বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কি সে সম্পর্কে আপনারা অনেকেই গুগল সার্চ করে থাকেন। আজকে আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা জানবো বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কি।
এবং কিভাবে সহজ ও সুন্দর উপায় ব্যবসা করা সম্ভব। ব্যবসায়ের কিছু নিয়ম-নীতি রয়েছে যা মেনে চললে খুব সহজে ব্যবসায় লাভ করা সম্ভব। আজকে আমরা আপনাদের সাথে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কি সেই বিষয়ে আলোচনা করব।
আমরা আজকে আপনাদের সাথে এমন ১৫ ধরনের ব্যবসার কথা আলোচনা করবো যেগুলো বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি লাভজনক ব্যবসা হিসাবে পরিচিত লোকেদের কাছে।
Content Summary
- 1 বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ২০২৩
- 2 ব্যবসায় সততা
- 3 ব্যবসায় নৈতিকতা
- 4 ব্যবসায় সত্যবাদিতা
- 4.1 বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি
- 4.2 ব্যবসার প্রকারভেদ
- 4.3 ঘরে বসে ব্যবসা | বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক অনলাইন ব্যবসা
- 4.4 ১/ টিউটর ব্যবসা
- 4.5 ২/ কোচিং ব্যবসা
- 4.6 ৩/ ই-কমার্স ব্যবসা | বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
- 4.7 ৪/ এফিলিয়েট মার্কেটিং | বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
- 4.8 ৫/ কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার | বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
- 4.9 ৬/ ব্লগিং
- 4.10 ৭/ অনলাইন নিউজপেপার
- 4.11 ৮/ ইউটিউব চ্যানেল তৈরি
- 4.12 ৯/ খাবারের হোম ডেলিভারি ব্যবসা
- 5 দোকানের মাধ্যমে ব্যবসা
- 6 চাকরি ভালো নাকি ব্যবসা ভালো?
- 7 দেখুন বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা FAQS
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ২০২৩
প্রতিটি ব্যবসার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা কৌশল ব্যবহার করেই ব্যবসায় পরিচালনা করতে হয়। সেখানে উত্তম কিছু কৌশল রয়েছে যেগুলো অবশ্যই আপনার মধ্যে থাকতে হব।
ব্যবসার ক্ষেত্রে উন্নতি করার প্রধান ও চিরন্তন করনীয় মৌলিক কাজ হচ্ছে-
- সততা
- নৈতিকতা
- সত্যবাদীতা
ব্যবসায় সততা
একজন লাভবান এবং সফল ব্যবসায়ী হবার জন্য আপনাকে হতে হবে সৎ। আপনি সারাজীবন সুন্দর ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। যদি আপনার মাঝে সততা থাকে।
ব্যবসায় নৈতিকতা
আপনি একজন ব্যবসায়ি হিসেবে আপনার নৈতিকতা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুকে কখনো ধোকা দেয়া যাবে না।
কেননা ধোকা আপনার উপর থেকে মানুষের বিশ্বাস নষ্ট করে দেয়। আর যেখানে বিশ্বাস থাকে না সেখানে সফল হওয়া অসম্ভব।
ব্যবসায় সত্যবাদিতা
আপনি যদি একজন সফল ব্যবসায়ি হিসেবে সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে সত্য কথা বলতে হবে।
আপনি যদি আপনার কাস্টমার অথবা গ্রাহকের সাথে সত্য কথা না বলেন তাহলে আপনার ব্যবসায়ের মূলনীতি হারিয়ে যাবে। তাই সফল হতে হলে অবশ্যই সত্য কথা বলতে হবে।
তবে কিছু ক্ষেত্রে আপনি আপনার পণ্যের মূল্য প্রকাশ করবেন না। সত্যবাদিতা তার মানে এই নয় যে আপনি আপনার পণ্যের ক্রয় মূল্য ও বিক্রয় মূল্য সাধারণ গ্রাহকের কাছে বলে দিবেন।
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি
আপনি অনেক ধরনের ব্যবসায়ই করতে পারেন। তবে কোন ব্যবসা গুলো সবচেয়ে বেশি লাভজনক সে ১৫ টি ব্যবসা সম্পর্কে আপনাদেরকে সম্পূর্ণ গাইলেন দেয়ার চেষ্টা করব।
আপনারা যদি আমাদের পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন, তাহলে আমরা আশা করছি আপনারা সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনগুলো তা জানতে পারবেন।
মূলত ব্যবসা কয়েক ধরনের হতে পারে। আপনি কোন ধরনের ব্যবসা করতে চান আগে তা নির্বাচন করতে হবে।
