জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩ এবং জ্বর হলে করণীয় জানতে পারবেন আজকের আলোচনায়।বাংলাদেশে এই সময়টায় জ্বরের প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। বিশেষ করে ডেঙ্গু জ্বর, ভাইরাস জ্বর, ঋতু পরিবর্তনের কারণে জ্বরে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ কোনো বয়সে নয় বরং সকল বয়সের মানুষই এসব জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে।
তাই এই জ্বর থেকে রেহাই পেতে অবশ্যই জ্বর কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে সকলের জেনে রাখা উচিত। জ্বর কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাতে আজকের আর্টিকেলটি চলে এসেছি।
আজকের আর্টিকেলের আলোচনা থেকে আপনারা জ্বর কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। সেজন্য অবশ্যই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে, তবেই আপনি জানতে পারবেন জ্বর হলে করণীয়।
Content Summary
- 1 জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩ । জ্বর কেন হয়
- 2 জ্বর কেন হয়?
- 3 বর্তমান সময়ে জ্বর আশার কিছু কারণ
- 4 জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় কি?
- 5 জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩ দেখে নিন
- 6 জ্বরের তীব্রতা দেখে
- 7 জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করে জ্বর হলে কি খাওয়া উচিত
- 8 ফ্রুট জুস
- 9 ঘরে তৈরি স্যুপ
- 10 জাউ ভাত
- 11 ভাইরাস জ্বর কমানোর উপায়
- 12 জ্বর কমানোর দোয়া – Jor Komanor Doya
- 13 জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
- 14 শেষ কথা জ্বর সম্পর্কে
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩ । জ্বর কেন হয়
ডাক্তারি পরিভাষায় জ্বর হবার পেছনে অনেক রকম কারণ রয়েছে। বিভিন্ন কারণে যে কেউ জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। অনেকেরই ঠান্ড থেকে জ্বর হয়, আবার অনেকে সর্দি-কাশির কারণে জ্বর হয়।
তবে এর বাইরে ও আরো বিভিন্ন কারণে জ্বর হতে পারে। মূলত আপনার কি কারণে জ্বর হয়েছে এই সম্পর্কে আপনাকে প্রথমত সম্ভাব্য কারণ খুঁজে বের করতে হবে।
অনেক সময় হয়তো আপনি সম্ভাব্য কারণ নিজে থেকে জানবেন না, তবে অনেক ক্ষেত্রেই জ্বর হবার পেছনের কারণ আপনি জেনে থাকবেন।
জ্বর কেন হয়?
শিশুদের ক্ষেত্রে জ্বর আসার সবচেয়ে কমন হলো ঠাণ্ডা লেগে জ্বর হওয়া বা সর্দি-কাশির কারণে জ্বর। এর বাইরে শরীরের ভেতরে কোনো কারণে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের আক্রমণ হলে, অর্থাৎ ইনফেকশন হলে জ্বর হতে পারে। এছাড়াও প্রোটোজোয়া বা ফাঙ্গাস ইনফেকশনের কারণেও জ্বর হতে পারে।
আরো মনে রাখা উচিত যেকোনো ধরনের ম্যালিগনেন্সি বা ক্যান্সারের কারণেও জ্বর হতে পারে। বর্তমানে মশার কামড়ে বাংলাদেশে অনেকেরই জ্বর আসছে এই জ্বরকে ডেঙ্গু জ্বর বলা হয়ে থাকে।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের টিকা বা প্রতিষেধক নেওয়ার কারণে অনেকের শরীরে জ্বর আসে।
