একজন দেশ প্রেমিকের দশটি গুন আপনি জানেন কি? দেশ প্রেমিক শুধু নামে নয় বরং দেশের প্রতি কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে। একজন দেশ প্রেমিকের বেশ কিছু গুনাবলি থেকে থাকে। আজকে আমরা একজন দেশ প্রেমিকের দশটি গুন সম্পর্কে জানবো।
দেশের সব মানুষ দেশ প্রেমিক হয় না বা হতে পারে না অথবা হতে চায়ও নাহ। দেশের জন্য প্রকৃত অর্থে ভালো কিছু চাওয়াই দেশপ্রেমিকের আসল গুনাবলি।
আর কোন গুনাবলিগুলি দেশপেমিকের পরিচয় দেয় তা জানতে পারবো আজকের পোস্টে।
দেশকে ভালোবেসে নিজেকে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে সবাই পারে না। একমাত্র দেশ প্রেমিক ব্যক্তি দেশের প্রয়োজনে ঝাপিয়ে পড়তে দ্বিধা করে না।
এর প্রমান প্রায় সময়ই দেখা যায় বিভিন্ন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আজকের পুরো পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে দেশপ্রেমিক এবং একজন দেশ প্রেমিকের দশটি গুন সম্পর্কে আরও ক্লিয়ার ধারণা অর্জন করা সম্ভব হবে।
দেশে ভাষা আন্দোলনের সেই শুরু ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এমনকি এখন পর্যন্ত প্রকৃত দেশ প্রেমিকরা নিজেদের চিন্তা না করে দেশের জন্য অনেক অবদান রেখেই আসছেন।
Content Summary
- 1 একজন দেশ প্রেমিকের অন্যতম গুনাবলি সমূহ । একজন দেশ প্রেমিকের দশটি গুন
- 2 ১) দেশের সকল ধরনের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল
- 3 ২) দেশের সম্পদের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ – দেশপ্রেমিকের সেরা গুন
- 4 ৩) নিজ দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা । একজন দেশ প্রেমিকের গুনাবলি
- 4.1 ৪) নিজ দেশের জন্য জীবন উৎস্বর্গ করা । একজন দেশ প্রেমিকের সবথেকে কঠিন সিদ্ধান্ত
- 4.2 ৫) নিজ দেশের সব ধরণের সংকটে এগিয়ে আসা – দেশ প্রেমিকের গুন
- 4.3 ৬) দেশের সব ধরণের সম্পদের সঠিক ব্যবহার – সৎ দেশ প্রেমিকের গুনাবলি
- 4.4 ৭) দেশের জন্য পরিকল্পনা
- 4.5 ১০) নিজের দেশকে নিয়ে সমালোচনা করেন না দেশ প্রেমিকরা
- 4.6 উপসংহার
- 4.7 Share this:
একজন দেশ প্রেমিকের অন্যতম গুনাবলি সমূহ । একজন দেশ প্রেমিকের দশটি গুন
একদল মানুষ আছে যারা নিজেদেরকে বিভিন্ন কাজে শো আপ করে দেশপ্রেমিক বলে দাবী করে।
অথচ প্রকৃত দেশ প্রেমিকরা কখনোই নিজেকে দেশ প্রেমিক হিসেবে দাবী করে না বা নিজেকে দেশ প্রেমিক হিসেবে জাহির করতে চায় না।
একজন দেশ প্রেমিকের দশটি গুন এর মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে একজন দেশ প্রেমিক চিনবেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক দেশ প্রেমিকের সেরা ১০ টি গুন সম্পর্কে।
১) দেশের সকল ধরনের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল
একজন দেশ প্রেমিকের দশটি গুন একজন মানুষকে দেশপ্রেমিক বলার সর্বপ্রথম কারণ হওয়া উচিত দেশের আইন মান্য করা। অর্থাৎ, একজন দেশপ্রেমিক ব্যক্তি সবসময় দেশের প্রতি দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। এবং, দেশের আইনশৃঙ্খলা যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করে। এই গুনাবলি ছাড়া কখনোই একজন ব্যক্তি দেশপ্রেমিক বলে বিবেচিত হতে পারে নাহ।
২) দেশের সম্পদের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ – দেশপ্রেমিকের সেরা গুন
দেশের অভ্যন্তরীণ সকল প্রকার সম্পদের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করে থাকে প্রকৃত দেশ প্রেমিকেরা।
অর্থাৎ, দেশের প্রাকৃতিক এবং সকল প্রকার সম্পদ যেমন, সরকারি প্রকল্প, বনায়ন, বিভিন্ন সরকারি সার্ভিস সমূহ ইত্যাদিকে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে চেষ্টা করে একজন প্রকৃত দেশ প্রেমিক।
আরও পড়ুনঃ
প্লে স্টোরে আপ্প ডাউনলোড করবেন কিভাবে । Play store app download
অনলাইন খতিয়ান চেক বড় করার পদ্ধতি কি?