ব্যবসার প্রকারভেদ
- ঘরে বসে ব্যবসা
- দোকানের মাধ্যমে ব্যবসা
- কৃষি ভিত্তিক ব্যবসা
ঘরে বসে ব্যবসা | বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক অনলাইন ব্যবসা
যারা ঘরে বসেই আয় করতে চান তাদের জন্য কিছু চমৎকার ব্যবসা রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনি অল্প পুঁজি, মেধা ও শ্রম কে কাজে লাগিয়ে আপনার ব্যবসা সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
আপনারা আপনাদের ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে যদি সুন্দরভাবে এই ব্যবসা গুলি পরিচালনা করতে পারেন তাহলে মাসে ৫০,০০০ থেকে ১০০০০০ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।
তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক সে ব্যবসা গুলো কি।
১/ টিউটর ব্যবসা
আপনাদের মধ্যে যারা শিক্ষিত বেকার রয়েছেন তাদের জন্য এই ব্যবসাটি অত্যন্ত সহজ এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যবসা।
এখন আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী যেমন গণিত বিজ্ঞান আইসিটি ইংরেজি ইত্যাদি।
আপনি এবিষয়টি পড়ানোর জন্য একটি বিজ্ঞাপন দিতে পারেন বিজ্ঞাপন দেখে ছাত্রীরা আপনার বিষয়টি পড়ার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
আপনি নিজ বাড়িতেই একটি রুমে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বসার ব্যবস্থা করবেন।আপনার বিনিয়োগ খুবই কম হবে যেমন হোয়াইট বোর্ড মার্কার ইত্যাদি ছোটখাটো জিনিসপত্রের প্রয়োজন হবে।
এই ব্যবসা আপনি আপনার মেধাকে কাজে লাগিয়ে সকালে এবং বিকেলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়িয়ে মাসে ভালো টাকা আয় করতে পারেন।
২/ কোচিং ব্যবসা
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোচিং ব্যবসা খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা।
প্রাইভেট টিউটর অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকেরা ছাত্রছাত্রীদের পড়াতে খুবই হিমশিম খাচ্ছে। তাই তারা চাচ্ছেন তাদের ছেলেমেয়েরা একটি মানসম্মত কোচিং সেন্টারে পড়ুক যেখানে খরচ কম।
কোচিং সেন্টারের ব্যবসায় বর্তমান সময়ে সফলতার হার অনেক বেশি। তাই আপনি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে মাসে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারেন।
আপনার কোচিং সেন্টার প্রতিষ্ঠার পূর্বে যে সকল বিষয় চিন্তা করতে হবে-
- ভালো পরিবেশে ক্লাসরুম
- মানসম্মত পরীক্ষার ব্যবস্থা
- ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন
- ভালো শিক্ষক নিয়োগ
৩/ ই-কমার্স ব্যবসা | বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
পুরো পৃথিবী জুড়ে ই-কমার্স একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই ই-কমার্স অত্যন্ত জনপ্রিয় ক্রয়-বিক্রয়ের সহজ মাধ্যম। বাংলাদেশ একটি জনপ্রিয় এবং লাভজনক ব্যবসা হলো ই-কমার্স ব্যবসা।
আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। আপনার যদি প্রয়োজন মনে হয় তাহলে একজন ফ্রিল্যান্সারের থেকে সাহায্য গ্রহণ করতে পারেন।
আপনার সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে আপনি যে পন্যটি বিক্রি করতে চান তা নির্বাচন করুন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করুন।
আপনি যদি সঠিকভাবে এসইও করতে পারেন এবং আপনার গুগল কিওয়ার্ড রেঙ্ক করাতে পারেন, তাহলে আপনার পণ্যটি কেনার জন্য অনেক গ্রাহক আগ্রহ প্রকাশ করবে।
আপনি যদি এই কাজটি সঠিক এবং সুন্দর ভাবে করতে পারেন তাহলে আপনি মাসে অত্যন্ত ভালো আয় করতে পারবেন।
What is email marketing Bangla
৪/ এফিলিয়েট মার্কেটিং | বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং এখনো পর্যন্ত রাজত্ব করছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমানে বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় ব্যবসা হিসেবে পরিণত হয়েছে।