অনেক সময় অনেকের কোন কাজে অভ্যস্ত না থাকলে (যেমন অতিরিক্ত রোদে থাকা, বৃষ্টিতে ভেজা খুব বেশি মার্কেটিংয়ের কাজে ভাগদোর করা) অতিরিক্ত চাপেও জ্বর আসতে পারে।
বর্তমান সময়ে জ্বর আশার কিছু কারণ
- শরীরের অভ্যন্তরে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস আক্রমণে জ্বর হতে পারে।
- প্রোটোজোয়া কিংবা ফাঙ্গাস ইনফেকশন থেকেও জ্বর হতে পারে।
- ডেঙ্গু মশার কামড়ে জ্বর হতে পারে।
- যেকোনো ধরনের ম্যালিগন্যান্সি কিংবা ক্যান্সারেও জ্বর হতে পারে।
- টাইফয়েড বা ম্যালেরিয়াথাকলে জ্বর থাকতে পারে।
- কোন টিকা নিলে জ্বর আসতে পারে।
- মহিলাদের পিরিওড কিংবা প্রস্রাবের রাস্তায় ইনফেকশনের কারণেও মাঝে মাঝে জ্বর আসতে পারে।
- করোনা ভাইরাসে আক্রান্তরাও জ্বরে ভোগেন।
- অতিরিক্ত রোদে থাকা অথবা বৃষ্টিতে ভিজলেও জ্বর আসতে পারে (সচরাচর যারা রোদে বা বৃষ্টিতে ভিজেনা)
জ্বর হলে করণীয় কি? – Jor Komanor Upay
জ্বর হলে করণীয় হচ্ছে বুঝতে চেষ্টা করা আসলে জটি কি কারণে হয়েছে, মৌসুমী জ্বর, ভাইরাস জ্বর ও অন্যান্য রোগের উপসর্গ হিসেবে জ্বর আসতে পারে। তাই জ্বর হলে সাথে সাথে ওষুধ খাওয়া উচিত নয়, প্রথম দিন জ্বরের তীব্রতা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন, অন্যথায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে জ্বর ঠিক করার পদ্ধতি গুলো দেখুন।
তবে যদি আপনার জ্বরের তীব্রতা বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন এবং আপনার শরীরে কি ধরনের অসুস্থতা রয়েছে তা পরিষ্কারভাবে জানাবেন।
কেননা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কারণে জ্বর হয়ে থাকে এবং এক এক জ্বরের ধরন এক এক রকম হয়ে থাকে।
ইতিমধ্যে আমরা আপনাদের কেন জ্বর হয় সে সকল কিছু উপসর্গের কথা আলোচনা করেছি।
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় কি?
বর্তমানে যেহেতু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাই সকলেরই জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। জ্বর কি কারণে হতে পারে সকল জ্বরের রোগীকে চাহিদা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় তে হবে এর পাশাপাশি চিকিৎসা নিতে হবে।
বর্তমান সময়ে জ্বর অনেক প্রকারের হয়ে থাকে, জ্বরের সঠিক কারণ নির্ণয় করতে পারলে আপনি ঘরোয়া চিকিৎসা নিতে পারেন।
তাই আপনি অবশ্যই আপনার জ্বরের যুক্তিযুক্ত কারণ খুঁজে পান তাহলে নিজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে জ্বর কমানোর চেষ্টা করুন অন্যথায় অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কেননা বর্তমান সময়ে ডেঙ্গুর প্রভাবে বাংলাদেশের স্বরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপক ঝড়ের প্রভাব লক্ষণীয়, এছাড়াও মহামারী করনা ভাইরাসের প্রকোপ কমে গেলেও এখনো এর কারণে মানুষের শরীরে জ্বর এসে থাকে।
আরও পড়ুনঃ
দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করার নিয়ম কি?
