি, নারকেল, আম, কলা, কাঠাল ইত্যাদি উৎপাদন ও সারাদেশে সরবরাহ করে থাকে।

চট্টগ্রাম বিভাগে মৎস চাষ ও আহরন, শুটকি উৎপাদন, তামাক ইত্যাদি ব্যবসায় করে থাকে।

সামুদ্রিক অঞ্চল হওয়ায় লবন উৎপাদন ও হয় অনেক বেশি। এছাড়াও ইস্পাত, পাট, ঔষধ, বস্ত্র উৎপাদন, মোটরগাড়ি ইত্যাদি শিল্পের জন্য চট্টগ্রাম বিখ্যাত।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম বিভাগ সুপারি, ইলিশ, ঘী, হলুদ, মিষ্টিপান, খদ্দর ইত্যাদির উৎপাদনেও অনেক এগিয়ে।

দেশের জিডিপির একটা বড় অংশ আসে এই চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি এবং দেশে এর অবদান কেমন তা হয়তো আপনারা ইতোমধ্যেই বুঝে গেছেন।

আরও পড়ুন

আজকের বিপিএল খেলা লাইভ ২০২৩

বিপিএল লাইভ স্কোর

চট্টগ্রাম বিভাগের বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব

পোস্টের শুরিতেই আমরা জেনেছি যে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি  এখন আমরা জানবো সেই বিভাগের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বগুলো সম্পর্কে।

১) চট্টগ্রামঃ- আহমেদ হোসেন, কবির আহমেদ, সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, মোহাম্মদ আবুল কাশেম প্রমুখ ব্যক্তিগন চট্টগ্রাম জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব।

২) কুমিল্লাঃ- ফেরদৌস আহমেদ, কাজী জাফর আহমেদ, আইসিসি আম্পায়ার এনামূক হক মনি, আখতার হামিদ খান, কবি সুফিয়া কামাল প্রমুখ ব্যক্তিগন কুমিল্লা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব।

৩। চাঁদপুরঃ- বীর মুক্তিযোদ্ধা সালাহউদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম, দিলদার, চারন কবি দোনা গাজী, ডা. দীপু মনি প্রমুখ চাঁদপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব।

৪। বাক্ষনবাড়িয়াঃ-

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, কবি সানাউল হক, আলাউদ্দিন খাঁ, কবীর চৌধুরী, ক্রিকেটার আশঁরাফুল প্রমুখ বাক্ষনবাড়িয়ার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি এই প্রসঙ্গে উক্ত ব্যক্তিদের খ্যাতির কথা উল্লেখযোগ্য।

৫। ফেনীঃ- খালেদা জিয়া, আব্দুস সালাম, শহীদুল্লাহ কায়সার, জয়নাল আবেদীন, বেলাল চৌধুরী প্রমুখ ফেনী জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব।

৬। নোয়াখালীঃ- বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, ওবায়দুল কাদের, কবির চৌধুরী, আনিসুল হক, শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রমুখ নোয়াখালী জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব।

৭। রাঙ্গামাটিঃ- ফিরোজা বেগম চিনু, মমতাজ বেগম, ঊষাতন তালুকদার, দীপংকর তালুকদার, কল্প রঞ্জন চাঁকমা প্রমুখ রাঙ্গামাটি জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব।

৮। লক্ষীপুরঃ- মেজর জেনারেল এস. এম. মতিউর রহমান, মোঃ বদিউজ্জামান, দিলারা জামান, তারিন, নিশাত মজুমদার প্রমুখ লক্ষীপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব।

৯। বান্দরবানঃ- জাফর ইকবাল, অং শৈ প্রু চৌধুরী, ইউ কে চিং, বিভূতিভূষণ সেন, বীর বাহাদুর উশৈ সিং প্রমুখ বান্দরবান জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব যাদের খ্যাতির দ্বারা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি তার সম্পর্কেও খ্যাতি ছড়ায়।

১০। খাগড়াছড়িঃ- বীরেন্দ্র কিশোর রোয়াজা, আনুচিং মগিনি, আনাই মগিনি, যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, ফুটবলার মনিকা চাকমা প্রমুখ খাগড়াছড়ি জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব।

১১। কক্সবাজারঃ- সালাহউদ্দিন আহমেদ, এডভোকেট খালেকুজ্জামান, লুৎফুর রহমান কাজল, ইলিয়াস কুবরা, খোরশেদ আরা হক প্রমুখ কক্সবাজার জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব।

আরও পড়ুনঃ

পদ্মা সেতুর টোল তালিকা

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

চট্টগ্রাম বিভাগের দর্শনীয় স্থান সমুহ

আপনারা পূর্বেই জেনেছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি আপনারা কি জানেন এই বিভাগের বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে?

চলুন পরিচিত হই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগের কিছু দর্শনীয় স্থানের সাথে।

১। সীতাকুণ্ডঃ-

সীতাকুণ্ড বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি পৌরসভা এলাকা। এটি বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত।

সীতাকুন্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, চন্দ্রনাথ পাহাড়সহ আরও অনেক আকর্ষনীয় স্থান রয়েছে এই সীতাকুণ্ড এলাকায়।

২। কুমিল্লার ময়নামতিঃ-

কুমিল্লার লালমাই অঞ্চলের সবচেয়ে প্রাচীন নিদর্শন এই ময়নামতি। এটি একটি ঐতিহাসিক স্থান যা প্রাচীন নগরীর ধ্বংসাবশেষ।

পোড়ামাটির ফলক ও টেরাকোটার মত প্রাচীন নিদর্শন পাওয়া যায় এখানে। এছাড়াও কুমিল্লার শালবন বিহার একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