আপনি চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে মাসে সর্বনিম্ন ১০ হাজার ডলার আয় করতে পারেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত এক ধরনের ব্লগ সাইটের মত, এফিলিয়েট মার্কেটিং কে আপনি কনটেন্ট মার্কেটিংও বলতে পারেন।
কেননা আপনার লেখার কনটেন্টগুলো থেকেই আপনি অর্গানিক ভিজিটর পেতে পারেন, এছাড়াও আপনি পেইড প্রোমোশন এর মাধ্যমে আপনার ব্লগে লোক বা ভিজিতর নিয়ে আসতে পারেন এবং পণ্যের সেল বাড়াতে পারেন।
কমিশন অর্জনের জন্য এই সাইটের মাধ্যমে পণ্যের প্রচার প্রদান করা হয়।
এখন বাংলাদেশে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সাধারণত অ্যামাজন, alibaba.com ও অন্যান্য ই-কমার্স সাইটের পণ্যের প্রচার করতে দেখা যায়।
ধরুন আপনি একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট খুললেন সেখানে যদি কেউ আপনার এফিলিয়েট লিংক থেকে কোনো পণ্য ক্রয় করে তাহলে আপনি এই পণ্যের ওপর কমিশন পাবেন।
টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে
৫/ কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার | বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে এখন পর্যন্ত দেশের অনেক উন্নতি সাধন করেছে। সেইসাথে বাংলাদেশের শিক্ষিত যুব সমাজে কম্পিউটার শিক্ষার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব বৃদ্ধি করে দিয়েছে।
আমাদের এই দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর দ্বারা বিবেচনা করলে শিক্ষিত যুবক সমাজে কম্পিউটার শিক্ষা শিক্ষিত করতে পারলে কম্পিউটার কে কেন্দ্র করে ভালো একটি পদ সৃষ্টি করতে পারবে।
এছাড়াও কম্পিউটার শিক্ষার মাধ্যমে তারা নিজেদের বেকারত্ব কাটিয়ে মাসিক ভালো টাকা আয় করতে পারবে।
এছাড়া বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্পিউটার শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ রয়েছে। আপনি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করতে পারেন।
সর্বপ্রথম আপনার যে কাজটি করতে হবে তা হল একটি সুন্দর পরিবেশের ক্লাসরুম নির্বাচন করতে হবে। এরপর আপনি কম্পিউটার সহ অন্যান্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করবেন। বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ বাড়াবেন।
আপনি যদি সঠিকভাবে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার পরিচালনা করতে পারেন তাহলে শেখার জন্য অনেক ছাত্রছাত্রী আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
আপনি খুব সহজেই কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ৩ মাস ও ৬ মাস মেয়াদী সার্টিফিকেট প্রদান করতে পারবেন।
কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের জন্য আপনার লক্ষ্যণীয় বিষয়-
- এমএস ওয়ার্ড
- এমএস এক্সেল
- এমএস ফক্সপ্রো
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি
- ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং
- ভিডিও এডিটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।
৬/ ব্লগিং
আপনার যদি কোন বিষয়ে পারদর্শিতা থাকে এবং আপনি যদি লিখতে পছন্দ করেন তাহলে একটি ব্লগিং সাইট শুরু করতে পারেন। আপনি চাইলে গুগল এডসেন্স এবং অন্যান্য বিজ্ঞাপনচিত্রের মাধ্যমে ডি মনিটাইজেশন করতে পারেন।
এখানে আপনার প্রয়োজন হবে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর এর। এ ক্ষেত্রে ভিজিটরের ওপর আপনারাই নির্ভর করে। প্রতি ক্লিকে খরচ (CPC) এবাউট কিওয়ার্ড রিসার্চ বলিয়মের আপনার উপর নির্ভর করে। আপনার প্রিয় বিষয় ব্লগে তুলে ধরুন এবং ব্রাউজ করে উপার্জন করুন।
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় কি?