Tin Certificate BD Registration Download
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩ দেখে নিন
প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে জ্বর নিয়ে ব্যাপক চিন্তাধারা লক্ষ্য করা গেছে, পূর্বেকালের সময়ে মুরুব্বিদের কাছ থেকে বিভিন্ন টোটকা নিয়ে জ্বর কমানো সম্পর্কে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতেন লোকেরা।
বর্তমানে ডিজিটাল যুগে এসে অনেকেই জ্বর কমানোর দোয়া কি খেলে জ্বর কমে জ্বর কমানোর জন্য কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করা জ্বর কমার এন্টিবায়োটিক ঔষধ সম্পর্কে নিয়মিত সার্চ করে থাকেন।
জ্বর কমাতে মধুর ব্যবহার
জ্বর কমাতে মধু খুবই উপকারী উপাদান। এক কাপ গরম পানির সঙ্গে চামচ মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন দুইবার পান করলে জ্বর থেকে আরাম পাওয়া যাবে।
যেহেতু মধুতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যার শরীরকে ব্যাকটেরিয়া কমাতে সাহায্য করে। যারা বিভিন্ন ভাইরাস জনিত জ্বরে ভুগে থাকেন তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী।
অনেকেই পূর্বে ও বর্তমানে জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় সমূহের মধ্যে সবথেকে বেশি ব্যবহার করেন মধু।
জ্বর কমাবে তুলসী পাতা
একটি পাত্রে পানি নিয়ে তা গরম হতে দিন। ৮-১০ টি তুলসী পাতা ওই পানিতে ছেড়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে প্রতিদিন সকালে এক কাপ করে দিনে দুইবার পান করবেন।
এতে করে তুলসী পাতায় এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিবায়োটিক উপাদান জ্বর সর্দি এমনকি ম্যালেরিয়ার মত সমস্যার সমাধান করতে পারে। জ্বরে আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমাতে তুল খুবই সাহায্যকারী।
জ্বরের তীব্রতা দেখে
যেকোনো জ্বরের সংক্রমণ কমাতে ভিটামিন সি যুক্ত তাজা ফলের রস পান করুন। যেমন কমলা, মালটা, সবুজ আপেল জুস, আনারস, জাম্বুরাইত্যাদি ফলের রস পান করলে দ্রুত জ্বরের সংক্রমণ কমে যাবে।
ডাবের পানি পান করুন
জ্বর হলে মুখে রুচি থাকে না। কোন খাবারই খেতে ইচ্ছা করে না। যার কারনে পানি শূন্যতা ইলেক্ট্রোলাইটের অসমতা দেখা দেয়। আর তাই এই সময় শরীরের পানি শূন্যতা ডাবের পানির কোন বিকল্প নেই। জ্বরে বেশি বেশি ডাবের পানি পান করুন।
আদায় সমাধান জ্বররে উপকারিতা
জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আদা ভীষণ উপকারী। একটি পাত্রে পানি নিয়ে গরম করতে দিন তাতে আদা কুচি কুচি করে কেটে তার সঙ্গে মোট মধু মিশিয়ে দিনে তিন থেকে চার বার পান করলে আপনার জ্বর কমতে থাকবে। এর সাথে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।
জ্বর কমবে রসুনে
রসুনকে অনেক রোগের মহা ওষুধ বলা হয়। রসুনের উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সকলেই জানেন। গরম পানিতে চার পাঁচ কোয়া রসুন কুচি করে নিয়ে ২০-৩০ মিনিটের মত ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করলে জ্বর থেকে আরাম পাওয়া যায়।
যারা রসুনের গন্ধে রসুন খেতে পারেন না তারা রসুন থেতলে অলিভ অয়েল এর সঙ্গে মিশিয়ে আপনার পায়ের তালুতে লাগান। কোন পরিষ্কার পাতলা কাপড় দিয়ে পা সারারাত পেঁচিয়ে রাখুন এবং সকালে উঠে ফলাফল দেখে নিন। জ্বর নিমিষেই চলে যাবে।
জ্বর কমাতে জলপট্টি দিন
জ্বরের সময় শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা যার কারণে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘন পানিপট্টি দেওয়া উচিত। একটি বাটিতে পানি নিয়ে তাতে পরিষ্কার পাতলা কাপড়ের 4-5 ভাগ দিয়ে একটু পরপর মিনিট করে লাগাতে হবে। এতে জ্বরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
জ্বর কমাতে পান করুন মসলা চা
মসলা চা, আদা চা, আয়ুর্বেদিক চা পান করার ফলে এগুলোতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল উপাদান শরীরকে সুস্থ করতে সাহায্য করবে।
জ্বর হলে পুষ্টিকর খাবার খান
