কম্পিউটার ভাইরাস কি? কম্পিউটার ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়

কম্পিউটার ভাইরাস কি? ভাইরাস কত প্রকার ও কি কি? ভাইরাস কীভাবে ক্ষতি করতে পারে এবং কম্পিউটার ভাইরাস কিভাবে ছড়ায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো আপনাদের। বর্তমান সময়ে কম্পিউটার ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী, কেননা যতই দিন যাচ্ছে ভাইরাসের আক্রমণ বেরিয়ে চলেছে।

আসসালামুয়ালাইকুম সুপ্রিয় পাঠক, ডিজিটাল যুগে ভাইরাস একটি বড় হুমকি। তাই মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে, ভাইরাস কি? ভাইরাস কীভাবে ছড়ায়? ভাইরাস কত প্রকার এবং কি কি?

আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় কি কি? ভাইরাস থেকে নিজের মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারকে বাঁচানোর উপায় বিস্তারিত তথ্যসহ জানতে আমাদের সাথে থাকুন।

মূলত ভাইরাসের কারণে আমরা ডিজিটাল জগতে অনেকাংশেই অনিরাপদ। ডিজিটাল এই দুনিয়ায় আমাদের নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই ভাইরাস সম্পর্কে জানা থাকা উচিৎ।

এছাড়াও ভাইরাস কীভাবে ছড়ায় এবং এরসাথে সাথে ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়ও আমাদের জানতে হবে।

আজকের এই পোস্টটির মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা। ভাইরাস কীভাবে ক্ষতি করতে পারে এ বিষয়ে জানানো।

এছাড়া আলোচনা করা হবে কিভাবে আপনি ভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারবেন এবং আপনার ডিজিটাল ডিভাইসগুলো ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করবেন।

আপনার তথ্য গুলোকে নিরাপদে রাখতে ভাইরাস থেকে মুক্ত লাভের উপায় জানা আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবশ্যই পড়বেন।

কম্পিউটার ভাইরাস কি? ভাইরাস কত প্রকার ও কি কি? – ( What is a virus?  How do viruses cause harm? )

একটি কম্পিউটার ভাইরাস হলো এক ধরনের ম্যালওয়্যার ( ম্যালওয়ার অর্থ দূষিত বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার ) যা কার্যকর হলে অন্যান্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিকে নিজের মতো করে পরিবর্তন করে এবং নিজস্ব কোড সেখানে কপি করতে পারে। যাতে পরবর্তীতে এটি অতিরিক্ত সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে সে ব্যবস্থা সয়ংক্রিয় ভাবে করে থাকে।

তাহলে আপনি এতক্ষণে বুঝতে পারছেন বুঝতেই পারছেন কম্পিউটার ভাইরাস কতটা ক্ষতিকর। আসুন ভাইরাস সম্পর্কে সহজে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

ভাইরাস শব্দটির উৎপত্তি?

ভাইরাস ল্যাটিন ভাষা হতে গৃহীত একটি শব্দ। এর অর্থ হল বিষ। আদিকালে রোগ সৃষ্টিকারী যে কোন বিষাক্ত পদার্থকে ভাইরাস বলা হত। বর্তমান কালে ভাইরাস বলতে এক প্রকার অতি ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক অকোষীয় রোগ সৃষ্টিকারী বস্তুকে বোঝায়।

যেমন করোনা ভাইরাসের নাম তো সবাই জানেন। আরো জানেন এটা কতটা ক্ষতিকর ও মারাত্মক।

করোনা ভাইরাস কীভাবে ছড়ায় এ সম্পর্কেও সবাই জানি। এটাতো জীবদেহের ভাইরাসের একটি মাত্র উদাহরণ দিলাম।

ডিজিটাল ডিভাইস যেমন- কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট ইত্যাদিতে ধরনের ছড়াই তা হচ্ছে মূলত এক ধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম।

জীবদেহের ভাইরাসের সাথে এই ক্ষতিকর প্রোগ্রাম বা ম্যালওয়ারের ছড়ানোর এবং ক্ষতি করার উপায় প্রায় একই ধরনের।

কারণ কম্পিউটার ভাইরাস কেবল প্রোগ্রামের ভেতরেই ক্ষতিসাধন ও সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়া এটি নিজের সংখ্যা ইচ্ছে মত বৃদ্ধি করতে পারে।

এভাবে কম্পিউটারের যেকোনো ফাইল বা প্রোগ্রামকে করাপ্ট করতে পারে। আর যদি ইন্টারনেট সংযোগ থাকে তাহলে ভাইরাস আরো বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে।

এমনকি নিজের সকল গোপন তথ্য গুলো যেমন ব্যাংক একাউন্ট, পাসওয়ার্ড, পিন , একাউন্ট নম্বর ইত্যাদি চলে যেতে পারে হ্যাকারদের কাছে।

তাহলে ভাইরাস কীভাবে ছড়ায় যদি সংক্ষেপে বলি। তবে কম্পিউটার ভাইরাস সাধারণত এক্সিকিউটেবল ফাইল যেমন .exe বা .dll ফাইলের সাথে নিজেদের সংযুক্ত করার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। 

যখন সংক্রামিত ফাইলটি কার্যকর করা হয়, তখন ভাইরাস কোডটিও কার্যকর করা হয় এবং ভাইরাসটি কম্পিউটারে অন্যান্য এক্সিকিউটেবল ফাইলগুলিকে সংক্রামিত করে নিজের প্রতিলিপি তৈরি করতে পারে।

 কম্পিউটার ভাইরাসগুলি নেটওয়ার্ক এবং অপসারণযোগ্য মিডিয়া যেমন USB ড্রাইভ এবং সিডির মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। 

উদাহরণস্বরূপ, একটি ভাইরাস একটি ইমেল সংযুক্তির সাথে সংযুক্ত হতে পারে, বা এটি একটি USB ড্রাইভে স্থাপন করা যেতে পারে যা তারপর অন্য কম্পিউটারে ঢোকানো হয়।

অতঃপর ভাইরাসের কারণে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো ডিলেট বা অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। আসুন আমরা আরো বিস্তারিত ভাইরাস সম্পর্কে জানি।

কম্পিউটার ভাইরাস কত প্রকার ও কি কি – ( What are the different types of computer viruses )

ভাইরাস কত প্রকার ও কি কি
ভাইরাস কত প্রকার ও কি কি

কম্পিউটার ভাইরাস প্রধানত ৩ প্রকার, তবে বর্তমানে সবমিলিয়ে সাত প্রকারের কম্পিউটার ভাইরাস রয়েছে। বর্তমানে, বিশেষজ্ঞরা তিনটি প্রধান ধরণের কম্পিউটার ভাইরাস সনাক্ত করেছেন, যেগুলিকে আরও উপশ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারে। তাহলে বুঝতেই পারছেন কম্পিউটার ভাইরাসের সংখ্যা দিনে বেড়েই চলেছে।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত কম্পিউটার ভাইরাস গুলির মধ্যে রয়েছে: ম্যাক্রো ভাইরাস – তিনটি ভাইরাসের মধ্যে সবচেয়ে বড়, ম্যাক্রো ভাইরাসগুলি বিল্ট-ইন প্রোগ্রামিং স্ক্রিপ্টগুলি ব্যবহার করে যা এক্সেল বা ওয়ার্ডে কাজগুলি স্বয়ংক্রিয় করতে পাওয়া যায়।

বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার ভাইরাস রয়েছে, যার প্রত্যেকটির নিজস্ব স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে।  কিছু সাধারণ ধরনের ভাইরাসের মধ্যে রয়েছে:

১০ টি কম্পিউটার ভাইরাসের নাম

ফাইল-সংক্রমিত ভাইরাস (File-infecting viruses)-

এই ভাইরাসগুলি নিজেকে এক্সিকিউটেবল(executable) ফাইলের সাথে সংযুক্ত করে এবং যখন সংক্রামিত ফাইলগুলি কার্যকর করা হয় তখন তাদের প্রতিলিপি(Copy) তৈরি করে।

 বুট সেক্টরের ভাইরাস ( Boot sector virus )- 

এই ভাইরাসগুলি হার্ড ড্রাইভের বুট সেক্টরকে সংক্রমিত করে, যা কম্পিউটারকে সঠিকভাবে বুট করা থেকে বিরত রাখতে পারে।

ম্যাক্রো ভাইরাস (Macro virus)-

এই ভাইরাসগুলি ম্যাক্রোকে সংক্রামিত করে, যা ছোট প্রোগ্রাম যা নথি এবং অন্যান্য ফাইলগুলিতে এম্বেড করা যেতে পারে। 

যখন একটি ম্যাক্রো-সংক্রমিত ফাইল খোলা হয়, তখন ভাইরাস কোডটি কার্যকর করা হয়।

ব্রাউজার হাইজ্যাকার (Browser Hijackers)-

এই ভাইরাসগুলি একটি ওয়েব ব্রাউজারের সেটিংস পরিবর্তন করে, যেমন: হোমপেজ বা ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন।

ট্রোজান হর্স (Trojan horses)-

এই ভাইরাসগুলি নিজেদেরকে বৈধ প্রোগ্রাম হিসাবে ছদ্মবেশ ধারণ করে, কিন্তু যখন সেগুলি কার্যকর করা হয়, তারা কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে।

আমরা সাধারণ কিছু ভাইরাসের প্রকারভেদ সম্পর্কে জানলাম যেগুলো সচরাচর দেখা যায়।

এথেকে আমরা জানতে পারলাম কোন ধরনের ভাইরাস কি রকমের ক্ষতি সাধন করতে পারে। এবার আমাদের জানতে হবে, ভাইরাস আক্রান্ত হলে আমরা কিভাবে বুঝবো?

ভাইরাস আক্রান্ত হলে যত দ্রুত উপলব্ধি করা যায় ততই ভালো।

আরও পড়ুনঃ

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি ও গাইডলাইন

Robi Minute Bundle Offer

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

Tin Certificate BD Registration Download

বাংলালিংক মাসিক ইন্টারনেট প্যাকেজ

কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ গুলি কি কি – (What are the symptoms of a computer virus infection) – 

কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ

যেকোনো ইলেকট্রনিক্স ডিজিটাল বা কম্পিউটা ডিভাইস গুলো ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে কিনা এটা বোঝা খুবই জরুরি। কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ অনেক প্রকারের হয়ে থাকে।

এক একজনের সিস্টেমে একেক কারণে ভাইরাস এসে থাকে তাই আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো কিছুটা ভিন্ন ভিন্ন।

তবে মনে রাখবেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একই ধরনের লক্ষণ দেখা যায়, তবে কিছুটা ভিন্নতা থাকে।

কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ কি কি? ডেস্কটপে যেকোনো আইকনে ক্লিক করলে যদি সঠিকভাবে রেসপন্ড না করে তাহলে বুঝতে হবে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার পিসিতে ক্ষতি করতে শুরু করেছে। তবে কম্পিউটারের ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর সবচেয়ে সাধারন লক্ষণ হল, কম্পিউটার স্লো হয়ে যাওয়া। কোন অ্যাপ্লিকেশন চালানোর সময় যদি স্লো হয় তাহলে অবশ্যই আপনার পিসি ভাইরাস আক্রান্ত

এছাড়াও উল্লিখিত কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা গছলেই আমরা বুঝতে পারবো যে তা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।

তাহলে আমরা খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম হবো।

ভাইরাস আক্রান্ত হলে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বা কোন কাজ গুলো করতে হবে তা আলোচনা করার পূর্বে এর লক্ষণের ব্যাপারে আমাদের অবগত হতে হবে।

নিম্মে আমরা আপনাদের কম্পিউটার ভাইরাস সংক্রমণের কিছু সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আরও পড়ুনঃ

দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করার নিয়ম কি?

Tin Certificate BD Registration Download

GB Whatsapp Download 

কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হলে কি কি অসুবিধা হয়

কম্পিউটার কর্মক্ষমতা ধীর(Slow computer performance):

একটি ভাইরাস সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে বা ফাইলের ক্ষতি করে কম্পিউটারকে ধীর করে দিতে পারে। এ জন্য অনেক সময় দেখে থাকবেন আপনার কম্পিউটার আগের থেকে অনেক স্লো হয়ে গেছে। তাই স্লো হয়ে গেলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করতে পারেন যে আপনার কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।

ঘনঘন ক্র্যাশ(Frequent Craahes): 

একটি ভাইরাসের কারণে ফাইলগুলিকে দূষিত করে বা সিস্টেমে ওভারলোড করে কম্পিউটার ক্র্যাশ হতে পারে। তাই ইতিমধ্যেই অনেকেই কম্পিউটারে ক্রাশ পপ আপ বা নোটিফিকেশন দেখে থাকবেন। এটি মূলত ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে।

অপ্রত্যাশিত পপ-আপ উইন্ডো(Unexpected pop-up windows):

একটি ভাইরাস বিজ্ঞাপন বা অন্যান্য ক্ষতিকারক সামগ্রী সহ পপ-আপ উইন্ডো প্রদর্শন করতে পারে। আপনিও হয়তো কখনো না কখনো এমন অপ্রত্যাশিত অ্যাড দেখে থাকবেন।

অনুপস্থিত বা দূষিত ফাইল( Missing or corrupted file):

একটি ভাইরাস ফাইলগুলিকে ক্ষতি করতে বা মুছে ফেলতে পারে, যা ডেটা ক্ষতির কারণ হতে পারে বা প্রোগ্রামগুলিকে সঠিকভাবে কাজ করতে বাধা দিতে পারে। যা আমরা আগেই আলোচনা করেছি।

সিস্টেম সেটিংসে অব্যক্ত পরিবর্তন( Unexpected changes to system settings):

একটি ভাইরাস সিস্টেম সেটিংস পরিবর্তন করতে পারে, যেমন: ডিফল্ট নিরাপত্তা সেটিংস বা স্টার্টআপ প্রোগ্রাম।

এটি ব্রাউজারের সেটিংস কীভাবে পরিবর্তন করে তা আমরা ভাইরাসের টাইপের ভেতর দেখেছি। সেটিং পরিবর্তন করে ভাইরাস আরো জোরদার আক্রমন করতে পারে।

এসব সাধারণ লক্ষণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে ভাইরাস আপনার কম্পিউটারকে আক্রমন করেছে। এইবার তাদের প্রতিহত করার পালা।

সবথেকে ভালো হয় যদি আগে থেকেই আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারি।

ভাইরাস আক্রমণের পর প্রতিরোধের ব্যবস্থা করায় উত্তম। চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে ভাইরাসের আক্রমনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়।

আরও পড়ুনঃ

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি ও গাইডলাইন

Robi Minute Bundle Offer

কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় – কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধ করতে হলে কোনটি প্রয়োজন (how to protect your computer from viruses)-

আপনার কম্পিউটারকে ভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্য আপনি অনেকগুলি জিনিস করতে পারেন, যার মধ্যে রয়েছে:

  •  অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার ইনস্টল করুন এবং চালান(install and run anti-virus software):-

অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার ভাইরাস এবং অন্যান্য ম্যালওয়্যারগুলির জন্য আপনার কম্পিউটার স্ক্যান করতে পারে এবং সেগুলিকে সরিয়ে দিতে পারে৷ তাই ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। এটাই সবচেয়ে নিরাপদ ও নিশ্চিত উপায়।

  •  আপনার সফ্টওয়্যার আপ টু ডেট রাখুন( keep your software up to date):-

ভাইরাসের নতুন নতুন ভেরিয়েন্ট আসতে পারে , যা পুরাতন অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যারগুলো ডিটেক্ট করতে পারে না। তাই অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যারগুলো আপডেট রাখা ভালো।

সফ্টওয়্যার ডেভেলপাররা প্রায়শই সিকিউরিটি আপডেটগুলির দূর্বলতা গুলো খুঁজে বের করে ফিক্স করে তাই সব সফটওয়্যার আপডেট রাখা উচিত।

  •  আপনি কোন সংযুক্তিগুলি খুলছেন সে সম্পর্কে সতর্ক থাকুন(be careful about what attachment you open)

অজানা প্রেরক বা আপনি বিশ্বাস করেন না এমন প্রেরকের কাছ থেকে পাওয়া ইমেল সংযুক্তি খুলবেন না৷ হতে পারে তারা কোনো ফিসিং লিঙ্ক পাঠিয়ে।

আর না জেনে তাতে প্রবেশ করায় আপনার ডিভাইসটি হ্যাক হওয়ার এবং আপনার সেনসিটিভ তথ্যগুলো চুরি হওয়ার হুমকি থাকে।

  •  আপনি কোন ওয়েবসাইটগুলি পরিদর্শন করেন সে সম্পর্কে সতর্ক থাকুন( be careful about what websites you visit):-

 এমন ওয়েবসাইটগুলি পরিদর্শন করা এড়িয়ে চলুন যা ক্ষতিকর বলে পরিচিত বা পাইরেটেড সফ্টওয়্যার বিতরণ করে৷ এধরনের ওয়েবসাইট আপনি দেখলেই বুঝতে পারবেন। কারণ এগুলো সাধারণ ওয়েবসাইটের থেকে একদম আলাদা।

  •  শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন(use strong password):-

 আপনার সমস্ত অনলাইন অ্যাকাউন্টের জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত পরিবর্তন করুন।

আপনি যদি মনে করেন আপনার কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হয়েছে, তাহলে আপনাকে অবিলম্বে আপনার অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার দিয়ে একবার সম্পূর্ণ স্ক্যান করা উচিত। 

যদি অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার একটিও ভাইরাস খুঁজে পায়, তাহলে অবিলম্বে এটিকে অপসারণ করে ফেলুন ।

কম্পিউটার ভাইরাস নিয়ে আরো কিছু তথ্য-

  • ভাইরাস আবিস্কার: ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর কম্পিউটার ‘ভাইরাস’-এর জন্ম হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণির ছাত্র ফ্রেড কোহেন পেনসিলভানিয়ার লেহিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তাবিষয়ক এক সেমিনারে প্রথম কম্পিউটার ভাইরাস দেখান।
  • একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটারে তিনি তাঁর ছোট্ট সংকেত (কোড) প্রবেশ করিয়ে মাত্র ৫ মিনিটেই গোটা যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিলেন। আরও চারটি প্রদর্শনীতে গড়ে মাত্র আধঘণ্টা সময়েই এই কোড ব্যবহার করে সব নিরাপত্তাব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে গোটা সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন তিনি।
  • ‘ভাইরাস’ নামকরণ: কোহেনের উপদেষ্টা লেন অ্যাডলেম্যান কোহেনের এই নিজে থেকেই নিজের অনুলিপি (রেপ্লিকা/ কপি) সৃষ্টির প্রোগ্রামটিকে ভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করেন এবং একে ‘ভাইরাস’ নামে অভিহিত করেন। সেই থেকে এমন ক্ষতিকর প্রোগ্রামের নাম হয়ে গেল কম্পিউটার ভাইরাস।

আরও পড়ুনঃ

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

Tin Certificate BD Registration Download

বাংলালিংক মাসিক ইন্টারনেট প্যাকেজ

কম্পিউটার ভাইরাস কি?

কম্পিউটার ভাইরাস, এমন একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম (computer program) বা ফাইল (file) যে ব্যবহারকর্তার অনুমতি বা সচেতনতার ছাড়াই কম্পিউটারকে সংক্রমিত করে এবং আস্তে আস্তে পুরো কম্পিউটারে ছড়িয়ে যায়।

কম্পিউটারে ভাইরাস আসার লক্ষণ?

কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হলে কম্পিউটারের গতি কমে যায়, এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন ডেস্কটপ আইকন গুলো দ্রুত রেসপন্স করে না, অনেক সময় রেসপন্সই করে না, তখন বুঝতে হবে আপনার কম্পিউটারটি ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে।

কম্পিউটার ভাইরাস কত প্রকার?

প্রধানত কম্পিউটার ভাইরাস তিন প্রকার, এই তিন প্রকার কম্পিউটার ভাইরাস কে আরো অনেকগুলো ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে সারপ্রকারের কম্পিউটার ভাইরাস ইন্টারনেট দুনিয়ায় রয়েছে।

শেষ কথাঃ

আমরা এই ব্লক পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি কম্পিউটার ভাইরাস কি কিভাবে কাজ করে কিভাবে আপনাদের কম্পিউটারের ক্ষতি সাধন করতে পারে এ সম্পর্কে বিস্তারিত।

আমি মনে করি আপনি কম্পিউটার ভাইরাস কি? কম্পিউটার ভাইরাস কত প্রকার ও কি কি এবং সেই সাথে কম্পিউটার ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন।

যদি পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার আশেপাশের বন্ধুবান্ধবদের সাথে আমাদের এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।

বর্তমানে এই ডিজিটাল দুনিয়ায় নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে হলে এই ক্ষতি কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে অবগত হওয়া খুবই প্রয়োজন।

আরও পড়ুনঃ

বিটকয়েন কি

How to add bkash priyo number

Daily 500 taka income

কারণ কখন কী রকমের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারি তা বলা যায় না। তবে আমরা বিভিন্ন প্রকার ভাইরাস নিয়ে জানলাম।

এছাড়াও জানলাম ভাইরাস কীভাবে আমাদের ডিভাইস গুলোর ক্ষতি করে।

ভাইরাস থেকে প্রাথমিক ভাবে বাঁচার উপায়গুলোও আপনাদের সাথে তুলে ধরলাম এই পোস্টটিতে।

আশা করি পোস্টটি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে। আর পোস্টটি জনসচেতনতামূলক ছিল তাই সবার সাথে শেয়ার করুন যাতে তারাও উপকৃত হন।

আরও পড়ুনঃ

বিটকয়েন কি, বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে

ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম

যাতে আমরাও আপনার চিন্তা থেকে কিছু শেখার এবং কিছু উন্নত করার সুযোগ পাই? তাই অবশ্যই পোস্টে একটি গঠনমূলক মত মন্তব্য করবেন।

জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। ধন্যবাদ।

কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ভিজিট করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।

আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাংলা ভাষায় অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম, টেলিকম অফার এবং মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে।

Leave a Comment