৭/ অনলাইন নিউজপেপার
আপনার স্মার্ট ব্যবসায়ের ধারণা গুলোর মধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে সংবাদপত্র নিয়ে ব্যবসা অন্যতম একটি ব্যবসা হতে পারে।
আপনার অনলাইনে নিউজে ভাইরাল খবর গুলো কাভার করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিংক শেয়ার করে আপনি আপনার ওয়েবসাইট ডেভেলপ করতে পারেন।
যেসকল কিওয়ার্ডগুলো নিম্ন প্রতিযোগিতামূলক সেগুলো কি আপনি নির্বাচন করুন এতে করে আপনি ভালো ভিজিটর পাবেন।
আপনার উপার্জনের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এভাবে আপনি আপনার অনলাইন সংবাদপত্র গিয়ে বিভিন্ন মনিটরিং করতে পারেন।
অনলাইন নিউজপেপার ব্যবসা করতে করণীয়-
- গুগোল অ্যাডসেন্সে যুক্ত হওয়া
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে যুক্ত হওয়া
- সেবা প্রদান
- বিজ্ঞাপনে স্পন্সর হওয়া
- পণ্য বিক্রয় ইত্যাদি।
৮/ ইউটিউব চ্যানেল তৈরি
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ ইউটিউব চ্যানেলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
আপনি আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল থেকে মাসিক আয় করতে চান তাহলে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারেন।
একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব।
যদি আপনি ইউটিউব চ্যানেলকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে চান তাহলে অবশ্যই সঠিক বিষয় নির্বাচন করতে হবে।
একটি ইউটিউব চ্যানেলে আপনাকে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে।
আপনি যখন আপনার ভিডিওতে ৪০০০ ভিউ আসবে এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইব পেয়ে যাবেন তখন আপনি আপনার চ্যানেলের অ্যাডসেন্সের জন্য মনিটরিংয়ের আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ
৯/ খাবারের হোম ডেলিভারি ব্যবসা
বর্তমান সময়ে মানুষ নিজের ঘরের খাবারের চেয়ে বাইরের খাবার অধিক পছন্দ করে থাকে।
আবার অনেক সময় দেখা যায় যে নানান ব্যস্ততার কারণে ঘরে খাবার তৈরি করা সম্ভব হয় না। তাই বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করে।
এমন অনেক মানুষই রয়েছেন যারা হোটেলের খাবার পছন্দ করেন না। তারা স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকেন।
তাই আপনি যদি চান তাহলে আপনি নিজের বাড়িতে রান্না করে হোম ডেলিভারি ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন।
আপনার খাবার যদি মানবন্টন ঠিক থাকে তাহলে আপনার খাবারের ডেলিভারি চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।
মূলত যদি এই ব্যবসায় আপনাকে লাভজনক হতে হয় তাহলে আপনার খাবার হতে হবে সুস্বাদু।
আর আরও একটি সুবিধা হলো আপনি এই ব্যবসাটি খুবই স্বল্প পুঁজিতে শুরু করতে পারেন। এ ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে খাবারের মানোন্নয়ন এবং খাবারের গুণগত মান ঠিক রাখতে হবে।
এবং গ্রাহকের মন অনুযায়ী আপনাকে খাবার তৈরি করতে হবে।
গ্রাহকের সাথে ভালো ব্যবহার করবেন যাতে করে গ্রাহক পরবর্তীতে আপনার কাছ থেকে আবার অর্ডার করে।
কেননা যদি আপনি গ্রাহকের সাথে ভালো ব্যবহার করেন তাহলে তাতে গ্রাহক সন্তুষ্ট হয়।