জ্বরে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ঘাটতি যায় যার কারণে পুষ্টিহীনতা দেখা যেতে পারে। আর তাই পুষ্টি চাহিদা বজায় রাখতে জ্বরের সময় বাইরের কোন খাবার না খেয়ে ঘরোয়া ভাবে রান্না করা পুষ্টিকর শাক সবজি,মাছ মাংস খেতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
Broken Heart Bangla sad SMS 2023
টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করে জ্বর হলে কি খাওয়া উচিত
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩ সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই জ্বর কমানোর জন্য কি খাবার দেওয়া উচিত সেই সম্পর্কে জানতে হবে।
ঘরোয়া ভাবে কমাতে হলে আক্রান্ত রোগীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে যেই খাবারগুলো হবে সেগুলো দেখে নিন:
ফ্রুট জুস
তাজা ফলের জুস জ্বরে আক্রান্ত রোগীর জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন সি যুক্ত ফলগুলো বেশি উপকারী। তাই জোরে আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই তাজা ফলের রস খাওয়ানো উচিত।
ঘরে তৈরি স্যুপ
ভিটামিন প্রোটিন এবং মিনারেলসে ভরপুর ভেজিটেবল ঘরে তৈরি করে রোগীকে খেতে দিন। এতে রোগীর দ্রুত সুস্থ হবে।
জাউ ভাত
রোগীর ভারী পথ্য হিসেবে জাউ ভাত খাওয়াতে পারেন।জাউ ভাতের সাথে কবুতরের কিংবা দেশি মুরগির বাচ্চা চাল, ডাল, পেঁপে, লাউ কিংবা অন্যান্য সবজি দিয়ে রোগীকে খাওয়াতে পারেন। এটি রোগীর পেটকে ঠান্ডা রাখবে এছাড়াও দুর্বল হওয়ার থেকে রক্ষা করবে।
জ্বর কত হলে ওষুধ খাওয়া উচিত
ডাক্তারদের মতে যদি কোন জ্বরে আক্রান্ত রোগীর জ্বরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রির ঊর্ধ্বে চলে যায় তাহলে রোগীকে বাড়িতে না রেখে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
ডাক্তার রোগীর অবস্থা অবজার্ভ করে ওষুধ দিবেন।তবে যদি জ্বরে আক্রান্ত রোগী ১০৫ ডিগ্রি জ্বরেরনিচে থাকলেও অস্বাভাবিক আচরণ করে তাহলে অবশ্যই তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
ভাইরাস জ্বর কমানোর উপায়
ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই জটিল সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাই ভাইরাস জ্বর কমানোর উপায় সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত।
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩ পোস্টে আপনাদের ভাইরাস জ্বর সম্পর্কেও জানাবো, যা আপনাদের জেনে রাখা উচিত। তবে ভাইরাস জ্বর প্রতিরোধে কোন টিকা এখনো আবিষ্কার হয়নি।
ভাইরাস জ্বর কমতে ৫ থেকে ১৪ দিন সময় লাগতে পারে।
ভাইরাস জ্বর কি করবেন জেনে নিন
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শরীরের ব্যথা নাশক ঔষধ খেতে পারেন।
- জ্বরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্পঞ্জ করবেন মাথা ধুয়ে করে জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।
- পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে।
- টাটকা ফলমূল খেতে হবে।
- বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
- জ্বরের সাথে সর্দি-কাশি গলা ব্যথা থাকলে মশলা টি খেতে।
- কোন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।
আরও পড়ুনঃ
প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় 2023
কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়?
১০৫ ডিগ্রী জ্বর হলে করণীয়
ভাইরাস, ডেঙ্গু জ্বর কিংবা ঋতু পরিবর্তনের কারণে জ্বর যাই হোক না কেন যদি জ্বরের তাপমাত্রা 105 ডিগ্রীর উপরে চলে যায় চিকিৎসকের নিয়ে যেতে হবে। এমনকি ডাক্তারের পরিপূর্ণ চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখতে ও হতে পারে। অতিমাত্রায় জ্বরে শরীরে বমি বমি ভাব কিংবা বমি হওয়া, অতিরিক্ত পেটে ব্যথা,মাথাব্যথা, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
কোন জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে কখনোই ঘন ঘন প্যারাসিটামল দিবেন না।
এতে করে তার শরীরে অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হবে। যদি ঘরোয়া চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই *জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে ভালো মত ভাবে চিকিৎসা দিবেন।
