সুপ্রিয় ভাই ও বোনেরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ কোনটি? আপনারা কি এই সম্পর্কে জানেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে চলেছি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ হিসেবে কোন দেশ থেকে গণ্য করা হয় সে সম্পর্কে।
পৃথিবীতে প্রায় প্রতিটি দেশেই কম বেশি মুসলমান রয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু দেশকে আলাদা ভাবে শুধুমাত্র মুসলিম দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন আয়তনের দিক থেকে কোন মুসলিম দেশটি সবচেয়ে বড় এবং মুসলিম জনসংখ্যার দিক থেকে কোন দেশটি এগিয়ে সেই সম্পর্কে।
আমরা আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের খুবই ভালো লাগবে। শেষ পর্যন্ত আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
Content Summary
আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ কোনটি
পুরো বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ হিসেবে আয়তনের দিক থেকে রয়েছে কাজাখস্তান।
এই দেশটি বর্তমানে পৃথিবীতে আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে বড় একটি দেশ।
সাম্প্রতিক সময়ে কাজাখস্তান এর রাজধানী নুর সুলতান এর মধ্যে সর্বপ্রথম পরিবেশবান্ধব সৌর মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে।
এ মসজিদ সৌর শক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হবে।
মসজিদটি নির্মাণকালীন সময়ে স্থানীয় যেসকল কর্মকর্তারা কাজ করছিলেন তারা বিদ্যুৎ ব্যয় ব্রাশ করার জন্য মসজিদের মধ্যে সৌর প্যানেল ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা কোনটি
বড় মুসলিম দেশ
তাদের এই পরিবেশবান্ধব মসজিদ তৈরির উদ্যোগ আন্তর্জাতিক খবরের শিরোনাম হয়েছিল।
এ সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার কারণে সে দেশের মধ্যে প্রতিবছর প্রচুর মসজিদ নির্মাণ করা হলেও পুরোপুরি সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত রং করা হয়ে থাকে কর্তৃপক্ষ থেকে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মুসলিম এই দেশটি ২০১৯ সালে ৮০টি নতুন মসজিদের উদ্বোধন করেছিল।
যখন চলছিল তখন এই দেশটির ওপর ধর্মীয় কার্যক্রমের বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল এবং হাজার হাজার মসজিদ মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছিল।
১৯৯১ সালে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গিয়েছে এরপরেও এই দেশে শাসন ব্যবস্থায় ধর্মবিরোধী ছাপ রয়ে গিয়েছিল।
তবে একটি ভালো সংবাদ ছিলো দেশটিতে ধর্মীয় অনুরাগ বাড়ছে দিন দিন।
বর্তমানে সেদেশের ৭০ শতাংশ জনগণ মুসলিম এবং তাদের বেশিরভাগ তুর্কি বংশভূত।
কাজাকাস্তানের সাধারণ মুসলিম এবং নানান জনসাধারণের উদ্যোগে ও অর্থায়নের ভিত্তিতে সে দেশে মসজিদ নির্মিত হয়ে থাকে।
তবে সে ক্ষেত্রে তাঁদেরকে সরকারের অনুমতি পত্র গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
সরকারি হিসাব মতে, কাজাকাস্তানের বর্তমানে ৬৯১ মসজিদ রয়েছে।
আরো শতাধিক মসজিদ নির্মাণের প্রক্রিয়া কাজ করা হচ্ছে।
কাজাকিস্তানের মধ্যে ধর্মীয় বিধি-নিষেধ সরকারিভাবে বেশি থাকায় কাজাকিস্তানের মুসলিম সমাজের সবচেয়ে বেশি কার্যক্রম মসজিদ কেন্দ্রিক হয়ে থাকে।
সে দেশে মসজিদ থেকেই মুসলমানদের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি, ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার এবং প্রসার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়ে থাকে।
এসকল জিনিসগুলো ছাড়াও বড় বড় মসজিদের সঙ্গে কুরআন মুখস্থ করার জন্য হিপস খাড়া ও উচ্চতর ইসলামিক গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার রেওয়াজ সে দেশে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক কে?
বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ
বিশুদ্ধ কোরআন চর্চা এবং তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে কাজাকিস্তানের সুনাম রয়েছে।
শায়খুল ইসলাম আল্লামা তাকী উসমানী কয়েক বছর আগে ধর্মীয় সফরের কারণে কাজাখস্তানে গিয়েছিলেন।
সে সময় সেখানে তিনি ধর্মীয় কয়েকটি কনফারেন্স এর মধ্যে যোগদান করেছিলেন।
সেই সফরের বৃত্তান্ত তিনি ‘সফর দর সফর’ নামক তার (তৃতীয়) ভ্রমণকাহিনিতে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।
ওই ভ্রমণকাহিনিতে তিনি লিখেন, সেখানকার (কাজাখস্তানের) কিছু উদ্যমী যুবকের মুখে আমি বিশুদ্ধ আরবি শুনে অবাক হয়েছি।
জিজ্ঞেস করলে জানতে পারলাম তারা হাফেজে কোরআনও।
অথচ বয়সের দিকে তাকালে বোঝা যায় যে, সোভিয়েত ইউনিয়নের শাসনকালেই তাদের বেড়ে ওঠা।
কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, যেখানে দীর্ঘকাল কোরআনের কপি ঘরে রাখা অপরাধ ছিল।
সেখানে আপনারা কীভাবে কোরআন হেফজ করলেন আর কেমন করেই বিশুদ্ধ আরবি শিখতে পারলেন?
প্রশ্ন শুনে তাদের চোখগুলো থেকে অশ্রু ঝরতে লাগল।
তারা শোনালেন, তাদের পূর্বপুরুষ আলেমরা কীভাবে জান-মাল বিসর্জন দিয়ে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সন্তানদের এবং নতুন প্রজন্মকে ঘরে ঘরে গিয়ে গোপনে মাটির নিচে কোরআন শেখাতেন।
শুধু তেলাওয়াতই নয়, আরবি ভাষা, ধর্মীয় জ্ঞান-বিজ্ঞান সবকিছুর তারা শিক্ষা প্রদান করতেন।
বস্তুত তাদের ওই ত্যাগ-তিতিক্ষার বদৌলতে কাজাখস্তান স্বাধীনতা লাভের পর দ্বীনি শিক্ষার লোকের অভাব দেখা দেয়নি।
আর তাদের হাতেগড়া তরুণরাই আজকের কাজাখস্তানে ধর্মীয় ক্ষেত্রে মুসলমানদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে।
কাজাখস্তান সম্পর্কিত আরো কিছু বিস্তারিত তথ্য
বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ কাজাখস্তানের নারীদের কোরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ছিল একটি ঐতিহ্যের অংশ।
কাজাখাস্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড় শহর হচ্ছে আলমাতি।
এই শহরের আলমাতির কেন্দ্রীয় মসজিদের সহযোগিতায় ও পাভলদার শহরে প্রতিবছর এ জাতীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
কাগজের স্থানের বড় বড় শহরগুলোর মধ্যে মুসলমানদের ধর্মীয় বিষয়গুলোকে ভালোভাবে দেখার জন্য ইমাম রয়েছে।
তিনি সেখানে প্রধানের নামে পরিচিত।
তার নাম হিসেবে ইমামে শহর বলা হয়ে থাকে।
সে দেশের বেশিরভাগ মানুষই ধর্মভীরু এবং নামাজী। সেখানে রোজাদারের পরিমাণ আরো বেশি বললে চলে।
কাজাখাস্তানের মুসলমানদের দিনে প্রায় ১৮ ঘন্টা রোজা রাখার প্রয়োজন পড়ে।
তারা গম থেকে শুরু করে সকল ধরনের খাবার গুলো খেয়ে থাকে।
২৭ লাখ ২৪ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটিতে প্রায় ২ কোটি মানুষের বসবাস।
আয়তনের দিক দিয়ে এটি বিশ্বের ৯ম বৃহত্তম দেশ।
অষ্টম শতাব্দীতে আরবদের আগমনের ফলে এই অঞ্চলে ইসলামের প্রসার ঘটে।
সোভিয়েত আমলে ধর্ম খুব বেশি গুরুত্ব না পেলেও এখন দেশটির প্রধান ধর্ম হচ্ছে ইসলাম।
মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ মুসলিম।
বাকী ৩০ ভাগ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।
আরও পড়ুনঃ
ভারতে প্রথম মুদ্রা প্রবর্তন করেন কে?
প্রত্যাশিত আয় তত্ত্ব কে প্রবর্তন করেন
বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ কোনটি FAQS
বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ কাজাখস্তান।
কাজাখস্তানে ৭০ শতাংশ মানুষ মুসলিম বসবাস করে।
উপসংহার
প্রিয় পাঠকগণ আজকেরে আর্টিকেলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ কোনটি সে সম্পর্কে আপনাদেরকে জানানো হয়েছে।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভাল লেগেছে এবং আজকেরে আর্টিকেল থেকে আপনারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আপনাদের যদি এই বিষয়ে আরো কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।
কিভাবে অনলাইন থেকে খুব সহজে আয় করা যায় এ সংক্রান্ত আর্টিকেলগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা আছে।
আপনাদের যদি ইচ্ছে থাকে অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করার তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সেসকল আর্টিকেলগুলো পড়ুন।
এছাড়া আমাদের ওয়েবসাইট সংক্রান্ত সকল আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।