দোকানের মাধ্যমে ব্যবসা
দোকানের মাধ্যমে অনেক ধরনের ব্যবসা রয়েছে। যে ব্যবসা গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার স্বল্প পুঁজি খাটিয়ে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
আজকে আমরা সেরকম কয়েকটি ব্যবসা সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব।
১০/ কসমেটিকস ব্যবসা
অন্য সকল দোকান ব্যবসা এর তুলনায় কসমেটিকের ব্যবসা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণত এই ব্যবসা গ্রাহক মহিলারা বেশি হয়ে থাকে। এ ব্যবসার পণ্য বিক্রির ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ মুনাফা হয়।
আপনি যদি এই ব্যবসাটি করতে চান তাহলে অবশ্যই স্বল্প পুঁজিতে আপনার আশেপাশে যেকোনো একটি দোকানের মাধ্যমে শুরু করতে পারেন।
এ ব্যবসাটি করে আপনি মাসে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ
বাংলার দার্জিলিং বলা হয় কোন পাহাড়কে?
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম কি?
১১/ ওষুধের দোকান ব্যবসা
বাংলাদেশের জনপ্রিয় এবং সৌখিন প্রকৃতির ব্যবসা হলো ঔষধের ব্যবসা। বিশাল জনগোষ্ঠীর এ দেশে প্রচুর পরিমাণে ঔষধের চাহিদা রয়েছে।
আমাদের দেশের লোকজনের খাবার অপুষ্টিকর হওয়া এবং অফ পরিচালক বসবাসের কারণে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
চিকিৎসা সেবা প্রদান করবার জন্য একটি ওষুধের দোকান প্রতিটি এলাকায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী।
ওষুধের ব্যবসা করবার জন্য আপনার ৬ মাস মেয়াদী পল্লী চিকিৎসক কোর্স গ্রহণ করতে হবে।
আপনি রোগের সঠিক চিকিৎসা দিতে পারবেন এবং আপনার রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে যাবে।
এ ব্যবসায় বেশি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আপনি চাইলে আপনার এই ব্যবসাকে গ্রহণ করতে পারেন।
১২/ ইলেকট্রনিক ব্যবসা
বাংলাদেশের গ্রাম এবং শহরের সকল অঞ্চলে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের প্রতি যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। নিত্যপণ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ইলেকট্রনিক্স পণ্য।
যেহেতু বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ এদেশে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে।
এবং যার কারণে ইলেকট্রনিক্স পণ্য গুলো তাদের বাড়িতে লাগাতে হচ্ছে এবং এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইলেকট্রনিক্স পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল-
- রাইস কুকার, প্রেসার কুকার, মাইক্রোওভেন,
- ইলেকট্রিক কেটলি, আয়রন, টিভি, এলইডি টিভি,
- ফ্রিজ- রেফ্রিজারেটর, গ্যাসের চুলা, ইলেকট্রিক চুলা,
- ব্লেন্ডার, হটপট সহ নানা রকমের পণ্য।
আপনার নিকটস্থ বাজারে দোকান নিয়ে ইলেকট্রনিক ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এ ব্যবসায় সফলতার হার অনেক বেশি।
আপনি এ ব্যবসা হতে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ লাভ করতে পারবেন।
তবেএ ব্যবসায় এর মূল বিষয় হলো এ ব্যবসা করতে হলে আপনাকে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রধানমন্ত্রী কে?