জমির দাগ নম্বর থেকে খতিয়ানটি বের করুন দাগসূচি জানার পদ্ধতি
৩) নিজ দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা । একজন দেশ প্রেমিকের গুনাবলি
একজন প্রকৃত দেশ প্রেমিকের প্রকৃত অর্থে দেশের প্রতি ভালোবাসা তখনি বাহ্যিক ভাবে তার ব্যবহার তখন প্রকাশ পায় যখন নিজ দেশ থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে।
মন অস্থিরতায় ভরে যায় নিজ দেশ থেকে অনেক দূরে থাকতে। যখন একজন দেশপ্রেমিক দেশের যে কোনো প্রশ্নে নিজের দেশকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিবে তখনি ওই ব্যক্তিকে প্রকৃত দেশ প্রেমিক বলা যাবে।
৪) নিজ দেশের জন্য জীবন উৎস্বর্গ করা । একজন দেশ প্রেমিকের সবথেকে কঠিন সিদ্ধান্ত
দেশ প্রেমিক অনেক থাকলেও দেশের অন্তিম সঙ্কটে দেশের জন্য নিজের জীবন দিয়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে অনেক কঠিন একটি সিধান্ত।
এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারা মানুষ গুলো সব থেকে বড় দেশ প্রেমিক। কারণ জিবুনের থেকে মূল্যবান জিনিস আর হয় নাহ।
যা দেশ প্রেমিকেরা বিলিয়ে দিতে দ্বিধা করেন নাহ। এর অন্যতম উদাহরণ ছিল ১৯৭১ সালের মুক্তি যোদ্ধারা।
৫) নিজ দেশের সব ধরণের সংকটে এগিয়ে আসা – দেশ প্রেমিকের গুন
বিভিন্ন সময়ে দেশে বিভিন্ন বিষয়ে মারাত্মক সঙ্কট দেখা দেয়। এসময় প্রকৃত দেশ প্রেমিক ব্যক্তি নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বিভিন্ন ভাবে দেশের সঙ্কট নিরসনে ভুমিকা রেখে থাকে।
এছাড়াও উল্লেখযোগ্য ভাবে বলতে গেলে, বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক সঙ্কটের সময়ে দেশের সাধারন জনগনের কল্যাণে নিজের সবটুকুই বিলিয়ে দিয়ে থাকেন।
প্রকৃত দেশ প্রেমিকরা কখনোই নাম প্রচারে বা নাম দেখানো মানব সেবা বা দেশ সেবা করে নাহ।
৬) দেশের সব ধরণের সম্পদের সঠিক ব্যবহার – সৎ দেশ প্রেমিকের গুনাবলি
প্রকৃত একজন দেশ প্রেমিক নিঃসন্দেহে দেশের সকল বৈধ সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সঠিক ব্যবহার করে থাকে।
কোনো কারণে বা অকারণে দেশীয় সম্পদ নষ্ট করে না এবং চোখের সামনে কাউকে দেশের সম্পদ নষ্ট করতে দেয় নাহ।
৭) দেশের জন্য পরিকল্পনা
একজন সচেতন এবং দেশ প্রেমিক ব্যক্তি দেশের জন্য অবশ্যই দেশের জন্য নিজস্ব উদ্যোগ এ কিছু পরিকল্পনা করে থাকেন।
এর আওতাভুক্ত থাকা যায় কিভাবে নিজ দেশকে অন্য দেশের মানুষের কাছে পরিচিত করা যায়।
কিভাবে দেশকে নিরাপদ রাখতে সচেতনমূলক প্রকল্প হাতে নেওয়া যায়। কিভাবে দেশকে সুন্দর ভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে নিজের করণীয় কাজ করা যায়।
কিভাবে দেশকে শত্রু মুক্ত রাখতে নিজের মেধা কাজে লাগানো যায়। এর সবগুলো গুনাবলি একজন দেশ প্রেমিকের মধ্যে বিদ্যমান।
আরও পড়ুনঃ
জন্ম নিবন্ধন দেখব online System | অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন দেখা
BRTA Online Registration Check BD | অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন চেক পদ্দতি
৮) দেশের মানুষের প্রতি নিজের সবটুকু ভালোবাসা । দেশের প্রকৃত প্রেমিকরা সবসময় পিছনেই থেকে যায়
প্রকৃত দেশ প্রেমিকের কাছে দেশের সকল জনগনের জন্য ভেজালহীন ভালোবাসা থাকবে।
প্রকৃত দেশপ্রেমিকেরা কখনোই নিজ মানুষের মধ্যে বিভাজন বা আলাদা বৈষম্য করে দেখেন নাহ।
এদের কাছে প্রকৃত অর্থে একটাই বিবেচনা তা হলো সবাই মানুষ।
৯) দেশকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় একজন প্রকৃত দেশ প্রেমিক । কিভাবে দেশকে একজন দেশপ্রেমিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে
প্রকৃত স্বদেশ প্রেমিকের অন্যতম গুনাবলির একটি গুন হলো সব ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম দেশকে গুরুত্ব দেওয়া।
আন্তরজাতিক কোনো বিষয়ে নিজদেশকে তুলে ধরতে সর্বাধিক চেষ্টা করে একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক নাগরিক।
হতে পারে সাংস্কৃতিক বা পড়াশোনা ভিত্তিক।
সব দিক থেকেই একজন ব্যক্তি নিজের দেশকে সেরা প্রমান করার চেষ্টা করে তবে সঠিক তথ্য দিয়ে এরা আসল অর্থে দেশ প্রেমিক।
১০) নিজের দেশকে নিয়ে সমালোচনা করেন না দেশ প্রেমিকরা
কেন দেশ প্রেমিকরা দেশকে নিয়ে সমালোচনা করে না।
প্রবাদ হিসেবেও একটি কথা আছে যে, “প্রকৃত অর্থে একজন দেশ প্রেমিক ব্যক্তি কখনোই নিজ দেশকে সমালোচনা করেন না।
কারণ, দেশকে নিয়ে সমালোচনা করা একজন ব্যক্তি আর যা ই হোক কখনো প্রকৃত দেশ প্রেমিক হতে পারে নাহ।
দেশের কোনো বিষয় নিয়ে সমালোচনা করার দরকার না হলে না করে ভাবতে হবে কিভাবে দেশের সেই সমস্যা সমাধান করা যায়।
কিভাবে দেশের মঙ্গল করা যায়। এগুলি যে একজন প্রকৃত দেশ প্রেমিকের মূল রহস্য।
আরও পড়ুনঃ
সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম
আসলে দেশ প্রেমিক হওয়ার জন্য সবার আগে দেশের প্রতি টান অর্থাৎ ভালোবাসা শ্রদ্ধা থাকতে হবে। দেশের ভালো চাইতে হবে। এর পরে উপরের গুনাবলি সহ সকল প্রকার গুনাবলি অর্জন করতে পারলেই আপনি একজন প্রকৃত দেশ প্রেমিক হয়ে উঠতে পারবেন।
একজন দেশ প্রেমিকের দশটি গুনের মধ্যে প্রধান গুনতি হচ্ছে দেশের আইন ও সকল বিধি নিশেধ মেনে ছলা।
উপসংহার
আজকে আমরা জানলাম একজন দেশপ্রেমিকের দশটি গুন সম্পর্কে। এছাড়াও জানলাম কিভাবে একজন দেশ প্রেমিক হওয়া যায়।
আশা করছি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার পর দেশ প্রেম বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন।
সব বিষয়ে নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট।
আমরা আপনাদেরকে আপনাদের সুবিধার্থে অনলাইন থেকে ঘরে বসে টাকা আয়, টেলিকম অফার, ইন্টারনেট অফার এবং ব্লগিং টিপস সহ নানান ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলগুলো প্রদান করে থাকি।
জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
আরও পড়ুনঃ
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।