Bkash Agent Registration পদ্দতি । বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন নিয়ম

Bkash Agent Registration পদ্দতি কি? bkash agent registration form কোথায় পাবেন এবং বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে আজকের এই পোস্ট। আপনি যদি একজন সম্মানিত বিকাশ এজেন্ট হতে চান তবে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন আমাদের এই পোস্ট থেকে।

মনে রাখবেন ডিজিটাল-টাচ.কম অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে মোবাইল ব্যাংকিং সহ সকল বিষয়ে সর্বদা সঠিক তথ্য প্রদান করা হয়।

কেননা আমি নিজে একজন Bkash Agent তাই আপনাদের Bkash Agent Registration and commission সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে পারব।

তাই অনুগ্রহপূর্বক বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন বা বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন।

Contents In Brief

What is Bkash Agent? বিকাশ এজেন্ট কি?

বিকাশ হচ্ছে একটি আর্থিক সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি। একটি ব্যাংক যেমন বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে তাদের সেবা গ্রাহক অব্দি পৌঁছে দিয়ে থাকে, তেমনি বিকাশও এজেন্টদের মাধ্যমে তাদের সেবা গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছায়।

তাই আপনি বলতে পারেন বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ব্যবসায়িক অংশীদার হচ্ছে বিকাশ এজেন্ট।

তাই আপনি যদি বিকাশের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করতে চান, তাহলে আপনাকে একটি Bkash Agent Registration করতে হবে, যার মাধ্যমে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।

আপনি যদি Bkash Agent number ব্যবহার করে বিকাশের সাথে ব্যবসা করেন তবে আপনি প্রতিটি লেনদেনে ৪.১০% হারে কমিশন পাবেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিকাশ তাদের Bkash Agent profit বাড়িয়ে থাকে।

তাই আপনি যদি bkash agent profit বা bkash agent commission এর কথা চিন্তা করেন তবে আপনাকে বলব সারা বছর আপনি কমিশন পাবেন এবং বিভিন্ন সময় নানা ক্যাম্পেনের মাধ্যমে বিকাশ কর্তৃপক্ষ তাদের এজেন্টের বাড়তি আয়ের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে।

তাই আপনি বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে বিকাশ লেনদেন করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।

ফলে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিকাশে চাহিদা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে এবং লোকেরা বিকাশ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।

Bkash Agent Registration কিভাবে করবেন? বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন নিয়ম

Bkash Agent Registration কিভাবে করবেন বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন নিয়ম
Bkash Agent Registration কিভাবে করবেন?

প্রিয় পাঠক Bkash Agent Registration প্রক্রিয়া খুবই সহজ, এজন্য আপনার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকতে হবে এবং উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটি ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে।

যেকোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স থাকলেই ঐ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুব সহজেই bkash agent number পেতে আবেদন করতে পারেন।

তবে এক্ষেত্রে বিকাশ কর্তৃপক্ষ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার পূর্বে কিছু বিষয় লক্ষ্য করে থাকেন – সেগুলি হচ্ছে

  • যেমন আপনার এলাকায় বর্তমানে কোন বিকাশ এজেন্ট সিম আছে কিনা।
  • আপনার এলাকা কি রকম জনসমাগম রয়েছে।
  • বর্তমান যদি কোন এজেন্ট সিমে থাকে তবে সেই এজেন্ট সিমে নিয়মিত কি পরিমান লেনদেন হচ্ছে।
  • সেই সাথে আপনার ব্যবসার ধরন ( আপনি কি ব্যবসা করছেন)।
  • আপনি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা কিরকম বিনিয়োগ করবেন এর সাধারণ ধারনা নিয়ে থাকে বিকাশ কোম্পানি।

মূলত বিকাশ কোম্পানি bkash agent number দেয়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি রিকোয়ারমেন্ট নেই।

আমি জানি bkash agent কিভাবে নিতে হয় এই সম্পর্কে, কেননা ব্যক্তিগতভাবে নিজে একজন বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী এবং সেই সাথে আমি আরো বেশ কিছু দোকানে তাদের এজেন্ট সিম রেজিস্ট্রেশনের সহায়তা করেছি।

ডিসকাউন্টে সকল সিমের মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।

আরও পড়ুনঃ

আমেরিকা ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?