১৩/ মোবাইল ব্যাংকিং এবং এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসা
বর্তমানে সবচেয়ে স্মার্ট ব্যবসার মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসা অন্যতম। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে মোবাইল ব্যাংকিং এবং এজেন্ট ব্যাংকিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ব্যাংকে লেনদেন করতে গেলে দীর্ঘ লাইন হয়রানি নানান অসুবিধায় পড়তে হয়। তাই বর্তমানে মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং এবং এজেন্ট ব্যাংকিং এর উপর বিশ্বাসী।
আপনি চাইলে মোবাইল ব্যাংকিং এবং এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দিন রাত ২৪ ঘন্টা লেনদেন করতে পারেন।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেশের যেকোন প্রান্তে অথবা যে কোন অঞ্চলে টাকা লেনদেন করা সম্ভব।
বর্তমানে খুবই সহজ ভাবে মোবাইল এবং এজেন্ট ব্যাংকিং করা যায় তাই এর গ্রাহকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাই ব্যবসায়টি আপনি আপনার নিকটস্থ পাওয়া যায় এবং দোকান নিয়ে শুরু করতে পারেন। যে সকল মোবাইল ব্যাংকিং এর সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে-
এছাড়াও এজেন্ট ব্যাংকিং গুলো রয়েছে এদের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। নিচে আমরা কয়েকটি এজেন্ট ব্যাংকিং এর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব-
- ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড,
- ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
- অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড,
- ব্রাক ব্যাংক লিমিটেড ইত্যাদি
কৃষি ভিত্তিক ব্যবসা | বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
কৃষিভিত্তিক অনেক ব্যবসা রয়েছে।
কৃষি ভিত্তিক ব্যবসা গুলো কি ধরনের এবং কি কি হতে পারে সে সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
১৪/ ব্রয়লার ফার্ম ব্যবসা
বাংলাদেশে অনেক ব্যবসার পাশাপাশি বয়লার ব্যবসা দিন দিন অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করছে। এছাড়াও বর্তমানে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে বয়লার এর চাহিদা খুবই বেশি এবং অনেক বেশি লাভজনক হওয়া যায়।
আপনি আপনার বাড়িতে একটি ছোট ঘর উঠিয়ে বয়লার পালন করতে পারেন।
এছাড়াও প্রাণী স্বাস্থ্য সম্পদ কেন্দ্রে বয়লার চাষের প্রশিক্ষণ নিতে পারলে ভালো হয়। অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
তবে এজন্য আপনাকে যে সকল বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে-
- ওজন অনুযায়ী খাদ্য সরবরাহ করা
- স্থানীয় পশুসম্পদ অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখা
- পর্যাপ্ত বড় হলে বিক্রির ব্যবস্থা করা।
- ভালো মানের খাবার
- সার্বক্ষণিক তদারকি
- পরিষ্কার পরিছন্নতা
- পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা
- রোদ, বৃষ্টি ও শীত থেকে রক্ষা করা
- ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা
- সঠিক জায়গা নির্ধারণ
- উন্নত জাতের ব্রয়লার বাচ্চা।
১৫/ সবজি চাষ বা ফলের বাগান করা
বাংলাদেশের খাদ্য তালিকায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সবজি।
আপনি যদি আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকেন তাহলে সবজি ব্যবসা শুরু করতে স্বল্প পুজিতে করতে পারবেন। দেশব্যাপী সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
সবজি চাষের ক্ষেত্রে আপনার যে সকল বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে-
- সঠিক জায়গা নির্ধারণ করুন
- ফসল নির্বাচন করুন
- পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা
- আগাছা পরিষ্কার করা
- সেচ দেওয়া
- জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ
- বালাই নাশক ঔষধ ছিটানো
- কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখা
- ফসল উত্তোলন ও বিক্রি করা।
আজকে আমরা আপনাদেরকে পনের টি ব্যবসায়ীর সাথে পরিচিত করিয়ে দিলাম। আপনারা চাইলে এই যে কোন একটি শুরু করতে পারেন।
কেননা ব্যবসা করার জন্য আপনাকে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলি নির্বাচন করতে হবে।
আজকের পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার উপায় বলে দিয়েছি।
চাকরি ভালো নাকি ব্যবসা ভালো?