কিন্তু রোগীর অবস্থা যদি অতি জটিল আকার ধারণ করে তাহলে তাকে না রেখে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই ভালো।
জ্বর কমানোর দোয়া – Jor Komanor Doya
মহান আল্লাহ তায়ালা মানব জাতির কল্যাণে বিভিন্ন ধরনের আয়াত নাজিল করেছেন, যুগ যুগ ধরে ইসলামি নিয়মে অনেকেই রোগ মুক্তির উপায় খুঁজে দেখেন।
তারই ধারাবাহিকতায় অতি পরিচিত একটি রোগ জ্বর কমানোর দোয়া সম্পর্কে জানতে অনেকেই গুগল সার্চ করে থাকেন।
উল্লেখ্য আল কোরানের সরাসরি জ্বর থেকে মুক্তির জন্য কোন দোয়ার কথা উল্লেখ করা হয়নি, তবে তিরমিজি হাদিস ২০৭৫ এ যার সম্পর্কে একটি দোয়া খুঁজে পাওয়া যায় যা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
জ্বর হলে এই দোয়া বেশি বেশি পাঠ করবেন
জ্বর কমানোর দোয়া হচ্ছে বিসমিল্লাহিল কাবির, আউযুবিল্লাহিল আজিমি মিন শারিরি ইরকি ন্যা’আর ওয়া মিন শাররী হাররিন নার।
অর্থ: মহান আল্লাহর নামে, আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি; প্রবল প্রবাহমান রক্তচাপের আক্রমণ থেকে এবং জাহান্নামের উত্তপ্ত আগুনের অনিষ্ট থেকে। (তিরমিজি হাদিস ২০৭৫)
আরও পড়ুনঃ
নেসকো প্রিপেইড মিটার ব্যালেন্স চেক করার উপায়?
নেসকো প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করার উপায়
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
যদি জ্বরের তাপমাত্রা 105 ডিগ্রীর উপরে চলে যায় চিকিৎসকের নিয়ে যেতে হবে। এমনকি ডাক্তারের পরিপূর্ণ চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখতে ও হতে পারে।
(Jor )জ্বর হলেই যে তাকে জ্বরের ঔষধ এমনটি নয়। থার্মোমিটার দিয়ে মাপার পর যদি রোগীর জ্বর ১০০ বার এর চেয়ে বেশি থাকে তাহলে ওষুধ খাওয়ানো উচিত। তবে ওষুধ খাওয়ানোর পর অবশ্যই ৬ ঘন্টা অপেক্ষা করার পর ওষুধ দিতে হবে।
জ্বর কমানোর দোয়া হলো বিসমিল্লাহিল কাবির, আউযুবিল্লাহিল আজিমি মিন শারিরি ইরকি ন্যা’আর ওয়া মিন শাররী হাররিন নার।
সবচেয়ে কমন হলো ঠাণ্ডা লেগে থাকার কারণে জ্বর হওয়া বা সর্দি-কাশির কারণে জ্বর। এর বাইরে শরীরের ভেতরে কোনো কারণে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের আক্রমণ হলে, অর্থাৎ ইনফেকশন হলে জ্বর হতে পারে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন টিকা এবং মশার কামড়েও জ্বর হতে পারে।
শেষ কথা জ্বর সম্পর্কে
প্রিয় ভিজিটর বন্ধুরা ইতিমধ্যেই আপনারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত খুঁটিনাটি তথ্য জানতে পেরেছেন।
যেখানে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি জ্বরের লক্ষণ, প্রতিকারের উপায় এবং জ্বর হলে কোন দোয়া পাঠ করবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২৩ পোস্টে আমরা অনেকগুলি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি যদি আপনার কাছে কোন সঠিক উপায় থাকে তা অবশ্যই শেয়ার করতে পারেন মানুষের উপকারে আসবে।
আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার সামান্য উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে আমাদের ওয়েবসাইটটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
এবং আপনাদের যেকোনো মতামত জানাতে আমাদেরকে কমেন্ট করবেন।
আরো শিক্ষামূলক নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে ওদের ওয়েবসাইট টি নিয়মিত ভিজিট করবেন।
আরও পড়ুনঃ
ফ্রি টাকা ইনকাম apps বিকাশে পেমেন্ট
এছাড়া ইন্টারনেট থেকে সঠিক তথ্য খুঁজে পেতে ডিজিটাল টাচ ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
বিশ্লেষণ ভিত্তিক অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি, বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ও টেলিকম অফার সম্পর্কিত ও শিক্ষামূলক তথ্য গুলো প্রকাশ করে থাকি।
তবে আসন্ন ভারতে চলমান ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের 13তম আসরের সকল আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ জয়েন করুন।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।