আজকের ডলার রেট বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা | USD To BDT Price

বিকাশ এজেন্ট সিম রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি লাগে?

আপনার যদি বিকাশ এজেন্ট হওয়ার ইচ্ছা থাকে তবে Bkash Agent SIM Registration এর জন্য আবেদন করতে হবে।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে ইতিমধ্যে আপনাদেরকে বলেছি অবশ্যই অবশ্যই আপনার কাছে ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে।

একটি bkash agent number নিতে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াও আরো কিছু ডকুমেন্টের প্রয়োজন হবে।

আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুসরণ করে এই পর্যন্ত এসে থাকেন bkash agent registration form সম্পর্কেও আপনাদের জানাবো সাথে থাকুন।

তবে মনে রাখবেন বিকাশ এজেন্ট সিমে দুটো রেজিস্ট্রেশন পেতে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি জনসমাগম পূর্ণ এলাকায় থাকতে হবে, যেখান থেকে আপনার ব্যবসায়িক কার্যক্রম ভালোভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

ডিসকাউন্টে সকল সিমের মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।
  • দোকানের ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি (১ কপি )।
  • এনআইডি কার্ডের ফটোকপি (২-৪ কপি )
  • রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৪ কপি)।
  • অ্যাক্টিভ পোস্টপেইড সিম ( যে সিমে কোন ধরনের বিকাশ একাউন্ট খোলা নেই)।
  • ই-টিন সার্টিফিকেট।

মূলত, উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টস আপনার কাছে যদি থাকে তাহলে আপনি বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

তবে আপনি যখনই বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করবেন তার পূর্বে নিমক্ত ডকুমেন্টস গুলি কি ধরনের হবে এই বিষয়গুলি একবার দেখে নিন।

আরও পড়ুনঃ

আজকে সয়াবিন তেলের দাম কত

১ রিংগিত কত টাকা | মালয়েশিয়া ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা ২০২৩?

Trade License – ট্রেড লাইসেন্স

বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন এর জন্য ট্রেড লাইসেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ট্রেড লাইসেন্স আপনার ভোটার আইডি কার্ডে থাকা সঠিক ও সম্পূর্ণ নামটি থাকতে হবে।

কেননা বর্তমানে বিকাশ কর্তৃপক্ষ ট্রেড লাইসেন্সে থাকা ব্যক্তির নাম ও ভোটার আইডি কার্ডের নাম মিলিয়ে চেক করে থাকে।

NID Card / Votar ID Card – ভোটার আইডি কার্ড

যেই নামে ভোটার আইডি কার্ড রয়েছে ঠিক একই নামে ট্রেড লাইসেন্স করা থাকলে আপনার বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তাই অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স করার সময় আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নামের সাথে ট্রেড লাইসেন্স ধারীর নাম মিলিয়ে নিবেন।

Bkash Agent Number – বিকাশ এজেন্ট নম্বর

যে নম্বরটি আপনি bkash এজেন্ট নাম্বার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে চাচ্ছেন ঐ নম্বরটিতে পূর্বে কোন ধরনের বিকাশ পার্সোনাল/পেমেন্ট/ মার্চেন্ট বা রিটেলার অ্যাকাউন্ট খোলা থাকলে চলবে না।

আপনাকে সম্পূর্ণ পেজ একটি নতুন সিম ব্যবহার করতে হবে বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করানোর ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই একটি ভাল নম্বর পছন্দ করবেন।

যে নম্বরগুলোতে জোড়াসংখ্যা রয়েছে ওই নম্বরগুলো বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন এর ক্ষেত্রে খুবই ভালো।

কেননা পরবর্তীতে আপনার গ্রাহকরা যাতে দ্রুত আপনার নাম্বারটি মনে রাখতে পারে এবং সেই সাথে আপনানিও যাতে গ্রাহকদের নাম্বারটি প্রদান করতে সুবিধা হয়।

Tin Certificate – টিন সার্টিফিকেট

Bkash agent registration এর জন্য যে টিম সার্টিফিকেটটি ব্যবহার করবেন সেটিও একই নামে থাকলে ভালো। তবে এই ক্ষেত্রে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে থাকলেও চলবে।

মনে রাখবেন একজন ব্যক্তির নামে একটি টিন সার্টিফিকেট তৈরি হয়ে থাকে। কেননা টিন সার্টিফিকেট তৈরি করতে ভোটার আইডি কার্ড নম্বর এর প্রয়োজন হয়।

তাই আপনি যদি টিন সার্টিফিকেট তৈরি করে থাকেন তাহলে আপনি সেই টিন সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারেন বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য।

আরও পড়ুনঃ

ব্রাজিল বনাম ক্যামেরুন এর পরিসংখ্যান

Bkash Agent Registration আবেদন কিভাবে করবেন?

বিকাশ এজেন্ট সিম রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি লাগে
বিকাশ এজেন্ট সিম রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি লাগে?

দেখুন Bkash Agent Registration করার জন্য আপনার কাছে একাধিক উপায় রয়েছে।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম হচ্ছে আপনি যে স্থানে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা পরিচালনা করতে আবেদন করছেন ঐ এলাকার কাছাকাছি বিকাশ হাউজের প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করা।

1# তবে সবচেয়ে সহজ উপায়টি হচ্ছে আপনার এলাকায় বর্তমানে যদি বিকাশ এজেন্ট থাকে তবে সেই এজেন্ট এর কাছে বিকাশের যেই কর্মকর্তা নিয়মিত লেনদেন করছেন তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

2# যদি আপনার এলাকায় কোন বিকাশ এজেন্ট না থাকে তবে আপনার কাছাকাছি যেখানে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী রয়েছে তাদের কাছ থেকে তাদের ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ কোথায় সেই ঠিকানা সংগ্রহ করে নিবেন।

3# আপনি যদি উপরোক্ত বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুসরণ করেও ব্যর্থ হন, তবে বিকাশ হেল্পলাইনে কল করে আপনার এলাকার নিকটস্থ ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ অথবা বিকাশ সার্ভিস সেন্টার এর ঠিকানা নিয়ে সেখানে আপনার কাগজপত্রগুলো জমা দিতে পারেন।

4# bkash agent registration আবেদনের জন্য আপনি অনলাইনে বিকাশ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আবেদন করতে পারেন।

আশা করি উপরোক্ত চারটি bkash agent registration পদ্ধতির মধ্যে যেকোনো একটি পদ্ধতিতে আপনি আপনার নতুন বিকাশ এজেন্ট সিম রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।

চলুন দেখে নেয়া যাক আপনি যখন বিকাশ এজেন্ট হবেন তার পরবর্তী আপনাকে আরও কি কি শর্তগুলো মানতে হবে।

আরও পড়ুনঃ

নগদ একাউন্টের সুবিধা

Bkash account open system 

বিকাশ এজেন্ট হবার পর আপনাকে যে শর্তগুলো মানতে হবে –

যেহেতু আপনি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে একটি bkash agent SIM registration করিয়েছেন তাই আপনাকে প্রতিদিন লেনদেন করতে হবে।

এছাড়াও bkash agent হলে বিকাশ এজেন্টকে আরো কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে-

Bkash agent সিমে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন লেনদেনের পরিমাণ

একটি নতুন bkash agent registration সম্পন্ন হবার পর আপনাকে কত টাকায় এজেন্ট সিমে প্রবেশ করাতে হবে এই বিষয়ে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন।

তাই আপনাদের বলছি আপনারা প্রথমদিনে পঞ্চাশ হাজার টাকা আপনার সিমে ব্যালেন্স নিতে পারেন। এক্ষেত্রে কোম্পানির কোন নির্দিষ্ট বাধ্যবাধকতা নেই।

বিকাশ এজেন্ট সিমে প্রতিদিনের সর্বনিম্ন লেনদেনের পরিমাণ কত?

বিকাশ এজেন্ট বা ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে প্রতিদিনের সর্বনিম্ন লেনদেনের পরিমাণ ৬০০০ টাকা। অর্থাৎ আপনাকে ছয় হাজার টাকা দিতে হবে অথবা আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে বিটুবি (b2b) মাধ্যমে বের করতে হবে।

কোন অবস্থাতেই সরকারি ছুটি ব্যতীত বিকাশের সাথে লেনদেন বন্ধ রাখতে পারবেন না। কেননা বিকাশ কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিটি বিকাশ এজেন্ট সিমে ১০০% লেনদেন নিশ্চিত করতে চায়।

আরও পড়ুনঃ

What is email marketing Bangla

কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন

Bkash agent limit – বিকাশ এজেন্ট সিমে সর্বোচ্চ কত টাকা লেনদেন করা যাবে?