বর্তমানে অনেক নতুন শিক্ষাজীবন শেষ করা ছাত্র-ছাত্রীদের মনে প্রশ্ন জাগে তারা চাকরি শুরু করবেন নাকি ব্যবসা শুরু করবেন।
এর মূল কারণ হচ্ছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাফল্য অর্জনের হার বেশি রয়েছে ব্যবসায়।
তবে ব্যবসায় ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে অনেকেই ব্যবসা থেকে চাকরি করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এবং নিজের ক্যারিয়ারকে উজ্জ্বল মনে করেন চাকরি তে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে।
ইতিমধ্যেই আপনাদের বলেছি যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও প্রভাবশালীদের তালিকায় হিসাব করলে এর 2 শতাংশ আপনি চাকরিজীবী পাবেন না।
বেশির ভাগেই উদ্যোক্তা ব্যবসা পরিচালনা করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এখন আপনি ভাল জানেন আপনার জন্য কোনটি ভাল হবে এই বিষয়টি নির্ধারণ নির্বাচন করা একান্ত আপনার নিজস্ব ব্যক্তিগত ব্যাপার বা সিদ্ধান্ত।
কেননা দিন শেষে আপনি আপনার কর্মক্ষেত্র বেছে নিবেন এবং আপনার কর্ম কে প্রাধান্য দিবেন।
আরও পড়ুনঃ
বাংলাদেশের নতুন বিভাগের নাম কি?
বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় কত?
দেখুন বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা FAQS
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে কসমেটিক্স পণ্য বিক্রি করা। এছাড়াও যে সমস্ত পণ্যের প্রতি মহিলাদের চাহিদা বেশি ঐ সমস্ত পণ্য নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। একটি দোকান অথবা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম গুলি ব্যবহার করে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। তবে এছাড়াও বর্তমানে অনেক অনলাইন ব্যবসা রয়েছে যা আপনি ঘরে বসে পরিচালনা করতে পারেন যেগুলো রাইডি ইতিমধ্যে আপনাদের জানিয়েছে।
একটি ব্যবসার প্রধান উপাদান হচ্ছে মূলধন, সততা, ধৈর্য ও একাগ্রতা। সেইসাথে গ্রাহকের সাথে ভালো ব্যবহার করা একটি ব্যবসায় সফল হওয়ার মূলমন্ত্র বলেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশের পেক্ষাপটে বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসা। সঠিক নিয়ম অবলম্বন করে আপনি যদি ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসার সাথে যুক্ত হতে পারেন তাহলে খুব স্বল্প সময়ে আপনি অনেক বেশি লাভবান হবেন।
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা – সম্পর্কে শেষ কথা
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলো সম্পর্কে আশা করছি আপনাদের ধারণা হয়ে গেছে। আপনার যদি কেউ ব্যবসা শুরু করতে চান এবং দ্বিধাগ্রস্থ হন তাহলে এই কয়েকটি ব্যবসা আপনি পর্যালোচনা করে দেখতে পারেন।
কারণ বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ১৫ টি ব্যবসা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং লাভজনক ব্যবসা।
আপনার যদি আমাদের এই পোস্টটি ভাল লাগে এবং আমাদের ওয়েবসাইটের শিক্ষামূলক এবং অনলাইন থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় সে সংক্রান্ত পোস্ট আপনি পড়তে চান।
এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
আমাদের ওয়েবসাইট সংক্রান্ত সকল তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা কোনটি
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।