৩। ব্রাক্ষনবাড়িয়ার আরিফাইল মসজিদ একটি অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র। মুসলিম হিসেবে অনেকেই সেই ইসলামিক নিদর্শন দেখতে সেখানে গমন করে।

৪। চাঁদ গাজী ভূঁইয়ার মসজিদঃ-

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি এবং এর কিছু ইসলামিক নিদর্শন কি কি? তার মধ্যে এটি একটি বিখ্যাত মসজিদ যা চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী জেলায় আছে।

মুঘল আমলে এই স্থাপত্য নির্মান করা হয়। ১৬৩৫- ১৭০০ সালে এই মসজিদ স্থাপন করা হয়। তাই এতে প্রাচীন সংস্কৃতির নিদর্শন পাওয়া যায়। এতে মোট ৩ টি গম্বুজ ও ১২টি মিনার রয়েছে।

৫। নিঝুম দ্বীপঃ-

নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের খুবই সুন্দর এবং চোট একটি দ্বীপ। এই দ্বীপটি নিজেই একটি ইউনিয়ন।

বাংলাদেশ সরকার এই দ্বীপটিকে একটি সরকারি উদ্যান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই দ্বীপে প্রায় ৪০ হাজারের মতো হরিন রয়েছে। ক্যাম্পিং করার জন্য এবং ভ্রমনের জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান।

৬। কাপ্তাই লেকঃ-

কাপ্তাই লেক রাঙ্গামাটি জেলার একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। এই লেক দিয়েই ট্রলার ভ্রমন করে শুভলং জলপ্রপাতে যাওয়া যায়।

লেকের পাশে আছে চাকমা রাজার নতুন রাজবাড়ি। ১৯৫৬ সালে এই লেকের জন্ম হয়। যা কিনা কর্ণফুলী বাধ নির্মাণের ফলে তৈরি হয়।

৭। বান্দরবানঃ-

আপনি জানেন যে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি  কিন্তু আপনি কি জানেন বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা জেলা কোনটি? সেটি হলো বান্দরবান।

বান্দরবান জেলার প্রায় সম্পূর্নটাই দর্শনীয় স্থান। নীলাচল, মিলনছড়ি, রাজবিহার, সাংগু নদী, তাজিংডং, উপবন ও নীলগিরি সহ অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে এই জেলায়।

৮। খাগড়াছড়িঃ-  

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি এই বিষয়ে লিখলে খাগড়াছড়ির নানা দর্শনীয় স্থানের কথা স্মরন হবেই।

মানিকছড়ি, মায়াবিনী লেক, হাতিমাথা পাহাড়, হর্টিকালচার পার্ক, আলুটিলার রহস্যময় গুহা ইত্যাদি এই জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান সমূহ। এই স্থানগুলোর ছিবি এতটাই লোভনীয় যে, প্রকৃতির রূপের স্বাদ খুব সহজেই মানুষের মনে জাগ্রত করে।

৯। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতঃ-

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের অন্যতম বড় পর্যটন কেন্দ্র। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।

প্রতিবছর লক্ষাধিক পর্যটক ভ্রমন করতে আসে এটি প্রায় ১২০বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।

এছাড়াও কক্সবাজার জেলায় আরও অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। যেমন- মহেশখালী, মেরিন ড্রাইভ, ইনানী বিচ, টেকনাফ সমুদ্র সৈকত, সেন্টমার্টিনস দ্বীপ, শাহ পরীর দ্বীপ ইত্যাদি।

আরও পড়ুনঃ

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত?

বাংলাদেশের নতুন বিভাগের নাম কি?

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি? প্রশ্নোত্তর পর্ব

চট্টগ্রাম বিভাগের মোট জেলা কয়টি?

চট্টগ্রাম বিভাগের মোট জেলা সংখ্যা ১১ টি।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি?

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ হচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগ।

চট্টগ্রাম বিভাগের মোট আয়তন কত কিলোমিটার?

চট্টগ্রাম বিভাগের মোট আয়তন প্রায় ৩৩,৯০৪ বর্গ কিলোমিটার।

ওবায়দুল কাদের এর জন্মস্থান কোন জেলায়?

ওবায়দুল কাদেরের জন্মস্থান নোয়াখালী জেলায়।

চাঁদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত?

চাঁদপুর জেলা ইলিশ মাছের জন্য বিখ্যাত।

কাপ্তাই লেক বা কর্ণফুলী হ্রদ এর উৎপত্তি হয় কত সালে?

১৯৫৬ সালে কাপ্তাই লেক বা কর্ণফুলী হ্রদ এর উৎপত্তি হয়।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি নিয়ে সর্বশেষ

আমাদের আজকের লেখালেখির মূল বিষয় ছিলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি।

আশা করি আপনাদেরকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ চট্টগ্রাম সম্পর্কে কিছু মূল্যবান ধারনা দিতে পেড়েছি।

এরকম আরও তথ্যবহুল লেখা পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করে পাশে থাকুন, ধন্যবাদ।

এছাড়াও ইন্টারনেট থেকে টাকা আয়, টেলিকম অফার, মোবাইল ব্যাংকিং অফার ইন্টারনেট থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে রেগুলার ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট।

এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

ধন্যবাদ।

আরও পড়ুনঃ

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

সুইস ব্যাংক (Swiss Bank) | সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের টাকা বেশি কেন যাচ্ছে

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ভিজিট করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।

আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাংলা ভাষায় অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম, টেলিকম অফার এবং মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে।