জমির খাজনা দিতে কি কি কাগজ লাগে এই সম্পর্কে জানতে অনেকেই গুগল সার্চ করে থাকেন। বাংলাদেশ সরকার সাধরন জনগনের ভোগান্তি কমানোর জন্য অনলাইনে জমির খাজনা দেয়ার ব্যাবস্থা করেছেন।
অনলাইনে সরকার নিধারিত ভূমি মন্তনলর এর (https://ldtax.gov.bd/) সাইডে প্রবেশ করে বা তাদের তৈরি কৃত app এর মাধ্যমে online এ টাকা দেয়ার মধ্যমে খাজনা দেয়া য়াচ্ছে বর্তমানে।
তবে তা এখনও পুরপূরি রুপে সাধারন জনগনের বোধগম্য নয় ও এই বিষয় টি জানে না জানলেও হাতে গনা কয় একজন জানে। যার নামে জমি আছে তাকে বা তার পক্ষ যে কেই খাজনা পরিশোধ করতে পারবে।
খাজনা না দিলে বাংলাদেশ সরকারের নিতি মোতাবেক অইনি নোটিস দেয়া হবে জমির মালিককে, তাঁরপরও যদি খাজনা না দেয়া হয় তাহলে সেই জমিটি নিলামে তোলার ক্ষমতা সরকার এর হাতে থাকে।
Contents In Brief
জমির খাজনা দিতে কি কি কাগজ লাগে?

মূলত অনলাইনে জমির খাজনা দিতে যে কাগজ লাগে তা হচ্ছে সর্বশেষ পর্চা ( বিআরএস) পুরোনো দাখিলা, যার নামে পর্চা তার এন আইডি, ও মোবাইল নম্বর।
অনলাইনে খাজনা বা কর দেওয়ার নিয়ম কি?
জমির খাজনা দিতে হয় কিভাবে?
আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন জমির কর বা খাজনা দিতে ভূমি অফিসে যেতে হবেনা। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে আপনি বাড়িতে বসেই আপনার জমির কর বা খাজনা দিতে পারবেন অনলাইনে।
অনলাইনে জমির খাজনা দিতে হলে আপনাকে কয়েকটি জিনিস আপনার সামনে রাখতে হবে, সেই সম্পর্কে উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
প্রথমে আপনার জমির সর্বশেষ খতিয়ান/পর্চা (বিআরএস) খতিয়ান, খতিয়ান/পর্চায় যার নাম থাকবে তার জাতীয় পরিচয়পত্র ও একটি মোবাইল নম্বর।
NOTE: তবে যদি খতিয়ানের মালিক মারা যায় তাহলে তার ওয়ারিশগন উক্ত জমির খাজনা দিতে পারবে।
বিটকয়েন কি? ১ বিটকয়েন সমান কত টাকা
জমির কর দিতে হলে আপনাকে প্রথমেই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল দিয়ে আপনার নামে নিবন্ধন বা একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে অফসিয়াল ওয়েবসাইট (https://ldtax.gov.bd/) থেকে।
আরও পড়ুনঃ
কিভাবে জমির খাজনা দেয়ার সাইটে নিবন্ধন করবেন?
ভূমির কর বা জমির খাজনা দিতে হলে আপনাকে ভূমি মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নাগরিক কর্নার পেজে ভিজিট করতে হবে, নাগরিক কর্নারে নিজ মোবাইল নম্বর ও এনআইডি নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে যেতে এখানে ক্লিক করুন।
মনে রাখবেন প্রথমে আপনার মোবাইল নম্বরটি দিতে হবে, তারপর আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট আইডি কার্ড নম্বর দিন।
তারপর জন্ম তারিখ দিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ এ ক্লিক করবেন, এরপর আপনার মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি (OTP) নম্বর যাবে।
সেই ওটিপি নম্বর দিয়ে আপনার নিবন্ধন করা মোবাইল নম্বরটি যাচাই ও একাউন্ট চালু করে নিবেন।
এরপরে আপনার সামনে https://ldtax.gov.bd/ ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন।
আরও পড়ুনঃ
কেন অনলাইনে জমির খাজনা দিবেন?
কেননা বাংলাদেশের সরকারি অফিস গুলি থেকে সেবা পেতে গ্রাহকদের অনেক হয়রানীর সিকার হতে হয়।
তাছাড়া এই খাজনার খপ্পরে পড়ে অনেক সাধারন জনগন আজ নিস্ব। কোথাও কোন জমি সেল করতে গলে অবশ্যই এর মালিক কে খাজনা দিতেই হবে।
খাজনা না দিলে উকিল ওই জমির কোন কাজই করবে না।
যদি খজনা পরিশোধ অগে করে তা হলে কোন সমস্য ছাড়াই কাজ সমাধান করতে পারবেন, এর জন্য কোন ব্যাক্তি জমি কিনলে জমি নামে করার আগে খাজনা দিতে বলে নইলে সেই সময় আনেক ঝামেলা হয়।
জমির খাজনা দেয়া থাকলে শুধু খাজনা রশিদ এর নাম্বার টি দিয়ে কাজগুলি সহজে করা যায়।
আশা করি আপনি জানতে পেরেছেন জমির খাজনা দিতে কি কি কাগজ লাগে? এবং অনলাইনে জমির খাজনা দেয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
আরও পড়ুনঃ
জমির খাজনা দিতে কি কি কাগজ লাগে? এই সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন
ঘরে বসে অনলাইনে জমির খাজনা দিতে লাগে সর্বশেষ পর্চা ( বিআরএস) পুরোনো দাখিলা, যার নামে পর্চা তার এন আইডি কার্ড নম্বর, ও মোবাইল নম্বর।
ঘরে বসে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে জমির খাজনা দিতে আপনাকে এই সাইটে https://ldtax.gov.bd/ একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। তারপর আপনার বিআরএস খতিয়ান নম্বর, আইডি কার্ড নম্বর ও মোবাইল নম্বর বেবহার করে জমির খাজনা দিবেন।
অনলাইনে জমির খাজনা কিভাবে দিতে আমাদের দেখান পদ্ধতি গুলি অনুসরন করুন।
শেষ কথা,
অনলাইনে জমির খাজনা দিতে কি কি কাগজ লাগে? জানার পর আশা করি এখন থেকে আপনি ঘরে বলে সহজেই আপনার ও আপনার পরিবারের ভূমি কর পরিশোধ করতে পারবেন।
জমির খাজনা কিভাবে দিতে হয় এই সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানান।
আমরা আপনাদেরকে আপনাদের সুবিধার্থে –
এবং ব্লগিং টিপস
ও নানান ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলগুলো প্রদান করে থাকি।
আপনাদের যদি এই সংক্রান্ত কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
এছাড়াও আমরা শিক্ষামূলক নানান ধরনের আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে প্রধান করে থাকি।
আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আরও পড়ুনঃ
জমির দাগ নম্বর থেকে খতিয়ানটি বের করুন দাগসূচি জানার পদ্ধতি