বিকাশ এজেন্ট সর্বোচ্চ কত টাকা লেনদেন করতে পারবেন এর কোন লিমিট নেই আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেরকম লেনদেন হয় ঠিক আপনি ওই পরিমাণ লেনদেন করতে পারবেন।

এখানে বিকাশ এজেন্ট এর কোন ধরনের লিমিট নেই। তবে বিকাশ কর্তৃপক্ষ আপনার একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা থাকতে হবে বিষয়টি সবসময় নিশ্চিত করতে চায়।

বিকাশ কর্তৃপক্ষ আপনার লেনদেনের ধরন অনুসারে আপনার মোবাইলে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স রাখার জন্য অনুরোধ করে থাকে।

প্রতিদিনের বেচা বিক্রি শেষে আপনার মোবাইলে সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা ব্যালেন্স থাকা আবশ্যক। একজন বিকাশ এজেন্ট টিমে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকুক।

বিকাশ নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন

যেহেতু আপনি একজন বিকাশের ব্যবসায়িক অংশীদার বা বিকাশ এজেন্ট, তাই বিকাশ কর্তৃপক্ষ আপনার উপর নতুন বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট খোলার জন্য চাপ প্রয়োগ করে থাকে।

বিভিন্ন এলাকায় নতুন একাউন্টের জন্য একটি নির্দিষ্ট লিমিট থাকে প্রতিটি এজেন্টের জন্য। তবে তা দুইটি থেকে পাঁচটির মধ্যে।

আপনি যেহেতু নিয়মিত বিকাশের ব্যবসা করা যাচ্ছেন, তাই আপনার কাছে নিয়মিত বিকাশ গ্রাহক আসছে নতুন একাউন্ট খোলার জন্য গ্রাহক অবশ্যই আপনার কাছে আসবে।

এ বিষয় নিয়ে আপনি তেমন কোন চিন্তা করবেন না।

আরও পড়ুনঃ

তথ্য প্রযুক্তি কি? তথ্য প্রযুক্তি কাকে বলে

কিভাবে ফেসবুক আইডি ফিরে পাব?

নিয়মিত ট্রানজেকশন করা

বিকাশ এজেন্টকে নিয়মিত তার সিম থেকে ন্যূনতম ২০০০ টাকা লেনদেন করার পরামর্শ দিয়ে থাকে বিকাশ কর্তৃপক্ষ। তবে এলাকা বেদে এর পরিমাণ আরো কম বা বেশি হতে পারে।

আমি গত 6 বছর যাবত বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করছি তাই আমি জানি যদি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে সেই দিনও আমার বিকাশ এজেন্ট থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা মত লেনদেন হয়ে থাকে।

কেননা আমার পরিচিত গ্রাহকরা আমার মোবাইলে টাকা পাঠাচ্ছে, তাই একজন বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ের লেনদেন কখনোই বন্ধ থাকে না এই বিষয়ে বিকাশ এজেন্টদের দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই।

আরও পড়ুনঃ

Bkash Cash Out Charge

Palli Bidyut Bill Payment Online

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

বর্তমানে আমরা Bkash Agent Registration পোষ্টের শেষ অংশে রয়েছি আপনি নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম কি?

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম হচ্ছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহকারে আপনার এলাকার বিকাশ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে কাগজপত্রগুলো সহ আপনার আবেদন জমা দেওয়া।

তবে আপনি যদি Bkash Agent Registration পদ্ধতির গুলির মধ্যে কোনোটিতেই সফল না হতে পারেন তবে অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আবেদন করতে পারেন।

Bkash Agent Registration Form Online

অনলাইনের মাধ্যমে বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন আবেদন করতে চাইলে প্রথমত নিম্নলিখিত লিংকে ক্লিক করুন।

এবং তারপর এখানে দেয়া প্রত্যেকটি ফ্রম যথাযথভাবে ফিলাপ করে নিন।

উপরে উল্লেখিত Bkash Agent Registration লিংকে যখন আপনি ক্লিক করবেন তখন আপনার সামনে বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন আবেদন ফরম চলে আসবে।

বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন আবেদন ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ করে আপনাকে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।

Online Bkash Agent Registration করতে আপনার যা যা করতে হবে-

  • যিনি এজেন্ট হতে চান তার নাম *
  • ফটো আইডি নাম্বার (জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট আইডি/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স) *
  • ট্রেড লাইসেন্স নাম্বার *
  • যোগাযোগ নম্বর *
  • ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নাম *
  • ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা *
  • ইমেইল *

উল্লেখিত বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন কমপ্লি সঠিকভাবে সম্পন্ন করার মাধ্যমে সহজেই আপনি বিকাশ এজেন্ট এর জন্য নিজের আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ

এজেন্ট ব্যাংকিং কি?

How To Change Bkash Pin? নিজেই নিজের বিকাশ পিন রিসেট করার নিয়ম

বিকাশ এজেন্ট তে কত সময় লাগে?

বিকাশ এজেন্ট হওয়ার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার এক মাসের মধ্যেই বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে যায়।

তবে অনেক সময় আরো বেশি সময় লাগতে পারে, সে ক্ষেত্রে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে নতুন বিকাশ এজেন্ট কখন দিচ্ছে বিকাশ কর্তৃপক্ষ তার জন্য।

এক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে অবশ্যই আপনি যেই বরাবর আপনার কাগজপত্র সাবমিট করেছেন বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশনের জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে কত টাকা লাগে?

মনে রাখবেন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কোন ধরনের চার্জ প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ আপনি বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট নিতে পারেন বিনামূল্যে।

Bkash Agent Registration সম্পূর্ণ করতে শুধুমাত্র উপরে উল্লেখিত শর্তাদি সঠিকভাবে করলে আপনি বিকাশ এজেন্ট পেয়ে যাবেন কোন ধরনের খরচ ছাড়াই।

তবে অনেক ক্ষেত্রেই শোনা যায় বিকাশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নতুন বিকাশ এজেন্ট দেয়ার ক্ষেত্রে কিছু দাবি-দাওয়া করে থাকেন।

তবে সেগুলো বিন্দুমাত্র কর্ণপাত না করে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর আপনি আপনার বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য যে সমস্ত কাগজপত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা জমা দিন।

মনে রাখবেন যদি আপনি বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশনের জন্য বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন হাউজে জান, তবে আপনাকে কিছু প্রশ্ন করা হবে ওই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবেন।

মূলত তারা আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান, ট্রেড লাইসেন্স আপনার নামে কিনা, কি রকম ব্যবসা আপনার এলাকায় হবে বলে আপনি মনে করেন আপনার অর্থ লগ্নি করার সামর্থক ইত্যাদি।

আরও পড়ুনঃ

বিকাশে হাজারে কত টাকা কাটে | ফ্রি, ১৪ টাকা, ১৫ টাকা, ১৮.৫০ টাকা?

নগদ মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট কমিশন

In Conclusion,

আশা করি এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা Bkash Agent Registration সম্পর্কে যেই পোস্টটি পড়েছি এই পোস্টটি পড়ার পর আপনার বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যা হবে না।

মনে রাখবেন আমি বিকাশ নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কিত সকল বিষয়ে এই ব্লগে আলোচনা করে থাকি।

আপনারা নির্দ্বিধায় আমার দেখানো পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

কেননা আমি যে বিষয়ে জানিনা কখনই ওই বিষয়ে লোকেদের কাছে কোন তথ্য শেয়ার করি না।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানান।

আশা করি আপনি এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয় –

গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। একটি নতুন Bkash Agent Registration আবেদন সম্পন্ন করার জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন সব আমরা আলোচনা করে দিয়েছি।

মনোযোগ সহকারে বিকাশ রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কিত সমগ্র পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আরও পড়ুনঃ

রকেট একাউন্ট দেখার নিয়ম

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

বাংলাদেশে চলমান সকল টেলিকম অপারেটর

 সিম অফার

মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ,নগদ অফার

এবং শিক্ষামূলক তথ্য জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন ডিজিটাল-টাচ.কম অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ভিজিট করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।

আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাংলা ভাষায় অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম, টেলিকম অফার এবং মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে।

Leave a Comment